মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী চিকিৎসক। বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ মো. এহসান ময়নাতদন্ত শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষ হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যত দূর দেখেছি, শরীরের বাইরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের (দাঁত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) কিছু অংশ নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি। প্রতিবেদন আসার পরে আমরা চূড়ান্ত মন্তব্য দিতে পারব।’
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরোনোর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে সেদিন রাতে রমনা থানায় জিডি করেছিল তাঁর পরিবার।
গত কাল শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বলাকির চর এলাকার মেঘনা নদীতে একটি লাশ ভাসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানায়। কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন। সন্ধ্যার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশের ছবি তুলে ঢাকার রমনা থানায় পাঠান। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া বিভুরঞ্জন সরকারের ছবির সঙ্গে মরদেহের ছবির মিল পেয়ে এই সাংবাদিকের পরিবারকে জানায় পুলিশ। তারপর ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার ও চিররঞ্জন সরকার।
এদিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন চিররঞ্জন সরকার ও তাঁর স্বজনেরা।
চিররঞ্জন সরকার জানান, লাশ বুঝে পাওয়ার পর তাঁরা এখান থেকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাড়িতে নিয়ে যাবেন, সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে নেওয়া হবে।
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী চিকিৎসক। বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ মো. এহসান ময়নাতদন্ত শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষ হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যত দূর দেখেছি, শরীরের বাইরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের (দাঁত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) কিছু অংশ নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি। প্রতিবেদন আসার পরে আমরা চূড়ান্ত মন্তব্য দিতে পারব।’
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরোনোর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে সেদিন রাতে রমনা থানায় জিডি করেছিল তাঁর পরিবার।
গত কাল শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বলাকির চর এলাকার মেঘনা নদীতে একটি লাশ ভাসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানায়। কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন। সন্ধ্যার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশের ছবি তুলে ঢাকার রমনা থানায় পাঠান। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া বিভুরঞ্জন সরকারের ছবির সঙ্গে মরদেহের ছবির মিল পেয়ে এই সাংবাদিকের পরিবারকে জানায় পুলিশ। তারপর ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার ও চিররঞ্জন সরকার।
এদিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন চিররঞ্জন সরকার ও তাঁর স্বজনেরা।
চিররঞ্জন সরকার জানান, লাশ বুঝে পাওয়ার পর তাঁরা এখান থেকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাড়িতে নিয়ে যাবেন, সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে নেওয়া হবে।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী চিকিৎসক। বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ মো. এহসান ময়নাতদন্ত শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষ হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যত দূর দেখেছি, শরীরের বাইরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের (দাঁত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) কিছু অংশ নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি। প্রতিবেদন আসার পরে আমরা চূড়ান্ত মন্তব্য দিতে পারব।’
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরোনোর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে সেদিন রাতে রমনা থানায় জিডি করেছিল তাঁর পরিবার।
গত কাল শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বলাকির চর এলাকার মেঘনা নদীতে একটি লাশ ভাসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানায়। কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন। সন্ধ্যার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশের ছবি তুলে ঢাকার রমনা থানায় পাঠান। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া বিভুরঞ্জন সরকারের ছবির সঙ্গে মরদেহের ছবির মিল পেয়ে এই সাংবাদিকের পরিবারকে জানায় পুলিশ। তারপর ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার ও চিররঞ্জন সরকার।
এদিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন চিররঞ্জন সরকার ও তাঁর স্বজনেরা।
চিররঞ্জন সরকার জানান, লাশ বুঝে পাওয়ার পর তাঁরা এখান থেকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাড়িতে নিয়ে যাবেন, সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে নেওয়া হবে।
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী চিকিৎসক। বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ মো. এহসান ময়নাতদন্ত শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষ হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যত দূর দেখেছি, শরীরের বাইরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের (দাঁত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) কিছু অংশ নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি। প্রতিবেদন আসার পরে আমরা চূড়ান্ত মন্তব্য দিতে পারব।’
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরোনোর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে সেদিন রাতে রমনা থানায় জিডি করেছিল তাঁর পরিবার।
গত কাল শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বলাকির চর এলাকার মেঘনা নদীতে একটি লাশ ভাসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানায়। কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন। সন্ধ্যার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশের ছবি তুলে ঢাকার রমনা থানায় পাঠান। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া বিভুরঞ্জন সরকারের ছবির সঙ্গে মরদেহের ছবির মিল পেয়ে এই সাংবাদিকের পরিবারকে জানায় পুলিশ। তারপর ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার ও চিররঞ্জন সরকার।
এদিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন চিররঞ্জন সরকার ও তাঁর স্বজনেরা।
চিররঞ্জন সরকার জানান, লাশ বুঝে পাওয়ার পর তাঁরা এখান থেকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাড়িতে নিয়ে যাবেন, সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে নেওয়া হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার আগে দেশে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ পথ হিসেবে নৌ ও রেলপথে ৮০ শতাংশ এবং সড়কে ২০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত ছিল। তাই সড়কে দুর্ঘটনা ২০ শতাংশে সীমিত ছিল। স্বাধীনতার পরে দাতা সংস্থার পরামর্শে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বেহিসেবি লুটপাট, সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি...
২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দুই ধাপে দেওয়া হবে এই অর্থ। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্য হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীকে রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়গুলোতে সরকারকে পরামর্শ দেবে এই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো কর্মকর্তাকে কমিটির কাজে সহায়তার নির্দেশ দিতে পারবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক এ ধরনের তিনটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে সরকার।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্য হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীকে রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়গুলোতে সরকারকে পরামর্শ দেবে এই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো কর্মকর্তাকে কমিটির কাজে সহায়তার নির্দেশ দিতে পারবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক এ ধরনের তিনটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে সরকার।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, `লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যতদুর দেখেছি শরীরের বাহিরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের কিছু অংশ (দাত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি।
২৩ আগস্ট ২০২৫স্বাধীনতার আগে দেশে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ পথ হিসেবে নৌ ও রেলপথে ৮০ শতাংশ এবং সড়কে ২০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত ছিল। তাই সড়কে দুর্ঘটনা ২০ শতাংশে সীমিত ছিল। স্বাধীনতার পরে দাতা সংস্থার পরামর্শে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বেহিসেবি লুটপাট, সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি...
২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দুই ধাপে দেওয়া হবে এই অর্থ। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০১৪ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিগত এক যুগে দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন নিহত ও ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার আগে দেশে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ পথ হিসেবে নৌ ও রেলপথে ৮০ শতাংশ এবং সড়কে ২০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত ছিল। তাই সড়কে দুর্ঘটনা ২০ শতাংশে সীমিত ছিল। স্বাধীনতার পরে দাতা সংস্থার পরামর্শে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বেহিসেবি লুটপাট, সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, বহুমাত্রিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে একের পর এক নতুন নতুন সড়ক নির্মাণ করে ৮০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত সড়কে নিয়ে আসার কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও ৮০ শতাংশ বেড়েছে। ‘সড়কে এই গণহত্যার’ জন্য সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি দায়ী।
দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, সড়ক পরিবহন খাতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও কতিপয় দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের কারণে সড়কের বিশৃঙ্খলা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, লাইসেন্সবিহীন চালক, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, সড়কে ত্রুটি, চালকের মাদক গ্রহণ, বেপরোয়া গতি, অযোগ্য চালকের হাতে লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্সবিহীন-প্রশিক্ষণহীন চালকের হাতে যানবাহন তুলে দেওয়াসহ নানা কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। তবে এমন ধারাবাহিক ‘সড়ক হত্যা’ বন্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার পর দেশ নানা খাতে অগ্রসর হলেও দাতা সংস্থার পরামর্শে নৌ ও রেলপথ অবহেলিত থেকে গেছে। বরং একের পর এক সড়ক সম্প্রসারণে সমন্বিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। পথচারী অবকাঠামোর অভাব ও উন্নত গণপরিবহনের সংকটে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই সুযোগে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, নসিমন-করিমন ও লেগুনার মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক যানবাহন বাস-নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে। ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় সড়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেও ওবায়দুল কাদের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিকল্পনা ও কৌশলের গলদের কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরও সড়ক মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের নীতি না বদলানোয় পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সড়ক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না আনলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমানো সম্ভব নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধনের উদ্যোগ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মনে করেন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এতে এক বছরের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর অচল হয়ে পড়বে।
এ পরিস্থিতি আগামীকাল বুধবার নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামনে রেখে সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের হাজার হাজার মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষায়, যাতায়াতের ভোগান্তি লাঘবে জরুরিভিত্তিক ১২ দফা সুপারিশ করেছে সংগঠনটি:
১. হারিয়ে যাওয়া নৌ ও রেলপথ সড়কের সঙ্গে সমন্বয় করে সমন্বিত যাতায়াত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
২. চাঁদাবাজি ও অনিয়ম-দুর্নীতি, মালিক-শ্রমিকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে পরিবহন খাত আপাদমস্তক সংস্কার।
৩. ঢাকা-চট্টগ্রামসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সরকারি উদ্যোগে ম্যাস ট্রানজিটের (পাতাল মেট্রোরেল) ব্যবস্থা করা।
৪. ঢাকা-চট্টগ্রামসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সরকারি উদ্যোগে ডিজিটাল লেনদেনের ভিত্তিতে কমপক্ষে দু’টি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (আলাদা উন্নতমানের বাস লেন) লেন চালু।
৫. সারা দেশে জেলা শহর থেকে উপজেলায় মানসম্পন্ন বাস নামিয়ে যাতায়াতে শক্তিশালী বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
৬. মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আমদানি ও বিপণন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
৭. উন্নত কারিকুলাম তৈরি করে পরিবহন চালকদের রাষ্ট্রের খরচে প্রশিক্ষণ প্রদান।
৮. উন্নত দেশের আদলে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম ডিজিটাল করা। ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমি গড়ে তোলা।
৯. সড়ক দুর্ঘটনার মামলা সরকারি উদ্যোগে আমলে নিতে হবে। প্রতিটি হতাহত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা।
১০. পরিবহন সেক্টরে যাত্রীস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ফোরামে যাত্রী প্রতিনিধি তথা ভুক্তভোগীর মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১১. সড়ক সেক্টরে আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা।
১২. সারা দেশে সাইক্লিস্ট ও পথচারীদের জন্য পৃথক লেন ও নিরাপদ ফুটপাতের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শরীফ রফিকুজ্জামান, বারভিডার সভাপতি আবদুল হক, ড্রাইভার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বাদল আহমেদ।
২০১৪ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিগত এক যুগে দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন নিহত ও ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার আগে দেশে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ পথ হিসেবে নৌ ও রেলপথে ৮০ শতাংশ এবং সড়কে ২০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত ছিল। তাই সড়কে দুর্ঘটনা ২০ শতাংশে সীমিত ছিল। স্বাধীনতার পরে দাতা সংস্থার পরামর্শে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বেহিসেবি লুটপাট, সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, বহুমাত্রিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে একের পর এক নতুন নতুন সড়ক নির্মাণ করে ৮০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত সড়কে নিয়ে আসার কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও ৮০ শতাংশ বেড়েছে। ‘সড়কে এই গণহত্যার’ জন্য সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি দায়ী।
দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, সড়ক পরিবহন খাতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও কতিপয় দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের কারণে সড়কের বিশৃঙ্খলা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, লাইসেন্সবিহীন চালক, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, সড়কে ত্রুটি, চালকের মাদক গ্রহণ, বেপরোয়া গতি, অযোগ্য চালকের হাতে লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্সবিহীন-প্রশিক্ষণহীন চালকের হাতে যানবাহন তুলে দেওয়াসহ নানা কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। তবে এমন ধারাবাহিক ‘সড়ক হত্যা’ বন্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার পর দেশ নানা খাতে অগ্রসর হলেও দাতা সংস্থার পরামর্শে নৌ ও রেলপথ অবহেলিত থেকে গেছে। বরং একের পর এক সড়ক সম্প্রসারণে সমন্বিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। পথচারী অবকাঠামোর অভাব ও উন্নত গণপরিবহনের সংকটে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই সুযোগে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, নসিমন-করিমন ও লেগুনার মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক যানবাহন বাস-নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে। ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় সড়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেও ওবায়দুল কাদের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিকল্পনা ও কৌশলের গলদের কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরও সড়ক মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের নীতি না বদলানোয় পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সড়ক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না আনলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমানো সম্ভব নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধনের উদ্যোগ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মনে করেন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এতে এক বছরের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর অচল হয়ে পড়বে।
এ পরিস্থিতি আগামীকাল বুধবার নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামনে রেখে সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের হাজার হাজার মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষায়, যাতায়াতের ভোগান্তি লাঘবে জরুরিভিত্তিক ১২ দফা সুপারিশ করেছে সংগঠনটি:
১. হারিয়ে যাওয়া নৌ ও রেলপথ সড়কের সঙ্গে সমন্বয় করে সমন্বিত যাতায়াত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
২. চাঁদাবাজি ও অনিয়ম-দুর্নীতি, মালিক-শ্রমিকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে পরিবহন খাত আপাদমস্তক সংস্কার।
৩. ঢাকা-চট্টগ্রামসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সরকারি উদ্যোগে ম্যাস ট্রানজিটের (পাতাল মেট্রোরেল) ব্যবস্থা করা।
৪. ঢাকা-চট্টগ্রামসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সরকারি উদ্যোগে ডিজিটাল লেনদেনের ভিত্তিতে কমপক্ষে দু’টি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (আলাদা উন্নতমানের বাস লেন) লেন চালু।
৫. সারা দেশে জেলা শহর থেকে উপজেলায় মানসম্পন্ন বাস নামিয়ে যাতায়াতে শক্তিশালী বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
৬. মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আমদানি ও বিপণন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
৭. উন্নত কারিকুলাম তৈরি করে পরিবহন চালকদের রাষ্ট্রের খরচে প্রশিক্ষণ প্রদান।
৮. উন্নত দেশের আদলে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম ডিজিটাল করা। ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমি গড়ে তোলা।
৯. সড়ক দুর্ঘটনার মামলা সরকারি উদ্যোগে আমলে নিতে হবে। প্রতিটি হতাহত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা।
১০. পরিবহন সেক্টরে যাত্রীস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ফোরামে যাত্রী প্রতিনিধি তথা ভুক্তভোগীর মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১১. সড়ক সেক্টরে আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা।
১২. সারা দেশে সাইক্লিস্ট ও পথচারীদের জন্য পৃথক লেন ও নিরাপদ ফুটপাতের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শরীফ রফিকুজ্জামান, বারভিডার সভাপতি আবদুল হক, ড্রাইভার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বাদল আহমেদ।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, `লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যতদুর দেখেছি শরীরের বাহিরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের কিছু অংশ (দাত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি।
২৩ আগস্ট ২০২৫তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দুই ধাপে দেওয়া হবে এই অর্থ। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আবারও পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী নভেম্বর থেকে এই শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা এবং আগামী জুলাই থেকে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা দিতে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবিতে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ আন্দোলনের দশম দিনে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা তৃতীয় দফায় পুনর্নির্ধারণ করা হলো। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা অপরিবর্তিত থাকছে।
তবে অর্থ বিভাগ বলেছে, পরবর্তী বেতন স্কেলে বর্ণিত অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করতে হবে। এমপিও নীতিমালা ও সরকারের নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগের শর্ত পূরণ করতে হবে। বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো বকেয়া পাবেন না।
শিক্ষক-কর্মচারীদের এই ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই পালন করতে হবে উল্লেখ করে অর্থ বিভাগ চিঠিতে বলেছে, এই ভাতা-সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
এদিকে আজ সকাল থেকেই সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেলা পৌনে ১টায় শিক্ষা উপদেষ্টা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের যে বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্টরকমভাবে কম।’
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাঁরা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেতেন, যা প্রথম দফায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় ১৬ অক্টোবর মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রথম দফায় বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ১২ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে আন্দোলন শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে তা বাড়িয়ে মূল বেতনের ৫ শতাংশ অথবা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে যেসব শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো—
(ক) পরবর্তী বেতন স্কেলে বর্ণিত অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করতে হবে;
(খ) এমপিওভুক্ত 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ ', 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) '; 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)' এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে;
(গ) বর্ণিত বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীগণ কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না;
(ঘ) ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই পালন করতে হবে;
(৫) এ ভাতা-সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যৎ কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ ওই অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবে;
(চ) প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও জারি করে জিও-এর ৪ (চার) কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাঙ্কনের জন্য পাঠাতে হবে।
(২) গত ১৬ অক্টোবর অর্থ বিভাগের প্রবিধি-৩ শাখা হতে ২৬০ নং স্মারকে জারিকৃত পত্রটি বাতিল করা হলো।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আবারও পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী নভেম্বর থেকে এই শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা এবং আগামী জুলাই থেকে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা দিতে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবিতে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ আন্দোলনের দশম দিনে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা তৃতীয় দফায় পুনর্নির্ধারণ করা হলো। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা অপরিবর্তিত থাকছে।
তবে অর্থ বিভাগ বলেছে, পরবর্তী বেতন স্কেলে বর্ণিত অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করতে হবে। এমপিও নীতিমালা ও সরকারের নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগের শর্ত পূরণ করতে হবে। বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো বকেয়া পাবেন না।
শিক্ষক-কর্মচারীদের এই ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই পালন করতে হবে উল্লেখ করে অর্থ বিভাগ চিঠিতে বলেছে, এই ভাতা-সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
এদিকে আজ সকাল থেকেই সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেলা পৌনে ১টায় শিক্ষা উপদেষ্টা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের যে বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্টরকমভাবে কম।’
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাঁরা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেতেন, যা প্রথম দফায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় ১৬ অক্টোবর মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রথম দফায় বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ১২ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে আন্দোলন শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে তা বাড়িয়ে মূল বেতনের ৫ শতাংশ অথবা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে যেসব শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো—
(ক) পরবর্তী বেতন স্কেলে বর্ণিত অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করতে হবে;
(খ) এমপিওভুক্ত 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ ', 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) '; 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)' এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে;
(গ) বর্ণিত বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীগণ কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না;
(ঘ) ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই পালন করতে হবে;
(৫) এ ভাতা-সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যৎ কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ ওই অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবে;
(চ) প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও জারি করে জিও-এর ৪ (চার) কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাঙ্কনের জন্য পাঠাতে হবে।
(২) গত ১৬ অক্টোবর অর্থ বিভাগের প্রবিধি-৩ শাখা হতে ২৬০ নং স্মারকে জারিকৃত পত্রটি বাতিল করা হলো।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, `লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যতদুর দেখেছি শরীরের বাহিরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের কিছু অংশ (দাত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি।
২৩ আগস্ট ২০২৫তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার আগে দেশে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ পথ হিসেবে নৌ ও রেলপথে ৮০ শতাংশ এবং সড়কে ২০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত ছিল। তাই সড়কে দুর্ঘটনা ২০ শতাংশে সীমিত ছিল। স্বাধীনতার পরে দাতা সংস্থার পরামর্শে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বেহিসেবি লুটপাট, সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি...
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এ ছাড়া নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এ ছাড়া নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, `লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যতদুর দেখেছি শরীরের বাহিরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের কিছু অংশ (দাত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি।
২৩ আগস্ট ২০২৫তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার আগে দেশে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ পথ হিসেবে নৌ ও রেলপথে ৮০ শতাংশ এবং সড়কে ২০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত ছিল। তাই সড়কে দুর্ঘটনা ২০ শতাংশে সীমিত ছিল। স্বাধীনতার পরে দাতা সংস্থার পরামর্শে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বেহিসেবি লুটপাট, সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজি...
২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দুই ধাপে দেওয়া হবে এই অর্থ। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে