জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলাদেশে মারা যায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। আর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সড়কে প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। সে হিসাবে, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ৩৬০ জনের প্রাণহানি হচ্ছে। অর্থাৎ, দুই হিসাবেই দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন বা তারও বেশি মানুষের প্রাণ যায়।
সম্প্রতি রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, গত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার নিরাপদ সড়ক প্রকল্পে এখনো পরামর্শক নিয়োগই শেষ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
স্পষ্টত, দেশে সড়কে শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে না। বরং এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ইদানীং বেড়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো বিভিন্ন কমিটি গঠন ও সুপারিশমালা তৈরির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এই যখন বাংলাদেশের অবস্থা, পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
ভিশন জিরো
১৯৯৭ সালে সুইডিশ পার্লামেন্টে সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও নীতিকৌশল পাস হয়, যার নাম দেওয়া হয় ভিশন জিরো। লক্ষ্য হলো সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ যেন নিহত বা গুরুতর আহত না হন।
ভিশন জিরো এখন বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলন। সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে ট্রাফিক-সম্পর্কিত প্রাণহানি এবং গুরুতর জখম বন্ধ করার নৈতিক অবস্থান হলো এই ভিশন। এই নীতি কৌশলের ভিত্তি হলো সড়কে মৃত্যু ও জখম অগ্রহণযোগ্য এবং প্রতিরোধযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি শহর ভিশন জিরো লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। এতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।
ভিশন জিরো হলো একটি নীতিগত অবস্থান। এটি এমন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যেটিকে বলা যেতে পারে সড়ক নিরাপত্তার প্যারাডাইম শিফট। এই নীতির আওতায় সড়ক নিরাপত্তার দায় ও দায়িত্ব যারা চলাচলের জন্য সড়ক ব্যবহার করে (পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালক) তাদের কাছ থেকে বরং যাঁরা সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ও নিরাপত্তার নকশা করেন তাঁদের কাছে স্থানান্তর করা।
এই নীতির আওতায় মানবিক ত্রুটি ক্ষমা করা হয়। একটি নিরাপদ গতিশীল ব্যবস্থা তৈরি করতে মূল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মক্ষেত্রগুলোকে একীভূত করা হয়।
ভিশন জিরোর নীতিগত ধারণাটি গৃহীত হয়েছে বলে তখনই ধরে নেওয়া হবে, যখন একটি শহর নিরাপদ সড়কব্যবস্থার মূল নীতিগুলো সঠিকভাবে গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি নতুন প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করবে। সুতরাং, এটি সম্পূর্ণ একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি-কৌশল বদলাতে হয়।
এই নীতির সবচেয়ে বড় কথা হলো সড়ক নিরাপত্তার চূড়ান্ত দায়িত্ব সড়ক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে, যাঁরা পরিবহনব্যবস্থা ডিজাইন করেন, যেমন—সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্থা, যানবাহন নির্মাতা, আইনপ্রণেতা, বাণিজ্যিক পরিবহন অপারেটর, পুলিশ ইত্যাদির দিকে স্থানান্তরিত হয়। সড়ক ব্যবহারকারীর দায়িত্ব হলো আইন ও প্রবিধানগুলো মেনে চলা।
মানুষ মাত্রই ভুল করে
প্রথাগত সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা এযাবৎ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, বেশির ভাগ দুর্ঘটনায় সড়ক ব্যবহারকারীদের দায় থাকে। তাই প্রচলিত কৌশলগুলোর লক্ষ্য থাকে, নিখুঁত নির্ভুল মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করা, যারা সর্বদা সব পরিস্থিতিতে সঠিক কাজটি করে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রায় সব সময়ই সড়ক ব্যবহারকারীর ওপর দোষ চাপানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও এমন দায় চাপানোর প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। বলা হয়েছে, রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে কীভাবে চলাচল করতে হয় সেই জ্ঞান না থাকার কারণেই তাঁরা যানবাহনের চাকার নিচে প্রাণ ‘বিসর্জন’ দিয়েছেন। দেশের ট্রাফিক পুলিশও সব সময় রাস্তায় চলাচলকারীদের সড়ক ব্যবহার ও ট্রাফিক আইন শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
‘ভিশন জিরো’ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে। পরিবর্তে এটি অনুমান করা হয় যে, পৃথিবীতে কোনো নিখুঁত মানুষ নেই। ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, কিন্তু একজন ব্যক্তির জীবন বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি তার ভুলের মাশুল হতে পারে না। এর পরিবর্তে, পরিবহনব্যবস্থার নকশাই এমনভাবে করতে হবে যাতে সড়ক দুর্ঘটনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি না হয়।
ভিশন থেকে বাস্তবায়ন
সুইডেন ‘ভিশন জিরো’ কৌশল বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সফলতা পেয়েছে। দুই দশকের কিছু বেশি সময় ধরে সুইডেনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা রাস্তায় শূন্য প্রাণহানি এবং শূন্য গুরুতর জখমের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক সড়কে একটি কেন্দ্রীয় বাধা রাখা হয়েছে যাতে দুর্ঘটনা রোধ করা যায়; পুলিশ ক্যামেরায় দেখে গাড়ির গতিনিয়ন্ত্রণ করতে পারে; অনেক চৌরাস্তার মোড়ে গোলচত্বর নির্মাণ করা হয়েছে; স্বচালিত নিরাপদ গাড়িতে বিনিয়োগ করছে; শহুরে এলাকার জন্য যখন ট্র্যাফিক ডিজাইন করা হয়, তখন দুর্বল রাস্তা-ব্যবহারকারীদের (বৃদ্ধ, শিশু, অসুস্থ ইত্যাদি) ওপর আলাদা করে নজর রাখা হয়।
সুইডেনের সফলতা
সুইডিশ পার্লামেন্ট যখন ভিশন জিরো গৃহীত হয়, তখন প্রতি এক লাখে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতেন সাতজন। ওই সময়ে, বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিসংখ্যান বেশ কমই। এটি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না এ নিয়ে সুইডেনের অনেকে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু ভিশন জিরো বাস্তবায়নের পর সুইডেনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। একই সময়ে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কিন্তু নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। তবে, ভিশন জিরো দৃষ্টিভঙ্গি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কমে গেছে, এখন নতুন কৌশলের কথা ভাবছে সুইডেন সরকার।
ভিশন জিরো বেশ কয়েকটি দেশে আগ্রহ জাগিয়েছে
সুইডেনের ভিশন জিরোর সফলতায় উৎসাহিত হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। সবার আগে নর্ডিক প্রতিবেশী দেশগুলো এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ সড়ক নরওয়ের। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে সড়কে মৃত্যু অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা শূন্যে আনতে চায় নর্ডিক দেশটি।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভিশন জিরো গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত বেশ ভালো ফল পেয়েছে তারা। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ২০টি শহর নিউইয়র্ককে অনুসরণ করেছে।
চলতি বছর ভারতের ওডিশা রাজ্য সরকার গত ১ থেকে ৭ এপ্রিল ‘সড়কে শূন্য মৃত্যু’ সপ্তাহ পালন করে। সরকার গাড়ি নির্মাতাদেরও সড়ক নিরাপত্তায় পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশে ৮ম বারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’।
লেখক: আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলাদেশে মারা যায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। আর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সড়কে প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। সে হিসাবে, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ৩৬০ জনের প্রাণহানি হচ্ছে। অর্থাৎ, দুই হিসাবেই দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন বা তারও বেশি মানুষের প্রাণ যায়।
সম্প্রতি রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, গত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার নিরাপদ সড়ক প্রকল্পে এখনো পরামর্শক নিয়োগই শেষ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
স্পষ্টত, দেশে সড়কে শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে না। বরং এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ইদানীং বেড়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো বিভিন্ন কমিটি গঠন ও সুপারিশমালা তৈরির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এই যখন বাংলাদেশের অবস্থা, পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
ভিশন জিরো
১৯৯৭ সালে সুইডিশ পার্লামেন্টে সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও নীতিকৌশল পাস হয়, যার নাম দেওয়া হয় ভিশন জিরো। লক্ষ্য হলো সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ যেন নিহত বা গুরুতর আহত না হন।
ভিশন জিরো এখন বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলন। সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে ট্রাফিক-সম্পর্কিত প্রাণহানি এবং গুরুতর জখম বন্ধ করার নৈতিক অবস্থান হলো এই ভিশন। এই নীতি কৌশলের ভিত্তি হলো সড়কে মৃত্যু ও জখম অগ্রহণযোগ্য এবং প্রতিরোধযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি শহর ভিশন জিরো লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। এতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।
ভিশন জিরো হলো একটি নীতিগত অবস্থান। এটি এমন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যেটিকে বলা যেতে পারে সড়ক নিরাপত্তার প্যারাডাইম শিফট। এই নীতির আওতায় সড়ক নিরাপত্তার দায় ও দায়িত্ব যারা চলাচলের জন্য সড়ক ব্যবহার করে (পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালক) তাদের কাছ থেকে বরং যাঁরা সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ও নিরাপত্তার নকশা করেন তাঁদের কাছে স্থানান্তর করা।
এই নীতির আওতায় মানবিক ত্রুটি ক্ষমা করা হয়। একটি নিরাপদ গতিশীল ব্যবস্থা তৈরি করতে মূল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মক্ষেত্রগুলোকে একীভূত করা হয়।
ভিশন জিরোর নীতিগত ধারণাটি গৃহীত হয়েছে বলে তখনই ধরে নেওয়া হবে, যখন একটি শহর নিরাপদ সড়কব্যবস্থার মূল নীতিগুলো সঠিকভাবে গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি নতুন প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করবে। সুতরাং, এটি সম্পূর্ণ একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি-কৌশল বদলাতে হয়।
এই নীতির সবচেয়ে বড় কথা হলো সড়ক নিরাপত্তার চূড়ান্ত দায়িত্ব সড়ক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে, যাঁরা পরিবহনব্যবস্থা ডিজাইন করেন, যেমন—সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্থা, যানবাহন নির্মাতা, আইনপ্রণেতা, বাণিজ্যিক পরিবহন অপারেটর, পুলিশ ইত্যাদির দিকে স্থানান্তরিত হয়। সড়ক ব্যবহারকারীর দায়িত্ব হলো আইন ও প্রবিধানগুলো মেনে চলা।
মানুষ মাত্রই ভুল করে
প্রথাগত সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা এযাবৎ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, বেশির ভাগ দুর্ঘটনায় সড়ক ব্যবহারকারীদের দায় থাকে। তাই প্রচলিত কৌশলগুলোর লক্ষ্য থাকে, নিখুঁত নির্ভুল মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করা, যারা সর্বদা সব পরিস্থিতিতে সঠিক কাজটি করে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রায় সব সময়ই সড়ক ব্যবহারকারীর ওপর দোষ চাপানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও এমন দায় চাপানোর প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। বলা হয়েছে, রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে কীভাবে চলাচল করতে হয় সেই জ্ঞান না থাকার কারণেই তাঁরা যানবাহনের চাকার নিচে প্রাণ ‘বিসর্জন’ দিয়েছেন। দেশের ট্রাফিক পুলিশও সব সময় রাস্তায় চলাচলকারীদের সড়ক ব্যবহার ও ট্রাফিক আইন শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
‘ভিশন জিরো’ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে। পরিবর্তে এটি অনুমান করা হয় যে, পৃথিবীতে কোনো নিখুঁত মানুষ নেই। ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, কিন্তু একজন ব্যক্তির জীবন বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি তার ভুলের মাশুল হতে পারে না। এর পরিবর্তে, পরিবহনব্যবস্থার নকশাই এমনভাবে করতে হবে যাতে সড়ক দুর্ঘটনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি না হয়।
ভিশন থেকে বাস্তবায়ন
সুইডেন ‘ভিশন জিরো’ কৌশল বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সফলতা পেয়েছে। দুই দশকের কিছু বেশি সময় ধরে সুইডেনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা রাস্তায় শূন্য প্রাণহানি এবং শূন্য গুরুতর জখমের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক সড়কে একটি কেন্দ্রীয় বাধা রাখা হয়েছে যাতে দুর্ঘটনা রোধ করা যায়; পুলিশ ক্যামেরায় দেখে গাড়ির গতিনিয়ন্ত্রণ করতে পারে; অনেক চৌরাস্তার মোড়ে গোলচত্বর নির্মাণ করা হয়েছে; স্বচালিত নিরাপদ গাড়িতে বিনিয়োগ করছে; শহুরে এলাকার জন্য যখন ট্র্যাফিক ডিজাইন করা হয়, তখন দুর্বল রাস্তা-ব্যবহারকারীদের (বৃদ্ধ, শিশু, অসুস্থ ইত্যাদি) ওপর আলাদা করে নজর রাখা হয়।
সুইডেনের সফলতা
সুইডিশ পার্লামেন্ট যখন ভিশন জিরো গৃহীত হয়, তখন প্রতি এক লাখে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতেন সাতজন। ওই সময়ে, বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিসংখ্যান বেশ কমই। এটি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না এ নিয়ে সুইডেনের অনেকে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু ভিশন জিরো বাস্তবায়নের পর সুইডেনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। একই সময়ে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কিন্তু নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। তবে, ভিশন জিরো দৃষ্টিভঙ্গি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কমে গেছে, এখন নতুন কৌশলের কথা ভাবছে সুইডেন সরকার।
ভিশন জিরো বেশ কয়েকটি দেশে আগ্রহ জাগিয়েছে
সুইডেনের ভিশন জিরোর সফলতায় উৎসাহিত হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। সবার আগে নর্ডিক প্রতিবেশী দেশগুলো এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ সড়ক নরওয়ের। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে সড়কে মৃত্যু অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা শূন্যে আনতে চায় নর্ডিক দেশটি।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভিশন জিরো গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত বেশ ভালো ফল পেয়েছে তারা। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ২০টি শহর নিউইয়র্ককে অনুসরণ করেছে।
চলতি বছর ভারতের ওডিশা রাজ্য সরকার গত ১ থেকে ৭ এপ্রিল ‘সড়কে শূন্য মৃত্যু’ সপ্তাহ পালন করে। সরকার গাড়ি নির্মাতাদেরও সড়ক নিরাপত্তায় পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশে ৮ম বারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’।
লেখক: আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৭ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১০ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবে অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবে অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবে পুরুষ আর ৪ জন থাকবে নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।
দেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবে অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবে অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবে পুরুষ আর ৪ জন থাকবে নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।
দেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার নিরাপদ সড়ক প্রকল্পে এখনো পরামর্শক নিয়োগই শেষ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১০ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার নিরাপদ সড়ক প্রকল্পে এখনো পরামর্শক নিয়োগই শেষ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৭ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অধীনে জিটুজি পদ্ধতিতে এই আমদানি কার্যক্রম চলছে। প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম প্রতি টন ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যায় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো পর্যন্ত পরিবহন ব্যয়, বিমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিকসহ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যদিকে রাশিয়ার গমের মূল্যে শুধু দেশটির বন্দর পর্যন্ত (এফওবি) খরচ হিসাব করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার গমের মূল্য প্রতি টন প্রায় ২৩০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩২ ডলার। অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।
এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি টন রাশিয়ার গমের দাম ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম ৩ লাখ ৮ হাজার ৩১০ ডলার (সম্ভাব্য চূড়ান্ত মূল্য) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, মানের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গম বেশি উন্নত। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন (আমিষ) থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ, যা পুষ্টিগুণ ও মানের দিক থেকে উন্নত। এই উন্নত মান, উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম সামান্য বেশি হওয়া যুক্তিসংগত এবং বাজারসম্মত।
মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখে, প্রতিযোগিতামূলক উপায়ে এবং সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে।

সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অধীনে জিটুজি পদ্ধতিতে এই আমদানি কার্যক্রম চলছে। প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম প্রতি টন ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যায় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো পর্যন্ত পরিবহন ব্যয়, বিমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিকসহ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যদিকে রাশিয়ার গমের মূল্যে শুধু দেশটির বন্দর পর্যন্ত (এফওবি) খরচ হিসাব করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার গমের মূল্য প্রতি টন প্রায় ২৩০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩২ ডলার। অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।
এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি টন রাশিয়ার গমের দাম ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম ৩ লাখ ৮ হাজার ৩১০ ডলার (সম্ভাব্য চূড়ান্ত মূল্য) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, মানের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গম বেশি উন্নত। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন (আমিষ) থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ, যা পুষ্টিগুণ ও মানের দিক থেকে উন্নত। এই উন্নত মান, উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম সামান্য বেশি হওয়া যুক্তিসংগত এবং বাজারসম্মত।
মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখে, প্রতিযোগিতামূলক উপায়ে এবং সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার নিরাপদ সড়ক প্রকল্পে এখনো পরামর্শক নিয়োগই শেষ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৭ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১০ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন।
ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশ জমা দেবে। আগামী সংসদ সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো অনুমোদন না করলে কী হবে, তা নিয়ে কমিশন একটি বিকল্প প্রস্তাবও সুপারিশ করবে। সেখানে থাকবে বিশেষ আদেশ জারির পর সংবিধানসংক্রান্ত সব প্রস্তাব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিল তৈরি, পরে বিলের প্রশ্নে গণভোট এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের মেয়াদে বাস্তবায়িত না হলে বিলে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের প্রস্তুত করা সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তুত করা সুপারিশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের প্রধানকে সুপারিশগুলো আমরা অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, চূড়ান্ত সুপারিশ অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। এর অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব/সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রস্তাব সংবিধানসম্পর্কিত। মূলত এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। এই প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত আছে। এগুলোর মধ্যে ৭টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে বিএনপির।
কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) উল্লেখ থাকবে না। সনদের ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে। ‘গণভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদে পাস হলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন করার সুপারিশ করা হতে পারে’; যা আদেশে আলাদা করে উল্লেখ থাকতে পারে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদকে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সমাধানে বাধ্যবাধকতা রাখতে বিকল্প আরেকটি প্রস্তাব কমিশন দেবে বলে সূত্র জানায়। বিকল্প সুপারিশে বলা হতে পারে, সংবিধানসংক্রান্ত সব সুপারিশ বিল আকারে আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারকে তৈরি করতে বলা হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে বিলটি দেওয়া হবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে বিলের শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন করতে পারবে, তবে স্পিরিট বা মূলভাব পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে বিষয়গুলোর সমাধান না হলে ২৭১তম দিনে বিলগুলো সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে প্রশ্ন হতে পারে—জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং গণভোট বিলের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না।
গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
গণভোটে জুলাই সনদের বৈধতা নেওয়ার প্রশ্নে দলগুলো একমত হলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে মতবিরোধ আছে। কমিশন সূত্র জানায়, গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারি করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। বিএনপি আদেশ জারির পক্ষে নয়। এই অবস্থায় আদেশটি রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।

জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন।
ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশ জমা দেবে। আগামী সংসদ সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো অনুমোদন না করলে কী হবে, তা নিয়ে কমিশন একটি বিকল্প প্রস্তাবও সুপারিশ করবে। সেখানে থাকবে বিশেষ আদেশ জারির পর সংবিধানসংক্রান্ত সব প্রস্তাব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিল তৈরি, পরে বিলের প্রশ্নে গণভোট এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের মেয়াদে বাস্তবায়িত না হলে বিলে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের প্রস্তুত করা সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তুত করা সুপারিশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের প্রধানকে সুপারিশগুলো আমরা অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, চূড়ান্ত সুপারিশ অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। এর অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব/সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রস্তাব সংবিধানসম্পর্কিত। মূলত এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। এই প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত আছে। এগুলোর মধ্যে ৭টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে বিএনপির।
কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) উল্লেখ থাকবে না। সনদের ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে। ‘গণভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদে পাস হলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন করার সুপারিশ করা হতে পারে’; যা আদেশে আলাদা করে উল্লেখ থাকতে পারে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদকে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সমাধানে বাধ্যবাধকতা রাখতে বিকল্প আরেকটি প্রস্তাব কমিশন দেবে বলে সূত্র জানায়। বিকল্প সুপারিশে বলা হতে পারে, সংবিধানসংক্রান্ত সব সুপারিশ বিল আকারে আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারকে তৈরি করতে বলা হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে বিলটি দেওয়া হবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে বিলের শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন করতে পারবে, তবে স্পিরিট বা মূলভাব পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে বিষয়গুলোর সমাধান না হলে ২৭১তম দিনে বিলগুলো সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে প্রশ্ন হতে পারে—জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং গণভোট বিলের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না।
গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
গণভোটে জুলাই সনদের বৈধতা নেওয়ার প্রশ্নে দলগুলো একমত হলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে মতবিরোধ আছে। কমিশন সূত্র জানায়, গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারি করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। বিএনপি আদেশ জারির পক্ষে নয়। এই অবস্থায় আদেশটি রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।

গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার নিরাপদ সড়ক প্রকল্পে এখনো পরামর্শক নিয়োগই শেষ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
২২ অক্টোবর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৭ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
১০ মিনিট আগে
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার...
২ ঘণ্টা আগে