জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
তানিম আহমেদ, ঢাকা

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন। তাঁরা বলছেন, পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নয়, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথমে দল ও জোটগতভাবে আলোচনা করবে। তবে আমরা পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নিয়ে এগোচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এই আলোচনা খুব দ্রুত শুরু করতে চাই।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এরপর সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো দল যদি একটি সংস্কার প্রস্তাবেও একমত না হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কোন দল কতটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলে তা জানাতে পারবে কমিশনকে। কমিশন তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো ৬ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সরবরাহ করার জন্য বলে। এরপর দলগুলোর কাছে তা পাঠানো হয়। পরে ৭ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি ৫ কমিশনের সুপারিশগুলোর সারসংক্ষেপ একটি স্প্রেডশিটে ছক আকারে ৩৭টি দলের কাছে পাঠানো হয়।
স্প্রেডশিটে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট সুপারিশের ক্ষেত্রে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এই তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়তটি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন—‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দলগুলোর মতামত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কমিশন। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহ থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আশা করছেন তাঁরা, যা ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। রোজার ঈদের ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল থেকে আবার সংলাপ করবে কমিশন। তবে সব বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংলাপ হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। তাদের দু-তিনটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা ছাড়া ব্যাপকভিত্তিক দ্বিমত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যগুলো দূর হবে আশা করছি। দলগুলো আংশিকভাবে একমত যেসব বিষয়ে, সেগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। যেটাতে একমত নয়, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দল আগে তাদের প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠাবে, সেই দলের সঙ্গে আগেই আলোচনা শুরু করবে। প্রথমে দল, জোটগত সংলাপ করা হবে। এরপর যেসব দল একই মতের হবে, তাদের সঙ্গে বসবে কমিশন। এর মধ্যে একাধিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বলেও সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের এক সদস্য বলেন, এটা এমন একটা কাজ, যার জন্য অনেক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে হয়, সেটা নিয়ে বলার কিছুই নেই।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা কথা বলছেন। অনেকে বলছেন, সংস্কারের নামে সরকার নির্বাচনকে পেছাতে চায়। নেতাদের এসব কথাবার্তাকে ‘মেঠো বক্তব্য’ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মনির হায়দার বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে তাঁদের বড় রকমের দ্বিমত নেই।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত তুলে ধরতে দলীয় ফোরাম ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সময়মতো আমাদের প্রস্তাব ও মতামত লিখিতভাবে জানাব। এটা নিয়ে দলের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করছে।’
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে খুব দ্রুত বৈঠক বসবে দলটি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে বসতে দেরি হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার বিষয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরে তা লিখিত আকারে জানানো হবে।
কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে দলীয় মতামত কী হবে, তা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব সংস্কার সংবিধানসম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করব, যা পরের সরকার আইনে পরিণত করবে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার গণপরিষদ ও নির্বাচিত আইনসভার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেব। একই সঙ্গে জুলাই চার্টারকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচটি কমিশনের যেসব প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি, সেগুলোর মতামত জানানোর জন্য বলেছি। কারণ এগুলোর জন্য কাঠামোগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছি। চাইলে বাইরের বিষয়েও তাদের মতামত দিতে পারবে।’

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন। তাঁরা বলছেন, পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নয়, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথমে দল ও জোটগতভাবে আলোচনা করবে। তবে আমরা পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নিয়ে এগোচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এই আলোচনা খুব দ্রুত শুরু করতে চাই।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এরপর সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো দল যদি একটি সংস্কার প্রস্তাবেও একমত না হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কোন দল কতটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলে তা জানাতে পারবে কমিশনকে। কমিশন তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো ৬ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সরবরাহ করার জন্য বলে। এরপর দলগুলোর কাছে তা পাঠানো হয়। পরে ৭ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি ৫ কমিশনের সুপারিশগুলোর সারসংক্ষেপ একটি স্প্রেডশিটে ছক আকারে ৩৭টি দলের কাছে পাঠানো হয়।
স্প্রেডশিটে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট সুপারিশের ক্ষেত্রে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এই তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়তটি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন—‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দলগুলোর মতামত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কমিশন। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহ থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আশা করছেন তাঁরা, যা ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। রোজার ঈদের ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল থেকে আবার সংলাপ করবে কমিশন। তবে সব বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংলাপ হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। তাদের দু-তিনটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা ছাড়া ব্যাপকভিত্তিক দ্বিমত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যগুলো দূর হবে আশা করছি। দলগুলো আংশিকভাবে একমত যেসব বিষয়ে, সেগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। যেটাতে একমত নয়, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দল আগে তাদের প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠাবে, সেই দলের সঙ্গে আগেই আলোচনা শুরু করবে। প্রথমে দল, জোটগত সংলাপ করা হবে। এরপর যেসব দল একই মতের হবে, তাদের সঙ্গে বসবে কমিশন। এর মধ্যে একাধিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বলেও সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের এক সদস্য বলেন, এটা এমন একটা কাজ, যার জন্য অনেক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে হয়, সেটা নিয়ে বলার কিছুই নেই।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা কথা বলছেন। অনেকে বলছেন, সংস্কারের নামে সরকার নির্বাচনকে পেছাতে চায়। নেতাদের এসব কথাবার্তাকে ‘মেঠো বক্তব্য’ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মনির হায়দার বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে তাঁদের বড় রকমের দ্বিমত নেই।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত তুলে ধরতে দলীয় ফোরাম ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সময়মতো আমাদের প্রস্তাব ও মতামত লিখিতভাবে জানাব। এটা নিয়ে দলের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করছে।’
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে খুব দ্রুত বৈঠক বসবে দলটি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে বসতে দেরি হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার বিষয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরে তা লিখিত আকারে জানানো হবে।
কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে দলীয় মতামত কী হবে, তা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব সংস্কার সংবিধানসম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করব, যা পরের সরকার আইনে পরিণত করবে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার গণপরিষদ ও নির্বাচিত আইনসভার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেব। একই সঙ্গে জুলাই চার্টারকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচটি কমিশনের যেসব প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি, সেগুলোর মতামত জানানোর জন্য বলেছি। কারণ এগুলোর জন্য কাঠামোগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছি। চাইলে বাইরের বিষয়েও তাদের মতামত দিতে পারবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
তানিম আহমেদ, ঢাকা

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন। তাঁরা বলছেন, পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নয়, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথমে দল ও জোটগতভাবে আলোচনা করবে। তবে আমরা পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নিয়ে এগোচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এই আলোচনা খুব দ্রুত শুরু করতে চাই।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এরপর সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো দল যদি একটি সংস্কার প্রস্তাবেও একমত না হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কোন দল কতটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলে তা জানাতে পারবে কমিশনকে। কমিশন তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো ৬ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সরবরাহ করার জন্য বলে। এরপর দলগুলোর কাছে তা পাঠানো হয়। পরে ৭ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি ৫ কমিশনের সুপারিশগুলোর সারসংক্ষেপ একটি স্প্রেডশিটে ছক আকারে ৩৭টি দলের কাছে পাঠানো হয়।
স্প্রেডশিটে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট সুপারিশের ক্ষেত্রে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এই তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়তটি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন—‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দলগুলোর মতামত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কমিশন। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহ থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আশা করছেন তাঁরা, যা ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। রোজার ঈদের ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল থেকে আবার সংলাপ করবে কমিশন। তবে সব বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংলাপ হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। তাদের দু-তিনটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা ছাড়া ব্যাপকভিত্তিক দ্বিমত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যগুলো দূর হবে আশা করছি। দলগুলো আংশিকভাবে একমত যেসব বিষয়ে, সেগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। যেটাতে একমত নয়, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দল আগে তাদের প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠাবে, সেই দলের সঙ্গে আগেই আলোচনা শুরু করবে। প্রথমে দল, জোটগত সংলাপ করা হবে। এরপর যেসব দল একই মতের হবে, তাদের সঙ্গে বসবে কমিশন। এর মধ্যে একাধিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বলেও সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের এক সদস্য বলেন, এটা এমন একটা কাজ, যার জন্য অনেক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে হয়, সেটা নিয়ে বলার কিছুই নেই।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা কথা বলছেন। অনেকে বলছেন, সংস্কারের নামে সরকার নির্বাচনকে পেছাতে চায়। নেতাদের এসব কথাবার্তাকে ‘মেঠো বক্তব্য’ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মনির হায়দার বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে তাঁদের বড় রকমের দ্বিমত নেই।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত তুলে ধরতে দলীয় ফোরাম ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সময়মতো আমাদের প্রস্তাব ও মতামত লিখিতভাবে জানাব। এটা নিয়ে দলের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করছে।’
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে খুব দ্রুত বৈঠক বসবে দলটি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে বসতে দেরি হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার বিষয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরে তা লিখিত আকারে জানানো হবে।
কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে দলীয় মতামত কী হবে, তা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব সংস্কার সংবিধানসম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করব, যা পরের সরকার আইনে পরিণত করবে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার গণপরিষদ ও নির্বাচিত আইনসভার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেব। একই সঙ্গে জুলাই চার্টারকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচটি কমিশনের যেসব প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি, সেগুলোর মতামত জানানোর জন্য বলেছি। কারণ এগুলোর জন্য কাঠামোগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছি। চাইলে বাইরের বিষয়েও তাদের মতামত দিতে পারবে।’

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন। তাঁরা বলছেন, পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নয়, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথমে দল ও জোটগতভাবে আলোচনা করবে। তবে আমরা পূর্বপরিকল্পিত কোনো কাঠামো নিয়ে এগোচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এই আলোচনা খুব দ্রুত শুরু করতে চাই।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এরপর সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো দল যদি একটি সংস্কার প্রস্তাবেও একমত না হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কোন দল কতটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলে তা জানাতে পারবে কমিশনকে। কমিশন তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো ৬ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সরবরাহ করার জন্য বলে। এরপর দলগুলোর কাছে তা পাঠানো হয়। পরে ৭ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি ৫ কমিশনের সুপারিশগুলোর সারসংক্ষেপ একটি স্প্রেডশিটে ছক আকারে ৩৭টি দলের কাছে পাঠানো হয়।
স্প্রেডশিটে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট সুপারিশের ক্ষেত্রে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এই তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়তটি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন—‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দলগুলোর মতামত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কমিশন। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহ থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আশা করছেন তাঁরা, যা ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। রোজার ঈদের ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল থেকে আবার সংলাপ করবে কমিশন। তবে সব বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংলাপ হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। তাদের দু-তিনটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা ছাড়া ব্যাপকভিত্তিক দ্বিমত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যগুলো দূর হবে আশা করছি। দলগুলো আংশিকভাবে একমত যেসব বিষয়ে, সেগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। যেটাতে একমত নয়, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দল আগে তাদের প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠাবে, সেই দলের সঙ্গে আগেই আলোচনা শুরু করবে। প্রথমে দল, জোটগত সংলাপ করা হবে। এরপর যেসব দল একই মতের হবে, তাদের সঙ্গে বসবে কমিশন। এর মধ্যে একাধিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বলেও সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের এক সদস্য বলেন, এটা এমন একটা কাজ, যার জন্য অনেক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে হয়, সেটা নিয়ে বলার কিছুই নেই।
সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা কথা বলছেন। অনেকে বলছেন, সংস্কারের নামে সরকার নির্বাচনকে পেছাতে চায়। নেতাদের এসব কথাবার্তাকে ‘মেঠো বক্তব্য’ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মনির হায়দার বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে তাঁদের বড় রকমের দ্বিমত নেই।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত তুলে ধরতে দলীয় ফোরাম ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সময়মতো আমাদের প্রস্তাব ও মতামত লিখিতভাবে জানাব। এটা নিয়ে দলের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করছে।’
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে খুব দ্রুত বৈঠক বসবে দলটি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে বসতে দেরি হচ্ছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার বিষয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরে তা লিখিত আকারে জানানো হবে।
কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে দলীয় মতামত কী হবে, তা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব সংস্কার সংবিধানসম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করব, যা পরের সরকার আইনে পরিণত করবে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার গণপরিষদ ও নির্বাচিত আইনসভার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেব। একই সঙ্গে জুলাই চার্টারকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচটি কমিশনের যেসব প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি, সেগুলোর মতামত জানানোর জন্য বলেছি। কারণ এগুলোর জন্য কাঠামোগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছি। চাইলে বাইরের বিষয়েও তাদের মতামত দিতে পারবে।’

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র হজ পালন
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন।
১০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক পর জেইসি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন।
১০ মার্চ ২০২৫
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন।
১০ মার্চ ২০২৫
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলগুলোকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন।
১০ মার্চ ২০২৫
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে