নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নীরবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে—এমন বক্তব্য দেওয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। এ সময় তাঁরা বলেন, বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জাপা চেয়ারম্যান কেন সমালোচনা করছেন তা তাঁরা বোঝেন না।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি, সবাইকে বুকে হাত দিয়ে বলতে হবে আসলেই আমরা কী মূলধারার সঠিক রাজনীতি চাই কি না। নাকি এখানে এসে সুবিধা নিয়ে অন্যদিকে কথা বলি।’
বাংলাদেশ নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে—জি এম কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে গেছে, বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট হয়ে গেছে; অনেক কিছু বলেন। তিনি বলেন সেটা আমরা বুঝি। কিন্তু জি এম কাদের সাহেব যে বললেন, সেটি আমরা বুঝি না। কারণ হচ্ছে, তাঁর দল শেখ হাসিনার কাছ থেকে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে, এ ধরনের অসত্য ভাষণ দেবেন। সেটাতো আমরা বুঝি না। আল্লাহপাক কোরআন শরিফে বলেছেন, যত মোনাফেক আছে সবগুলো মিথ্যাবাদী। আমি ওনাকে মিথ্যাবাদী বলতে চাই না। তিনি হয়তো ভুল করেছেন, কারও কাছ থেকে ভুল শিক্ষা পেয়েছেন, কারও কাছ থেকে শুনেছেন।’
দিনাজপুর-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে গেলাম। বিরোধীদলীয় উপনেতা বললেন, দেশ নাকি নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। আমীর খসরু (বিএনপি নেতা) সে কথা বললে সহ্য হয়। এ কথা ফখরুল (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) বললে সহ্য হয়। জি এম কাদের সাহেব বললেন, দেশ নাকি নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। টের পাচ্ছে না কেউ। নীরবেই হয়ে গেছে। সশব্দে হওয়ার কথা। কিন্তু নীরবেই হয়ে গেছে। অর্থাৎ আমাদের অগ্রগতি নজরে পড়ে না। গণতন্ত্র নিয়ে সবক দিচ্ছে।’
দেশের সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যারা দেখতে পায় না, দয়া করে তাদের চোখ অপারেশন করা দরকার। এত মানুষের অপারেশনের ব্যবস্থা তো সরকার করতে পারবে না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এদের চক্ষু, অন্তর খুলে দেন। এরা যেন দেখে ভালো করে। আর যেন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে।’
নীরবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে—এমন বক্তব্য দেওয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। এ সময় তাঁরা বলেন, বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জাপা চেয়ারম্যান কেন সমালোচনা করছেন তা তাঁরা বোঝেন না।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি, সবাইকে বুকে হাত দিয়ে বলতে হবে আসলেই আমরা কী মূলধারার সঠিক রাজনীতি চাই কি না। নাকি এখানে এসে সুবিধা নিয়ে অন্যদিকে কথা বলি।’
বাংলাদেশ নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে—জি এম কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে গেছে, বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট হয়ে গেছে; অনেক কিছু বলেন। তিনি বলেন সেটা আমরা বুঝি। কিন্তু জি এম কাদের সাহেব যে বললেন, সেটি আমরা বুঝি না। কারণ হচ্ছে, তাঁর দল শেখ হাসিনার কাছ থেকে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে, এ ধরনের অসত্য ভাষণ দেবেন। সেটাতো আমরা বুঝি না। আল্লাহপাক কোরআন শরিফে বলেছেন, যত মোনাফেক আছে সবগুলো মিথ্যাবাদী। আমি ওনাকে মিথ্যাবাদী বলতে চাই না। তিনি হয়তো ভুল করেছেন, কারও কাছ থেকে ভুল শিক্ষা পেয়েছেন, কারও কাছ থেকে শুনেছেন।’
দিনাজপুর-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে গেলাম। বিরোধীদলীয় উপনেতা বললেন, দেশ নাকি নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। আমীর খসরু (বিএনপি নেতা) সে কথা বললে সহ্য হয়। এ কথা ফখরুল (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) বললে সহ্য হয়। জি এম কাদের সাহেব বললেন, দেশ নাকি নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। টের পাচ্ছে না কেউ। নীরবেই হয়ে গেছে। সশব্দে হওয়ার কথা। কিন্তু নীরবেই হয়ে গেছে। অর্থাৎ আমাদের অগ্রগতি নজরে পড়ে না। গণতন্ত্র নিয়ে সবক দিচ্ছে।’
দেশের সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যারা দেখতে পায় না, দয়া করে তাদের চোখ অপারেশন করা দরকার। এত মানুষের অপারেশনের ব্যবস্থা তো সরকার করতে পারবে না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এদের চক্ষু, অন্তর খুলে দেন। এরা যেন দেখে ভালো করে। আর যেন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি আজ। রক্তক্ষয়ী গণবিক্ষোভের মুখে গত বছরের এই দিনে পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের অন্যতম কর্তব্যের একটি ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ ঘোষণা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী,
৪০ মিনিট আগেপরপর তিনটি নির্বাচনে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ। দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসন, চাকরিতে বৈষম্য, সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক খাতে লুটপাট, বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও নির্যাতনে ক্ষুব্ধ ছিল জনগণ। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে জুলাইয়ে ছাত্র- জনতার আন্দোলনে।
৮ ঘণ্টা আগেটানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং দমনপীড়নের নির্লজ্জ রূপ প্রদর্শন করে ১৫ বছর ৭ মাস প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট স্বৈরাচারী শাসকদের কাতারে নিজের অবস্থান পাকা করেছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখের মতো গোলাবারুদ এক বছরেও উদ্ধার হয়নি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের...
৮ ঘণ্টা আগে