শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণ গ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে গত ১৯ ডিসেম্বর ও ৩ ফেব্রুয়ারি আন্তমন্ত্রণালয় সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটিতে খসড়াটি পর্যালোচনার পর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার-হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না।
নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা ছিল, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১৫ এবং বাকি ৮৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৮৫ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণ গ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে গত ১৯ ডিসেম্বর ও ৩ ফেব্রুয়ারি আন্তমন্ত্রণালয় সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটিতে খসড়াটি পর্যালোচনার পর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার-হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না।
নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা ছিল, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১৫ এবং বাকি ৮৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৮৫ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর সরকার সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। দেশটিতে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিও আছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। এই অভিযোগে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো শুরু করেছে তারা।
৩ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি..
৬ ঘণ্টা আগেসেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মধ্য আফ্রিকার দেশটির চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সেনাপ্রধানকে সম্মানসূচক এ পদক দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার যশোরের বেনাপোল বন্দরে আটক হয়েছেন ছয় ভারতীয় পাসপোর্টধারী। তবে পরবর্তীকালে আর এ ধরনের অপরাধ করবেন না—এমন মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর আগে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ ছয়জনকে আটক করে কাস্টমসের কাছে সোপর্দ করে।
৯ ঘণ্টা আগে