জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
তানিম আহমেদ, ঢাকা
পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন। তাঁরা বলছেন, পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নয়, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথমে দল ও জোটগতভাবে আলোচনা করবে। তবে আমরা পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নিয়ে এগোচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এই আলোচনা খুব দ্রুত শুরু করতে চাই।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এরপর সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো দল যদি একটি সংস্কার প্রস্তাবেও একমত না হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কোন দল কতটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলে তা জানাতে পারবে কমিশনকে। কমিশন তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো ৬ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সরবরাহ করার জন্য বলে। এরপর দলগুলোর কাছে তা পাঠানো হয়। পরে ৭ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি ৫ কমিশনের সুপারিশগুলোর সারসংক্ষেপ একটি স্প্রেডশিটে ছক আকারে ৩৭টি দলের কাছে পাঠানো হয়।
স্প্রেডশিটে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট সুপারিশের ক্ষেত্রে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এই তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়তটি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন—‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দলগুলোর মতামত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কমিশন। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহ থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আশা করছেন তাঁরা, যা ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। রোজার ঈদের ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল থেকে আবার সংলাপ করবে কমিশন। তবে সব বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংলাপ হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। তাদের দু-তিনটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা ছাড়া ব্যাপকভিত্তিক দ্বিমত আমরা দেখতে পাচ্ছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যগুলো দূর হবে আশা করছি। দলগুলো আংশিকভাবে একমত যেসব বিষয়ে, সেগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। যেটাতে একমত নয়, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দল আগে তাদের প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠাবে, সেই দলের সঙ্গে আগেই আলোচনা শুরু করবে। প্রথমে দল, জোটগত সংলাপ করা হবে। এরপর যেসব দল একই মতের হবে, তাদের সঙ্গে বসবে কমিশন। এর মধ্যে একাধিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বলেও সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের এক সদস্য বলেন, এটা এমন একটা কাজ, যার জন্য অনেক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে হয়, সেটা নিয়ে বলার কিছুই নেই।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা কথা বলছেন। অনেকে বলছেন, সংস্কারের নামে সরকার নির্বাচনকে পেছাতে চায়। নেতাদের এসব কথাবার্তাকে ‘মেঠো বক্তব্য’ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মনির হায়দার বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে তাঁদের বড় রকমের দ্বিমত নেই।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত তুলে ধরতে দলীয় ফোরাম ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সময়মতো আমাদের প্রস্তাব ও মতামত লিখিতভাবে জানাব। এটা নিয়ে দলের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করছে।’
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে খুব দ্রুত বৈঠক বসবে দলটি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে বসতে দেরি হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার বিষয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরে তা লিখিত আকারে জানানো হবে।
কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে দলীয় মতামত কী হবে, তা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব সংস্কার সংবিধানসম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করব, যা পরের সরকার আইনে পরিণত করবে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার গণপরিষদ ও নির্বাচিত আইনসভার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেব। একই সঙ্গে জুলাই চার্টারকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচটি কমিশনের যেসব প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি, সেগুলোর মতামত জানানোর জন্য বলেছি। কারণ এগুলোর জন্য কাঠামোগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছি। চাইলে বাইরের বিষয়েও তাদের মতামত দিতে পারবে।’
পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন। তাঁরা বলছেন, পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নয়, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথমে দল ও জোটগতভাবে আলোচনা করবে। তবে আমরা পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নিয়ে এগোচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এই আলোচনা খুব দ্রুত শুরু করতে চাই।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এরপর সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো দল যদি একটি সংস্কার প্রস্তাবেও একমত না হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কোন দল কতটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলে তা জানাতে পারবে কমিশনকে। কমিশন তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো ৬ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সরবরাহ করার জন্য বলে। এরপর দলগুলোর কাছে তা পাঠানো হয়। পরে ৭ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি ৫ কমিশনের সুপারিশগুলোর সারসংক্ষেপ একটি স্প্রেডশিটে ছক আকারে ৩৭টি দলের কাছে পাঠানো হয়।
স্প্রেডশিটে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট সুপারিশের ক্ষেত্রে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এই তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়তটি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন—‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দলগুলোর মতামত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কমিশন। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহ থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আশা করছেন তাঁরা, যা ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। রোজার ঈদের ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল থেকে আবার সংলাপ করবে কমিশন। তবে সব বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংলাপ হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। তাদের দু-তিনটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা ছাড়া ব্যাপকভিত্তিক দ্বিমত আমরা দেখতে পাচ্ছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যগুলো দূর হবে আশা করছি। দলগুলো আংশিকভাবে একমত যেসব বিষয়ে, সেগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। যেটাতে একমত নয়, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দল আগে তাদের প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠাবে, সেই দলের সঙ্গে আগেই আলোচনা শুরু করবে। প্রথমে দল, জোটগত সংলাপ করা হবে। এরপর যেসব দল একই মতের হবে, তাদের সঙ্গে বসবে কমিশন। এর মধ্যে একাধিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বলেও সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের এক সদস্য বলেন, এটা এমন একটা কাজ, যার জন্য অনেক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে হয়, সেটা নিয়ে বলার কিছুই নেই।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা কথা বলছেন। অনেকে বলছেন, সংস্কারের নামে সরকার নির্বাচনকে পেছাতে চায়। নেতাদের এসব কথাবার্তাকে ‘মেঠো বক্তব্য’ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মনির হায়দার বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে তাঁদের বড় রকমের দ্বিমত নেই।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত তুলে ধরতে দলীয় ফোরাম ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সময়মতো আমাদের প্রস্তাব ও মতামত লিখিতভাবে জানাব। এটা নিয়ে দলের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করছে।’
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে খুব দ্রুত বৈঠক বসবে দলটি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে বসতে দেরি হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার বিষয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরে তা লিখিত আকারে জানানো হবে।
কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে দলীয় মতামত কী হবে, তা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব সংস্কার সংবিধানসম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করব, যা পরের সরকার আইনে পরিণত করবে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার গণপরিষদ ও নির্বাচিত আইনসভার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেব। একই সঙ্গে জুলাই চার্টারকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচটি কমিশনের যেসব প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি, সেগুলোর মতামত জানানোর জন্য বলেছি। কারণ এগুলোর জন্য কাঠামোগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছি। চাইলে বাইরের বিষয়েও তাদের মতামত দিতে পারবে।’
মাগুরায় বোনের বাড়িতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৮ বছরের এক শিশুর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সারা দেশ। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন নারীসমাজ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এর মধ্যেই গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের আরেক শিশুশিক্ষার্থী।
৬ ঘণ্টা আগেঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন।
৬ ঘণ্টা আগেপরিবার-পরিজনের সঙ্গে আসন্ন ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করতে বাড়ি ফিরবে লাখ লাখ মানুষ। এতে যানবাহনের চাপ বাড়বে সড়ক-মহাসড়কে। এবার সারা দেশে যানজটের জন্য ১৫৯টি সম্ভাব্য স্পট (স্থান) চিহ্নিত করেছে জননিরাপত্তা বিভাগ। এসব জায়গায় যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ঈদের আগে এবং পরে এসব স্পট বিশেষ মনিটরিংয়ের
৯ ঘণ্টা আগেএখন থেকে কেউ মব জাস্টিস বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ঘটনাস্থল থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। যেখানে মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সে যে-ই হোন না কেন, যে ধর্মের, যে লিঙ্গের, যে বর্ণের হোন না কেন—এখন থেকে কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হব
১১ ঘণ্টা আগে