আজকের পত্রিকা ডেস্ক
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নরওয়ে থেকে লোক আনতে হবে না, আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে আপনারা এশিয়ায় নরওয়েজীয় পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশকে হাব হিসেবে ব্যবহার করুন।’
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে নরওয়ের টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের প্রথম বিদেশি উদ্যোগ গ্রামীণফোনের উদাহরণ তুলে ধরেন। সময়ের সঙ্গে গ্রামীণফোন টেলিনর পরিবারের সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্তোরের একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।’
রাষ্ট্রদূত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহার শিল্প এবং সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নরওয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নরওয়ের সহায়তা কামনা করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘নরওয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন।’
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বোত্তম ও ঐতিহাসিক’ করতে পরিকল্পনা করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা এটি একটি উদাহরণ সৃষ্টিকারী, ঐতিহাসিক উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, ফিলিস্তিন ইস্যু, আন্তর্জাতিক করব্যবস্থা এবং প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে নরওয়ে বাংলাদেশে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। এ সময় ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে নরওয়ের নেতৃত্বে জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থন করায় বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন ম্যারিয়ান্নে রাবে কানেভেলস্রুদ।
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নরওয়ে থেকে লোক আনতে হবে না, আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে আপনারা এশিয়ায় নরওয়েজীয় পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশকে হাব হিসেবে ব্যবহার করুন।’
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে নরওয়ের টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের প্রথম বিদেশি উদ্যোগ গ্রামীণফোনের উদাহরণ তুলে ধরেন। সময়ের সঙ্গে গ্রামীণফোন টেলিনর পরিবারের সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্তোরের একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।’
রাষ্ট্রদূত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহার শিল্প এবং সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নরওয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নরওয়ের সহায়তা কামনা করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘নরওয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন।’
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বোত্তম ও ঐতিহাসিক’ করতে পরিকল্পনা করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা এটি একটি উদাহরণ সৃষ্টিকারী, ঐতিহাসিক উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, ফিলিস্তিন ইস্যু, আন্তর্জাতিক করব্যবস্থা এবং প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে নরওয়ে বাংলাদেশে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। এ সময় ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে নরওয়ের নেতৃত্বে জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থন করায় বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন ম্যারিয়ান্নে রাবে কানেভেলস্রুদ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নরওয়ে থেকে লোক আনতে হবে না, আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে আপনারা এশিয়ায় নরওয়েজীয় পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশকে হাব হিসেবে ব্যবহার করুন।’
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে নরওয়ের টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের প্রথম বিদেশি উদ্যোগ গ্রামীণফোনের উদাহরণ তুলে ধরেন। সময়ের সঙ্গে গ্রামীণফোন টেলিনর পরিবারের সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্তোরের একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।’
রাষ্ট্রদূত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহার শিল্প এবং সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নরওয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নরওয়ের সহায়তা কামনা করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘নরওয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন।’
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বোত্তম ও ঐতিহাসিক’ করতে পরিকল্পনা করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা এটি একটি উদাহরণ সৃষ্টিকারী, ঐতিহাসিক উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, ফিলিস্তিন ইস্যু, আন্তর্জাতিক করব্যবস্থা এবং প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে নরওয়ে বাংলাদেশে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। এ সময় ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে নরওয়ের নেতৃত্বে জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থন করায় বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন ম্যারিয়ান্নে রাবে কানেভেলস্রুদ।
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নরওয়ে থেকে লোক আনতে হবে না, আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে আপনারা এশিয়ায় নরওয়েজীয় পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশকে হাব হিসেবে ব্যবহার করুন।’
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে নরওয়ের টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের প্রথম বিদেশি উদ্যোগ গ্রামীণফোনের উদাহরণ তুলে ধরেন। সময়ের সঙ্গে গ্রামীণফোন টেলিনর পরিবারের সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্তোরের একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।’
রাষ্ট্রদূত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহার শিল্প এবং সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নরওয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নরওয়ের সহায়তা কামনা করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘নরওয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন।’
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বোত্তম ও ঐতিহাসিক’ করতে পরিকল্পনা করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা এটি একটি উদাহরণ সৃষ্টিকারী, ঐতিহাসিক উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত গুলব্রান্ডসেন জানান, ফিলিস্তিন ইস্যু, আন্তর্জাতিক করব্যবস্থা এবং প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে নরওয়ে বাংলাদেশে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। এ সময় ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে নরওয়ের নেতৃত্বে জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থন করায় বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন ম্যারিয়ান্নে রাবে কানেভেলস্রুদ।
বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম সব ঘটনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাক্ষী একেকটি পিলার। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে (স্তম্ভ) ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব ঘটনা।
২ মিনিট আগেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগেশরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম সব ঘটনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাক্ষী একেকটি পিলার। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে (স্তম্ভ) ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব ঘটনা।
কারওয়ান বাজার স্টেশনের পিলার দিয়ে এই গ্রাফিতির শুরু। ফার্মগেট পদচারী-সেতুর কাছের পিলার পর্যন্ত উঠে এসেছে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র। তাতে স্পষ্ট হয়েছে দেশের জনগণকে একটি রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের দিকে ঠেলে দেওয়ার গল্প।
২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরের নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে পিলারে পিলারে। নামকরণ করা হয়েছে ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’। একেকটি পিলারে স্থান পেয়েছে প্রতিবছরের কয়েকটি ঘটনা।
কারওয়ান বাজারে ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চিত্র দিয়ে এর শুরু। একে একে পিলারে ফুটে উঠেছে নিমতলী অগ্নিকাণ্ড, খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, ফেলানী হত্যাকাণ্ড, শেয়ারবাজারে ধস, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, বিশ্বজিৎ দাস হত্যা প্রভৃতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন ড. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘শিল্পকলা প্রতিবাদের একটি মাধ্যম হিসেবে এই অভ্যুত্থানে উপস্থাপিত হয়েছে, এটি নতুন একটি দিক। ছেলে-মেয়েরা গ্রাফিতি এঁকে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এখনো গ্রাফিতি আঁকা চলছে। শিল্পীর মনেও প্রতিবাদ থাকে, শিল্পের মাধ্যমে তিনি তা ফুটিয়ে তোলেন।’
গ্রাফিতিতে ফুটে উঠেছে ইলিয়াস আলীকে গুম করার ঘটনাও। রয়েছে রানা প্লাজা ধস, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, তনু ধর্ষণের ঘটনা, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আন্দোলন, নাসিরনগরে হামলা, হলি আর্টিজানে হামলাসহ নানা কিছু। রাতের ভোট, কোটা সংস্কার আন্দোলন, সুবর্ণচরে নারী ধর্ষণ, একরামুল হত্যাকাণ্ড, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, খালেদা জিয়ার কারাবরণ, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডও তুলে ধরা হয়েছে গ্রাফিতিগুলোতে। আছে মেজর সিনহা রাশেদ খান হত্যা, মুজিব বর্ষে বিপুল ব্যয়, কোভিড অব্যবস্থাপনা, বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক হত্যা, লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যাকাণ্ড, বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর হামলার চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সংকট, বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, জ্বালানি সংকট, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, লাগামহীন বাজারদরও উঠে এসেছে এতে। আর সবশেষ তুলে ধরা হয়েছে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিবাদের পতন।
বর্ণিল এসব চিত্রকর্ম নগরের সৌন্দর্যও বাড়িয়েছে। কারণ শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলির সব দেয়াল যেখানে নানা পোস্টারে কদর্য, সেখানে এই গ্রাফিতিগুলো নগরবাসীর চোখে ও মনে স্বস্তি এনে দিচ্ছে। এগুলো এঁকেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
দেয়ালে এমন চিত্রশিল্পের মাধ্যমে জঘন্য অতীতকে তুলে ধরার বিষয়টি অভিনব লেগেছে নগরবাসী-পথচারীদের কাছেও। বেসরকারি চাকরিজীবী আনিসুর রহমান চা খাচ্ছিলেন কারওয়ান বাজারের একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। গ্রাফিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। বললেন, আইডিয়াটা ভালো। হাঁটতে হাঁটতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলনামা দেখা যায়।
গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরে ঢাকা মেট্রোরেলের পিলারে গ্রাফিতি আঁকার ধারণাটি ছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার। বাস্তবায়ন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গত আগস্টে উদ্বোধন করা হয় এই আয়োজনের। তখন উপদেষ্টা বলছিলেন, ‘এই গ্রাফিতিগুলো আওয়ামী স্বৈরশাসনের ভয়াল দিনগুলো এবং জনগণের সাহসী প্রতিরোধের ইতিহাস বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে। ভবিষ্যতে এ দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে এসব গ্রাফিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এ ছাড়া শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল) পর্যন্ত বাংলাদেশ ও অভ্যুত্থান নিয়ে গ্রাফিতি এঁকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল। সেগুলোতে দেখা গেছে ছাত্রদের এক দফার কথা, সবার আগে বাংলাদেশ স্লোগান, কোটা সংস্কার আন্দোলন, রক্তে আগুন লেগেছে স্লোগান, পুলিশি নির্যাতন ইত্যাদি। আবার পিজি হাসপাতাল থেকে শুরু হয়েছে ‘চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিনগুলো’ শিরোনামে আরেকটি গ্রাফিতি শিল্প। এটি শেষ হয়েছে পরীবাগে। সেখানেও তুলে ধরা হয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা অপকর্ম এবং অভ্যুত্থানকালীন বিভিন্ন দৃশ্যপট। রয়েছে রিকশাচালকের দেওয়া সেই জনপ্রিয় স্যালুট, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা, রিকশায় শহীদ গোলাম নাফিজের লাশ প্রভৃতি। এর বাইরে ফ্লাইওভারের সাত রাস্তা থেকে মগবাজারের দিকের পিলারগুলোও রঙিন হয়েছে নিষ্ঠুর ঘটনার চিত্রে।
বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম সব ঘটনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাক্ষী একেকটি পিলার। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে (স্তম্ভ) ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব ঘটনা।
কারওয়ান বাজার স্টেশনের পিলার দিয়ে এই গ্রাফিতির শুরু। ফার্মগেট পদচারী-সেতুর কাছের পিলার পর্যন্ত উঠে এসেছে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র। তাতে স্পষ্ট হয়েছে দেশের জনগণকে একটি রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের দিকে ঠেলে দেওয়ার গল্প।
২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরের নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে পিলারে পিলারে। নামকরণ করা হয়েছে ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’। একেকটি পিলারে স্থান পেয়েছে প্রতিবছরের কয়েকটি ঘটনা।
কারওয়ান বাজারে ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চিত্র দিয়ে এর শুরু। একে একে পিলারে ফুটে উঠেছে নিমতলী অগ্নিকাণ্ড, খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, ফেলানী হত্যাকাণ্ড, শেয়ারবাজারে ধস, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, বিশ্বজিৎ দাস হত্যা প্রভৃতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন ড. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘শিল্পকলা প্রতিবাদের একটি মাধ্যম হিসেবে এই অভ্যুত্থানে উপস্থাপিত হয়েছে, এটি নতুন একটি দিক। ছেলে-মেয়েরা গ্রাফিতি এঁকে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এখনো গ্রাফিতি আঁকা চলছে। শিল্পীর মনেও প্রতিবাদ থাকে, শিল্পের মাধ্যমে তিনি তা ফুটিয়ে তোলেন।’
গ্রাফিতিতে ফুটে উঠেছে ইলিয়াস আলীকে গুম করার ঘটনাও। রয়েছে রানা প্লাজা ধস, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, তনু ধর্ষণের ঘটনা, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আন্দোলন, নাসিরনগরে হামলা, হলি আর্টিজানে হামলাসহ নানা কিছু। রাতের ভোট, কোটা সংস্কার আন্দোলন, সুবর্ণচরে নারী ধর্ষণ, একরামুল হত্যাকাণ্ড, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, খালেদা জিয়ার কারাবরণ, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডও তুলে ধরা হয়েছে গ্রাফিতিগুলোতে। আছে মেজর সিনহা রাশেদ খান হত্যা, মুজিব বর্ষে বিপুল ব্যয়, কোভিড অব্যবস্থাপনা, বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক হত্যা, লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যাকাণ্ড, বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর হামলার চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সংকট, বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, জ্বালানি সংকট, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, লাগামহীন বাজারদরও উঠে এসেছে এতে। আর সবশেষ তুলে ধরা হয়েছে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিবাদের পতন।
বর্ণিল এসব চিত্রকর্ম নগরের সৌন্দর্যও বাড়িয়েছে। কারণ শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলির সব দেয়াল যেখানে নানা পোস্টারে কদর্য, সেখানে এই গ্রাফিতিগুলো নগরবাসীর চোখে ও মনে স্বস্তি এনে দিচ্ছে। এগুলো এঁকেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
দেয়ালে এমন চিত্রশিল্পের মাধ্যমে জঘন্য অতীতকে তুলে ধরার বিষয়টি অভিনব লেগেছে নগরবাসী-পথচারীদের কাছেও। বেসরকারি চাকরিজীবী আনিসুর রহমান চা খাচ্ছিলেন কারওয়ান বাজারের একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। গ্রাফিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। বললেন, আইডিয়াটা ভালো। হাঁটতে হাঁটতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলনামা দেখা যায়।
গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরে ঢাকা মেট্রোরেলের পিলারে গ্রাফিতি আঁকার ধারণাটি ছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার। বাস্তবায়ন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গত আগস্টে উদ্বোধন করা হয় এই আয়োজনের। তখন উপদেষ্টা বলছিলেন, ‘এই গ্রাফিতিগুলো আওয়ামী স্বৈরশাসনের ভয়াল দিনগুলো এবং জনগণের সাহসী প্রতিরোধের ইতিহাস বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে। ভবিষ্যতে এ দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে এসব গ্রাফিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এ ছাড়া শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল) পর্যন্ত বাংলাদেশ ও অভ্যুত্থান নিয়ে গ্রাফিতি এঁকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল। সেগুলোতে দেখা গেছে ছাত্রদের এক দফার কথা, সবার আগে বাংলাদেশ স্লোগান, কোটা সংস্কার আন্দোলন, রক্তে আগুন লেগেছে স্লোগান, পুলিশি নির্যাতন ইত্যাদি। আবার পিজি হাসপাতাল থেকে শুরু হয়েছে ‘চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিনগুলো’ শিরোনামে আরেকটি গ্রাফিতি শিল্প। এটি শেষ হয়েছে পরীবাগে। সেখানেও তুলে ধরা হয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা অপকর্ম এবং অভ্যুত্থানকালীন বিভিন্ন দৃশ্যপট। রয়েছে রিকশাচালকের দেওয়া সেই জনপ্রিয় স্যালুট, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা, রিকশায় শহীদ গোলাম নাফিজের লাশ প্রভৃতি। এর বাইরে ফ্লাইওভারের সাত রাস্তা থেকে মগবাজারের দিকের পিলারগুলোও রঙিন হয়েছে নিষ্ঠুর ঘটনার চিত্রে।
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান
১২ জানুয়ারি ২০২৫জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে বলে বিএনপিকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে বিএনপি নেতাদের আশ্বস্ত করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির নেতারা বলেন, বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বানের পাশাপাশি পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন নেতারা।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করায় এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে পারায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে বলে বিএনপিকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে বিএনপি নেতাদের আশ্বস্ত করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির নেতারা বলেন, বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বানের পাশাপাশি পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন নেতারা।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করায় এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে পারায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান
১২ জানুয়ারি ২০২৫বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম সব ঘটনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাক্ষী একেকটি পিলার। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে (স্তম্ভ) ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব ঘটনা।
২ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। কল রেকর্ড অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন প্রতিহত করতে বলেছেন। ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। ডিএমপি কমিশনারকে ওয়্যারলেস বার্তায় বলতে শোনা গেছে, পরিস্থিতি তৈরি হলে হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করতে। যদি কোনো পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করে হত্যা করে থাকেন, তাহলে সে দায় তাঁর ব্যক্তিগত। কারোর ব্যক্তিগত দায় শেখ হাসিনা নেবেন না। ড্রোন ব্যবহার করে হত্যা করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। সেটা তো হয়নি। তবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিছু মারা গেছে এটা সত্য। ড্রোন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে মারার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে কেউ মারা গেছে, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন ওপর থেকে গুলি করেছে। শিশু ঘরে থেকে মারা গেছে। আমির হোসেন বলেন, ১০ তলা থেকেও তো কেউ গুলি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেননি অমুক শিশুকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, লেথাল উইপেন ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়ার কল রেকর্ড ফরেনসিক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমির হোসেন বলেন, এই কল রেকর্ড আরও একটি সমপর্যায়ের পরীক্ষা করা উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনাল বলেন, সেটি প্রয়োজন না হলে কেন করবে? রিপোর্ট ঠিক নেই তা আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন? আমির হোসেন বলেন, অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি যদি বলেন যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল না, তাহলে আমরা দেখব।
শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আমির হোসেনের কাছে জানতে চান, লেথাল উইপেন ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন কি না? আমির হোসেন জবাবে বলেন, তিনি ওই অডিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে মনে করেন না। আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। অথচ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষীর বর্ণনায় এমন কোনো বক্তব্য আসেনি। ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার যে অভিযোগ, তা সঠিক নয়।
আমির হোসেন আরও বলেন, প্রসিকিউশন বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রতি রাতে কোর কমিটির বৈঠকে হয়েছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কোর কমিটির বৈঠক হওয়া কোনো অপরাধ নয়। দেশে সৃষ্ট হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি বৈধ প্রক্রিয়া ছিল।
জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। কল রেকর্ড অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন প্রতিহত করতে বলেছেন। ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। ডিএমপি কমিশনারকে ওয়্যারলেস বার্তায় বলতে শোনা গেছে, পরিস্থিতি তৈরি হলে হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করতে। যদি কোনো পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করে হত্যা করে থাকেন, তাহলে সে দায় তাঁর ব্যক্তিগত। কারোর ব্যক্তিগত দায় শেখ হাসিনা নেবেন না। ড্রোন ব্যবহার করে হত্যা করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। সেটা তো হয়নি। তবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিছু মারা গেছে এটা সত্য। ড্রোন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে মারার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে কেউ মারা গেছে, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন ওপর থেকে গুলি করেছে। শিশু ঘরে থেকে মারা গেছে। আমির হোসেন বলেন, ১০ তলা থেকেও তো কেউ গুলি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেননি অমুক শিশুকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, লেথাল উইপেন ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়ার কল রেকর্ড ফরেনসিক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমির হোসেন বলেন, এই কল রেকর্ড আরও একটি সমপর্যায়ের পরীক্ষা করা উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনাল বলেন, সেটি প্রয়োজন না হলে কেন করবে? রিপোর্ট ঠিক নেই তা আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন? আমির হোসেন বলেন, অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি যদি বলেন যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল না, তাহলে আমরা দেখব।
শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আমির হোসেনের কাছে জানতে চান, লেথাল উইপেন ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন কি না? আমির হোসেন জবাবে বলেন, তিনি ওই অডিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে মনে করেন না। আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। অথচ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষীর বর্ণনায় এমন কোনো বক্তব্য আসেনি। ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার যে অভিযোগ, তা সঠিক নয়।
আমির হোসেন আরও বলেন, প্রসিকিউশন বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রতি রাতে কোর কমিটির বৈঠকে হয়েছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কোর কমিটির বৈঠক হওয়া কোনো অপরাধ নয়। দেশে সৃষ্ট হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি বৈধ প্রক্রিয়া ছিল।
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান
১২ জানুয়ারি ২০২৫বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম সব ঘটনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাক্ষী একেকটি পিলার। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে (স্তম্ভ) ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব ঘটনা।
২ মিনিট আগেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়। ওই তালিকার অনেকগুলোর অস্তিত্ব নেই। শুধু গার্ডেন রিচের সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে। বাকিগুলোর কয়েকটি বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। তালিকার সঙ্গে সেগুলোর নাম ও বিবরণের সামঞ্জস্য নেই।
তিনি জানান, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর)।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাতিল উল্লেখ করা হয়েছে। আদতে এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারক বাতিল হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় স্থগিত হিসেবে উল্লেখিত ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্পের’ও কোনো অস্তিত্ব নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেটিও স্থগিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণচুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
আর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিকে (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নবায়ন/পুনর্বিবেচনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১) বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি।
ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়। ওই তালিকার অনেকগুলোর অস্তিত্ব নেই। শুধু গার্ডেন রিচের সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে। বাকিগুলোর কয়েকটি বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। তালিকার সঙ্গে সেগুলোর নাম ও বিবরণের সামঞ্জস্য নেই।
তিনি জানান, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর)।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাতিল উল্লেখ করা হয়েছে। আদতে এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারক বাতিল হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় স্থগিত হিসেবে উল্লেখিত ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্পের’ও কোনো অস্তিত্ব নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেটিও স্থগিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণচুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
আর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিকে (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নবায়ন/পুনর্বিবেচনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১) বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি।
এশিয়াজুড়ে নরওয়ের পণ্য বিপণনের জন্য বাংলাদেশ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্যান্ড গুলব্রান্ডসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান
১২ জানুয়ারি ২০২৫বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম সব ঘটনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাক্ষী একেকটি পিলার। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে (স্তম্ভ) ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব ঘটনা।
২ মিনিট আগেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে