নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছে।
আজ রোববার টিআইবি প্রকাশিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম থেকে ২২তম অধিবেশন (জানুয়ারি ২০১৯-এপ্রিল ২০২৩) ’ গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ২২ অধিবেশনে কোরাম সংকটে মোট ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ টাকা। কোরাম সংকটে ব্যয় করা সময়ের মিনিট প্রতি ব্যয় প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ টাকা।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোরাম সংকটে শুরুতে ৮৪ ভাগ অধিবেশন দেরিতে শুরু হয়েছে। বিরতির পর শতভাগ বিলম্বে শুরু হয়েছে আরও বেশি। আমাদের অধিবেশন শুরু করার জন্য মাত্র ৬৫ জন সংসদ সদস্য লাগে। ৩৫০ জনের মধ্যে ৬৫ জন সংসদ সদস্য যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারবেন না, এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের প্রত্যাশিত কার্যকর ভূমিকা পালনের ঘাটতি দেখা গেছে। এই ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে কার্যকর বিরোধী দল বলতে যা বোঝায় তার উপস্থিতি সংসদে ছিল বলা যায় না। এ কারণেই সংসদ মূলত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। ক্ষমতাসীনদের সংসদে একচ্ছত্র ভূমিকা পালন করতে দেখেছি।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী মাসে অন্তত একটি সংসদীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেটি একটি কমিটিও পূরণ করতে পারেনি।
সংসদ কার্যকর করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ বাস্তবিক অর্থে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিসহ ১৩টি সুপারিশ করা হয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারদলীয় সদস্যদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ব্যয় করা সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সময় ব্যয় হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় ১৯.৮ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন অর্জনের প্রশংসায় ১৯.৪ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে। প্রায় ১৮ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন অন্য দলের সমালোচনায়। আর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন ০.৪ শতাংশ সময়।
এ দিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় মোট ব্যয় করা সময় ১৮৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিট। যা সংসদ কার্যক্রমের মোট ব্যয় করা সময়ের ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি দলের সদস্যদের ব্যয় করা সময় মোট ১৫৬ ঘণ্টা ২৮ মিনিট (৮৬.২%), প্রধান বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ২০ ঘণ্টা ১৮ মিনিট (১১.২%) এবং অন্যান্য বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট (২.৬%)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে মোট ১২৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিট সময় ব্যয় হয় যা সংসদ কার্যক্রমের ব্যয় করা সময়ের প্রায় ১৬.৭ শতাংশ। এখানে উল্লেখ্য, ২০১৯-২০-এ যুক্তরাজ্যে এই হার ছিল প্রায় ৪৯.৩ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯-এ ভারতের ১৭তম লোকসভায় এই হার ছিল ৪৫.০ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, বাজেট সম্পর্কিত ১২টি বিল ব্যতীত মোট উত্থাপিত বিলের সংখ্যা ১০৮টি (সরকারি বিল ১০৭টি এবং বেসরকারি বিল ১টি) এবং পাসকৃত বিলের সংখ্যা ১৬টি (নতুন বিল ৬৮, সংশোধনী বিল ২৬টি এবং রহিতকরণ বিল ২টি)। সংসদে একটি বিল পাস করতে গড়ে সময় লেগেছে প্রায় ৭০ মিনিট; যেখানে সর্বনিম্ন সময় ছিল প্রায় ২৮ মিনিট এবং সর্বোচ্চ সময় ছিল প্রায় ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। সর্বনিম্ন সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল, ২০২০’ সর্বোচ্চ সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছে।
আজ রোববার টিআইবি প্রকাশিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম থেকে ২২তম অধিবেশন (জানুয়ারি ২০১৯-এপ্রিল ২০২৩) ’ গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ২২ অধিবেশনে কোরাম সংকটে মোট ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ টাকা। কোরাম সংকটে ব্যয় করা সময়ের মিনিট প্রতি ব্যয় প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ টাকা।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোরাম সংকটে শুরুতে ৮৪ ভাগ অধিবেশন দেরিতে শুরু হয়েছে। বিরতির পর শতভাগ বিলম্বে শুরু হয়েছে আরও বেশি। আমাদের অধিবেশন শুরু করার জন্য মাত্র ৬৫ জন সংসদ সদস্য লাগে। ৩৫০ জনের মধ্যে ৬৫ জন সংসদ সদস্য যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারবেন না, এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের প্রত্যাশিত কার্যকর ভূমিকা পালনের ঘাটতি দেখা গেছে। এই ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে কার্যকর বিরোধী দল বলতে যা বোঝায় তার উপস্থিতি সংসদে ছিল বলা যায় না। এ কারণেই সংসদ মূলত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। ক্ষমতাসীনদের সংসদে একচ্ছত্র ভূমিকা পালন করতে দেখেছি।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী মাসে অন্তত একটি সংসদীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেটি একটি কমিটিও পূরণ করতে পারেনি।
সংসদ কার্যকর করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ বাস্তবিক অর্থে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিসহ ১৩টি সুপারিশ করা হয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারদলীয় সদস্যদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ব্যয় করা সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সময় ব্যয় হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় ১৯.৮ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন অর্জনের প্রশংসায় ১৯.৪ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে। প্রায় ১৮ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন অন্য দলের সমালোচনায়। আর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন ০.৪ শতাংশ সময়।
এ দিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় মোট ব্যয় করা সময় ১৮৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিট। যা সংসদ কার্যক্রমের মোট ব্যয় করা সময়ের ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি দলের সদস্যদের ব্যয় করা সময় মোট ১৫৬ ঘণ্টা ২৮ মিনিট (৮৬.২%), প্রধান বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ২০ ঘণ্টা ১৮ মিনিট (১১.২%) এবং অন্যান্য বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট (২.৬%)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে মোট ১২৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিট সময় ব্যয় হয় যা সংসদ কার্যক্রমের ব্যয় করা সময়ের প্রায় ১৬.৭ শতাংশ। এখানে উল্লেখ্য, ২০১৯-২০-এ যুক্তরাজ্যে এই হার ছিল প্রায় ৪৯.৩ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯-এ ভারতের ১৭তম লোকসভায় এই হার ছিল ৪৫.০ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, বাজেট সম্পর্কিত ১২টি বিল ব্যতীত মোট উত্থাপিত বিলের সংখ্যা ১০৮টি (সরকারি বিল ১০৭টি এবং বেসরকারি বিল ১টি) এবং পাসকৃত বিলের সংখ্যা ১৬টি (নতুন বিল ৬৮, সংশোধনী বিল ২৬টি এবং রহিতকরণ বিল ২টি)। সংসদে একটি বিল পাস করতে গড়ে সময় লেগেছে প্রায় ৭০ মিনিট; যেখানে সর্বনিম্ন সময় ছিল প্রায় ২৮ মিনিট এবং সর্বোচ্চ সময় ছিল প্রায় ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। সর্বনিম্ন সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল, ২০২০’ সর্বোচ্চ সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছে।
আজ রোববার টিআইবি প্রকাশিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম থেকে ২২তম অধিবেশন (জানুয়ারি ২০১৯-এপ্রিল ২০২৩) ’ গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ২২ অধিবেশনে কোরাম সংকটে মোট ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ টাকা। কোরাম সংকটে ব্যয় করা সময়ের মিনিট প্রতি ব্যয় প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ টাকা।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোরাম সংকটে শুরুতে ৮৪ ভাগ অধিবেশন দেরিতে শুরু হয়েছে। বিরতির পর শতভাগ বিলম্বে শুরু হয়েছে আরও বেশি। আমাদের অধিবেশন শুরু করার জন্য মাত্র ৬৫ জন সংসদ সদস্য লাগে। ৩৫০ জনের মধ্যে ৬৫ জন সংসদ সদস্য যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারবেন না, এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের প্রত্যাশিত কার্যকর ভূমিকা পালনের ঘাটতি দেখা গেছে। এই ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে কার্যকর বিরোধী দল বলতে যা বোঝায় তার উপস্থিতি সংসদে ছিল বলা যায় না। এ কারণেই সংসদ মূলত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। ক্ষমতাসীনদের সংসদে একচ্ছত্র ভূমিকা পালন করতে দেখেছি।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী মাসে অন্তত একটি সংসদীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেটি একটি কমিটিও পূরণ করতে পারেনি।
সংসদ কার্যকর করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ বাস্তবিক অর্থে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিসহ ১৩টি সুপারিশ করা হয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারদলীয় সদস্যদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ব্যয় করা সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সময় ব্যয় হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় ১৯.৮ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন অর্জনের প্রশংসায় ১৯.৪ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে। প্রায় ১৮ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন অন্য দলের সমালোচনায়। আর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন ০.৪ শতাংশ সময়।
এ দিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় মোট ব্যয় করা সময় ১৮৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিট। যা সংসদ কার্যক্রমের মোট ব্যয় করা সময়ের ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি দলের সদস্যদের ব্যয় করা সময় মোট ১৫৬ ঘণ্টা ২৮ মিনিট (৮৬.২%), প্রধান বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ২০ ঘণ্টা ১৮ মিনিট (১১.২%) এবং অন্যান্য বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট (২.৬%)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে মোট ১২৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিট সময় ব্যয় হয় যা সংসদ কার্যক্রমের ব্যয় করা সময়ের প্রায় ১৬.৭ শতাংশ। এখানে উল্লেখ্য, ২০১৯-২০-এ যুক্তরাজ্যে এই হার ছিল প্রায় ৪৯.৩ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯-এ ভারতের ১৭তম লোকসভায় এই হার ছিল ৪৫.০ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, বাজেট সম্পর্কিত ১২টি বিল ব্যতীত মোট উত্থাপিত বিলের সংখ্যা ১০৮টি (সরকারি বিল ১০৭টি এবং বেসরকারি বিল ১টি) এবং পাসকৃত বিলের সংখ্যা ১৬টি (নতুন বিল ৬৮, সংশোধনী বিল ২৬টি এবং রহিতকরণ বিল ২টি)। সংসদে একটি বিল পাস করতে গড়ে সময় লেগেছে প্রায় ৭০ মিনিট; যেখানে সর্বনিম্ন সময় ছিল প্রায় ২৮ মিনিট এবং সর্বোচ্চ সময় ছিল প্রায় ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। সর্বনিম্ন সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল, ২০২০’ সর্বোচ্চ সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছে।
আজ রোববার টিআইবি প্রকাশিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম থেকে ২২তম অধিবেশন (জানুয়ারি ২০১৯-এপ্রিল ২০২৩) ’ গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ২২ অধিবেশনে কোরাম সংকটে মোট ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ টাকা। কোরাম সংকটে ব্যয় করা সময়ের মিনিট প্রতি ব্যয় প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ টাকা।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোরাম সংকটে শুরুতে ৮৪ ভাগ অধিবেশন দেরিতে শুরু হয়েছে। বিরতির পর শতভাগ বিলম্বে শুরু হয়েছে আরও বেশি। আমাদের অধিবেশন শুরু করার জন্য মাত্র ৬৫ জন সংসদ সদস্য লাগে। ৩৫০ জনের মধ্যে ৬৫ জন সংসদ সদস্য যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারবেন না, এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের প্রত্যাশিত কার্যকর ভূমিকা পালনের ঘাটতি দেখা গেছে। এই ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে কার্যকর বিরোধী দল বলতে যা বোঝায় তার উপস্থিতি সংসদে ছিল বলা যায় না। এ কারণেই সংসদ মূলত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। ক্ষমতাসীনদের সংসদে একচ্ছত্র ভূমিকা পালন করতে দেখেছি।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী মাসে অন্তত একটি সংসদীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেটি একটি কমিটিও পূরণ করতে পারেনি।
সংসদ কার্যকর করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ বাস্তবিক অর্থে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিসহ ১৩টি সুপারিশ করা হয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারদলীয় সদস্যদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ব্যয় করা সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সময় ব্যয় হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় ১৯.৮ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন অর্জনের প্রশংসায় ১৯.৪ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে। প্রায় ১৮ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন অন্য দলের সমালোচনায়। আর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন ০.৪ শতাংশ সময়।
এ দিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় মোট ব্যয় করা সময় ১৮৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিট। যা সংসদ কার্যক্রমের মোট ব্যয় করা সময়ের ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি দলের সদস্যদের ব্যয় করা সময় মোট ১৫৬ ঘণ্টা ২৮ মিনিট (৮৬.২%), প্রধান বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ২০ ঘণ্টা ১৮ মিনিট (১১.২%) এবং অন্যান্য বিরোধী দলের ব্যয় করা সময় ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট (২.৬%)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে মোট ১২৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিট সময় ব্যয় হয় যা সংসদ কার্যক্রমের ব্যয় করা সময়ের প্রায় ১৬.৭ শতাংশ। এখানে উল্লেখ্য, ২০১৯-২০-এ যুক্তরাজ্যে এই হার ছিল প্রায় ৪৯.৩ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯-এ ভারতের ১৭তম লোকসভায় এই হার ছিল ৪৫.০ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, বাজেট সম্পর্কিত ১২টি বিল ব্যতীত মোট উত্থাপিত বিলের সংখ্যা ১০৮টি (সরকারি বিল ১০৭টি এবং বেসরকারি বিল ১টি) এবং পাসকৃত বিলের সংখ্যা ১৬টি (নতুন বিল ৬৮, সংশোধনী বিল ২৬টি এবং রহিতকরণ বিল ২টি)। সংসদে একটি বিল পাস করতে গড়ে সময় লেগেছে প্রায় ৭০ মিনিট; যেখানে সর্বনিম্ন সময় ছিল প্রায় ২৮ মিনিট এবং সর্বোচ্চ সময় ছিল প্রায় ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। সর্বনিম্ন সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল, ২০২০’ সর্বোচ্চ সময়ে পাসকৃত বিলটি ছিল ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’।

মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
৩৭ মিনিট আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক শিডিউলড ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ (ইমার্জেন্সি/ডাইভারশন) বা নন-শিডিউলড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গতকাল (২৭ অক্টোবর) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক শিডিউল ফ্লাইটের পাশাপাশি নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সরকার স্থগিত করে। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক শিডিউলড ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ (ইমার্জেন্সি/ডাইভারশন) বা নন-শিডিউলড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গতকাল (২৭ অক্টোবর) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক শিডিউল ফ্লাইটের পাশাপাশি নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সরকার স্থগিত করে। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছ
০১ অক্টোবর ২০২৩
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশসংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন নেওয়ার উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’-এ যা বলা হয়েছে:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশসংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন নেওয়ার উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’-এ যা বলা হয়েছে:

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছ
০১ অক্টোবর ২০২৩
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
৩৭ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছ
০১ অক্টোবর ২০২৩
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
৩৭ মিনিট আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ আর চারজন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট চারটি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট দুটি মিনিবাস এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ আর চারজন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট চারটি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট দুটি মিনিবাস এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘাটতি লক্ষণীয় ছিল। অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যদের অমনোযোগী দেখা গেছে। এমনকি এ সময় সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা, ঘুমাতেও দেখা গেছ
০১ অক্টোবর ২০২৩
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
৩৭ মিনিট আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
২ ঘণ্টা আগে