আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকার গত শুক্রবার থেকে গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আর এই খবরে খুচরা বাজারে গত দুই দিনে আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৭ টাকা এবং ময়দার দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা।
গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, আটা তৈরির জন্য গম আমদানি করা হতো মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে। আর ময়দা তৈরির গম আসে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে। সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলমান থাকায় গম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের আমদানিকারকেরা বিকল্প হিসেবে আমদানি শুরু করেছিলেন ভারত থেকে। তবে গত শুক্রবার রাতে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৩৮ টাকা কেজি। শুক্রবার তা বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৩৮-৪৫ টাকায়। দুই দিনের ব্যবধানে খোলা আটায় কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। আবার প্রতি কেজি প্যাকেট আটার দিন ছিল ৪২-৪৫ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪৪-৪৮ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা বা শতকরা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ময়দার দাম বৃহস্পতিবার ছিল ৫৫-৫৮ টাকা। গতকাল শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ৫৬-৬০ টাকায়।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি আটা-ময়দা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, ভারত সরকার গম রপ্তানি বন্ধ করায় তাদের বাজারের অনেকেই আটা-ময়দা বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে। যদিও দেশে গমের কোনো সংকট নেই। বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
ভারত সরকার গম রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া এবং দেশের ওপর কতটুকু প্রভাব পড়তে পারে? এ প্রসঙ্গে টিকে গ্রুপের পরিচালক (বিপণন ও অপারেশন) শফিকুল আথহার তাসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের চাহিদার অনেক গমই মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে আমদানি হতো। কিন্তু বর্তমানে দেশ দুটিতে যুদ্ধ চলমান থাকায় অনেকেই বিকল্প আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারতকে বেছে নেন। কিন্তু ভারত সরকারও রপ্তানি বন্ধ করল। তবে এই রপ্তানি দীর্ঘ মেয়াদি হলে দেশের বাজারে প্রভাব বেশি পড়বে। পাশাপাশি আমদানি অব্যাহত রাখতে বিকল্প সোর্স থেকে আনতে হবে।’
রাজধানীর মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আটা-ময়দা ব্যবসায়ী হাজি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নাবিল গ্রুপ, সিটি ও মেঘনা গ্রুপের কাছে বিপুল পরিমাণ গম মজুত রয়েছে। এসব আমদানিকারকেরা এখন সুযোগ নিচ্ছে।’
তবে নাবিল গ্রুপের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘যেসব সোর্স থেকে গম আমদানি হচ্ছে, তা ব্যাহত হলে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি গুদামে গম মজুত ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন। এ সময়ে সরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন গম এবং বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ২৯ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন। আর বন্দরে খালাস হচ্ছে এক লাখ ২৫ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন গম।
জানা গেছে, বিশ্বের চাহিদার মোট ২৯ শতাংশ গম সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্যের বাজারে রীতিমতো অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে গমের দামও ঊর্ধ্বমুখী বৈশ্বিক চাহিদা ও দামের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ গম রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ভারত। গত অর্থবছরে দেশটি রেকর্ড ৬৫ লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানি করেছিল। চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সেই সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু স্থানীয় বাজারে গমের দাম ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার।
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকার গত শুক্রবার থেকে গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আর এই খবরে খুচরা বাজারে গত দুই দিনে আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৭ টাকা এবং ময়দার দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা।
গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, আটা তৈরির জন্য গম আমদানি করা হতো মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে। আর ময়দা তৈরির গম আসে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে। সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলমান থাকায় গম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের আমদানিকারকেরা বিকল্প হিসেবে আমদানি শুরু করেছিলেন ভারত থেকে। তবে গত শুক্রবার রাতে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৩৮ টাকা কেজি। শুক্রবার তা বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৩৮-৪৫ টাকায়। দুই দিনের ব্যবধানে খোলা আটায় কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। আবার প্রতি কেজি প্যাকেট আটার দিন ছিল ৪২-৪৫ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪৪-৪৮ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা বা শতকরা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ময়দার দাম বৃহস্পতিবার ছিল ৫৫-৫৮ টাকা। গতকাল শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ৫৬-৬০ টাকায়।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি আটা-ময়দা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, ভারত সরকার গম রপ্তানি বন্ধ করায় তাদের বাজারের অনেকেই আটা-ময়দা বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে। যদিও দেশে গমের কোনো সংকট নেই। বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
ভারত সরকার গম রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া এবং দেশের ওপর কতটুকু প্রভাব পড়তে পারে? এ প্রসঙ্গে টিকে গ্রুপের পরিচালক (বিপণন ও অপারেশন) শফিকুল আথহার তাসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের চাহিদার অনেক গমই মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে আমদানি হতো। কিন্তু বর্তমানে দেশ দুটিতে যুদ্ধ চলমান থাকায় অনেকেই বিকল্প আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারতকে বেছে নেন। কিন্তু ভারত সরকারও রপ্তানি বন্ধ করল। তবে এই রপ্তানি দীর্ঘ মেয়াদি হলে দেশের বাজারে প্রভাব বেশি পড়বে। পাশাপাশি আমদানি অব্যাহত রাখতে বিকল্প সোর্স থেকে আনতে হবে।’
রাজধানীর মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আটা-ময়দা ব্যবসায়ী হাজি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নাবিল গ্রুপ, সিটি ও মেঘনা গ্রুপের কাছে বিপুল পরিমাণ গম মজুত রয়েছে। এসব আমদানিকারকেরা এখন সুযোগ নিচ্ছে।’
তবে নাবিল গ্রুপের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘যেসব সোর্স থেকে গম আমদানি হচ্ছে, তা ব্যাহত হলে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি গুদামে গম মজুত ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন। এ সময়ে সরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন গম এবং বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ২৯ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন। আর বন্দরে খালাস হচ্ছে এক লাখ ২৫ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন গম।
জানা গেছে, বিশ্বের চাহিদার মোট ২৯ শতাংশ গম সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্যের বাজারে রীতিমতো অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে গমের দামও ঊর্ধ্বমুখী বৈশ্বিক চাহিদা ও দামের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ গম রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ভারত। গত অর্থবছরে দেশটি রেকর্ড ৬৫ লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানি করেছিল। চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সেই সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু স্থানীয় বাজারে গমের দাম ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে। ফলে এসব ট্রেনও চলার পথে থমকে যাওয়ায় একই রকম ভোগান্তিতে পড়ত
৩ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
৩ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
৩ ঘণ্টা আগে