কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া রিলেশনস: ইমপেরাটিভ, পটেনশিয়াল অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। একই শিরোনামে এটি সংস্থাটি আয়োজিত তৃতীয় লেকচার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব গভীর। দুই দেশ বন্ধু হিসেবে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা সবার জানা। এই ইস্যুতে জাতিসংঘে তিন প্রস্তাব আনা হয়। এর দুটিতে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আরেকটি প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়”। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হওয়ার সুযোগ নেই। আগামী দিনে রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমি আশা করি।’
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসের উপমিশন প্রধান একাতেরিনা সেমেনোভা। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইন ও অর্থ স্থানান্তর যেন আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি, সে লক্ষ্যে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ যেমন ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে। ঠিক সেভাবে ইউক্রেনের দনবাসের রুশভাষীরা দীর্ঘ দিন ধরে রুশ ভাষায় শিক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সবার জানা প্রয়োজন। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক।’
বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশিদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন দুই পরাশক্তি শীতল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তবে শীতল যুদ্ধে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব উষ্ণ। তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বর্তমানে দুই দেশ আবার উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া কাজ করে উল্লেখ করে রোজানা রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জ্বালানি, নিরাপত্তা, সামরিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে রাশিয়া তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চীন বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুতের প্রকল্পটি পেতে চেয়েছিল। তবে কোনো দেরি না করে রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করে।’
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে বাহ্যিক উপাদান দ্বারা কিছু ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে একাধিকবার সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে সংকটগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র আরও সংকটে পড়েছে। তবে রাশিয়া সেই নতুন সরকারকে সব দিক থেকে সমর্থন করেছে। আর বাংলাদেশের সরকারও রাশিয়াকে ক্রিমিয়া বা ইউক্রেন ইস্যুতে সমর্থন করে গেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ‘দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে এত কিছুর পরও রোহিঙ্গা সংকটে রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থে বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে। বঙ্গোপসাগরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে আকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার এ সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সম্ভাবনার কথা বললেও বাহ্যিক কিছু উপাদান ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই গত ৫০ বছর বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে। ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে অবদান রেখেছে রাশিয়া। ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে অবদান রেখেছে। রাশিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিলিয়ার চেয়ারম্যান এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা দেশগুলোকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ রয়েছে, যারা কোনো পক্ষ নিতে চাইছে না। ফলে অনেক দিন ঘুমিয়ে থাকা জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন বা নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্টকে (ন্যাম) আবারও জাগিয়ে তোলার সময় হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে জোট-নিরপেক্ষ থাকতে পারবে দেশগুলো। আর এ প্রক্রিয়া বাংলাদেশই শুরু করতে পারে।’

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া রিলেশনস: ইমপেরাটিভ, পটেনশিয়াল অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। একই শিরোনামে এটি সংস্থাটি আয়োজিত তৃতীয় লেকচার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব গভীর। দুই দেশ বন্ধু হিসেবে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা সবার জানা। এই ইস্যুতে জাতিসংঘে তিন প্রস্তাব আনা হয়। এর দুটিতে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আরেকটি প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়”। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হওয়ার সুযোগ নেই। আগামী দিনে রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমি আশা করি।’
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসের উপমিশন প্রধান একাতেরিনা সেমেনোভা। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইন ও অর্থ স্থানান্তর যেন আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি, সে লক্ষ্যে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ যেমন ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে। ঠিক সেভাবে ইউক্রেনের দনবাসের রুশভাষীরা দীর্ঘ দিন ধরে রুশ ভাষায় শিক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সবার জানা প্রয়োজন। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক।’
বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশিদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন দুই পরাশক্তি শীতল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তবে শীতল যুদ্ধে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব উষ্ণ। তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বর্তমানে দুই দেশ আবার উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া কাজ করে উল্লেখ করে রোজানা রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জ্বালানি, নিরাপত্তা, সামরিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে রাশিয়া তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চীন বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুতের প্রকল্পটি পেতে চেয়েছিল। তবে কোনো দেরি না করে রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করে।’
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে বাহ্যিক উপাদান দ্বারা কিছু ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে একাধিকবার সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে সংকটগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র আরও সংকটে পড়েছে। তবে রাশিয়া সেই নতুন সরকারকে সব দিক থেকে সমর্থন করেছে। আর বাংলাদেশের সরকারও রাশিয়াকে ক্রিমিয়া বা ইউক্রেন ইস্যুতে সমর্থন করে গেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ‘দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে এত কিছুর পরও রোহিঙ্গা সংকটে রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থে বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে। বঙ্গোপসাগরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে আকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার এ সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সম্ভাবনার কথা বললেও বাহ্যিক কিছু উপাদান ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই গত ৫০ বছর বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে। ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে অবদান রেখেছে রাশিয়া। ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে অবদান রেখেছে। রাশিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিলিয়ার চেয়ারম্যান এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা দেশগুলোকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ রয়েছে, যারা কোনো পক্ষ নিতে চাইছে না। ফলে অনেক দিন ঘুমিয়ে থাকা জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন বা নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্টকে (ন্যাম) আবারও জাগিয়ে তোলার সময় হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে জোট-নিরপেক্ষ থাকতে পারবে দেশগুলো। আর এ প্রক্রিয়া বাংলাদেশই শুরু করতে পারে।’
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া রিলেশনস: ইমপেরাটিভ, পটেনশিয়াল অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। একই শিরোনামে এটি সংস্থাটি আয়োজিত তৃতীয় লেকচার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব গভীর। দুই দেশ বন্ধু হিসেবে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা সবার জানা। এই ইস্যুতে জাতিসংঘে তিন প্রস্তাব আনা হয়। এর দুটিতে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আরেকটি প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়”। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হওয়ার সুযোগ নেই। আগামী দিনে রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমি আশা করি।’
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসের উপমিশন প্রধান একাতেরিনা সেমেনোভা। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইন ও অর্থ স্থানান্তর যেন আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি, সে লক্ষ্যে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ যেমন ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে। ঠিক সেভাবে ইউক্রেনের দনবাসের রুশভাষীরা দীর্ঘ দিন ধরে রুশ ভাষায় শিক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সবার জানা প্রয়োজন। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক।’
বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশিদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন দুই পরাশক্তি শীতল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তবে শীতল যুদ্ধে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব উষ্ণ। তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বর্তমানে দুই দেশ আবার উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া কাজ করে উল্লেখ করে রোজানা রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জ্বালানি, নিরাপত্তা, সামরিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে রাশিয়া তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চীন বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুতের প্রকল্পটি পেতে চেয়েছিল। তবে কোনো দেরি না করে রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করে।’
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে বাহ্যিক উপাদান দ্বারা কিছু ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে একাধিকবার সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে সংকটগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র আরও সংকটে পড়েছে। তবে রাশিয়া সেই নতুন সরকারকে সব দিক থেকে সমর্থন করেছে। আর বাংলাদেশের সরকারও রাশিয়াকে ক্রিমিয়া বা ইউক্রেন ইস্যুতে সমর্থন করে গেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ‘দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে এত কিছুর পরও রোহিঙ্গা সংকটে রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থে বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে। বঙ্গোপসাগরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে আকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার এ সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সম্ভাবনার কথা বললেও বাহ্যিক কিছু উপাদান ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই গত ৫০ বছর বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে। ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে অবদান রেখেছে রাশিয়া। ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে অবদান রেখেছে। রাশিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিলিয়ার চেয়ারম্যান এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা দেশগুলোকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ রয়েছে, যারা কোনো পক্ষ নিতে চাইছে না। ফলে অনেক দিন ঘুমিয়ে থাকা জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন বা নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্টকে (ন্যাম) আবারও জাগিয়ে তোলার সময় হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে জোট-নিরপেক্ষ থাকতে পারবে দেশগুলো। আর এ প্রক্রিয়া বাংলাদেশই শুরু করতে পারে।’

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া রিলেশনস: ইমপেরাটিভ, পটেনশিয়াল অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। একই শিরোনামে এটি সংস্থাটি আয়োজিত তৃতীয় লেকচার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব গভীর। দুই দেশ বন্ধু হিসেবে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা সবার জানা। এই ইস্যুতে জাতিসংঘে তিন প্রস্তাব আনা হয়। এর দুটিতে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আরেকটি প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়”। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হওয়ার সুযোগ নেই। আগামী দিনে রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমি আশা করি।’
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসের উপমিশন প্রধান একাতেরিনা সেমেনোভা। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইন ও অর্থ স্থানান্তর যেন আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি, সে লক্ষ্যে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ যেমন ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে। ঠিক সেভাবে ইউক্রেনের দনবাসের রুশভাষীরা দীর্ঘ দিন ধরে রুশ ভাষায় শিক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সবার জানা প্রয়োজন। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক।’
বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশিদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন দুই পরাশক্তি শীতল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তবে শীতল যুদ্ধে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব উষ্ণ। তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বর্তমানে দুই দেশ আবার উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া কাজ করে উল্লেখ করে রোজানা রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জ্বালানি, নিরাপত্তা, সামরিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে রাশিয়া তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চীন বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুতের প্রকল্পটি পেতে চেয়েছিল। তবে কোনো দেরি না করে রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করে।’
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে বাহ্যিক উপাদান দ্বারা কিছু ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে একাধিকবার সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে সংকটগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র আরও সংকটে পড়েছে। তবে রাশিয়া সেই নতুন সরকারকে সব দিক থেকে সমর্থন করেছে। আর বাংলাদেশের সরকারও রাশিয়াকে ক্রিমিয়া বা ইউক্রেন ইস্যুতে সমর্থন করে গেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ‘দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে এত কিছুর পরও রোহিঙ্গা সংকটে রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থে বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে। বঙ্গোপসাগরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে আকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার এ সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সম্ভাবনার কথা বললেও বাহ্যিক কিছু উপাদান ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই গত ৫০ বছর বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে। ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে অবদান রেখেছে রাশিয়া। ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে অবদান রেখেছে। রাশিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিলিয়ার চেয়ারম্যান এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা দেশগুলোকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ রয়েছে, যারা কোনো পক্ষ নিতে চাইছে না। ফলে অনেক দিন ঘুমিয়ে থাকা জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন বা নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্টকে (ন্যাম) আবারও জাগিয়ে তোলার সময় হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে জোট-নিরপেক্ষ থাকতে পারবে দেশগুলো। আর এ প্রক্রিয়া বাংলাদেশই শুরু করতে পারে।’

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র হজ পালন
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
২৩ জুন ২০২২
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক পর জেইসি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
২৩ জুন ২০২২
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
২৩ জুন ২০২২
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
২৩ জুন ২০২২
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে