Ajker Patrika

আসছে সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের নীতিমালা, প্রধান তথ্য কর্মকর্তার একক কর্তৃত্ব থাকছে না

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০: ০১
Thumbnail image
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি : বাসস

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করা হবে। বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আজ এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, নতুন নীতিমালার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্ত সাংবাদিকতার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে এই কমিটি। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয় ও সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ বডি নীতিমালাটি চূড়ান্ত করবে।

সর্বশেষ ২০২২ সালের অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার বেশ কিছু ধারা পর্যালোচনার পর আপত্তিকর শব্দ ও বিধান বাতিলের সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন প্রচারের বাধ্যবাধকতা, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী।

এ ছাড়া, সাংবাদিকদের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু সংস্থাকে অবহিত করার নিয়ম বাতিলের সুপারিশ করা হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সংবাদপত্রের সার্কুলেশন অনুযায়ী কার্ড ইস্যুর বিধান পরিবর্তন করে, সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক সংখ্যা অনুযায়ী ৩০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১৫ জনকে কার্ড দেওয়া হবে।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালায় প্রস্তাব করা হয়েছে যে, একজন সাংবাদিককে কমপক্ষে ২০ বছর সাংবাদিকতায় যুক্ত থাকতে হবে অথবা সাংবাদিকতার অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা ফ্রিল্যান্সার কার্ড পাবেন।

আগে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কার্ড ইস্যু করতেন, তবে এবার সাংবাদিক ও বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে গঠিত কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো সাংবাদিক কার্ড না পেলে তিনি আপিল করতে পারবেন। আপিল বোর্ডে জাতীয় পর্যায়ে পত্রিকার সম্পাদক, বিচারপতি এবং বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিরা থাকবেন। জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের কার্ড জেলা কমিটির মাধ্যমে প্রদান করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ধরনের কার্ডের পরিবর্তে একটি কার্ড দেওয়া হবে, যার মেয়াদ থাকবে তিন বছর।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলে আগে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কার্ড বাতিল করতে পারতেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শুধু মামলার রায়ে দোষী প্রমাণিত হলে কার্ড বাতিল হবে। তবে চূড়ান্ত চার্জশিট হলে কমিটি তার কার্ড স্থগিত করতে পারবে।

আজাদ মজুমদার আরও জানান, ১৬৭ জন সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করা হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র সাতজন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত