নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ফিচার মোবাইলসহ লং টার্ম ইভল্যুশন (এলটিই) বা বর্তমান আধুনিক ফোনগুলোকে নজরদারির আওতায় আনতে চায় সরকার। আর এ উদ্দেশ্যে সকল ধরনের ফোনে আড়ি পাততে সবচেয়ে আধুনিক যন্ত্র কিনতে যাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বুধবার ক্রয় কমিটির সভায় র্যাবের এ যন্ত্র কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ক্রয় কমিটির সভা বাংলাদেশ পুলিশের আওতাধীন এলিট বাহিনী র্যাবকে ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকায় ‘জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার এক্টিভ সাপোর্ট সিস্টেম’ কেনার অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান থ্রিসিক্সটি টেকনোলজিস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হলেও তারা এ অত্যাধুনিক যন্ত্রটি আমদানি করবে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্যানমার্ক ইমপেক্স পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে। তবে যন্ত্রটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সাইপ্রাস ভিত্তিক ডেলহাজ লিমিটেড।
যে যন্ত্রটি র্যাব কিনছে তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় ইন্টারনেটে। সেখানে দেখা যায়, জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার এক্টিভ সাপোর্ট সিস্টেমের প্রযুক্তিটি আড়িপাতার পাশাপাশি ফোনের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্তও করতে পারবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে জিএসএম, ইউএমটিএস, সিডিএমএ এবং এলটিই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ফোনগুলোর কথা শোনা থেকে শুরু করে এসএমএসও পড়তে পারবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যন্ত্রটি ছোট হওয়ার কারণে তা গাড়িতে ব্যবহার উপযোগী। একাধিক মোবাইল ডিভাইস একসঙ্গে এ যন্ত্রের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা যাবে। এ ছাড়া চাইলে এ যন্ত্রের জ্যামার ব্যবহার করে নজরদারিতে থাকা সংশ্লিষ্ট মোবাইলটি ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে।
ক্রয় কমিটিতে পাস হওয়া যন্ত্রটিকে আড়িপাতার জন্য ব্যবহারের বিষয়টি মানতে নারাজ র্যাব। এ বিষয়ে সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ প্রযুক্তি নতুন কিছু নয়। ২০০৬ সাল থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রয়েছে। র্যাবের কাছেও আগে থেকে এ প্রযুক্তি ছিল সময়ের সঙ্গে আধুনিকতার দিকে যাচ্ছি আমরা। এটি মূলত আসামি শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।
চলতি মাসের ৯ তারিখ একই যন্ত্র কেনার প্রস্তাব পাস হয় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) জন্য। ওই দিন সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘ভেহিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টর’ নামের সেই যন্ত্র কেনার খরচ ধরা হয় ৬৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪০ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ভেহিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টর হচ্ছে দ্রুত স্থানান্তরযোগ্য একটি যন্ত্র, যা স্থানভিত্তিক ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন গোলযোগময় পরিস্থিতিতে ও মাঠপর্যায়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের জন্য ব্যবহার হয়।
সূত্র আরও জানায়, সংবেদনশীল তথ্যের প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ, অবাধ কার্যক্রমে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার, সম্ভাব্য জঙ্গি তৎপরতা রোধসহ বাস্তবিক প্রয়োজনে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এই যন্ত্রটি ব্যবহার করবে।
ঢাকা: ফিচার মোবাইলসহ লং টার্ম ইভল্যুশন (এলটিই) বা বর্তমান আধুনিক ফোনগুলোকে নজরদারির আওতায় আনতে চায় সরকার। আর এ উদ্দেশ্যে সকল ধরনের ফোনে আড়ি পাততে সবচেয়ে আধুনিক যন্ত্র কিনতে যাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বুধবার ক্রয় কমিটির সভায় র্যাবের এ যন্ত্র কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ক্রয় কমিটির সভা বাংলাদেশ পুলিশের আওতাধীন এলিট বাহিনী র্যাবকে ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকায় ‘জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার এক্টিভ সাপোর্ট সিস্টেম’ কেনার অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান থ্রিসিক্সটি টেকনোলজিস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হলেও তারা এ অত্যাধুনিক যন্ত্রটি আমদানি করবে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্যানমার্ক ইমপেক্স পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে। তবে যন্ত্রটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সাইপ্রাস ভিত্তিক ডেলহাজ লিমিটেড।
যে যন্ত্রটি র্যাব কিনছে তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় ইন্টারনেটে। সেখানে দেখা যায়, জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার এক্টিভ সাপোর্ট সিস্টেমের প্রযুক্তিটি আড়িপাতার পাশাপাশি ফোনের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্তও করতে পারবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে জিএসএম, ইউএমটিএস, সিডিএমএ এবং এলটিই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ফোনগুলোর কথা শোনা থেকে শুরু করে এসএমএসও পড়তে পারবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যন্ত্রটি ছোট হওয়ার কারণে তা গাড়িতে ব্যবহার উপযোগী। একাধিক মোবাইল ডিভাইস একসঙ্গে এ যন্ত্রের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা যাবে। এ ছাড়া চাইলে এ যন্ত্রের জ্যামার ব্যবহার করে নজরদারিতে থাকা সংশ্লিষ্ট মোবাইলটি ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে।
ক্রয় কমিটিতে পাস হওয়া যন্ত্রটিকে আড়িপাতার জন্য ব্যবহারের বিষয়টি মানতে নারাজ র্যাব। এ বিষয়ে সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ প্রযুক্তি নতুন কিছু নয়। ২০০৬ সাল থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রয়েছে। র্যাবের কাছেও আগে থেকে এ প্রযুক্তি ছিল সময়ের সঙ্গে আধুনিকতার দিকে যাচ্ছি আমরা। এটি মূলত আসামি শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।
চলতি মাসের ৯ তারিখ একই যন্ত্র কেনার প্রস্তাব পাস হয় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) জন্য। ওই দিন সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘ভেহিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টর’ নামের সেই যন্ত্র কেনার খরচ ধরা হয় ৬৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪০ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ভেহিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টর হচ্ছে দ্রুত স্থানান্তরযোগ্য একটি যন্ত্র, যা স্থানভিত্তিক ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন গোলযোগময় পরিস্থিতিতে ও মাঠপর্যায়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের জন্য ব্যবহার হয়।
সূত্র আরও জানায়, সংবেদনশীল তথ্যের প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ, অবাধ কার্যক্রমে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার, সম্ভাব্য জঙ্গি তৎপরতা রোধসহ বাস্তবিক প্রয়োজনে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এই যন্ত্রটি ব্যবহার করবে।
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমনটা ধরে নিয়েই ভোটের প্রস্তুতিতে আরেক ধাপ এগিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর এবার নতুন দলের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
৪ ঘণ্টা আগেগত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়াটি তুলে ধরা
৬ ঘণ্টা আগেএস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১ হাজার ৬ বিঘা জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
৬ ঘণ্টা আগে