উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো অস্থাবর প্রত্নসম্পদ বা প্রত্নবস্তু অথবা এসবের অংশবিশেষ বিদেশে পাঠানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে সেটি শুল্ক আইনের আওতায় চোরাচালান হিসেবে গণ্য হবে। সরকারের অনুমতি ছাড়া প্রত্নসম্পদ বিদেশে পাচার করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। এমন বিধান রেখে ‘প্রত্ন আইন, ২০২৪’ -এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনটি যুগোপযোগী করে নতুন খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামীকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে।’
জানা যায়, যুগোপযোগী আইন না থাকায় প্রত্ন ও সাংস্কৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে বিঘ্ন ঘটছে। অনেক প্রত্নসম্পদ লুটেরাদের কবলে পড়ছে। ব্রিটিশ শাসনামলে প্রণীত আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সম্পদ নয়ছয় হয়ে যাচ্ছে। পুরাকীর্তি সংরক্ষণের তিনটি আইন আছে। সেগুলো হলো—ট্রেজারার্স ট্রুভ অ্যাক্ট, ১৮৭৮; অ্যানসিয়েন্ট মনুমেন্ট প্রিজারভেশন অ্যাক্ট, ১৯০৪; অ্যান্টিকুইটিজ অ্যাক্ট, ১৯৪৭।
১৯৭৬ সালে সংশোধিত একটি আইন করা হয়। সেটিও পুরোনোগুলোর মতো। এই অবস্থায় ২০১৫ সালে একটি খসড়া আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়া শেষে খসড়া তৈরি হলেও তা অনুমোদন হয়নি।
প্রস্তাবিত নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, স্থাবর প্রত্নসম্পদের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ সুরক্ষিত এলাকা সুনির্দিষ্ট থাকবে। বিশেষ সুরক্ষিত এলাকায় কোনো বহুতল ভবন নির্মাণ, ইটভাটা, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। এ ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনো খনন করা যাবে না। খসড়ায় পুরাকীর্তির ব্যবসা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার বিধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নিয়ে পুরাকীর্তির অনুকৃতির ব্যবসার অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রত্নসম্পদের ক্ষতিসাধন, ধ্বংস, ভাঙা, বিনষ্ট, পরিবর্তন করলে ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, দেশে প্রাপ্ত ও জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ বা প্রত্নবস্তুর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। এগুলো অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হবে। সরকারি মালিকানাধীন অথবা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন জাদুঘর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে অবহিত করে প্রত্নসম্পদ সংগ্রহ করতে পারবে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রত্নসম্পদ মালিকের ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মূল্য নির্ধারণ করা যাবে। ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক পর্যায়ে কেউ প্রত্নসম্পদ বেচাকেনা বা সংগ্রহ করতে পারবে না।
খসড়ায় স্থাবর প্রত্নসম্পদ বলতে বোঝানো হয়েছে যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক ও প্রাচীন ঢিবি, স্তূপ, সমাধিস্থল, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রাচীন বাগান, প্রাচীন কাঠামো, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক চিত্রকর্মসংবলিত শিলালিপি ও ভাস্কর্য, কষ্টিপাথরের মূর্তি। এর সময়সীমা ধরা হয়েছে ১০০ বছর। অর্থাৎ বছরের পূর্ববর্তী যেকোনো সময়ের ভূমি, ভূমির নিচে বা পানির নিচে প্রাচীন সম্পদ ও নিদর্শন স্থাবর প্রত্নসম্পদ হিসেবে গণ্য হবে।
সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো অস্থাবর প্রত্নসম্পদ বা প্রত্নবস্তু অথবা এসবের অংশবিশেষ বিদেশে পাঠানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে সেটি শুল্ক আইনের আওতায় চোরাচালান হিসেবে গণ্য হবে। সরকারের অনুমতি ছাড়া প্রত্নসম্পদ বিদেশে পাচার করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। এমন বিধান রেখে ‘প্রত্ন আইন, ২০২৪’ -এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনটি যুগোপযোগী করে নতুন খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামীকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে।’
জানা যায়, যুগোপযোগী আইন না থাকায় প্রত্ন ও সাংস্কৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে বিঘ্ন ঘটছে। অনেক প্রত্নসম্পদ লুটেরাদের কবলে পড়ছে। ব্রিটিশ শাসনামলে প্রণীত আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সম্পদ নয়ছয় হয়ে যাচ্ছে। পুরাকীর্তি সংরক্ষণের তিনটি আইন আছে। সেগুলো হলো—ট্রেজারার্স ট্রুভ অ্যাক্ট, ১৮৭৮; অ্যানসিয়েন্ট মনুমেন্ট প্রিজারভেশন অ্যাক্ট, ১৯০৪; অ্যান্টিকুইটিজ অ্যাক্ট, ১৯৪৭।
১৯৭৬ সালে সংশোধিত একটি আইন করা হয়। সেটিও পুরোনোগুলোর মতো। এই অবস্থায় ২০১৫ সালে একটি খসড়া আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়া শেষে খসড়া তৈরি হলেও তা অনুমোদন হয়নি।
প্রস্তাবিত নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, স্থাবর প্রত্নসম্পদের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ সুরক্ষিত এলাকা সুনির্দিষ্ট থাকবে। বিশেষ সুরক্ষিত এলাকায় কোনো বহুতল ভবন নির্মাণ, ইটভাটা, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। এ ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনো খনন করা যাবে না। খসড়ায় পুরাকীর্তির ব্যবসা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার বিধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নিয়ে পুরাকীর্তির অনুকৃতির ব্যবসার অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রত্নসম্পদের ক্ষতিসাধন, ধ্বংস, ভাঙা, বিনষ্ট, পরিবর্তন করলে ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, দেশে প্রাপ্ত ও জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ বা প্রত্নবস্তুর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। এগুলো অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হবে। সরকারি মালিকানাধীন অথবা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন জাদুঘর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে অবহিত করে প্রত্নসম্পদ সংগ্রহ করতে পারবে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রত্নসম্পদ মালিকের ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মূল্য নির্ধারণ করা যাবে। ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক পর্যায়ে কেউ প্রত্নসম্পদ বেচাকেনা বা সংগ্রহ করতে পারবে না।
খসড়ায় স্থাবর প্রত্নসম্পদ বলতে বোঝানো হয়েছে যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক ও প্রাচীন ঢিবি, স্তূপ, সমাধিস্থল, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রাচীন বাগান, প্রাচীন কাঠামো, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক চিত্রকর্মসংবলিত শিলালিপি ও ভাস্কর্য, কষ্টিপাথরের মূর্তি। এর সময়সীমা ধরা হয়েছে ১০০ বছর। অর্থাৎ বছরের পূর্ববর্তী যেকোনো সময়ের ভূমি, ভূমির নিচে বা পানির নিচে প্রাচীন সম্পদ ও নিদর্শন স্থাবর প্রত্নসম্পদ হিসেবে গণ্য হবে।
মিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার খবরটি ‘চিলে কান নিয়ে যাওয়ার গল্প’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদ উপলক্ষে সীমান্তপথে কুরবানির পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কায় কড়া অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চামড়া পাচার প্রতিরোধে।
২ ঘণ্টা আগেপবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
৫ ঘণ্টা আগেমুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আজহা। যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে এবারের ঈদ উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের আদর্শে উদ্ভাসিত করে আসছে।
৭ ঘণ্টা আগে