আজাদুল আদনান ও আশিকুর রিমেল

ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার ঠেকাতে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় দেশ। এরপরও লাগাম টানা যায়নি এই ভাইরাসের। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন করে দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। আগের সব নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। তাই, সংক্রমণ ঠেকাতে নির্দেশনা নয় বাস্তবায়নই জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা।
দেশের অভ্যন্তরে নির্দেশনাগুলো ঢিলেঢালাভাবে মানা হলেও শুরু থেকেই সীমান্তে জারি হওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে ছিল জটিলতা। যার ফলে এপ্রিলের আগ পর্যন্ত ভাইরাসটির কেন্দ্র ঢাকা হলেও বর্তমানে সেটির উৎস সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো।
চলমান ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই যদি কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে ঈদের আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আক্রান্তদের অধিকাংশই সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় ডেলটা ধরনের শিকার। যা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। মৃত্যুও দ্রুত বাড়ছে সেসব জেলায়। বিশেষ করে আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাজধানীসহ সব জেলায় ভারতীয় ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে মৃতদের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত সীমান্তবর্তী দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩, উত্তরের বিভাগ রাজশাহীতে ১৫ জন ও খুলনায় ১৪ জন।
একই সঙ্গে বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত একদিনে দেশে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকাসহ সীমান্তবর্তী ওই দুই বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮১ জন। শনাক্তের হারে যা ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে খুলনায় (৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ)।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণেই আজকে এই অবস্থা। নির্দেশনা তো আগেও অনেক হয়েছে। কিন্তু কোনটিরই সঠিক বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি। প্রধানমন্ত্রী গত বছর সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জেলায় আইসিইউ স্থাপনসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরাও পরামর্শ দিয়েছি কিন্তু কোনটি বাস্তবায়ন হয়নি।
সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না।
ঈদকে সামনে রেখে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কী–না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয় না। যারা ব্যবস্থা নেবেন তারা সেটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই, সমন্বয়হীনতার অভাবে কোনো পরিকল্পনায় কাজে আসছে না। নতুন করে কিছু নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।
গত ৫ এপ্রিল ঘোষণা করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। কয়েক দফা বাড়িয়ে যা আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। সীমান্তের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা হিসেবে পার্শ্ববর্তী সাত জেলা–নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী ও মাদারীপুরে মঙ্গলবার থেকে ৯ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই সময়ে এসব জেলায় গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার ঠেকাতে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় দেশ। এরপরও লাগাম টানা যায়নি এই ভাইরাসের। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন করে দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। আগের সব নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। তাই, সংক্রমণ ঠেকাতে নির্দেশনা নয় বাস্তবায়নই জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা।
দেশের অভ্যন্তরে নির্দেশনাগুলো ঢিলেঢালাভাবে মানা হলেও শুরু থেকেই সীমান্তে জারি হওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে ছিল জটিলতা। যার ফলে এপ্রিলের আগ পর্যন্ত ভাইরাসটির কেন্দ্র ঢাকা হলেও বর্তমানে সেটির উৎস সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো।
চলমান ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই যদি কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে ঈদের আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আক্রান্তদের অধিকাংশই সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় ডেলটা ধরনের শিকার। যা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। মৃত্যুও দ্রুত বাড়ছে সেসব জেলায়। বিশেষ করে আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাজধানীসহ সব জেলায় ভারতীয় ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে মৃতদের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত সীমান্তবর্তী দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩, উত্তরের বিভাগ রাজশাহীতে ১৫ জন ও খুলনায় ১৪ জন।
একই সঙ্গে বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত একদিনে দেশে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকাসহ সীমান্তবর্তী ওই দুই বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮১ জন। শনাক্তের হারে যা ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে খুলনায় (৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ)।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণেই আজকে এই অবস্থা। নির্দেশনা তো আগেও অনেক হয়েছে। কিন্তু কোনটিরই সঠিক বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি। প্রধানমন্ত্রী গত বছর সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জেলায় আইসিইউ স্থাপনসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরাও পরামর্শ দিয়েছি কিন্তু কোনটি বাস্তবায়ন হয়নি।
সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না।
ঈদকে সামনে রেখে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কী–না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয় না। যারা ব্যবস্থা নেবেন তারা সেটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই, সমন্বয়হীনতার অভাবে কোনো পরিকল্পনায় কাজে আসছে না। নতুন করে কিছু নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।
গত ৫ এপ্রিল ঘোষণা করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। কয়েক দফা বাড়িয়ে যা আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। সীমান্তের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা হিসেবে পার্শ্ববর্তী সাত জেলা–নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী ও মাদারীপুরে মঙ্গলবার থেকে ৯ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই সময়ে এসব জেলায় গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজাদুল আদনান ও আশিকুর রিমেল

ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার ঠেকাতে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় দেশ। এরপরও লাগাম টানা যায়নি এই ভাইরাসের। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন করে দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। আগের সব নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। তাই, সংক্রমণ ঠেকাতে নির্দেশনা নয় বাস্তবায়নই জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা।
দেশের অভ্যন্তরে নির্দেশনাগুলো ঢিলেঢালাভাবে মানা হলেও শুরু থেকেই সীমান্তে জারি হওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে ছিল জটিলতা। যার ফলে এপ্রিলের আগ পর্যন্ত ভাইরাসটির কেন্দ্র ঢাকা হলেও বর্তমানে সেটির উৎস সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো।
চলমান ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই যদি কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে ঈদের আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আক্রান্তদের অধিকাংশই সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় ডেলটা ধরনের শিকার। যা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। মৃত্যুও দ্রুত বাড়ছে সেসব জেলায়। বিশেষ করে আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাজধানীসহ সব জেলায় ভারতীয় ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে মৃতদের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত সীমান্তবর্তী দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩, উত্তরের বিভাগ রাজশাহীতে ১৫ জন ও খুলনায় ১৪ জন।
একই সঙ্গে বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত একদিনে দেশে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকাসহ সীমান্তবর্তী ওই দুই বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮১ জন। শনাক্তের হারে যা ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে খুলনায় (৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ)।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণেই আজকে এই অবস্থা। নির্দেশনা তো আগেও অনেক হয়েছে। কিন্তু কোনটিরই সঠিক বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি। প্রধানমন্ত্রী গত বছর সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জেলায় আইসিইউ স্থাপনসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরাও পরামর্শ দিয়েছি কিন্তু কোনটি বাস্তবায়ন হয়নি।
সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না।
ঈদকে সামনে রেখে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কী–না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয় না। যারা ব্যবস্থা নেবেন তারা সেটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই, সমন্বয়হীনতার অভাবে কোনো পরিকল্পনায় কাজে আসছে না। নতুন করে কিছু নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।
গত ৫ এপ্রিল ঘোষণা করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। কয়েক দফা বাড়িয়ে যা আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। সীমান্তের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা হিসেবে পার্শ্ববর্তী সাত জেলা–নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী ও মাদারীপুরে মঙ্গলবার থেকে ৯ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই সময়ে এসব জেলায় গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার ঠেকাতে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় দেশ। এরপরও লাগাম টানা যায়নি এই ভাইরাসের। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন করে দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। আগের সব নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। তাই, সংক্রমণ ঠেকাতে নির্দেশনা নয় বাস্তবায়নই জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা।
দেশের অভ্যন্তরে নির্দেশনাগুলো ঢিলেঢালাভাবে মানা হলেও শুরু থেকেই সীমান্তে জারি হওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে ছিল জটিলতা। যার ফলে এপ্রিলের আগ পর্যন্ত ভাইরাসটির কেন্দ্র ঢাকা হলেও বর্তমানে সেটির উৎস সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো।
চলমান ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই যদি কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে ঈদের আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আক্রান্তদের অধিকাংশই সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় ডেলটা ধরনের শিকার। যা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। মৃত্যুও দ্রুত বাড়ছে সেসব জেলায়। বিশেষ করে আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাজধানীসহ সব জেলায় ভারতীয় ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে মৃতদের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত সীমান্তবর্তী দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩, উত্তরের বিভাগ রাজশাহীতে ১৫ জন ও খুলনায় ১৪ জন।
একই সঙ্গে বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত একদিনে দেশে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকাসহ সীমান্তবর্তী ওই দুই বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮১ জন। শনাক্তের হারে যা ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে খুলনায় (৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ)।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণেই আজকে এই অবস্থা। নির্দেশনা তো আগেও অনেক হয়েছে। কিন্তু কোনটিরই সঠিক বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি। প্রধানমন্ত্রী গত বছর সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জেলায় আইসিইউ স্থাপনসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরাও পরামর্শ দিয়েছি কিন্তু কোনটি বাস্তবায়ন হয়নি।
সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না।
ঈদকে সামনে রেখে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কী–না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয় না। যারা ব্যবস্থা নেবেন তারা সেটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই, সমন্বয়হীনতার অভাবে কোনো পরিকল্পনায় কাজে আসছে না। নতুন করে কিছু নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।
গত ৫ এপ্রিল ঘোষণা করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। কয়েক দফা বাড়িয়ে যা আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। সীমান্তের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা হিসেবে পার্শ্ববর্তী সাত জেলা–নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী ও মাদারীপুরে মঙ্গলবার থেকে ৯ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই সময়ে এসব জেলায় গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে যাঁরা সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের ২১, সিলেট বিভাগের ২৭, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯, খুলনা বিভাগের ৯, রংপুর বিভাগের তিন, ঢাকা বিভাগের ১৪, রাজশাহী বিভাগের ১৩ ও বরিশাল বিভাগের দুজনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ১২৮ জনের গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটি সুপারিশ করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাঁদের গেজেট বাতিল করেছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন অর্থসহায়তা ছাড়াও প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। দুই দফায় ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আগে আটজনের গেজেট বাতিল করা হয়।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে যাঁরা সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের ২১, সিলেট বিভাগের ২৭, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯, খুলনা বিভাগের ৯, রংপুর বিভাগের তিন, ঢাকা বিভাগের ১৪, রাজশাহী বিভাগের ১৩ ও বরিশাল বিভাগের দুজনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ১২৮ জনের গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটি সুপারিশ করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাঁদের গেজেট বাতিল করেছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন অর্থসহায়তা ছাড়াও প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। দুই দফায় ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আগে আটজনের গেজেট বাতিল করা হয়।

করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না...
২১ জুন ২০২১
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না...
২১ জুন ২০২১
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না...
২১ জুন ২০২১
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সেগুলো পাঠালে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয় না। আমরা ১৪ দিনের বিধিনিষেধ দিলে মন্ত্রণালয় থেকে আসে সাত দিনের। আবার পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। এটাতো আসলে নিয়ম না...
২১ জুন ২০২১
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগে