প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী), শিবালয় (মানিকগঞ্জ), শিবচর (মাদারীপুর)
‘লকডাউন হলেও ঢাকায় যেতেই হবে। আগামীকাল অফিসে না গেলে চাকরি থাকবে না।’ বলছিলেন লোকমান প্রামাণিক। গতকাল তাই ৮০০ টাকায় অটোরিকশা রিজার্ভ করে ফরিদপুরের সদরপুর থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান তিনি। নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া থেকে যেকোনো উপায়েই হোক ঢাকায় পৌঁছাতে হবে তাঁকে। রাজধানীর মালিবাগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন লোকমান। আজ (রোববার) থেকেই অফিস খোলা।
চাকরি বাঁচানোর তাড়া না থাকলেও ব্যবসায়িক কাজে রাজবাড়ীর বসন্তপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই ঢাকার পথে রওনা করেছিলেন আবদুর রব। জানালেন, ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে তাঁর।
গতকাল ভোর থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে এমন অসংখ্য মানুষ এসে ভিড় করছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা মাহেন্দ্র রিজার্ভ করে ঘাটে পৌঁছান। এ অবস্থায় কঠোর লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই যাত্রীদের পারাপার করছিল ফেরিগুলো। এসব ফেরিতে বিপুলসংখ্যক প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল পার হতেও দেখা গেছে।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন গতকাল সকাল থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছানো অধিকাংশ ফেরিতেই ছিল যাত্রী ও যানবাহন। একই চিত্র দেখা গেছে, পাবনার কাজিরহাট থেকে শিবালয়ের আরিচার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোয়। তবে কোনো ফেরিতেই দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস পরিবহন করতে দেখা যায়নি।
২২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের যানবাহন ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে পারাপার করা হবে। বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলারসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলও।
তবে সরকারি নির্দেশনা অনেকাংশেই অমান্য করতে দেখা গেছে ফেরি কর্তৃপক্ষকে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে নিয়োজিত ফেরিতে সুযোগ বুঝে যাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের ছোট আকৃতির যানবাহন পার হয়ে যাচ্ছে। ফেরিতে উঠে পড়া যাত্রী ও হালকা যানবাহনগুলোকে ‘মানবিক’ কারণে আর নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় শিবালয়ের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট থেকে মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপে বাড়তি ভাড়ায় যে যেভাবে পারছিলেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা করছিলেন। তবে সকালের চাপ বিকেলে কিছুটা কমে এসেছিল।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির জানালেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, আরিচা, পাটুরিয়া ফেরিঘাটের প্রবেশদ্বারসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘাট এলাকায় প্রবেশ ও বের হতে যানবাহনের চালকদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
শিবালয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা জানিয়েছেন, ঈদের পর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কর্মকর্তা, নির্বাহী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
এদিকে, মাদারীপুরের শিবচরেও নানান অজুহাতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ফেরি পার হতে দেখা গেছে। যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপার বন্ধ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসা যাত্রীরা অনেকটা নির্বিঘ্নেই ফেরিতে উঠতে পেরেছেন। যাত্রীবাহী বাস না থাকলেও ফেরিতে প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্সসহ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পার হতে দেখা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সাধারণ যাত্রীরা বিভিন্ন জরুরি অজুহাত দেখিয়ে ফেরিতে উঠে যাচ্ছেন।
‘লকডাউন হলেও ঢাকায় যেতেই হবে। আগামীকাল অফিসে না গেলে চাকরি থাকবে না।’ বলছিলেন লোকমান প্রামাণিক। গতকাল তাই ৮০০ টাকায় অটোরিকশা রিজার্ভ করে ফরিদপুরের সদরপুর থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান তিনি। নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া থেকে যেকোনো উপায়েই হোক ঢাকায় পৌঁছাতে হবে তাঁকে। রাজধানীর মালিবাগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন লোকমান। আজ (রোববার) থেকেই অফিস খোলা।
চাকরি বাঁচানোর তাড়া না থাকলেও ব্যবসায়িক কাজে রাজবাড়ীর বসন্তপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই ঢাকার পথে রওনা করেছিলেন আবদুর রব। জানালেন, ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে তাঁর।
গতকাল ভোর থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে এমন অসংখ্য মানুষ এসে ভিড় করছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা মাহেন্দ্র রিজার্ভ করে ঘাটে পৌঁছান। এ অবস্থায় কঠোর লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই যাত্রীদের পারাপার করছিল ফেরিগুলো। এসব ফেরিতে বিপুলসংখ্যক প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল পার হতেও দেখা গেছে।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন গতকাল সকাল থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছানো অধিকাংশ ফেরিতেই ছিল যাত্রী ও যানবাহন। একই চিত্র দেখা গেছে, পাবনার কাজিরহাট থেকে শিবালয়ের আরিচার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোয়। তবে কোনো ফেরিতেই দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস পরিবহন করতে দেখা যায়নি।
২২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের যানবাহন ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে পারাপার করা হবে। বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলারসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলও।
তবে সরকারি নির্দেশনা অনেকাংশেই অমান্য করতে দেখা গেছে ফেরি কর্তৃপক্ষকে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে নিয়োজিত ফেরিতে সুযোগ বুঝে যাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের ছোট আকৃতির যানবাহন পার হয়ে যাচ্ছে। ফেরিতে উঠে পড়া যাত্রী ও হালকা যানবাহনগুলোকে ‘মানবিক’ কারণে আর নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় শিবালয়ের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট থেকে মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপে বাড়তি ভাড়ায় যে যেভাবে পারছিলেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা করছিলেন। তবে সকালের চাপ বিকেলে কিছুটা কমে এসেছিল।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির জানালেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, আরিচা, পাটুরিয়া ফেরিঘাটের প্রবেশদ্বারসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘাট এলাকায় প্রবেশ ও বের হতে যানবাহনের চালকদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
শিবালয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা জানিয়েছেন, ঈদের পর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কর্মকর্তা, নির্বাহী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
এদিকে, মাদারীপুরের শিবচরেও নানান অজুহাতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ফেরি পার হতে দেখা গেছে। যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপার বন্ধ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসা যাত্রীরা অনেকটা নির্বিঘ্নেই ফেরিতে উঠতে পেরেছেন। যাত্রীবাহী বাস না থাকলেও ফেরিতে প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্সসহ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পার হতে দেখা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সাধারণ যাত্রীরা বিভিন্ন জরুরি অজুহাত দেখিয়ে ফেরিতে উঠে যাচ্ছেন।
গত রোববার ডিএমপির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি করেন। এতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান ও এসবি প্রধানসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুদকের করা মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) ড. ইউনূসের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে বসবাস করা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে বাড়িভাড়া না কাটায় দুই অর্থবছরে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৬ কোটি টাকার বেশি। এই ১০ টিসহ ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীক্ষায় ১৮৭টি অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব অনিয়মে মোট আর্থিক ক্ষতি ১ হাজার...
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে...
১৫ ঘণ্টা আগে