নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাক
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এ দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। এই হত্যার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত কমিটি যেটা করা হবে তা হতে হবে সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকায় জাতীয় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
সোহেল তাজ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন। বিচক্ষণ ও দুর্দশার সঙ্গে তাঁরা সরকার পরিচালনা করেছেন এমন একটি বৈরী অবস্থায়, যখন গ্লোবাল পলিটিক্যাল অবস্থা মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছিল, যখন সোভিয়েত রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। ১ কোটি শরণার্থীকে সামলানো, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রসজ্জিত করা, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যাঁরা আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে; সেই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহচর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাসের মাথায়। অবশ্যই এ দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। এই হত্যার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।
মেজর জিয়া সামরিক ফরমান জারি করে এই বিচার নিষিদ্ধ করেছিল। তিনিও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মানুষ কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আমাদের সবকিছু পুঙ্খানুভাবে তদন্ত করে বের করে নিয়ে আসা উচিত। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ছিল। কীভাবে কী হয়েছে। আমি মনে করি সবকিছু জানার অধিকার আছে। এবং সম্পূর্ণ তদন্ত করে বের করতে হবে। সত্য কিন্তু তিতা হয় ৷ কিন্তু সবকিছু আনতে হবে। সমস্ত সত্য বের করে আনতে হবে।
কমিশন গঠনের বিষয়টিকে বিএনপি প্রহসন বলছে, এতে তারা বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে কি না জানতে চাইলে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার মনে হয়, তদন্ত কমিটি যেটা করা হবে সেটি হতে হবে গ্রহণযোগ্য, এমন মানুষ দিয়ে তদন্ত করতে হবে, যিনি সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য, এখানে যেন কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে। এটা জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলীর পরিবারের পক্ষে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমপুত্র বলেন, জাতীয় চার নেতার খুনিরা বিদেশে পলাতক রয়েছে। আমাদের দাবি, এই ১০ খুনিকে ফেরত আনতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, কিন্তু বিশ্বের বড় বড় যে দেশ মানবতার কথা বলে, আমাদের জাতীয় চার নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আহ্বান, আপনাদের দেশে খুনিরা লুকিয়ে আছে। তাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হোক এবং বিচার করা হোক। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবেরা আছেন, তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।
কামারুজ্জামানের ছোট ছেলে এহসানুজ্জামান স্বপন বলেন, এই বিচার পেতে আমদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিচার ২০১৫ সালে শেষ হয়। আমার মা দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি এই বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য যে তিনি এই বিচার দেখে গিয়েছেন। যদিও তিনি রায় শুনে গেছেন, তবে রায় বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এ দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। এই হত্যার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত কমিটি যেটা করা হবে তা হতে হবে সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকায় জাতীয় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
সোহেল তাজ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন। বিচক্ষণ ও দুর্দশার সঙ্গে তাঁরা সরকার পরিচালনা করেছেন এমন একটি বৈরী অবস্থায়, যখন গ্লোবাল পলিটিক্যাল অবস্থা মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছিল, যখন সোভিয়েত রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। ১ কোটি শরণার্থীকে সামলানো, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রসজ্জিত করা, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যাঁরা আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে; সেই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহচর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাসের মাথায়। অবশ্যই এ দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। এই হত্যার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।
মেজর জিয়া সামরিক ফরমান জারি করে এই বিচার নিষিদ্ধ করেছিল। তিনিও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মানুষ কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আমাদের সবকিছু পুঙ্খানুভাবে তদন্ত করে বের করে নিয়ে আসা উচিত। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ছিল। কীভাবে কী হয়েছে। আমি মনে করি সবকিছু জানার অধিকার আছে। এবং সম্পূর্ণ তদন্ত করে বের করতে হবে। সত্য কিন্তু তিতা হয় ৷ কিন্তু সবকিছু আনতে হবে। সমস্ত সত্য বের করে আনতে হবে।
কমিশন গঠনের বিষয়টিকে বিএনপি প্রহসন বলছে, এতে তারা বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে কি না জানতে চাইলে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার মনে হয়, তদন্ত কমিটি যেটা করা হবে সেটি হতে হবে গ্রহণযোগ্য, এমন মানুষ দিয়ে তদন্ত করতে হবে, যিনি সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য, এখানে যেন কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে। এটা জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলীর পরিবারের পক্ষে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমপুত্র বলেন, জাতীয় চার নেতার খুনিরা বিদেশে পলাতক রয়েছে। আমাদের দাবি, এই ১০ খুনিকে ফেরত আনতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, কিন্তু বিশ্বের বড় বড় যে দেশ মানবতার কথা বলে, আমাদের জাতীয় চার নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আহ্বান, আপনাদের দেশে খুনিরা লুকিয়ে আছে। তাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হোক এবং বিচার করা হোক। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবেরা আছেন, তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।
কামারুজ্জামানের ছোট ছেলে এহসানুজ্জামান স্বপন বলেন, এই বিচার পেতে আমদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিচার ২০১৫ সালে শেষ হয়। আমার মা দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি এই বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য যে তিনি এই বিচার দেখে গিয়েছেন। যদিও তিনি রায় শুনে গেছেন, তবে রায় বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে। ফলে এসব ট্রেনও চলার পথে থমকে যাওয়ায় একই রকম ভোগান্তিতে পড়ত
১ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
২ ঘণ্টা আগে