নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যে নামগুলো এসেছে, সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার রাতে সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তবে কে বা কারা কোন নাম প্রস্তাব করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানিয়েছেন, কে বা কারা তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছেন, তা তাঁরা জানেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এসব নাম প্রস্তাব করেছেন, তালিকায় একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার থাকতে পারে। তালিকায় ছয়জনের নাম দুবার করে পাওয়া গেছে।
এসব নামের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য একেকটি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। সেখান থেকে একজনকে সিইসি ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
আজকের পত্রিকার হিসাবে ৩২২ জনের তালিকায় ১০০ জন সাবেক আমলা, ৬১ জন শিক্ষাবিদ, ৩৮ জন বিচারপতি, ২৮ জন সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ২৬ জন আইনজীবী, ১১ জন মানবাধিকারকর্মী, ৯ জন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, ৭ জন পেশাজীবী, ৩ জন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ৪ জন সাংবাদিক, ২ জন নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা, ৪ জন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, ২ জন সুশীল সমাজের, ২ জন প্রবাসী এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ১৯ জন রয়েছেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জে আর মোদাচ্ছির হোসেন (প্রকৃত নাম জে আর মোদাচ্ছির আলী) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম তালিকায় রয়েছে। আছেন সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ ও জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও ছহুল হোসাইনের সঙ্গে সাবেক দুজন পুলিশপ্রধানের নামও তালিকায় রয়েছে।
শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ; সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ছাড়াও সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম তালিকায় রয়েছে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও মুহিবুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলির নামও তালিকায় রয়েছে।
নাম দেখে প্রতিক্রিয়া
সার্চ কমিটির তালিকায় নিজের নাম দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেখানে কীভাবে নিজের নাম গেল, সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি অনেকে। তবে নিজের অজান্তে তালিকায় নাম ওঠায় অনেকেই খুশি হয়েছেন।
পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম দিয়েছে, তা তিনি জানেন না। এরপরেও ইসিতে দায়িত্ব দেওয়া হলে যাবেন কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও জানান, দায়িত্ব পেলে তা গ্রহণ করবেন তিনি। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানের নাম কে দিয়েছেন, তা জানেন না তিনি। মোখলেছুর রহমান বলেন, ইসিতে রাখা হলে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত তিনি পরে নেবেন।
তালিকায় নাম আছে শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এসবের মধ্যে যেতে চাই না।’ সাবেক অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার সারা জীবনে যা অর্জন, তা আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খোয়াতে চাই না। অনুমতি ছাড়া এভাবে নাম দেওয়া বিব্রতকর।’ সার্চ কমিটির তালিকায় নাম ওঠার বিষয়ে অবগত আছেন সাবেক সচিব সিরাজুল হক খান। তালিকায় নাম থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার চাইতে আরও অনেক বেশি যোগ্য লোক প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁরা দায়িত্বে এলে ভালো হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্র তো নামের প্রস্তাব এসেছে, দেখা যাক কী হয়।’ অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের নাম দিয়েছে। যে বা যারা আমার নাম দিয়েছে, তারা আস্থার জায়গা থেকে শিক্ষক হিসেবে হয়তো আমার নাম দিয়েছে।’
তালিকায় নাম থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের যে বিরূপ ধারণা, তা নিরসনে যথাযথভাবে কাজ করব।’ আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, তালিকায় নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগ দিতে আগ্রহী নন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, তিনিও জানেন না, তাঁর নাম কে দিয়েছে। তালিকায় নাম থাকা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশনে থাকব না।’
নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনে থাকা না থাকা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। তালিকায় নাম থাকা মডেল ও নকশাকার বিবি রাসেল বলেন, দায়িত্ব পেলে তা নিতে তিনি রাজি আছেন।
তালিকায় নাম থাকলেও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ দিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গত ৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠকের পর সিইসি ও ইসি পদে নাম প্রস্তাব করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সার্চ কমিটির দ্বিতীয় সভার পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে নাম আহ্বান করা হয়। গত শনি ও রোববার আইনজীবী, শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি। আজ মঙ্গলবার আরও আটজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি।
এদিকে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। কবে নতুন কমিশন গঠন করা হতে পারে, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগেই জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। কমিশন ফাঁকা থাকলেও আইনি কোনো জটিলতা নেই।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যে নামগুলো এসেছে, সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার রাতে সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তবে কে বা কারা কোন নাম প্রস্তাব করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানিয়েছেন, কে বা কারা তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছেন, তা তাঁরা জানেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এসব নাম প্রস্তাব করেছেন, তালিকায় একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার থাকতে পারে। তালিকায় ছয়জনের নাম দুবার করে পাওয়া গেছে।
এসব নামের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য একেকটি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। সেখান থেকে একজনকে সিইসি ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
আজকের পত্রিকার হিসাবে ৩২২ জনের তালিকায় ১০০ জন সাবেক আমলা, ৬১ জন শিক্ষাবিদ, ৩৮ জন বিচারপতি, ২৮ জন সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ২৬ জন আইনজীবী, ১১ জন মানবাধিকারকর্মী, ৯ জন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, ৭ জন পেশাজীবী, ৩ জন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ৪ জন সাংবাদিক, ২ জন নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা, ৪ জন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, ২ জন সুশীল সমাজের, ২ জন প্রবাসী এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ১৯ জন রয়েছেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জে আর মোদাচ্ছির হোসেন (প্রকৃত নাম জে আর মোদাচ্ছির আলী) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম তালিকায় রয়েছে। আছেন সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ ও জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও ছহুল হোসাইনের সঙ্গে সাবেক দুজন পুলিশপ্রধানের নামও তালিকায় রয়েছে।
শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ; সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ছাড়াও সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম তালিকায় রয়েছে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও মুহিবুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলির নামও তালিকায় রয়েছে।
নাম দেখে প্রতিক্রিয়া
সার্চ কমিটির তালিকায় নিজের নাম দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেখানে কীভাবে নিজের নাম গেল, সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি অনেকে। তবে নিজের অজান্তে তালিকায় নাম ওঠায় অনেকেই খুশি হয়েছেন।
পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম দিয়েছে, তা তিনি জানেন না। এরপরেও ইসিতে দায়িত্ব দেওয়া হলে যাবেন কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও জানান, দায়িত্ব পেলে তা গ্রহণ করবেন তিনি। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানের নাম কে দিয়েছেন, তা জানেন না তিনি। মোখলেছুর রহমান বলেন, ইসিতে রাখা হলে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত তিনি পরে নেবেন।
তালিকায় নাম আছে শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এসবের মধ্যে যেতে চাই না।’ সাবেক অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার সারা জীবনে যা অর্জন, তা আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খোয়াতে চাই না। অনুমতি ছাড়া এভাবে নাম দেওয়া বিব্রতকর।’ সার্চ কমিটির তালিকায় নাম ওঠার বিষয়ে অবগত আছেন সাবেক সচিব সিরাজুল হক খান। তালিকায় নাম থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার চাইতে আরও অনেক বেশি যোগ্য লোক প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁরা দায়িত্বে এলে ভালো হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্র তো নামের প্রস্তাব এসেছে, দেখা যাক কী হয়।’ অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের নাম দিয়েছে। যে বা যারা আমার নাম দিয়েছে, তারা আস্থার জায়গা থেকে শিক্ষক হিসেবে হয়তো আমার নাম দিয়েছে।’
তালিকায় নাম থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের যে বিরূপ ধারণা, তা নিরসনে যথাযথভাবে কাজ করব।’ আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, তালিকায় নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগ দিতে আগ্রহী নন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, তিনিও জানেন না, তাঁর নাম কে দিয়েছে। তালিকায় নাম থাকা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশনে থাকব না।’
নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনে থাকা না থাকা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। তালিকায় নাম থাকা মডেল ও নকশাকার বিবি রাসেল বলেন, দায়িত্ব পেলে তা নিতে তিনি রাজি আছেন।
তালিকায় নাম থাকলেও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ দিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গত ৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠকের পর সিইসি ও ইসি পদে নাম প্রস্তাব করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সার্চ কমিটির দ্বিতীয় সভার পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে নাম আহ্বান করা হয়। গত শনি ও রোববার আইনজীবী, শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি। আজ মঙ্গলবার আরও আটজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি।
এদিকে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। কবে নতুন কমিশন গঠন করা হতে পারে, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগেই জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। কমিশন ফাঁকা থাকলেও আইনি কোনো জটিলতা নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যে নামগুলো এসেছে, সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার রাতে সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তবে কে বা কারা কোন নাম প্রস্তাব করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানিয়েছেন, কে বা কারা তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছেন, তা তাঁরা জানেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এসব নাম প্রস্তাব করেছেন, তালিকায় একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার থাকতে পারে। তালিকায় ছয়জনের নাম দুবার করে পাওয়া গেছে।
