নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো সেবা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়।
গত মে মাসে ৮ হাজার ৬৭টি খানাতে এই জরিপ পরিচালনা করে পিপিআরসি। সোমবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘পরিবার পর্যায়ে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় এই জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।
জরিপে এই প্রথম ঘুষের সঙ্গে সঙ্গে হয়রানির দিকটি তুলে আনা হয়েছে। ঘুষের বিষয়ে বলা হয়, সরকারি কার্যালয় ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। হয়রানির শিকার ৭৪ শতাংশ মানুষ বলছে, এখনো টাকা না দিলে কিছুই হয় না। সরকারি সেবা নিতে হয়রানির শিকার হয় ২১ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্যসেবায় এই হার প্রায় ৪৯ শতাংশ।
জরিপে বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ। দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আর্থিক সংকটে আছে। তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ চিকিৎসা ব্যয় এবং ২৭ শতাংশ ঋণ পরিশোধ নিয়ে সংকটে আছে। এসব সমস্যাসহ নানা আর্থিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্বেগের কারণে সমাজের প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাশা রয়েছে।
জরিপে মানুষের উদ্বেগের কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সন্তানের শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ে উদ্বিগ্ন ৫৫ ও ৫৬ শতাংশ মানুষ। ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে মানুষ ৫৩ শতাংশ ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মানের কথা বলেছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি চায় তারা। রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষর বিষয়ে ৫৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা বলেছে।
সার্বিকভাবে নানা সংকট ও উদ্বেগের কারণে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা হারালেও ৫৪ শতাংশ মানুষ এখনো হাল ছেড়ে দিতে নারাজ।
সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্রকে কাঠামোগতভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গোষ্ঠীতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। এখানে যারা সংগঠিত তারা সুবিধা নিচ্ছে, কিন্তু জনগণ অসংগঠিত থাকায় তাদের ভাগ পাচ্ছে না। আগে সমাজে অর্থ উপার্জন তৃতীয় প্রধান বিষয় থাকলেও এখন মানুষ যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনে প্রাধান্য দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি লড়াকু মনোভাব কারও নেই। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মনোভাবই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এত বড় বিপ্লবের পর ৪৬ শতাংশ মানুষ কেন ভরসা রাখতে পারছে না। নারী ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় বাড়ছে। সমাজে প্রতিনিয়ত সংঘাতমূলক মনোভাব ছড়াচ্ছে। একদিকে দেশে কর্মসংস্থান নেই, অন্যদিকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগও কমছে। শিক্ষার্থীদের ঠিকভাবে ক্লাসে আনা যায়নি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো গুমোটভাব আছে।
সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে আলতাফ পারভেজ বলেন, ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার কার্যক্রম এক বছরেও সমাধান করা যায়নি। এটি নিয়ে অনবরত রাস্তা অবরোধ, হুমকিধমকি চলছে। উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ নিয়ে প্রতিদিনকার বিবাদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ভুরুঙ্গামারী পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল ফেলো আসিফ বিন আলী। তিনি বলেন, তরুণদের বড় অংশ এখন আশাবাদী নয়। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণদের ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে এবং সেটা নেপালের মতো সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যেতে পারে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের স্বপ্নকে মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধায় পরিণত করার আলাপ নেই। ফলে সমাজে যেকোনো চরমপন্থা জায়গা করে নিতে পারে। সেটা হতে পারে ধর্মীয় চরমপন্থা। দেশ এখন জনতুষ্টিবাদীর জন্য প্রস্তুত, যেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা বেশি সমর্থন পাচ্ছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের (দায়রা) গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তরুণদের ক্ষোভ বাড়লেও তাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বল হবে না। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অপ্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা পদ্ধতির কারণেই ক্ষোভ বাড়ছে। কেন বারবার অভ্যুত্থান হলেও সংস্কার করা যায়নি, সেটি বড় প্রশ্ন।
হয়রানির বিষয়গুলো অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, বরং কাগজে থাকলেও বাস্তবে সেবা না পাওয়ার কারণে তা হচ্ছে। শহরাঞ্চলে হয়রানির প্রবণতা বেশি। শহরে ভাসমান মানুষ বেশি থাকায় এটা হতে পারে। এটার কারণ আরও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের বড় অংশ আশাবাদী নয়, এটা হতাশাজনক। কেন এত দ্রুত মানুষের একটি বড় অংশের আশা চলে গেল, সেটা গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো সেবা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়।
গত মে মাসে ৮ হাজার ৬৭টি খানাতে এই জরিপ পরিচালনা করে পিপিআরসি। সোমবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘পরিবার পর্যায়ে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় এই জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।
জরিপে এই প্রথম ঘুষের সঙ্গে সঙ্গে হয়রানির দিকটি তুলে আনা হয়েছে। ঘুষের বিষয়ে বলা হয়, সরকারি কার্যালয় ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। হয়রানির শিকার ৭৪ শতাংশ মানুষ বলছে, এখনো টাকা না দিলে কিছুই হয় না। সরকারি সেবা নিতে হয়রানির শিকার হয় ২১ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্যসেবায় এই হার প্রায় ৪৯ শতাংশ।
জরিপে বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ। দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আর্থিক সংকটে আছে। তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ চিকিৎসা ব্যয় এবং ২৭ শতাংশ ঋণ পরিশোধ নিয়ে সংকটে আছে। এসব সমস্যাসহ নানা আর্থিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্বেগের কারণে সমাজের প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাশা রয়েছে।
জরিপে মানুষের উদ্বেগের কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সন্তানের শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ে উদ্বিগ্ন ৫৫ ও ৫৬ শতাংশ মানুষ। ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে মানুষ ৫৩ শতাংশ ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মানের কথা বলেছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি চায় তারা। রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষর বিষয়ে ৫৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা বলেছে।
সার্বিকভাবে নানা সংকট ও উদ্বেগের কারণে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা হারালেও ৫৪ শতাংশ মানুষ এখনো হাল ছেড়ে দিতে নারাজ।
সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্রকে কাঠামোগতভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গোষ্ঠীতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। এখানে যারা সংগঠিত তারা সুবিধা নিচ্ছে, কিন্তু জনগণ অসংগঠিত থাকায় তাদের ভাগ পাচ্ছে না। আগে সমাজে অর্থ উপার্জন তৃতীয় প্রধান বিষয় থাকলেও এখন মানুষ যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনে প্রাধান্য দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি লড়াকু মনোভাব কারও নেই। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মনোভাবই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এত বড় বিপ্লবের পর ৪৬ শতাংশ মানুষ কেন ভরসা রাখতে পারছে না। নারী ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় বাড়ছে। সমাজে প্রতিনিয়ত সংঘাতমূলক মনোভাব ছড়াচ্ছে। একদিকে দেশে কর্মসংস্থান নেই, অন্যদিকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগও কমছে। শিক্ষার্থীদের ঠিকভাবে ক্লাসে আনা যায়নি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো গুমোটভাব আছে।
সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে আলতাফ পারভেজ বলেন, ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার কার্যক্রম এক বছরেও সমাধান করা যায়নি। এটি নিয়ে অনবরত রাস্তা অবরোধ, হুমকিধমকি চলছে। উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ নিয়ে প্রতিদিনকার বিবাদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ভুরুঙ্গামারী পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল ফেলো আসিফ বিন আলী। তিনি বলেন, তরুণদের বড় অংশ এখন আশাবাদী নয়। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণদের ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে এবং সেটা নেপালের মতো সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যেতে পারে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের স্বপ্নকে মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধায় পরিণত করার আলাপ নেই। ফলে সমাজে যেকোনো চরমপন্থা জায়গা করে নিতে পারে। সেটা হতে পারে ধর্মীয় চরমপন্থা। দেশ এখন জনতুষ্টিবাদীর জন্য প্রস্তুত, যেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা বেশি সমর্থন পাচ্ছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের (দায়রা) গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তরুণদের ক্ষোভ বাড়লেও তাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বল হবে না। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অপ্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা পদ্ধতির কারণেই ক্ষোভ বাড়ছে। কেন বারবার অভ্যুত্থান হলেও সংস্কার করা যায়নি, সেটি বড় প্রশ্ন।
হয়রানির বিষয়গুলো অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, বরং কাগজে থাকলেও বাস্তবে সেবা না পাওয়ার কারণে তা হচ্ছে। শহরাঞ্চলে হয়রানির প্রবণতা বেশি। শহরে ভাসমান মানুষ বেশি থাকায় এটা হতে পারে। এটার কারণ আরও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের বড় অংশ আশাবাদী নয়, এটা হতাশাজনক। কেন এত দ্রুত মানুষের একটি বড় অংশের আশা চলে গেল, সেটা গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো সেবা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়।
গত মে মাসে ৮ হাজার ৬৭টি খানাতে এই জরিপ পরিচালনা করে পিপিআরসি। সোমবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘পরিবার পর্যায়ে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় এই জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।
জরিপে এই প্রথম ঘুষের সঙ্গে সঙ্গে হয়রানির দিকটি তুলে আনা হয়েছে। ঘুষের বিষয়ে বলা হয়, সরকারি কার্যালয় ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। হয়রানির শিকার ৭৪ শতাংশ মানুষ বলছে, এখনো টাকা না দিলে কিছুই হয় না। সরকারি সেবা নিতে হয়রানির শিকার হয় ২১ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্যসেবায় এই হার প্রায় ৪৯ শতাংশ।
জরিপে বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ। দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আর্থিক সংকটে আছে। তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ চিকিৎসা ব্যয় এবং ২৭ শতাংশ ঋণ পরিশোধ নিয়ে সংকটে আছে। এসব সমস্যাসহ নানা আর্থিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্বেগের কারণে সমাজের প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাশা রয়েছে।
জরিপে মানুষের উদ্বেগের কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সন্তানের শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ে উদ্বিগ্ন ৫৫ ও ৫৬ শতাংশ মানুষ। ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে মানুষ ৫৩ শতাংশ ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মানের কথা বলেছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি চায় তারা। রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষর বিষয়ে ৫৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা বলেছে।
সার্বিকভাবে নানা সংকট ও উদ্বেগের কারণে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা হারালেও ৫৪ শতাংশ মানুষ এখনো হাল ছেড়ে দিতে নারাজ।
সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্রকে কাঠামোগতভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গোষ্ঠীতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। এখানে যারা সংগঠিত তারা সুবিধা নিচ্ছে, কিন্তু জনগণ অসংগঠিত থাকায় তাদের ভাগ পাচ্ছে না। আগে সমাজে অর্থ উপার্জন তৃতীয় প্রধান বিষয় থাকলেও এখন মানুষ যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনে প্রাধান্য দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি লড়াকু মনোভাব কারও নেই। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মনোভাবই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এত বড় বিপ্লবের পর ৪৬ শতাংশ মানুষ কেন ভরসা রাখতে পারছে না। নারী ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় বাড়ছে। সমাজে প্রতিনিয়ত সংঘাতমূলক মনোভাব ছড়াচ্ছে। একদিকে দেশে কর্মসংস্থান নেই, অন্যদিকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগও কমছে। শিক্ষার্থীদের ঠিকভাবে ক্লাসে আনা যায়নি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো গুমোটভাব আছে।
সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে আলতাফ পারভেজ বলেন, ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার কার্যক্রম এক বছরেও সমাধান করা যায়নি। এটি নিয়ে অনবরত রাস্তা অবরোধ, হুমকিধমকি চলছে। উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ নিয়ে প্রতিদিনকার বিবাদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ভুরুঙ্গামারী পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল ফেলো আসিফ বিন আলী। তিনি বলেন, তরুণদের বড় অংশ এখন আশাবাদী নয়। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণদের ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে এবং সেটা নেপালের মতো সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যেতে পারে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের স্বপ্নকে মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধায় পরিণত করার আলাপ নেই। ফলে সমাজে যেকোনো চরমপন্থা জায়গা করে নিতে পারে। সেটা হতে পারে ধর্মীয় চরমপন্থা। দেশ এখন জনতুষ্টিবাদীর জন্য প্রস্তুত, যেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা বেশি সমর্থন পাচ্ছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের (দায়রা) গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তরুণদের ক্ষোভ বাড়লেও তাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বল হবে না। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অপ্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা পদ্ধতির কারণেই ক্ষোভ বাড়ছে। কেন বারবার অভ্যুত্থান হলেও সংস্কার করা যায়নি, সেটি বড় প্রশ্ন।
হয়রানির বিষয়গুলো অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, বরং কাগজে থাকলেও বাস্তবে সেবা না পাওয়ার কারণে তা হচ্ছে। শহরাঞ্চলে হয়রানির প্রবণতা বেশি। শহরে ভাসমান মানুষ বেশি থাকায় এটা হতে পারে। এটার কারণ আরও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের বড় অংশ আশাবাদী নয়, এটা হতাশাজনক। কেন এত দ্রুত মানুষের একটি বড় অংশের আশা চলে গেল, সেটা গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো সেবা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়।
গত মে মাসে ৮ হাজার ৬৭টি খানাতে এই জরিপ পরিচালনা করে পিপিআরসি। সোমবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘পরিবার পর্যায়ে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় এই জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।
জরিপে এই প্রথম ঘুষের সঙ্গে সঙ্গে হয়রানির দিকটি তুলে আনা হয়েছে। ঘুষের বিষয়ে বলা হয়, সরকারি কার্যালয় ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। হয়রানির শিকার ৭৪ শতাংশ মানুষ বলছে, এখনো টাকা না দিলে কিছুই হয় না। সরকারি সেবা নিতে হয়রানির শিকার হয় ২১ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্যসেবায় এই হার প্রায় ৪৯ শতাংশ।
জরিপে বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ। দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আর্থিক সংকটে আছে। তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ চিকিৎসা ব্যয় এবং ২৭ শতাংশ ঋণ পরিশোধ নিয়ে সংকটে আছে। এসব সমস্যাসহ নানা আর্থিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্বেগের কারণে সমাজের প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাশা রয়েছে।
জরিপে মানুষের উদ্বেগের কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সন্তানের শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ে উদ্বিগ্ন ৫৫ ও ৫৬ শতাংশ মানুষ। ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে মানুষ ৫৩ শতাংশ ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মানের কথা বলেছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি চায় তারা। রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষর বিষয়ে ৫৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা বলেছে।
সার্বিকভাবে নানা সংকট ও উদ্বেগের কারণে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা হারালেও ৫৪ শতাংশ মানুষ এখনো হাল ছেড়ে দিতে নারাজ।
সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্রকে কাঠামোগতভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গোষ্ঠীতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। এখানে যারা সংগঠিত তারা সুবিধা নিচ্ছে, কিন্তু জনগণ অসংগঠিত থাকায় তাদের ভাগ পাচ্ছে না। আগে সমাজে অর্থ উপার্জন তৃতীয় প্রধান বিষয় থাকলেও এখন মানুষ যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনে প্রাধান্য দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি লড়াকু মনোভাব কারও নেই। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মনোভাবই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এত বড় বিপ্লবের পর ৪৬ শতাংশ মানুষ কেন ভরসা রাখতে পারছে না। নারী ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় বাড়ছে। সমাজে প্রতিনিয়ত সংঘাতমূলক মনোভাব ছড়াচ্ছে। একদিকে দেশে কর্মসংস্থান নেই, অন্যদিকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগও কমছে। শিক্ষার্থীদের ঠিকভাবে ক্লাসে আনা যায়নি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো গুমোটভাব আছে।
সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে আলতাফ পারভেজ বলেন, ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার কার্যক্রম এক বছরেও সমাধান করা যায়নি। এটি নিয়ে অনবরত রাস্তা অবরোধ, হুমকিধমকি চলছে। উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ নিয়ে প্রতিদিনকার বিবাদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ভুরুঙ্গামারী পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল ফেলো আসিফ বিন আলী। তিনি বলেন, তরুণদের বড় অংশ এখন আশাবাদী নয়। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণদের ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে এবং সেটা নেপালের মতো সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যেতে পারে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের স্বপ্নকে মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধায় পরিণত করার আলাপ নেই। ফলে সমাজে যেকোনো চরমপন্থা জায়গা করে নিতে পারে। সেটা হতে পারে ধর্মীয় চরমপন্থা। দেশ এখন জনতুষ্টিবাদীর জন্য প্রস্তুত, যেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা বেশি সমর্থন পাচ্ছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের (দায়রা) গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তরুণদের ক্ষোভ বাড়লেও তাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বল হবে না। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অপ্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা পদ্ধতির কারণেই ক্ষোভ বাড়ছে। কেন বারবার অভ্যুত্থান হলেও সংস্কার করা যায়নি, সেটি বড় প্রশ্ন।
হয়রানির বিষয়গুলো অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, বরং কাগজে থাকলেও বাস্তবে সেবা না পাওয়ার কারণে তা হচ্ছে। শহরাঞ্চলে হয়রানির প্রবণতা বেশি। শহরে ভাসমান মানুষ বেশি থাকায় এটা হতে পারে। এটার কারণ আরও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের বড় অংশ আশাবাদী নয়, এটা হতাশাজনক। কেন এত দ্রুত মানুষের একটি বড় অংশের আশা চলে গেল, সেটা গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৩ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৫ ঘণ্টা আগেআপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৩ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না—এই অভিযোগ নতুন নয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘুষ চাওয়া কিছুটা কমলেও সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপের তথ্য বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ এখনো
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৩ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে