নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন বাস্তবসম্মত নয় বলে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ছাড়া শুধু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বিদ্যমান এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থাকেই আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করা উচিত।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারবে?’ শীর্ষক সংলাপে এই মত তুলে ধরা হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান।
সংসদীয় সংস্কার ও জবাবদিহিবিষয়ক একটি গবেষণা শেষে সিপিডি সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছে, চূড়ান্ত ঐকমত্যের তালিকা থেকে ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন’-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি যেন বাদ দেওয়া হয়।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নিজাম আহমেদ সংলাপে তাঁদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, সংবিধান ও নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার-সংক্রান্ত কমিশনের
বেশ কিছু প্রস্তাবে তাঁদের প্রশ্ন আছে। যেমন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বা নিয়োগ কমিটি গঠন নীতিগতভাবে আকর্ষণীয় হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এসব কার্যকর নয়।
তবে সংলাপে অংশ নিয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের পক্ষে মত দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তাঁর মতে, এতে সংসদের দুইকক্ষে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে।
বদিউল আলম বলেন, অনেক সময় নিম্নকক্ষে আবেগ এবং প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে আইন করতে পারে। কিন্তু উচ্চকক্ষ থাকলে তারা সেটা ঠেকাতে পারে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উচ্চকক্ষের পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, সংসদে যদি উচ্চকক্ষ থাকে, এটা সংসদকে গ্রহণযোগ্য করবে। কী পদ্ধতিতে হবে, সেটা আলোচনা হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সংসদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বারবার সংবিধান পরিবর্তনের যে প্রবণতা দেখা গেছে, তা থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে উচ্চকক্ষ। উচ্চকক্ষ সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে।
সংলাপে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘গত ১৪ মাসে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সংসদ নেই। ইইউ নতুন সংসদ গঠনে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে সমর্থনে সব সময় পাশে থাকবে ইইউ।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের প্রয়োজন মনে করি না। বাংলাদেশের জন্য কতটুকু প্রয়োজন, সেটা ভেবে দেখা দরকার। নিম্নকক্ষ যেটা আছে, সেটাকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন বাস্তবসম্মত নয় বলে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ছাড়া শুধু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বিদ্যমান এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থাকেই আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করা উচিত।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারবে?’ শীর্ষক সংলাপে এই মত তুলে ধরা হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান।
সংসদীয় সংস্কার ও জবাবদিহিবিষয়ক একটি গবেষণা শেষে সিপিডি সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছে, চূড়ান্ত ঐকমত্যের তালিকা থেকে ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন’-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি যেন বাদ দেওয়া হয়।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নিজাম আহমেদ সংলাপে তাঁদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, সংবিধান ও নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার-সংক্রান্ত কমিশনের
বেশ কিছু প্রস্তাবে তাঁদের প্রশ্ন আছে। যেমন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বা নিয়োগ কমিটি গঠন নীতিগতভাবে আকর্ষণীয় হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এসব কার্যকর নয়।
তবে সংলাপে অংশ নিয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের পক্ষে মত দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তাঁর মতে, এতে সংসদের দুইকক্ষে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে।
বদিউল আলম বলেন, অনেক সময় নিম্নকক্ষে আবেগ এবং প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে আইন করতে পারে। কিন্তু উচ্চকক্ষ থাকলে তারা সেটা ঠেকাতে পারে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উচ্চকক্ষের পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, সংসদে যদি উচ্চকক্ষ থাকে, এটা সংসদকে গ্রহণযোগ্য করবে। কী পদ্ধতিতে হবে, সেটা আলোচনা হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সংসদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বারবার সংবিধান পরিবর্তনের যে প্রবণতা দেখা গেছে, তা থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে উচ্চকক্ষ। উচ্চকক্ষ সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে।
সংলাপে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘গত ১৪ মাসে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সংসদ নেই। ইইউ নতুন সংসদ গঠনে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে সমর্থনে সব সময় পাশে থাকবে ইইউ।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের প্রয়োজন মনে করি না। বাংলাদেশের জন্য কতটুকু প্রয়োজন, সেটা ভেবে দেখা দরকার। নিম্নকক্ষ যেটা আছে, সেটাকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।’
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের জন্য দেশের সব টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ মিনিট আগেপ্রায় আট মাস ধরে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রণীত হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দুজন করে
১০ মিনিট আগেঅনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা দেয়।
২০ মিনিট আগেশেষ মুহূর্তে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতভিন্নতার পরও আগামীকাল শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত সময়েই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
১ ঘণ্টা আগে