
শেখ হাসিনার পতনের আগে ও পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার পর এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)।
ওএইচসিএইচআর ৩৪টি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এসব হামলার বিস্তারিত সংগ্রহ করেছে, যেখানে ১২ জন সরাসরি ভুক্তভোগী ছিলেন। বেশ কয়েকটি ঘটনায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ‘বিজয় মিছিলের’ অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ৩৭টি সহিংস ঘটনার তথ্য বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সরবরাহ করেছে। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ১ হাজার ৭৬৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, যেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ২০টি সাম্প্রদায়িক এবং ১৬১টি অভিযোগ ভুয়া ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলে বাঙালি সেটলারদের সঙ্গে ভূমি বিরোধ ও সামরিক হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের বিরুদ্ধে আক্রমণ বেড়ে যায়। কয়েকটি ঘটনায় স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
সাবেক সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ের ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়। বিশেষত ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুরসহ উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের সহিংসতা বেশি ঘটেছে। এ ছাড়া সিলেট, খুলনা, রংপুরসহ অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা মূলত সেই সব এলাকায় সংঘটিত হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে হিন্দুদের দেখা হতো।
হিন্দু ব্যবসায়ী ও গৃহস্বামীরা ওএইচসিএইচআরকে জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবসা, বাড়িঘর, জমি ও ধর্মীয় স্থানে হামলা হয়েছে। তাঁদের দোকান লুটপাট করা হয়েছে, সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ ও নানা হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার ফলে এই সহিংসতা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়।
উদাহরণস্বরূপ, এক সাক্ষাৎকারদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু শ্মশান ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়। অন্য সাক্ষীরা জানিয়েছেন, হামলার পর ৩-৪ হাজার হিন্দু বাসিন্দা নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। আক্রান্ত পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতা এবং বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। অনেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী, গবাদিপশু ও ব্যবসা হারিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসব হামলা মূলত বিজয় মিছিলের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়, যেখানে সাবেক সরকারের পতন উদ্যাপন করা হচ্ছিল। যদিও হামলাকারীদের পরিচয় সব ক্ষেত্রে স্পষ্ট নয়, কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের সমর্থক ছিল। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের কিছু নেতা এসব সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে এবং ৬ আগস্টের পর তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয় রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে।
বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে, হিন্দু প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এক ঘটনায় ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতারাও ছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্য অনুসারে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩৭টি সহিংস হামলা সংঘটিত হয়েছে। এসব হামলা যশোর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, নাটোর, দিনাজপুর, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, মেহেরপুর, বরগুনা, বরিশাল, রাজবাড়ী, ঠাকুরগাঁও, ফরিদপুর, পিরোজপুর ও নেত্রকোনায় ঘটেছে। অধিকাংশ হামলায় বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস করা হয়েছে। চারটি ঘটনায় মন্দির লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন নারীর গলা কাটা হয়েছে এবং একজন পুরুষ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনাগুলোর মধ্যে পাঁচটি হামলায় বিএনপি-সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়
৫ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় সাতটি সহিংসতার শিকার হয়েছে। ওএইচসিএইচআর বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে যে ৫ আগস্ট পঞ্চগড় জেলায় ধর্মীয় নেতাদের নেতৃত্বে একটি দল আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যের ওপর হামলা চালায় এবং ১১৭টি বাড়ি ও একটি মসজিদ ধ্বংস করে। ওএইচসিএইচআর আরও একটি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যেখানে ৫ আগস্টের ওই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর মারাত্মকভাবে আহত হয়। হামলার পর তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হয় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়। ওএইচসিএইচআর এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার তথ্য পায়নি।
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে নির্যাতন
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলো চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে বাংলাদেশ সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দটি প্রত্যাখ্যান করে এবং সংবিধানের তাঁদের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৭ সালে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা কখনো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি এবং সেনা উপস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এর মধ্যে জুলাইয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এসব প্রচারণার মধ্যে একটি মিথ্যা দাবি ছিল যে একজন বাঙালি শিক্ষার্থীকে একজন আদিবাসী শিক্ষার্থীর চেয়ে কম সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যদিও প্রকৃতপক্ষে উভয়ই ভর্তি হয়েছিল। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে উসকে দেয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাত্রা বাড়ায়।
৫ আগস্টের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে বিক্ষোভের সময় এবং তার পরেও স্থানীয় ইস্যু, বিশেষ করে সেনা প্রত্যাহারের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন ও দেয়াললিখন দেখা যায়। আন্দোলন থামাতে সেনাবাহিনী এসব দেয়াললিখন মুছে ফেলে এবং অ্যাকটিভিস্টদের আটক করে। এসব পদক্ষেপ আরও বেশি কঠোর দমন-পীড়নের আশঙ্কা তৈরি করে।
সাক্ষীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৫ আগস্ট বান্দরবানে সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠে, যেখানে আদিবাসী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। কিছু সশস্ত্র বাঙালি গোষ্ঠী ট্রাকে করে এসে স্থানীয় এক নেতার বাসভবনে হামলা চালায়।
৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে গণমাধ্যম ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী হিন্দু, আহমদিয়া, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয়গুলোর ওপর বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার ঘটনা ঘটে। ওএইচসিএইচআরে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধার বুরাশারদুবি গ্রামে তিনটি মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় ২০টি বাড়ি লুটপাট করা হয়, যা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার ইঙ্গিত।
এ ছাড়া মেহেরপুরে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ৭ আগস্ট নন্দীপাড়ায় একটি কালীমন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তদন্তে জানা যায়, এটি ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে নয়, বরং জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় বিরোধের কারণে ছিল।

শেখ হাসিনার পতনের আগে ও পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার পর এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)।
ওএইচসিএইচআর ৩৪টি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এসব হামলার বিস্তারিত সংগ্রহ করেছে, যেখানে ১২ জন সরাসরি ভুক্তভোগী ছিলেন। বেশ কয়েকটি ঘটনায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ‘বিজয় মিছিলের’ অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ৩৭টি সহিংস ঘটনার তথ্য বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সরবরাহ করেছে। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ১ হাজার ৭৬৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, যেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ২০টি সাম্প্রদায়িক এবং ১৬১টি অভিযোগ ভুয়া ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলে বাঙালি সেটলারদের সঙ্গে ভূমি বিরোধ ও সামরিক হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের বিরুদ্ধে আক্রমণ বেড়ে যায়। কয়েকটি ঘটনায় স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
সাবেক সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ের ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়। বিশেষত ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুরসহ উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের সহিংসতা বেশি ঘটেছে। এ ছাড়া সিলেট, খুলনা, রংপুরসহ অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা মূলত সেই সব এলাকায় সংঘটিত হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে হিন্দুদের দেখা হতো।
হিন্দু ব্যবসায়ী ও গৃহস্বামীরা ওএইচসিএইচআরকে জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবসা, বাড়িঘর, জমি ও ধর্মীয় স্থানে হামলা হয়েছে। তাঁদের দোকান লুটপাট করা হয়েছে, সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ ও নানা হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার ফলে এই সহিংসতা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়।
উদাহরণস্বরূপ, এক সাক্ষাৎকারদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু শ্মশান ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়। অন্য সাক্ষীরা জানিয়েছেন, হামলার পর ৩-৪ হাজার হিন্দু বাসিন্দা নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। আক্রান্ত পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতা এবং বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। অনেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী, গবাদিপশু ও ব্যবসা হারিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসব হামলা মূলত বিজয় মিছিলের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়, যেখানে সাবেক সরকারের পতন উদ্যাপন করা হচ্ছিল। যদিও হামলাকারীদের পরিচয় সব ক্ষেত্রে স্পষ্ট নয়, কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের সমর্থক ছিল। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের কিছু নেতা এসব সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে এবং ৬ আগস্টের পর তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয় রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে।
বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে, হিন্দু প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এক ঘটনায় ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতারাও ছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্য অনুসারে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩৭টি সহিংস হামলা সংঘটিত হয়েছে। এসব হামলা যশোর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, নাটোর, দিনাজপুর, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, মেহেরপুর, বরগুনা, বরিশাল, রাজবাড়ী, ঠাকুরগাঁও, ফরিদপুর, পিরোজপুর ও নেত্রকোনায় ঘটেছে। অধিকাংশ হামলায় বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস করা হয়েছে। চারটি ঘটনায় মন্দির লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন নারীর গলা কাটা হয়েছে এবং একজন পুরুষ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনাগুলোর মধ্যে পাঁচটি হামলায় বিএনপি-সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়
৫ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় সাতটি সহিংসতার শিকার হয়েছে। ওএইচসিএইচআর বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে যে ৫ আগস্ট পঞ্চগড় জেলায় ধর্মীয় নেতাদের নেতৃত্বে একটি দল আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যের ওপর হামলা চালায় এবং ১১৭টি বাড়ি ও একটি মসজিদ ধ্বংস করে। ওএইচসিএইচআর আরও একটি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যেখানে ৫ আগস্টের ওই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর মারাত্মকভাবে আহত হয়। হামলার পর তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হয় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়। ওএইচসিএইচআর এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার তথ্য পায়নি।
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে নির্যাতন
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলো চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে বাংলাদেশ সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দটি প্রত্যাখ্যান করে এবং সংবিধানের তাঁদের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৭ সালে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা কখনো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি এবং সেনা উপস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এর মধ্যে জুলাইয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এসব প্রচারণার মধ্যে একটি মিথ্যা দাবি ছিল যে একজন বাঙালি শিক্ষার্থীকে একজন আদিবাসী শিক্ষার্থীর চেয়ে কম সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যদিও প্রকৃতপক্ষে উভয়ই ভর্তি হয়েছিল। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে উসকে দেয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাত্রা বাড়ায়।
৫ আগস্টের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে বিক্ষোভের সময় এবং তার পরেও স্থানীয় ইস্যু, বিশেষ করে সেনা প্রত্যাহারের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন ও দেয়াললিখন দেখা যায়। আন্দোলন থামাতে সেনাবাহিনী এসব দেয়াললিখন মুছে ফেলে এবং অ্যাকটিভিস্টদের আটক করে। এসব পদক্ষেপ আরও বেশি কঠোর দমন-পীড়নের আশঙ্কা তৈরি করে।
সাক্ষীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৫ আগস্ট বান্দরবানে সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠে, যেখানে আদিবাসী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। কিছু সশস্ত্র বাঙালি গোষ্ঠী ট্রাকে করে এসে স্থানীয় এক নেতার বাসভবনে হামলা চালায়।
৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে গণমাধ্যম ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী হিন্দু, আহমদিয়া, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয়গুলোর ওপর বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার ঘটনা ঘটে। ওএইচসিএইচআরে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধার বুরাশারদুবি গ্রামে তিনটি মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় ২০টি বাড়ি লুটপাট করা হয়, যা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার ইঙ্গিত।
এ ছাড়া মেহেরপুরে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ৭ আগস্ট নন্দীপাড়ায় একটি কালীমন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তদন্তে জানা যায়, এটি ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে নয়, বরং জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় বিরোধের কারণে ছিল।

শেখ হাসিনার পতনের আগে ও পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার পর এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)।
ওএইচসিএইচআর ৩৪টি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এসব হামলার বিস্তারিত সংগ্রহ করেছে, যেখানে ১২ জন সরাসরি ভুক্তভোগী ছিলেন। বেশ কয়েকটি ঘটনায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ‘বিজয় মিছিলের’ অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ৩৭টি সহিংস ঘটনার তথ্য বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সরবরাহ করেছে। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ১ হাজার ৭৬৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, যেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ২০টি সাম্প্রদায়িক এবং ১৬১টি অভিযোগ ভুয়া ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলে বাঙালি সেটলারদের সঙ্গে ভূমি বিরোধ ও সামরিক হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের বিরুদ্ধে আক্রমণ বেড়ে যায়। কয়েকটি ঘটনায় স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
সাবেক সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ের ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়। বিশেষত ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুরসহ উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের সহিংসতা বেশি ঘটেছে। এ ছাড়া সিলেট, খুলনা, রংপুরসহ অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা মূলত সেই সব এলাকায় সংঘটিত হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে হিন্দুদের দেখা হতো।
হিন্দু ব্যবসায়ী ও গৃহস্বামীরা ওএইচসিএইচআরকে জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবসা, বাড়িঘর, জমি ও ধর্মীয় স্থানে হামলা হয়েছে। তাঁদের দোকান লুটপাট করা হয়েছে, সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ ও নানা হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার ফলে এই সহিংসতা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়।
উদাহরণস্বরূপ, এক সাক্ষাৎকারদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু শ্মশান ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়। অন্য সাক্ষীরা জানিয়েছেন, হামলার পর ৩-৪ হাজার হিন্দু বাসিন্দা নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। আক্রান্ত পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতা এবং বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। অনেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী, গবাদিপশু ও ব্যবসা হারিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসব হামলা মূলত বিজয় মিছিলের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়, যেখানে সাবেক সরকারের পতন উদ্যাপন করা হচ্ছিল। যদিও হামলাকারীদের পরিচয় সব ক্ষেত্রে স্পষ্ট নয়, কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের সমর্থক ছিল। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের কিছু নেতা এসব সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে এবং ৬ আগস্টের পর তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয় রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে।
বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে, হিন্দু প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এক ঘটনায় ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতারাও ছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্য অনুসারে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩৭টি সহিংস হামলা সংঘটিত হয়েছে। এসব হামলা যশোর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, নাটোর, দিনাজপুর, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, মেহেরপুর, বরগুনা, বরিশাল, রাজবাড়ী, ঠাকুরগাঁও, ফরিদপুর, পিরোজপুর ও নেত্রকোনায় ঘটেছে। অধিকাংশ হামলায় বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস করা হয়েছে। চারটি ঘটনায় মন্দির লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন নারীর গলা কাটা হয়েছে এবং একজন পুরুষ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনাগুলোর মধ্যে পাঁচটি হামলায় বিএনপি-সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়
৫ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় সাতটি সহিংসতার শিকার হয়েছে। ওএইচসিএইচআর বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে যে ৫ আগস্ট পঞ্চগড় জেলায় ধর্মীয় নেতাদের নেতৃত্বে একটি দল আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যের ওপর হামলা চালায় এবং ১১৭টি বাড়ি ও একটি মসজিদ ধ্বংস করে। ওএইচসিএইচআর আরও একটি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যেখানে ৫ আগস্টের ওই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর মারাত্মকভাবে আহত হয়। হামলার পর তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হয় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়। ওএইচসিএইচআর এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার তথ্য পায়নি।
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে নির্যাতন
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলো চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে বাংলাদেশ সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দটি প্রত্যাখ্যান করে এবং সংবিধানের তাঁদের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৭ সালে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা কখনো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি এবং সেনা উপস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এর মধ্যে জুলাইয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এসব প্রচারণার মধ্যে একটি মিথ্যা দাবি ছিল যে একজন বাঙালি শিক্ষার্থীকে একজন আদিবাসী শিক্ষার্থীর চেয়ে কম সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যদিও প্রকৃতপক্ষে উভয়ই ভর্তি হয়েছিল। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে উসকে দেয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাত্রা বাড়ায়।
৫ আগস্টের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে বিক্ষোভের সময় এবং তার পরেও স্থানীয় ইস্যু, বিশেষ করে সেনা প্রত্যাহারের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন ও দেয়াললিখন দেখা যায়। আন্দোলন থামাতে সেনাবাহিনী এসব দেয়াললিখন মুছে ফেলে এবং অ্যাকটিভিস্টদের আটক করে। এসব পদক্ষেপ আরও বেশি কঠোর দমন-পীড়নের আশঙ্কা তৈরি করে।
সাক্ষীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৫ আগস্ট বান্দরবানে সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠে, যেখানে আদিবাসী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। কিছু সশস্ত্র বাঙালি গোষ্ঠী ট্রাকে করে এসে স্থানীয় এক নেতার বাসভবনে হামলা চালায়।
৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে গণমাধ্যম ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী হিন্দু, আহমদিয়া, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয়গুলোর ওপর বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার ঘটনা ঘটে। ওএইচসিএইচআরে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধার বুরাশারদুবি গ্রামে তিনটি মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় ২০টি বাড়ি লুটপাট করা হয়, যা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার ইঙ্গিত।
এ ছাড়া মেহেরপুরে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ৭ আগস্ট নন্দীপাড়ায় একটি কালীমন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তদন্তে জানা যায়, এটি ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে নয়, বরং জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় বিরোধের কারণে ছিল।

শেখ হাসিনার পতনের আগে ও পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনার পর এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)।
ওএইচসিএইচআর ৩৪টি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এসব হামলার বিস্তারিত সংগ্রহ করেছে, যেখানে ১২ জন সরাসরি ভুক্তভোগী ছিলেন। বেশ কয়েকটি ঘটনায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ‘বিজয় মিছিলের’ অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ৩৭টি সহিংস ঘটনার তথ্য বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সরবরাহ করেছে। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ১ হাজার ৭৬৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, যেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ২০টি সাম্প্রদায়িক এবং ১৬১টি অভিযোগ ভুয়া ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলে বাঙালি সেটলারদের সঙ্গে ভূমি বিরোধ ও সামরিক হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের বিরুদ্ধে আক্রমণ বেড়ে যায়। কয়েকটি ঘটনায় স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
সাবেক সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ের ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়। বিশেষত ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুরসহ উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের সহিংসতা বেশি ঘটেছে। এ ছাড়া সিলেট, খুলনা, রংপুরসহ অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা মূলত সেই সব এলাকায় সংঘটিত হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে হিন্দুদের দেখা হতো।
হিন্দু ব্যবসায়ী ও গৃহস্বামীরা ওএইচসিএইচআরকে জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবসা, বাড়িঘর, জমি ও ধর্মীয় স্থানে হামলা হয়েছে। তাঁদের দোকান লুটপাট করা হয়েছে, সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ ও নানা হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার ফলে এই সহিংসতা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়।
উদাহরণস্বরূপ, এক সাক্ষাৎকারদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু শ্মশান ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়। অন্য সাক্ষীরা জানিয়েছেন, হামলার পর ৩-৪ হাজার হিন্দু বাসিন্দা নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। আক্রান্ত পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতা এবং বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। অনেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী, গবাদিপশু ও ব্যবসা হারিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসব হামলা মূলত বিজয় মিছিলের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়, যেখানে সাবেক সরকারের পতন উদ্যাপন করা হচ্ছিল। যদিও হামলাকারীদের পরিচয় সব ক্ষেত্রে স্পষ্ট নয়, কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের সমর্থক ছিল। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের কিছু নেতা এসব সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে এবং ৬ আগস্টের পর তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয় রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে।
বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে, হিন্দু প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এক ঘটনায় ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতারাও ছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্য অনুসারে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩৭টি সহিংস হামলা সংঘটিত হয়েছে। এসব হামলা যশোর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, নাটোর, দিনাজপুর, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, মেহেরপুর, বরগুনা, বরিশাল, রাজবাড়ী, ঠাকুরগাঁও, ফরিদপুর, পিরোজপুর ও নেত্রকোনায় ঘটেছে। অধিকাংশ হামলায় বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস করা হয়েছে। চারটি ঘটনায় মন্দির লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন নারীর গলা কাটা হয়েছে এবং একজন পুরুষ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনাগুলোর মধ্যে পাঁচটি হামলায় বিএনপি-সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়
৫ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় সাতটি সহিংসতার শিকার হয়েছে। ওএইচসিএইচআর বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে যে ৫ আগস্ট পঞ্চগড় জেলায় ধর্মীয় নেতাদের নেতৃত্বে একটি দল আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যের ওপর হামলা চালায় এবং ১১৭টি বাড়ি ও একটি মসজিদ ধ্বংস করে। ওএইচসিএইচআর আরও একটি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যেখানে ৫ আগস্টের ওই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর মারাত্মকভাবে আহত হয়। হামলার পর তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হয় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়। ওএইচসিএইচআর এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার তথ্য পায়নি।
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে নির্যাতন
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলো চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে বাংলাদেশ সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দটি প্রত্যাখ্যান করে এবং সংবিধানের তাঁদের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৭ সালে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা কখনো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি এবং সেনা উপস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এর মধ্যে জুলাইয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এসব প্রচারণার মধ্যে একটি মিথ্যা দাবি ছিল যে একজন বাঙালি শিক্ষার্থীকে একজন আদিবাসী শিক্ষার্থীর চেয়ে কম সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যদিও প্রকৃতপক্ষে উভয়ই ভর্তি হয়েছিল। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে উসকে দেয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাত্রা বাড়ায়।
৫ আগস্টের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে বিক্ষোভের সময় এবং তার পরেও স্থানীয় ইস্যু, বিশেষ করে সেনা প্রত্যাহারের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন ও দেয়াললিখন দেখা যায়। আন্দোলন থামাতে সেনাবাহিনী এসব দেয়াললিখন মুছে ফেলে এবং অ্যাকটিভিস্টদের আটক করে। এসব পদক্ষেপ আরও বেশি কঠোর দমন-পীড়নের আশঙ্কা তৈরি করে।
সাক্ষীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৫ আগস্ট বান্দরবানে সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠে, যেখানে আদিবাসী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। কিছু সশস্ত্র বাঙালি গোষ্ঠী ট্রাকে করে এসে স্থানীয় এক নেতার বাসভবনে হামলা চালায়।
৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে গণমাধ্যম ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী হিন্দু, আহমদিয়া, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয়গুলোর ওপর বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার ঘটনা ঘটে। ওএইচসিএইচআরে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধার বুরাশারদুবি গ্রামে তিনটি মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় ২০টি বাড়ি লুটপাট করা হয়, যা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার ইঙ্গিত।
এ ছাড়া মেহেরপুরে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ৭ আগস্ট নন্দীপাড়ায় একটি কালীমন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তদন্তে জানা যায়, এটি ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে নয়, বরং জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় বিরোধের কারণে ছিল।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১ ঘণ্টা আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেকমিশনের বৈঠক
তানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১ ঘণ্টা আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট ও রংপুরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১ ঘণ্টা আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৬ ঘণ্টা আগে