এসব নামের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য একেকটি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। সেখান থেকে একজনকে সিইসি ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
আজকের পত্রিকার হিসাবে ৩২২ জনের তালিকায় ১০০ জন সাবেক আমলা, ৬১ জন শিক্ষাবিদ, ৩৮ জন বিচারপতি, ২৮ জন সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ২৬ জন আইনজীবী, ১১ জন মানবাধিকারকর্মী, ৯ জন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, ৭ জন পেশাজীবী, ৩ জন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ৪ জন সাংবাদিক, ২ জন নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা, ৪ জন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, ২ জন সুশীল সমাজের, ২ জন প্রবাসী এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ১৯ জন রয়েছেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জে আর মোদাচ্ছির হোসেন (প্রকৃত নাম জে আর মোদাচ্ছির আলী) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম তালিকায় রয়েছে। আছেন সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ ও জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও ছহুল হোসাইনের সঙ্গে সাবেক দুজন পুলিশপ্রধানের নামও তালিকায় রয়েছে।
শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ; সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ছাড়াও সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম তালিকায় রয়েছে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও মুহিবুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলির নামও তালিকায় রয়েছে।
নাম দেখে প্রতিক্রিয়া
সার্চ কমিটির তালিকায় নিজের নাম দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেখানে কীভাবে নিজের নাম গেল, সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি অনেকে। তবে নিজের অজান্তে তালিকায় নাম ওঠায় অনেকেই খুশি হয়েছেন।
পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম দিয়েছে, তা তিনি জানেন না। এরপরেও ইসিতে দায়িত্ব দেওয়া হলে যাবেন কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও জানান, দায়িত্ব পেলে তা গ্রহণ করবেন তিনি। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানের নাম কে দিয়েছেন, তা জানেন না তিনি। মোখলেছুর রহমান বলেন, ইসিতে রাখা হলে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত তিনি পরে নেবেন।
তালিকায় নাম আছে শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এসবের মধ্যে যেতে চাই না।’ সাবেক অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার সারা জীবনে যা অর্জন, তা আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খোয়াতে চাই না। অনুমতি ছাড়া এভাবে নাম দেওয়া বিব্রতকর।’ সার্চ কমিটির তালিকায় নাম ওঠার বিষয়ে অবগত আছেন সাবেক সচিব সিরাজুল হক খান। তালিকায় নাম থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার চাইতে আরও অনেক বেশি যোগ্য লোক প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁরা দায়িত্বে এলে ভালো হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্র তো নামের প্রস্তাব এসেছে, দেখা যাক কী হয়।’ অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের নাম দিয়েছে। যে বা যারা আমার নাম দিয়েছে, তারা আস্থার জায়গা থেকে শিক্ষক হিসেবে হয়তো আমার নাম দিয়েছে।’
তালিকায় নাম থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের যে বিরূপ ধারণা, তা নিরসনে যথাযথভাবে কাজ করব।’ আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, তালিকায় নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগ দিতে আগ্রহী নন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, তিনিও জানেন না, তাঁর নাম কে দিয়েছে। তালিকায় নাম থাকা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশনে থাকব না।’
নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনে থাকা না থাকা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। তালিকায় নাম থাকা মডেল ও নকশাকার বিবি রাসেল বলেন, দায়িত্ব পেলে তা নিতে তিনি রাজি আছেন।
তালিকায় নাম থাকলেও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ দিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গত ৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠকের পর সিইসি ও ইসি পদে নাম প্রস্তাব করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সার্চ কমিটির দ্বিতীয় সভার পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে নাম আহ্বান করা হয়। গত শনি ও রোববার আইনজীবী, শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি। আজ মঙ্গলবার আরও আটজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি।
এদিকে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। কবে নতুন কমিশন গঠন করা হতে পারে, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগেই জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। কমিশন ফাঁকা থাকলেও আইনি কোনো জটিলতা নেই।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যে নামগুলো এসেছে, সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার রাতে সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তবে কে বা কারা কোন নাম প্রস্তাব করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জানিয়েছেন, কে বা কারা তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছেন, তা তাঁরা জানেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এসব নাম প্রস্তাব করেছেন, তালিকায় একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার থাকতে পারে। তালিকায় ছয়জনের নাম দুবার করে পাওয়া গেছে।
এসব নামের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য একেকটি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। সেখান থেকে একজনকে সিইসি ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
আজকের পত্রিকার হিসাবে ৩২২ জনের তালিকায় ১০০ জন সাবেক আমলা, ৬১ জন শিক্ষাবিদ, ৩৮ জন বিচারপতি, ২৮ জন সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ২৬ জন আইনজীবী, ১১ জন মানবাধিকারকর্মী, ৯ জন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, ৭ জন পেশাজীবী, ৩ জন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ৪ জন সাংবাদিক, ২ জন নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা, ৪ জন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, ২ জন সুশীল সমাজের, ২ জন প্রবাসী এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশার ১৯ জন রয়েছেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জে আর মোদাচ্ছির হোসেন (প্রকৃত নাম জে আর মোদাচ্ছির আলী) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম তালিকায় রয়েছে। আছেন সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ ও জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও ছহুল হোসাইনের সঙ্গে সাবেক দুজন পুলিশপ্রধানের নামও তালিকায় রয়েছে।
শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ; সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ছাড়াও সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম তালিকায় রয়েছে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও মুহিবুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলির নামও তালিকায় রয়েছে।
নাম দেখে প্রতিক্রিয়া
সার্চ কমিটির তালিকায় নিজের নাম দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেখানে কীভাবে নিজের নাম গেল, সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি অনেকে। তবে নিজের অজান্তে তালিকায় নাম ওঠায় অনেকেই খুশি হয়েছেন।
পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম দিয়েছে, তা তিনি জানেন না। এরপরেও ইসিতে দায়িত্ব দেওয়া হলে যাবেন কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও জানান, দায়িত্ব পেলে তা গ্রহণ করবেন তিনি। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানের নাম কে দিয়েছেন, তা জানেন না তিনি। মোখলেছুর রহমান বলেন, ইসিতে রাখা হলে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত তিনি পরে নেবেন।
তালিকায় নাম আছে শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এসবের মধ্যে যেতে চাই না।’ সাবেক অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার সারা জীবনে যা অর্জন, তা আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খোয়াতে চাই না। অনুমতি ছাড়া এভাবে নাম দেওয়া বিব্রতকর।’ সার্চ কমিটির তালিকায় নাম ওঠার বিষয়ে অবগত আছেন সাবেক সচিব সিরাজুল হক খান। তালিকায় নাম থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার চাইতে আরও অনেক বেশি যোগ্য লোক প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছেন। আমি মনে করি, তাঁরা দায়িত্বে এলে ভালো হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্র তো নামের প্রস্তাব এসেছে, দেখা যাক কী হয়।’ অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের নাম দিয়েছে। যে বা যারা আমার নাম দিয়েছে, তারা আস্থার জায়গা থেকে শিক্ষক হিসেবে হয়তো আমার নাম দিয়েছে।’
তালিকায় নাম থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের যে বিরূপ ধারণা, তা নিরসনে যথাযথভাবে কাজ করব।’ আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, তালিকায় নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগ দিতে আগ্রহী নন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, তিনিও জানেন না, তাঁর নাম কে দিয়েছে। তালিকায় নাম থাকা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশনে থাকব না।’
নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনে থাকা না থাকা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। তালিকায় নাম থাকা মডেল ও নকশাকার বিবি রাসেল বলেন, দায়িত্ব পেলে তা নিতে তিনি রাজি আছেন।
তালিকায় নাম থাকলেও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ দিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গত ৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে প্রথম বৈঠকের পর সিইসি ও ইসি পদে নাম প্রস্তাব করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সার্চ কমিটির দ্বিতীয় সভার পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে নাম আহ্বান করা হয়। গত শনি ও রোববার আইনজীবী, শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি। আজ মঙ্গলবার আরও আটজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি।
এদিকে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। কবে নতুন কমিশন গঠন করা হতে পারে, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগেই জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। কমিশন ফাঁকা থাকলেও আইনি কোনো জটিলতা নেই।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
১৩ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যেসব নাম এসেছে সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যেসব নাম এসেছে সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যেসব নাম এসেছে সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির কাছে যেসব নাম এসেছে সেখানে সাবেক আমলাদেরই প্রাধান্য। আমলাদের পরেই যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, বিচারক, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের নাম সিইসি ও ইসি হিসেবে প্রস্তাবের জন্য পেয়েছে সার্চ কমিটি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে