সাইফুল মাসুম, ঢাকা

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ফল ড্রাগন। কয়েক বছর আগেও দেশে আমদানি করতে হতো। চড়া দামে মিলত অভিজাত ফলের দোকানে। ক্রেতারা ছিলেন উচ্চবিত্তের। দাম কমায় বড়লোকের সেই ফল এখন মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্নবিত্তের মানুষও চাইলে মহল্লার দোকান থেকে কিনতে পারছেন। এর কারণ, ড্রাগন ফল এখন চাষ হচ্ছে দেশেই।
ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ৭২ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। এর প্রায় অর্ধেকই বিদেশি ফল। বর্তমানে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে ড্রাগনের। দেশে উৎপাদিত বিদেশি ফলের বাজারমূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি ফল দেশের মানুষের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু আমাদের আদি ফলগুলোর জাত উন্নয়ন করা জরুরি। তা না করা হলে বিদেশি ফলের আড়ালে দেশি ফল হারিয়ে যাবে।’
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ৩৮ জেলায় বিদেশি বিভিন্ন ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৬ জেলায় হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ। মাল্টা ২৮ জেলায়, কমলা ২১ জেলায়, স্ট্রবেরি ১৩ জেলায়, রকমেলন ৭ জেলায় এবং থাই পেয়ারা ও সৌদি খেজুর চাষ হচ্ছে ৬ জেলায়।
দেশে চাষ হওয়া অন্য বিদেশি ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাম্বুটান; মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল অ্যাভোকাডো; ভিয়েতনামের ছোট জাতের নারকেল, আম; চীনের পার্সিমন, লংগান (কাঠলিচু), বারোমাসি আঠাবিহীন কাঁঠাল, এমবি২ আনারস, থাই কুল, থাই পেঁপে, থাই সফেদা, আঙুর, নাশপাতি, জাবটিকাবা, সুইট লেমন, থাই মিষ্টি তেঁতুল, তিন (আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য), গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ তরমুজ), মালবেরি (আদি নিবাস চীন), আপেল, করোসল ইত্যাদি। এ ছাড়া বিদেশি কাজুবাদাম ও আলুবোখারাও দেশে চাষ হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিদেশি ফল আমদানি হয়েছে। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল। ধারণা করা হয়, দেশে বছরে বিদেশি ফলের বাজার ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে বিদেশি ফল উৎপাদন হওয়ায় আমদানি কমেছে। দুই বছর আগেও থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে ড্রাগন ফল আমদানি করতে হতো। এখন চাহিদার ৯০ শতাংশই দেশে হয়। লিচু, আম, আনারসের চাহিদার পুরোটাই দেশে হয়। তবে বিপুল পরিমাণ খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল আমদানি করতে হয়।
জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে বিদেশি ফল উৎপাদনে আমরা দুইভাবে লাভবান হচ্ছি। একদিকে তাজা ফল পাচ্ছি। ফলের বৈচিত্র্য বেড়েছে। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে বিদেশ থেকে ফল আমদানি তুলনামূলক কম হয়েছে।’ তাঁর মতে, বিদেশি ফল উৎপাদন বাড়াতে সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
খুলনায় ড্রাগন ও সবুজ মাল্টা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। জেলার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও রূপসা উপজেলায় এ দুটি বিদেশি ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফুলতলার গাড়াখোলা গ্রামের আকরাম হোসেন ১৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ ড্রাগনের চারা রোপণ করে দেড় লাখ টাকা আয় করেন। তাঁকে দেখে ওই এলাকার কৃষকেরা ড্রাগনে আগ্রহী হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও ড্রাগন ও মাল্টার চাষ বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এ বছর ২৮৫ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৪০০ টন ড্রাগন, ৩২৭ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার টন রকমেলন উৎপাদিত হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ জেলায় বিভিন্ন বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, চায়না কমলা, তিন, রকমেলন, স্ট্রবেরি ও সৌদি খেজুর। মাল্টা ও ড্রাগন চাষ হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে। কমলা, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ও মাল্টার চাষ হচ্ছে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জয়পুরহাটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মাল্টা, কমলা।
সিলেটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি ও কাজুবাদামের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খায়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, সিলেটে চার-পাঁচ বছর ধরে ড্রাগন ও স্ট্রবেরি এবং দুই বছর ধরে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চাষ হচ্ছে রাম্বুটান, ড্রাগন, চায়না কমলা ও লিচুর।
চাঁদপুরে চাষ হচ্ছে মাল্টা, আম, কমলাসহ কয়েকটি বিদেশি ফল।
তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এক লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আম, ড্রাগন, কমলা, মাল্টাসহ মিশ্র ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। কাজুবাদামও চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, চলতি মৌসুমে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৭ লাখ টন। চট্টগ্রামেও ড্রাগনের চাষ হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে দেশি ফলের পাশাপাশি চাষ হয়েছে ১০টি বিদেশি ফল। প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশে উৎপাদন হওয়ায় ড্রাগন, মাল্টার মতো বিদেশি ফল ক্রেতা কম দামে পাচ্ছেন। চাষিদেরও ভালো আয় হচ্ছে।
বিদেশি ফল চাষের ক্ষেত্রে সংগনিরোধে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের (বিএআরআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খো. হাবিবুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশি ফলের আমদানিকৃত উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য সংগনিরোধ করা খুব দরকার। অনেক সময় পরীক্ষা ছাড়াই বিদেশি জাতের ফল দেশে আনা হয়। এতে ফলের জাতের সঙ্গে রোগবালাই-পোকামাকড়ও চলে আসে। ভালো ফলনের আশায় কৃষক চাষাবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ফল ড্রাগন। কয়েক বছর আগেও দেশে আমদানি করতে হতো। চড়া দামে মিলত অভিজাত ফলের দোকানে। ক্রেতারা ছিলেন উচ্চবিত্তের। দাম কমায় বড়লোকের সেই ফল এখন মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্নবিত্তের মানুষও চাইলে মহল্লার দোকান থেকে কিনতে পারছেন। এর কারণ, ড্রাগন ফল এখন চাষ হচ্ছে দেশেই।
ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ৭২ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। এর প্রায় অর্ধেকই বিদেশি ফল। বর্তমানে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে ড্রাগনের। দেশে উৎপাদিত বিদেশি ফলের বাজারমূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি ফল দেশের মানুষের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু আমাদের আদি ফলগুলোর জাত উন্নয়ন করা জরুরি। তা না করা হলে বিদেশি ফলের আড়ালে দেশি ফল হারিয়ে যাবে।’
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ৩৮ জেলায় বিদেশি বিভিন্ন ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৬ জেলায় হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ। মাল্টা ২৮ জেলায়, কমলা ২১ জেলায়, স্ট্রবেরি ১৩ জেলায়, রকমেলন ৭ জেলায় এবং থাই পেয়ারা ও সৌদি খেজুর চাষ হচ্ছে ৬ জেলায়।
দেশে চাষ হওয়া অন্য বিদেশি ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাম্বুটান; মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল অ্যাভোকাডো; ভিয়েতনামের ছোট জাতের নারকেল, আম; চীনের পার্সিমন, লংগান (কাঠলিচু), বারোমাসি আঠাবিহীন কাঁঠাল, এমবি২ আনারস, থাই কুল, থাই পেঁপে, থাই সফেদা, আঙুর, নাশপাতি, জাবটিকাবা, সুইট লেমন, থাই মিষ্টি তেঁতুল, তিন (আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য), গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ তরমুজ), মালবেরি (আদি নিবাস চীন), আপেল, করোসল ইত্যাদি। এ ছাড়া বিদেশি কাজুবাদাম ও আলুবোখারাও দেশে চাষ হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিদেশি ফল আমদানি হয়েছে। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল। ধারণা করা হয়, দেশে বছরে বিদেশি ফলের বাজার ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে বিদেশি ফল উৎপাদন হওয়ায় আমদানি কমেছে। দুই বছর আগেও থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে ড্রাগন ফল আমদানি করতে হতো। এখন চাহিদার ৯০ শতাংশই দেশে হয়। লিচু, আম, আনারসের চাহিদার পুরোটাই দেশে হয়। তবে বিপুল পরিমাণ খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল আমদানি করতে হয়।
জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে বিদেশি ফল উৎপাদনে আমরা দুইভাবে লাভবান হচ্ছি। একদিকে তাজা ফল পাচ্ছি। ফলের বৈচিত্র্য বেড়েছে। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে বিদেশ থেকে ফল আমদানি তুলনামূলক কম হয়েছে।’ তাঁর মতে, বিদেশি ফল উৎপাদন বাড়াতে সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
খুলনায় ড্রাগন ও সবুজ মাল্টা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। জেলার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও রূপসা উপজেলায় এ দুটি বিদেশি ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফুলতলার গাড়াখোলা গ্রামের আকরাম হোসেন ১৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ ড্রাগনের চারা রোপণ করে দেড় লাখ টাকা আয় করেন। তাঁকে দেখে ওই এলাকার কৃষকেরা ড্রাগনে আগ্রহী হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও ড্রাগন ও মাল্টার চাষ বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এ বছর ২৮৫ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৪০০ টন ড্রাগন, ৩২৭ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার টন রকমেলন উৎপাদিত হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ জেলায় বিভিন্ন বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, চায়না কমলা, তিন, রকমেলন, স্ট্রবেরি ও সৌদি খেজুর। মাল্টা ও ড্রাগন চাষ হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে। কমলা, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ও মাল্টার চাষ হচ্ছে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জয়পুরহাটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মাল্টা, কমলা।
সিলেটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি ও কাজুবাদামের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খায়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, সিলেটে চার-পাঁচ বছর ধরে ড্রাগন ও স্ট্রবেরি এবং দুই বছর ধরে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চাষ হচ্ছে রাম্বুটান, ড্রাগন, চায়না কমলা ও লিচুর।
চাঁদপুরে চাষ হচ্ছে মাল্টা, আম, কমলাসহ কয়েকটি বিদেশি ফল।
তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এক লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আম, ড্রাগন, কমলা, মাল্টাসহ মিশ্র ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। কাজুবাদামও চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, চলতি মৌসুমে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৭ লাখ টন। চট্টগ্রামেও ড্রাগনের চাষ হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে দেশি ফলের পাশাপাশি চাষ হয়েছে ১০টি বিদেশি ফল। প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশে উৎপাদন হওয়ায় ড্রাগন, মাল্টার মতো বিদেশি ফল ক্রেতা কম দামে পাচ্ছেন। চাষিদেরও ভালো আয় হচ্ছে।
বিদেশি ফল চাষের ক্ষেত্রে সংগনিরোধে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের (বিএআরআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খো. হাবিবুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশি ফলের আমদানিকৃত উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য সংগনিরোধ করা খুব দরকার। অনেক সময় পরীক্ষা ছাড়াই বিদেশি জাতের ফল দেশে আনা হয়। এতে ফলের জাতের সঙ্গে রোগবালাই-পোকামাকড়ও চলে আসে। ভালো ফলনের আশায় কৃষক চাষাবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা
সাইফুল মাসুম, ঢাকা

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ফল ড্রাগন। কয়েক বছর আগেও দেশে আমদানি করতে হতো। চড়া দামে মিলত অভিজাত ফলের দোকানে। ক্রেতারা ছিলেন উচ্চবিত্তের। দাম কমায় বড়লোকের সেই ফল এখন মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্নবিত্তের মানুষও চাইলে মহল্লার দোকান থেকে কিনতে পারছেন। এর কারণ, ড্রাগন ফল এখন চাষ হচ্ছে দেশেই।
ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ৭২ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। এর প্রায় অর্ধেকই বিদেশি ফল। বর্তমানে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে ড্রাগনের। দেশে উৎপাদিত বিদেশি ফলের বাজারমূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি ফল দেশের মানুষের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু আমাদের আদি ফলগুলোর জাত উন্নয়ন করা জরুরি। তা না করা হলে বিদেশি ফলের আড়ালে দেশি ফল হারিয়ে যাবে।’
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ৩৮ জেলায় বিদেশি বিভিন্ন ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৬ জেলায় হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ। মাল্টা ২৮ জেলায়, কমলা ২১ জেলায়, স্ট্রবেরি ১৩ জেলায়, রকমেলন ৭ জেলায় এবং থাই পেয়ারা ও সৌদি খেজুর চাষ হচ্ছে ৬ জেলায়।
দেশে চাষ হওয়া অন্য বিদেশি ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাম্বুটান; মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল অ্যাভোকাডো; ভিয়েতনামের ছোট জাতের নারকেল, আম; চীনের পার্সিমন, লংগান (কাঠলিচু), বারোমাসি আঠাবিহীন কাঁঠাল, এমবি২ আনারস, থাই কুল, থাই পেঁপে, থাই সফেদা, আঙুর, নাশপাতি, জাবটিকাবা, সুইট লেমন, থাই মিষ্টি তেঁতুল, তিন (আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য), গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ তরমুজ), মালবেরি (আদি নিবাস চীন), আপেল, করোসল ইত্যাদি। এ ছাড়া বিদেশি কাজুবাদাম ও আলুবোখারাও দেশে চাষ হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিদেশি ফল আমদানি হয়েছে। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল। ধারণা করা হয়, দেশে বছরে বিদেশি ফলের বাজার ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে বিদেশি ফল উৎপাদন হওয়ায় আমদানি কমেছে। দুই বছর আগেও থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে ড্রাগন ফল আমদানি করতে হতো। এখন চাহিদার ৯০ শতাংশই দেশে হয়। লিচু, আম, আনারসের চাহিদার পুরোটাই দেশে হয়। তবে বিপুল পরিমাণ খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল আমদানি করতে হয়।
জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে বিদেশি ফল উৎপাদনে আমরা দুইভাবে লাভবান হচ্ছি। একদিকে তাজা ফল পাচ্ছি। ফলের বৈচিত্র্য বেড়েছে। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে বিদেশ থেকে ফল আমদানি তুলনামূলক কম হয়েছে।’ তাঁর মতে, বিদেশি ফল উৎপাদন বাড়াতে সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
খুলনায় ড্রাগন ও সবুজ মাল্টা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। জেলার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও রূপসা উপজেলায় এ দুটি বিদেশি ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফুলতলার গাড়াখোলা গ্রামের আকরাম হোসেন ১৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ ড্রাগনের চারা রোপণ করে দেড় লাখ টাকা আয় করেন। তাঁকে দেখে ওই এলাকার কৃষকেরা ড্রাগনে আগ্রহী হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও ড্রাগন ও মাল্টার চাষ বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এ বছর ২৮৫ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৪০০ টন ড্রাগন, ৩২৭ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার টন রকমেলন উৎপাদিত হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ জেলায় বিভিন্ন বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, চায়না কমলা, তিন, রকমেলন, স্ট্রবেরি ও সৌদি খেজুর। মাল্টা ও ড্রাগন চাষ হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে। কমলা, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ও মাল্টার চাষ হচ্ছে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জয়পুরহাটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মাল্টা, কমলা।
সিলেটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি ও কাজুবাদামের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খায়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, সিলেটে চার-পাঁচ বছর ধরে ড্রাগন ও স্ট্রবেরি এবং দুই বছর ধরে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চাষ হচ্ছে রাম্বুটান, ড্রাগন, চায়না কমলা ও লিচুর।
চাঁদপুরে চাষ হচ্ছে মাল্টা, আম, কমলাসহ কয়েকটি বিদেশি ফল।
তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এক লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আম, ড্রাগন, কমলা, মাল্টাসহ মিশ্র ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। কাজুবাদামও চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, চলতি মৌসুমে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৭ লাখ টন। চট্টগ্রামেও ড্রাগনের চাষ হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে দেশি ফলের পাশাপাশি চাষ হয়েছে ১০টি বিদেশি ফল। প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশে উৎপাদন হওয়ায় ড্রাগন, মাল্টার মতো বিদেশি ফল ক্রেতা কম দামে পাচ্ছেন। চাষিদেরও ভালো আয় হচ্ছে।
বিদেশি ফল চাষের ক্ষেত্রে সংগনিরোধে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের (বিএআরআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খো. হাবিবুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশি ফলের আমদানিকৃত উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য সংগনিরোধ করা খুব দরকার। অনেক সময় পরীক্ষা ছাড়াই বিদেশি জাতের ফল দেশে আনা হয়। এতে ফলের জাতের সঙ্গে রোগবালাই-পোকামাকড়ও চলে আসে। ভালো ফলনের আশায় কৃষক চাষাবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ফল ড্রাগন। কয়েক বছর আগেও দেশে আমদানি করতে হতো। চড়া দামে মিলত অভিজাত ফলের দোকানে। ক্রেতারা ছিলেন উচ্চবিত্তের। দাম কমায় বড়লোকের সেই ফল এখন মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্নবিত্তের মানুষও চাইলে মহল্লার দোকান থেকে কিনতে পারছেন। এর কারণ, ড্রাগন ফল এখন চাষ হচ্ছে দেশেই।
ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ৭২ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। এর প্রায় অর্ধেকই বিদেশি ফল। বর্তমানে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে ড্রাগনের। দেশে উৎপাদিত বিদেশি ফলের বাজারমূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি ফল দেশের মানুষের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু আমাদের আদি ফলগুলোর জাত উন্নয়ন করা জরুরি। তা না করা হলে বিদেশি ফলের আড়ালে দেশি ফল হারিয়ে যাবে।’
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ৩৮ জেলায় বিদেশি বিভিন্ন ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৬ জেলায় হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ। মাল্টা ২৮ জেলায়, কমলা ২১ জেলায়, স্ট্রবেরি ১৩ জেলায়, রকমেলন ৭ জেলায় এবং থাই পেয়ারা ও সৌদি খেজুর চাষ হচ্ছে ৬ জেলায়।
দেশে চাষ হওয়া অন্য বিদেশি ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাম্বুটান; মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল অ্যাভোকাডো; ভিয়েতনামের ছোট জাতের নারকেল, আম; চীনের পার্সিমন, লংগান (কাঠলিচু), বারোমাসি আঠাবিহীন কাঁঠাল, এমবি২ আনারস, থাই কুল, থাই পেঁপে, থাই সফেদা, আঙুর, নাশপাতি, জাবটিকাবা, সুইট লেমন, থাই মিষ্টি তেঁতুল, তিন (আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য), গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ তরমুজ), মালবেরি (আদি নিবাস চীন), আপেল, করোসল ইত্যাদি। এ ছাড়া বিদেশি কাজুবাদাম ও আলুবোখারাও দেশে চাষ হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিদেশি ফল আমদানি হয়েছে। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল। ধারণা করা হয়, দেশে বছরে বিদেশি ফলের বাজার ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে বিদেশি ফল উৎপাদন হওয়ায় আমদানি কমেছে। দুই বছর আগেও থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে ড্রাগন ফল আমদানি করতে হতো। এখন চাহিদার ৯০ শতাংশই দেশে হয়। লিচু, আম, আনারসের চাহিদার পুরোটাই দেশে হয়। তবে বিপুল পরিমাণ খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল আমদানি করতে হয়।
জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে বিদেশি ফল উৎপাদনে আমরা দুইভাবে লাভবান হচ্ছি। একদিকে তাজা ফল পাচ্ছি। ফলের বৈচিত্র্য বেড়েছে। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে বিদেশ থেকে ফল আমদানি তুলনামূলক কম হয়েছে।’ তাঁর মতে, বিদেশি ফল উৎপাদন বাড়াতে সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
খুলনায় ড্রাগন ও সবুজ মাল্টা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। জেলার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও রূপসা উপজেলায় এ দুটি বিদেশি ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফুলতলার গাড়াখোলা গ্রামের আকরাম হোসেন ১৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ ড্রাগনের চারা রোপণ করে দেড় লাখ টাকা আয় করেন। তাঁকে দেখে ওই এলাকার কৃষকেরা ড্রাগনে আগ্রহী হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও ড্রাগন ও মাল্টার চাষ বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এ বছর ২৮৫ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৪০০ টন ড্রাগন, ৩২৭ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার টন রকমেলন উৎপাদিত হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ জেলায় বিভিন্ন বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, চায়না কমলা, তিন, রকমেলন, স্ট্রবেরি ও সৌদি খেজুর। মাল্টা ও ড্রাগন চাষ হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে। কমলা, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ও মাল্টার চাষ হচ্ছে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জয়পুরহাটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মাল্টা, কমলা।
সিলেটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি ও কাজুবাদামের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খায়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, সিলেটে চার-পাঁচ বছর ধরে ড্রাগন ও স্ট্রবেরি এবং দুই বছর ধরে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চাষ হচ্ছে রাম্বুটান, ড্রাগন, চায়না কমলা ও লিচুর।
চাঁদপুরে চাষ হচ্ছে মাল্টা, আম, কমলাসহ কয়েকটি বিদেশি ফল।
তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এক লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আম, ড্রাগন, কমলা, মাল্টাসহ মিশ্র ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। কাজুবাদামও চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, চলতি মৌসুমে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৭ লাখ টন। চট্টগ্রামেও ড্রাগনের চাষ হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে দেশি ফলের পাশাপাশি চাষ হয়েছে ১০টি বিদেশি ফল। প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশে উৎপাদন হওয়ায় ড্রাগন, মাল্টার মতো বিদেশি ফল ক্রেতা কম দামে পাচ্ছেন। চাষিদেরও ভালো আয় হচ্ছে।
বিদেশি ফল চাষের ক্ষেত্রে সংগনিরোধে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের (বিএআরআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খো. হাবিবুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশি ফলের আমদানিকৃত উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য সংগনিরোধ করা খুব দরকার। অনেক সময় পরীক্ষা ছাড়াই বিদেশি জাতের ফল দেশে আনা হয়। এতে ফলের জাতের সঙ্গে রোগবালাই-পোকামাকড়ও চলে আসে। ভালো ফলনের আশায় কৃষক চাষাবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৩ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
২০ জুন ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৩ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
২০ জুন ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
২০ জুন ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৩ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ড্রাগনসহ ৩৪টি বিদেশি ফল এখন দেশেই চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আটটির চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। লাভ হওয়ায় চাষ বাড়ছে। দেশে এসব ফল মেলায় কমেছে আমদানি। সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
২০ জুন ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৩ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে