৪০তম ক্যাডেট ব্যাচ
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
৪০তম ক্যাডেট ব্যাচ
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৪৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৪৩ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৪৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৪৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে