বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
আজ শনিবার সকালে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। আইইবি ঢাকা সেন্টার রাজধানীতে আইইবি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গণমুখী, পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী, উপযুক্ত ও টেকসই কৌশল এবং পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে দ্রুততর করতে আলোচনার মাধ্যমে কৌশল ঠিক করুন, যাতে আমরা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের এই কনভেনশন যখন হয় তখন অতীতে বিভিন্ন সময়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের যে কর্মকাণ্ড তার সাফল্য ব্যর্থতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করবেন, বিশ্লেষণ করবেন। পাশাপাশি আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে এগিয়ে যাব, আরও দ্রুত উন্নতি করতে পারব সেই কৌশল কী হবে সেই বিষয়গুলোও আপনারা আলোচনা করবেন এবং সেই কৌশল নির্ধারণ করবেন। অন্তত আমরা যখন সরকারে আছি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারব। সেটাই আমি আপনাদের কাছ থেকে আশা করি।’
তাঁর সরকার যত পরিকল্পনা করছে বা দেশের উন্নয়ন করছে সেখানে প্রকৌশলীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যে পরিকল্পনা হোক সেই পরিকল্পনা যেন প্রথমত, পরিবেশবান্ধব হতে হবে। কারণ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য এবং এটা আমাদের করতেই হবে। আমাদের খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলাধারগুলোকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে জলাধার সংরক্ষিত রেখে এবং নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর এলাকায় পানির প্রবাহ ধরে রেখে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা নিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই হয় এবং খরচের দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে। অহেতুক যেকোনো পরিকল্পনা যেন আমরা গ্রহণ না করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একনেক বৈঠকেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে এর থেকে জনগণ কতটুকু লাভবান হবে বা এর রিটার্ন কী আসবে বা যেটা আমাদের জন্য উপযোগী সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু একটা নির্মাণকাজের জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, এটা আমার অনুরোধ। একটা কনস্ট্রাকশন হলে কিছু লোক কাজ পাবেন কিছু কমিশন বা কিছু লোক নানা সুবিধা পাবেন সেটা যেন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমি আমার পার্লামেন্টারি পার্টির এমপিদেরও নির্দেশ দিয়েছি। সংসদে বলেছি, একনেক সভাসহ সব জায়গায় বলেছি। আর সে রকম যদি কোনো প্রকল্প দেখি অবশ্যই আমি তা অনুমোদন করব না। যেটা আমার দেশের কাজে লাগবে, মানুষের কাজে লাগবে আর যে প্রকল্প শেষ করলে পরে তার থেকে দেশ কিছু লাভবান হবে, মানুষ লাভবান হবে, আমাদের উপার্জন হবে, সেভাবেই যেন পরিকল্পনা করা হয়। এটাই আমার কাম্য।’
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রকৌশলীদের যৌক্তিক দাবিগুলো দেশের উন্নয়নে তাদের অবদানের কথা মাথায় রেখেই তিনি যাচাই-বাছাইপূর্বক পূরণের ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ এবং এএমআইই পরীক্ষার স্নাতকদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদসহ পুরস্কার তুলে দেন।

আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর এমপি, আইইবি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেইন ও আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আইইবির ৬১তম কনভেনশনের থিম সংয়ের পাশাপাশি একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে আপনারা (প্রকৌশলীরা) বিশেষভাবে অবদান রাখতে পারবেন, আমরা সেটা আশা করি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এই বাংলাদেশ যাতে আরও উন্নত হয় সে জন্য যা যা করণীয় আমরা তা করেছি। ইতিমধ্যে ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১’ আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এখন ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রণয়ন করে সেটাও আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আর জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি পরিকল্পনা ২০৩০ও একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ সময় ২০৪১ সালের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেখানে স্মার্ট জনসংখ্যা, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা করার জন্য আমি প্রকৌশলীদের বলব আপনারা আপনাদের মেধা ও মনন দিয়ে পরিকল্পনা কী নেওয়া যায়? কীভাবে এগোনো যায়? কোন কোন খাতকে আমরা আরও অগ্রাধিকার দিতে পারি—সে ক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ চাই। যেটা আমাদের কাজে লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে হবে। সেইভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেইভাবেই আমি পরিকল্পনা করছি।’
‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ২০২৬ সাল থেকে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে’—উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই এখন থেকেই এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা আমরা নিচ্ছি। কিন্তু এখান থেকে যে সুযোগগুলো আমরা পাব, সেগুলো যথাযথভাবে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হবে এবং আমরা তা পারব। কাজেই এখন থেকেই আমাদের সে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তাঁর সরকার সব সময়ই চায় কীভাবে দেশের মানুষ ভালো থাকবে এবং তাদের জীবনমান উন্নত হবে উল্লেখ করে দেশের উন্নয়ন যাদের চোখে পড়ে না সেই বিশেষ গোষ্ঠীর সমালোচনাও করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাই আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষ আছেন আপনি যা-ই করেন, কিছুই তাঁদের ভালো লাগে না। কিছু ভালো লাগে না একটা গোষ্ঠীই রয়েছে। যেমন কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগের কী দরকার ছিল বা স্যাটেলাইট-২-এরই বা প্রয়োজন কি আছে? পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেন করা হলো? শুধু শুধু টাকা নষ্ট। মেট্রোরেলের তো প্রয়োজনই ছিল না। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল না করে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো যানজট দূর হয়ে যেত।
তিনি এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করে তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেকেই বলেছিলেন বিশ্বব্যাংক ছাড়া হবে না। কিন্তু আমরা নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরাও পারি। জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে কিছু ভালো লাগে না গোষ্ঠীর এগুলো সফলভাবে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় পরে মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়ে যাওয়ায় তাদের কী অসুবিধা হচ্ছে, তারা কি এর সুবিধা ভোগ করছে না? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে যা আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমি বলব আমাদের প্রকৌশলীদেরও গবেষণা দরকার। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বহুমুখী করেছি। আগামীতে আরেকটি দিক আসছে হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমাদের গবেষণা দরকার। একই সঙ্গে স্বল্প খরচে টেকসই যন্ত্রপাতি নির্মাণ, স্থাপনা নির্মাণ ও মেরামতেও গবেষণা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৌশল ক্ষেত্রে আরও বেশি গবেষণা করে আপনাদের যে উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধা রয়েছে সেটাকে কীভাবে আমরা দেশের কাজে লাগাতে পারি সেদিকে আপনারা বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। কারণ আমাদের সবকিছুই নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে প্রকৌশলীদের ওপর।’
শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অতি দরিদ্রদের জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রশাসন থেকে প্রকৌশলী এমনকি সংশ্লিষ্ট সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। যার জন্য আজ ২১টি জেলা এবং ৩৩৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিতে পেরেছি। ইনশা আল্লাহ এই বাংলাদেশে একটি পরিবারও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।’
আরও অল্প খরচে এই সাধারণ মানুষগুলোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও সুন্দরভাবে বসবাস উপযোগী আবাসস্থল নির্মাণে কারও যদি কোনো পরামর্শ বা পরিকল্পনা থাকে তা দেওয়ার জন্যও তিনি প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতির পিতার কন্যা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নিচ্ছি বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক উন্নতি করে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে আমাদের প্রকৌশলীবৃন্দ। কাজেই আপনাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। সেটা আমরা করব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
আজ শনিবার সকালে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। আইইবি ঢাকা সেন্টার রাজধানীতে আইইবি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গণমুখী, পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী, উপযুক্ত ও টেকসই কৌশল এবং পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে দ্রুততর করতে আলোচনার মাধ্যমে কৌশল ঠিক করুন, যাতে আমরা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের এই কনভেনশন যখন হয় তখন অতীতে বিভিন্ন সময়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের যে কর্মকাণ্ড তার সাফল্য ব্যর্থতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করবেন, বিশ্লেষণ করবেন। পাশাপাশি আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে এগিয়ে যাব, আরও দ্রুত উন্নতি করতে পারব সেই কৌশল কী হবে সেই বিষয়গুলোও আপনারা আলোচনা করবেন এবং সেই কৌশল নির্ধারণ করবেন। অন্তত আমরা যখন সরকারে আছি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারব। সেটাই আমি আপনাদের কাছ থেকে আশা করি।’
তাঁর সরকার যত পরিকল্পনা করছে বা দেশের উন্নয়ন করছে সেখানে প্রকৌশলীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যে পরিকল্পনা হোক সেই পরিকল্পনা যেন প্রথমত, পরিবেশবান্ধব হতে হবে। কারণ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য এবং এটা আমাদের করতেই হবে। আমাদের খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলাধারগুলোকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে জলাধার সংরক্ষিত রেখে এবং নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর এলাকায় পানির প্রবাহ ধরে রেখে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা নিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই হয় এবং খরচের দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে। অহেতুক যেকোনো পরিকল্পনা যেন আমরা গ্রহণ না করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একনেক বৈঠকেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে এর থেকে জনগণ কতটুকু লাভবান হবে বা এর রিটার্ন কী আসবে বা যেটা আমাদের জন্য উপযোগী সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু একটা নির্মাণকাজের জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, এটা আমার অনুরোধ। একটা কনস্ট্রাকশন হলে কিছু লোক কাজ পাবেন কিছু কমিশন বা কিছু লোক নানা সুবিধা পাবেন সেটা যেন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমি আমার পার্লামেন্টারি পার্টির এমপিদেরও নির্দেশ দিয়েছি। সংসদে বলেছি, একনেক সভাসহ সব জায়গায় বলেছি। আর সে রকম যদি কোনো প্রকল্প দেখি অবশ্যই আমি তা অনুমোদন করব না। যেটা আমার দেশের কাজে লাগবে, মানুষের কাজে লাগবে আর যে প্রকল্প শেষ করলে পরে তার থেকে দেশ কিছু লাভবান হবে, মানুষ লাভবান হবে, আমাদের উপার্জন হবে, সেভাবেই যেন পরিকল্পনা করা হয়। এটাই আমার কাম্য।’
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রকৌশলীদের যৌক্তিক দাবিগুলো দেশের উন্নয়নে তাদের অবদানের কথা মাথায় রেখেই তিনি যাচাই-বাছাইপূর্বক পূরণের ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ এবং এএমআইই পরীক্ষার স্নাতকদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদসহ পুরস্কার তুলে দেন।

আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর এমপি, আইইবি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেইন ও আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আইইবির ৬১তম কনভেনশনের থিম সংয়ের পাশাপাশি একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে আপনারা (প্রকৌশলীরা) বিশেষভাবে অবদান রাখতে পারবেন, আমরা সেটা আশা করি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এই বাংলাদেশ যাতে আরও উন্নত হয় সে জন্য যা যা করণীয় আমরা তা করেছি। ইতিমধ্যে ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১’ আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এখন ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রণয়ন করে সেটাও আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আর জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি পরিকল্পনা ২০৩০ও একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ সময় ২০৪১ সালের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেখানে স্মার্ট জনসংখ্যা, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা করার জন্য আমি প্রকৌশলীদের বলব আপনারা আপনাদের মেধা ও মনন দিয়ে পরিকল্পনা কী নেওয়া যায়? কীভাবে এগোনো যায়? কোন কোন খাতকে আমরা আরও অগ্রাধিকার দিতে পারি—সে ক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ চাই। যেটা আমাদের কাজে লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে হবে। সেইভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেইভাবেই আমি পরিকল্পনা করছি।’
‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ২০২৬ সাল থেকে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে’—উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই এখন থেকেই এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা আমরা নিচ্ছি। কিন্তু এখান থেকে যে সুযোগগুলো আমরা পাব, সেগুলো যথাযথভাবে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হবে এবং আমরা তা পারব। কাজেই এখন থেকেই আমাদের সে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তাঁর সরকার সব সময়ই চায় কীভাবে দেশের মানুষ ভালো থাকবে এবং তাদের জীবনমান উন্নত হবে উল্লেখ করে দেশের উন্নয়ন যাদের চোখে পড়ে না সেই বিশেষ গোষ্ঠীর সমালোচনাও করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাই আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষ আছেন আপনি যা-ই করেন, কিছুই তাঁদের ভালো লাগে না। কিছু ভালো লাগে না একটা গোষ্ঠীই রয়েছে। যেমন কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগের কী দরকার ছিল বা স্যাটেলাইট-২-এরই বা প্রয়োজন কি আছে? পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেন করা হলো? শুধু শুধু টাকা নষ্ট। মেট্রোরেলের তো প্রয়োজনই ছিল না। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল না করে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো যানজট দূর হয়ে যেত।
তিনি এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করে তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেকেই বলেছিলেন বিশ্বব্যাংক ছাড়া হবে না। কিন্তু আমরা নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরাও পারি। জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে কিছু ভালো লাগে না গোষ্ঠীর এগুলো সফলভাবে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় পরে মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়ে যাওয়ায় তাদের কী অসুবিধা হচ্ছে, তারা কি এর সুবিধা ভোগ করছে না? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে যা আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমি বলব আমাদের প্রকৌশলীদেরও গবেষণা দরকার। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বহুমুখী করেছি। আগামীতে আরেকটি দিক আসছে হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমাদের গবেষণা দরকার। একই সঙ্গে স্বল্প খরচে টেকসই যন্ত্রপাতি নির্মাণ, স্থাপনা নির্মাণ ও মেরামতেও গবেষণা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৌশল ক্ষেত্রে আরও বেশি গবেষণা করে আপনাদের যে উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধা রয়েছে সেটাকে কীভাবে আমরা দেশের কাজে লাগাতে পারি সেদিকে আপনারা বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। কারণ আমাদের সবকিছুই নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে প্রকৌশলীদের ওপর।’
শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অতি দরিদ্রদের জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রশাসন থেকে প্রকৌশলী এমনকি সংশ্লিষ্ট সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। যার জন্য আজ ২১টি জেলা এবং ৩৩৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিতে পেরেছি। ইনশা আল্লাহ এই বাংলাদেশে একটি পরিবারও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।’
আরও অল্প খরচে এই সাধারণ মানুষগুলোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও সুন্দরভাবে বসবাস উপযোগী আবাসস্থল নির্মাণে কারও যদি কোনো পরামর্শ বা পরিকল্পনা থাকে তা দেওয়ার জন্যও তিনি প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতির পিতার কন্যা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নিচ্ছি বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক উন্নতি করে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে আমাদের প্রকৌশলীবৃন্দ। কাজেই আপনাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। সেটা আমরা করব।’
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
আজ শনিবার সকালে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। আইইবি ঢাকা সেন্টার রাজধানীতে আইইবি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গণমুখী, পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী, উপযুক্ত ও টেকসই কৌশল এবং পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে দ্রুততর করতে আলোচনার মাধ্যমে কৌশল ঠিক করুন, যাতে আমরা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের এই কনভেনশন যখন হয় তখন অতীতে বিভিন্ন সময়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের যে কর্মকাণ্ড তার সাফল্য ব্যর্থতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করবেন, বিশ্লেষণ করবেন। পাশাপাশি আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে এগিয়ে যাব, আরও দ্রুত উন্নতি করতে পারব সেই কৌশল কী হবে সেই বিষয়গুলোও আপনারা আলোচনা করবেন এবং সেই কৌশল নির্ধারণ করবেন। অন্তত আমরা যখন সরকারে আছি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারব। সেটাই আমি আপনাদের কাছ থেকে আশা করি।’
তাঁর সরকার যত পরিকল্পনা করছে বা দেশের উন্নয়ন করছে সেখানে প্রকৌশলীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যে পরিকল্পনা হোক সেই পরিকল্পনা যেন প্রথমত, পরিবেশবান্ধব হতে হবে। কারণ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য এবং এটা আমাদের করতেই হবে। আমাদের খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলাধারগুলোকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে জলাধার সংরক্ষিত রেখে এবং নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর এলাকায় পানির প্রবাহ ধরে রেখে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা নিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই হয় এবং খরচের দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে। অহেতুক যেকোনো পরিকল্পনা যেন আমরা গ্রহণ না করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একনেক বৈঠকেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে এর থেকে জনগণ কতটুকু লাভবান হবে বা এর রিটার্ন কী আসবে বা যেটা আমাদের জন্য উপযোগী সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু একটা নির্মাণকাজের জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, এটা আমার অনুরোধ। একটা কনস্ট্রাকশন হলে কিছু লোক কাজ পাবেন কিছু কমিশন বা কিছু লোক নানা সুবিধা পাবেন সেটা যেন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমি আমার পার্লামেন্টারি পার্টির এমপিদেরও নির্দেশ দিয়েছি। সংসদে বলেছি, একনেক সভাসহ সব জায়গায় বলেছি। আর সে রকম যদি কোনো প্রকল্প দেখি অবশ্যই আমি তা অনুমোদন করব না। যেটা আমার দেশের কাজে লাগবে, মানুষের কাজে লাগবে আর যে প্রকল্প শেষ করলে পরে তার থেকে দেশ কিছু লাভবান হবে, মানুষ লাভবান হবে, আমাদের উপার্জন হবে, সেভাবেই যেন পরিকল্পনা করা হয়। এটাই আমার কাম্য।’
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রকৌশলীদের যৌক্তিক দাবিগুলো দেশের উন্নয়নে তাদের অবদানের কথা মাথায় রেখেই তিনি যাচাই-বাছাইপূর্বক পূরণের ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ এবং এএমআইই পরীক্ষার স্নাতকদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদসহ পুরস্কার তুলে দেন।

আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর এমপি, আইইবি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেইন ও আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আইইবির ৬১তম কনভেনশনের থিম সংয়ের পাশাপাশি একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে আপনারা (প্রকৌশলীরা) বিশেষভাবে অবদান রাখতে পারবেন, আমরা সেটা আশা করি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এই বাংলাদেশ যাতে আরও উন্নত হয় সে জন্য যা যা করণীয় আমরা তা করেছি। ইতিমধ্যে ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১’ আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এখন ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রণয়ন করে সেটাও আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আর জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি পরিকল্পনা ২০৩০ও একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ সময় ২০৪১ সালের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেখানে স্মার্ট জনসংখ্যা, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা করার জন্য আমি প্রকৌশলীদের বলব আপনারা আপনাদের মেধা ও মনন দিয়ে পরিকল্পনা কী নেওয়া যায়? কীভাবে এগোনো যায়? কোন কোন খাতকে আমরা আরও অগ্রাধিকার দিতে পারি—সে ক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ চাই। যেটা আমাদের কাজে লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে হবে। সেইভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেইভাবেই আমি পরিকল্পনা করছি।’
‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ২০২৬ সাল থেকে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে’—উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই এখন থেকেই এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা আমরা নিচ্ছি। কিন্তু এখান থেকে যে সুযোগগুলো আমরা পাব, সেগুলো যথাযথভাবে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হবে এবং আমরা তা পারব। কাজেই এখন থেকেই আমাদের সে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তাঁর সরকার সব সময়ই চায় কীভাবে দেশের মানুষ ভালো থাকবে এবং তাদের জীবনমান উন্নত হবে উল্লেখ করে দেশের উন্নয়ন যাদের চোখে পড়ে না সেই বিশেষ গোষ্ঠীর সমালোচনাও করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাই আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষ আছেন আপনি যা-ই করেন, কিছুই তাঁদের ভালো লাগে না। কিছু ভালো লাগে না একটা গোষ্ঠীই রয়েছে। যেমন কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগের কী দরকার ছিল বা স্যাটেলাইট-২-এরই বা প্রয়োজন কি আছে? পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেন করা হলো? শুধু শুধু টাকা নষ্ট। মেট্রোরেলের তো প্রয়োজনই ছিল না। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল না করে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো যানজট দূর হয়ে যেত।
তিনি এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করে তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেকেই বলেছিলেন বিশ্বব্যাংক ছাড়া হবে না। কিন্তু আমরা নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরাও পারি। জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে কিছু ভালো লাগে না গোষ্ঠীর এগুলো সফলভাবে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় পরে মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়ে যাওয়ায় তাদের কী অসুবিধা হচ্ছে, তারা কি এর সুবিধা ভোগ করছে না? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে যা আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমি বলব আমাদের প্রকৌশলীদেরও গবেষণা দরকার। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বহুমুখী করেছি। আগামীতে আরেকটি দিক আসছে হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমাদের গবেষণা দরকার। একই সঙ্গে স্বল্প খরচে টেকসই যন্ত্রপাতি নির্মাণ, স্থাপনা নির্মাণ ও মেরামতেও গবেষণা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৌশল ক্ষেত্রে আরও বেশি গবেষণা করে আপনাদের যে উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধা রয়েছে সেটাকে কীভাবে আমরা দেশের কাজে লাগাতে পারি সেদিকে আপনারা বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। কারণ আমাদের সবকিছুই নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে প্রকৌশলীদের ওপর।’
শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অতি দরিদ্রদের জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রশাসন থেকে প্রকৌশলী এমনকি সংশ্লিষ্ট সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। যার জন্য আজ ২১টি জেলা এবং ৩৩৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিতে পেরেছি। ইনশা আল্লাহ এই বাংলাদেশে একটি পরিবারও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।’
আরও অল্প খরচে এই সাধারণ মানুষগুলোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও সুন্দরভাবে বসবাস উপযোগী আবাসস্থল নির্মাণে কারও যদি কোনো পরামর্শ বা পরিকল্পনা থাকে তা দেওয়ার জন্যও তিনি প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতির পিতার কন্যা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নিচ্ছি বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক উন্নতি করে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে আমাদের প্রকৌশলীবৃন্দ। কাজেই আপনাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। সেটা আমরা করব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
আজ শনিবার সকালে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। আইইবি ঢাকা সেন্টার রাজধানীতে আইইবি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গণমুখী, পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী, উপযুক্ত ও টেকসই কৌশল এবং পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে দ্রুততর করতে আলোচনার মাধ্যমে কৌশল ঠিক করুন, যাতে আমরা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের এই কনভেনশন যখন হয় তখন অতীতে বিভিন্ন সময়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের যে কর্মকাণ্ড তার সাফল্য ব্যর্থতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করবেন, বিশ্লেষণ করবেন। পাশাপাশি আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে এগিয়ে যাব, আরও দ্রুত উন্নতি করতে পারব সেই কৌশল কী হবে সেই বিষয়গুলোও আপনারা আলোচনা করবেন এবং সেই কৌশল নির্ধারণ করবেন। অন্তত আমরা যখন সরকারে আছি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারব। সেটাই আমি আপনাদের কাছ থেকে আশা করি।’
তাঁর সরকার যত পরিকল্পনা করছে বা দেশের উন্নয়ন করছে সেখানে প্রকৌশলীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যে পরিকল্পনা হোক সেই পরিকল্পনা যেন প্রথমত, পরিবেশবান্ধব হতে হবে। কারণ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য এবং এটা আমাদের করতেই হবে। আমাদের খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলাধারগুলোকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে জলাধার সংরক্ষিত রেখে এবং নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর এলাকায় পানির প্রবাহ ধরে রেখে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা নিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই হয় এবং খরচের দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে। অহেতুক যেকোনো পরিকল্পনা যেন আমরা গ্রহণ না করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একনেক বৈঠকেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে এর থেকে জনগণ কতটুকু লাভবান হবে বা এর রিটার্ন কী আসবে বা যেটা আমাদের জন্য উপযোগী সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু একটা নির্মাণকাজের জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, এটা আমার অনুরোধ। একটা কনস্ট্রাকশন হলে কিছু লোক কাজ পাবেন কিছু কমিশন বা কিছু লোক নানা সুবিধা পাবেন সেটা যেন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমি আমার পার্লামেন্টারি পার্টির এমপিদেরও নির্দেশ দিয়েছি। সংসদে বলেছি, একনেক সভাসহ সব জায়গায় বলেছি। আর সে রকম যদি কোনো প্রকল্প দেখি অবশ্যই আমি তা অনুমোদন করব না। যেটা আমার দেশের কাজে লাগবে, মানুষের কাজে লাগবে আর যে প্রকল্প শেষ করলে পরে তার থেকে দেশ কিছু লাভবান হবে, মানুষ লাভবান হবে, আমাদের উপার্জন হবে, সেভাবেই যেন পরিকল্পনা করা হয়। এটাই আমার কাম্য।’
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রকৌশলীদের যৌক্তিক দাবিগুলো দেশের উন্নয়নে তাদের অবদানের কথা মাথায় রেখেই তিনি যাচাই-বাছাইপূর্বক পূরণের ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ এবং এএমআইই পরীক্ষার স্নাতকদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদসহ পুরস্কার তুলে দেন।

আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর এমপি, আইইবি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেইন ও আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আইইবির ৬১তম কনভেনশনের থিম সংয়ের পাশাপাশি একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে আপনারা (প্রকৌশলীরা) বিশেষভাবে অবদান রাখতে পারবেন, আমরা সেটা আশা করি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এই বাংলাদেশ যাতে আরও উন্নত হয় সে জন্য যা যা করণীয় আমরা তা করেছি। ইতিমধ্যে ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১’ আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এখন ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রণয়ন করে সেটাও আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আর জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি পরিকল্পনা ২০৩০ও একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ সময় ২০৪১ সালের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেখানে স্মার্ট জনসংখ্যা, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা করার জন্য আমি প্রকৌশলীদের বলব আপনারা আপনাদের মেধা ও মনন দিয়ে পরিকল্পনা কী নেওয়া যায়? কীভাবে এগোনো যায়? কোন কোন খাতকে আমরা আরও অগ্রাধিকার দিতে পারি—সে ক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ চাই। যেটা আমাদের কাজে লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে হবে। সেইভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেইভাবেই আমি পরিকল্পনা করছি।’
‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ২০২৬ সাল থেকে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে’—উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই এখন থেকেই এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা আমরা নিচ্ছি। কিন্তু এখান থেকে যে সুযোগগুলো আমরা পাব, সেগুলো যথাযথভাবে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হবে এবং আমরা তা পারব। কাজেই এখন থেকেই আমাদের সে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তাঁর সরকার সব সময়ই চায় কীভাবে দেশের মানুষ ভালো থাকবে এবং তাদের জীবনমান উন্নত হবে উল্লেখ করে দেশের উন্নয়ন যাদের চোখে পড়ে না সেই বিশেষ গোষ্ঠীর সমালোচনাও করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাই আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষ আছেন আপনি যা-ই করেন, কিছুই তাঁদের ভালো লাগে না। কিছু ভালো লাগে না একটা গোষ্ঠীই রয়েছে। যেমন কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগের কী দরকার ছিল বা স্যাটেলাইট-২-এরই বা প্রয়োজন কি আছে? পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেন করা হলো? শুধু শুধু টাকা নষ্ট। মেট্রোরেলের তো প্রয়োজনই ছিল না। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল না করে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো যানজট দূর হয়ে যেত।
তিনি এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করে তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেকেই বলেছিলেন বিশ্বব্যাংক ছাড়া হবে না। কিন্তু আমরা নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরাও পারি। জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে কিছু ভালো লাগে না গোষ্ঠীর এগুলো সফলভাবে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় পরে মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়ে যাওয়ায় তাদের কী অসুবিধা হচ্ছে, তারা কি এর সুবিধা ভোগ করছে না? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে যা আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমি বলব আমাদের প্রকৌশলীদেরও গবেষণা দরকার। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বহুমুখী করেছি। আগামীতে আরেকটি দিক আসছে হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমাদের গবেষণা দরকার। একই সঙ্গে স্বল্প খরচে টেকসই যন্ত্রপাতি নির্মাণ, স্থাপনা নির্মাণ ও মেরামতেও গবেষণা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৌশল ক্ষেত্রে আরও বেশি গবেষণা করে আপনাদের যে উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধা রয়েছে সেটাকে কীভাবে আমরা দেশের কাজে লাগাতে পারি সেদিকে আপনারা বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। কারণ আমাদের সবকিছুই নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে প্রকৌশলীদের ওপর।’
শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে অতি দরিদ্রদের জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রশাসন থেকে প্রকৌশলী এমনকি সংশ্লিষ্ট সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। যার জন্য আজ ২১টি জেলা এবং ৩৩৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিতে পেরেছি। ইনশা আল্লাহ এই বাংলাদেশে একটি পরিবারও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।’
আরও অল্প খরচে এই সাধারণ মানুষগুলোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও সুন্দরভাবে বসবাস উপযোগী আবাসস্থল নির্মাণে কারও যদি কোনো পরামর্শ বা পরিকল্পনা থাকে তা দেওয়ার জন্যও তিনি প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতির পিতার কন্যা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নিচ্ছি বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক উন্নতি করে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে আমাদের প্রকৌশলীবৃন্দ। কাজেই আপনাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। সেটা আমরা করব।’

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিন মজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
১১ মে ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিন মজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
১১ মে ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিন মজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
১১ মে ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিত্তশালীরা কেবল নয়, আমি চাই আমার রিকশাওয়ালা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ দিন মজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে এই তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এ কথা মাথায় রেখেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। দেখবেন নিজেদেরও ভালো লাগবে।’
১১ মে ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে