গ্যাস-সংকট চরমে
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা। গ্যাস না পেয়ে ধুঁকছে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোর অনেক কারখানা।
সারা দিনে গ্যাস না মেলায় রান্নার কাজ সারতে গলদঘর্ম অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের গৃহিণীদের। সন্ধ্যার পর গ্যাসের চুলা জ্বললেও সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বনশ্রী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, আজিমপুর, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, ওয়ারী, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বড় একটি এলাকার বাসিন্দাদের। এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ অনেক কম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. এনায়েত করিম বলেন, গ্যাস না থাকায় বাসায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চুলায় এত কম চাপ থাকে যে রান্নার কাজ শেষ করা যায় না। একই রকম অভিজ্ঞতা পশ্চিম ধানমন্ডির বাসিন্দা কাজী রাকিবউদ্দীনের। তিনি বলেন, বাসায় রান্না হচ্ছে না। কারণ, গ্যাসের চাপ না থাকায় চুলা জ্বলছে না।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন গ্যাস আসে না। রাতে চুলা যতটুকু জ্বলে সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লাগে। হোটেল থেকে কেনা খাবারই এখন ভরসা।
সংকট সমাধান কবে নাগাদ হবে—জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস এলাকায় ২৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। পেট্রোবাংলা আমাদের এই চাহিদার বিপরীতে ১৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিত। সেটা এই শীতে নেমে এসেছে ১৪০ কোটি ঘনফুটে। যদি গ্যাসের উৎপাদন না বাড়ানো যায়, তাহলে গ্যাস-সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না।’
ধুঁকছে শিল্পকারখানা
দেশের শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট অনেক দিন ধরে। বড় তদবির না হলে শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগ মেলে না। আর চালু থাকা কলকারখানায় গ্যাসের চাপও ঠিক নেই। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশির ভাগ কারখানা মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস-সংকটে নাকাল বস্ত্র খাতের কারখানাগুলো। এখন সংকট আরও বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিস্থিতি খারাপ নারায়ণগঞ্জের ভুলতা, গাউছিয়া, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকার কারখানাগুলোর। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গাজীপুর, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বস্ত্র খাতে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। বস্ত্র কারখানায় বাস্প তৈরিতে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়। কারখানায় গ্যাসের চাপ থাকার কথা অন্তত ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি), সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ পিএসআই। এত কম চাপে জেনারেটর ও বয়লার চালানো যাচ্ছে না। সে কারণে বস্ত্র কারখানাগুলো বন্ধ থাকছে। এর বিকল্প হিসেবে কোনো কোনো কারখানা ডিজেল জেনারেটর দিয়ে চালু রেখেছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। বাড়তি খরচের কারণে প্রতিযোগিতামূলক এই শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বস্ত্র কারখানার মালিকেরা বলছেন, এই খাতের কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাসের ৭৫ শতাংশই বাষ্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়, বাকিটা বিদ্যুৎ উৎপাদনে। গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। আর এ কারণে নিটের রপ্তানি পোশাকের উৎপাদন অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুরে এখন তৈরি পোশাকশিল্পের বড় হাব। এই জেলার বোর্ডবাজার, বাসন সড়ক, জয়দেবপুর, কড্ডা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, কালিয়াকৈর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট রয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগর, নয়টি উপজেলা ও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ করে। কোম্পানিটির গ্রাহক সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বাকলিয়া, চকবাজার, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আন্দরকিল্লা এলাকায় গ্যাসের চাপ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সংকটের মূলে এলএনজিনির্ভরতা
গ্যাস-সংকটের সমাধানে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ওপর জোর না দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছিল। এতে চাপ বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। এলএনজিনির্ভরতা সংকট আরও বাড়িয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজির পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে বলা হয়েছিল, দেশে গ্যাস নেই। অথচ দেশের স্থলভাগে মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান হয়েছে, ৯০ শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করা হয়নি। অনুসন্ধান বাকি থাকা এলাকায় বড় গ্যাসের সন্ধান মিলতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করে এমন তিনটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলেছে, বাংলাদেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত ৩২ থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। দেশে প্রতিবছর গ্যাসের চাহিদা ১ টিসিএফ। এ হিসাবে অন্তত ৩০ বছরের গ্যাসের মজুত রয়েছে দেশে। এই বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা না করেই কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে দেশে আর গ্যাস নেই, বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিই একমাত্র ভরসা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, দেশের মাত্র ১০ ভাগ এলাকা অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে, বাকি এলাকায় অনুসন্ধান না করেই যারা বলছেন গ্যাস নেই। বেঙ্গল বেসিন বা ব-দ্বীপ এলাকার ত্রিমাত্রিক জরিপ বলছে, সমতলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা ও সাগর ভাগে নিশ্চিত গ্যাস আছে। এসব গ্যাস তোলার বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ এলএনজি কেনার হিড়িক পড়েছে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের ওপর বড় নজর দেওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
এলএনজিনির্ভরতায় কার লাভ
গত সরকার দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে। অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা। গ্যাস না পেয়ে ধুঁকছে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোর অনেক কারখানা।
সারা দিনে গ্যাস না মেলায় রান্নার কাজ সারতে গলদঘর্ম অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের গৃহিণীদের। সন্ধ্যার পর গ্যাসের চুলা জ্বললেও সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বনশ্রী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, আজিমপুর, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, ওয়ারী, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বড় একটি এলাকার বাসিন্দাদের। এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ অনেক কম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. এনায়েত করিম বলেন, গ্যাস না থাকায় বাসায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চুলায় এত কম চাপ থাকে যে রান্নার কাজ শেষ করা যায় না। একই রকম অভিজ্ঞতা পশ্চিম ধানমন্ডির বাসিন্দা কাজী রাকিবউদ্দীনের। তিনি বলেন, বাসায় রান্না হচ্ছে না। কারণ, গ্যাসের চাপ না থাকায় চুলা জ্বলছে না।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন গ্যাস আসে না। রাতে চুলা যতটুকু জ্বলে সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লাগে। হোটেল থেকে কেনা খাবারই এখন ভরসা।
সংকট সমাধান কবে নাগাদ হবে—জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস এলাকায় ২৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। পেট্রোবাংলা আমাদের এই চাহিদার বিপরীতে ১৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিত। সেটা এই শীতে নেমে এসেছে ১৪০ কোটি ঘনফুটে। যদি গ্যাসের উৎপাদন না বাড়ানো যায়, তাহলে গ্যাস-সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না।’
ধুঁকছে শিল্পকারখানা
দেশের শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট অনেক দিন ধরে। বড় তদবির না হলে শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগ মেলে না। আর চালু থাকা কলকারখানায় গ্যাসের চাপও ঠিক নেই। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশির ভাগ কারখানা মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস-সংকটে নাকাল বস্ত্র খাতের কারখানাগুলো। এখন সংকট আরও বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিস্থিতি খারাপ নারায়ণগঞ্জের ভুলতা, গাউছিয়া, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকার কারখানাগুলোর। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গাজীপুর, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বস্ত্র খাতে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। বস্ত্র কারখানায় বাস্প তৈরিতে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়। কারখানায় গ্যাসের চাপ থাকার কথা অন্তত ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি), সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ পিএসআই। এত কম চাপে জেনারেটর ও বয়লার চালানো যাচ্ছে না। সে কারণে বস্ত্র কারখানাগুলো বন্ধ থাকছে। এর বিকল্প হিসেবে কোনো কোনো কারখানা ডিজেল জেনারেটর দিয়ে চালু রেখেছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। বাড়তি খরচের কারণে প্রতিযোগিতামূলক এই শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বস্ত্র কারখানার মালিকেরা বলছেন, এই খাতের কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাসের ৭৫ শতাংশই বাষ্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়, বাকিটা বিদ্যুৎ উৎপাদনে। গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। আর এ কারণে নিটের রপ্তানি পোশাকের উৎপাদন অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুরে এখন তৈরি পোশাকশিল্পের বড় হাব। এই জেলার বোর্ডবাজার, বাসন সড়ক, জয়দেবপুর, কড্ডা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, কালিয়াকৈর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট রয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগর, নয়টি উপজেলা ও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ করে। কোম্পানিটির গ্রাহক সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বাকলিয়া, চকবাজার, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আন্দরকিল্লা এলাকায় গ্যাসের চাপ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সংকটের মূলে এলএনজিনির্ভরতা
গ্যাস-সংকটের সমাধানে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ওপর জোর না দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছিল। এতে চাপ বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। এলএনজিনির্ভরতা সংকট আরও বাড়িয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজির পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে বলা হয়েছিল, দেশে গ্যাস নেই। অথচ দেশের স্থলভাগে মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান হয়েছে, ৯০ শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করা হয়নি। অনুসন্ধান বাকি থাকা এলাকায় বড় গ্যাসের সন্ধান মিলতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করে এমন তিনটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলেছে, বাংলাদেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত ৩২ থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। দেশে প্রতিবছর গ্যাসের চাহিদা ১ টিসিএফ। এ হিসাবে অন্তত ৩০ বছরের গ্যাসের মজুত রয়েছে দেশে। এই বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা না করেই কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে দেশে আর গ্যাস নেই, বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিই একমাত্র ভরসা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, দেশের মাত্র ১০ ভাগ এলাকা অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে, বাকি এলাকায় অনুসন্ধান না করেই যারা বলছেন গ্যাস নেই। বেঙ্গল বেসিন বা ব-দ্বীপ এলাকার ত্রিমাত্রিক জরিপ বলছে, সমতলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা ও সাগর ভাগে নিশ্চিত গ্যাস আছে। এসব গ্যাস তোলার বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ এলএনজি কেনার হিড়িক পড়েছে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের ওপর বড় নজর দেওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
এলএনজিনির্ভরতায় কার লাভ
গত সরকার দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে। অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে।
গ্যাস-সংকট চরমে
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা। গ্যাস না পেয়ে ধুঁকছে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোর অনেক কারখানা।
সারা দিনে গ্যাস না মেলায় রান্নার কাজ সারতে গলদঘর্ম অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের গৃহিণীদের। সন্ধ্যার পর গ্যাসের চুলা জ্বললেও সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বনশ্রী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, আজিমপুর, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, ওয়ারী, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বড় একটি এলাকার বাসিন্দাদের। এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ অনেক কম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. এনায়েত করিম বলেন, গ্যাস না থাকায় বাসায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চুলায় এত কম চাপ থাকে যে রান্নার কাজ শেষ করা যায় না। একই রকম অভিজ্ঞতা পশ্চিম ধানমন্ডির বাসিন্দা কাজী রাকিবউদ্দীনের। তিনি বলেন, বাসায় রান্না হচ্ছে না। কারণ, গ্যাসের চাপ না থাকায় চুলা জ্বলছে না।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন গ্যাস আসে না। রাতে চুলা যতটুকু জ্বলে সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লাগে। হোটেল থেকে কেনা খাবারই এখন ভরসা।
সংকট সমাধান কবে নাগাদ হবে—জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস এলাকায় ২৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। পেট্রোবাংলা আমাদের এই চাহিদার বিপরীতে ১৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিত। সেটা এই শীতে নেমে এসেছে ১৪০ কোটি ঘনফুটে। যদি গ্যাসের উৎপাদন না বাড়ানো যায়, তাহলে গ্যাস-সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না।’
ধুঁকছে শিল্পকারখানা
দেশের শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট অনেক দিন ধরে। বড় তদবির না হলে শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগ মেলে না। আর চালু থাকা কলকারখানায় গ্যাসের চাপও ঠিক নেই। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশির ভাগ কারখানা মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস-সংকটে নাকাল বস্ত্র খাতের কারখানাগুলো। এখন সংকট আরও বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিস্থিতি খারাপ নারায়ণগঞ্জের ভুলতা, গাউছিয়া, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকার কারখানাগুলোর। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গাজীপুর, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বস্ত্র খাতে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। বস্ত্র কারখানায় বাস্প তৈরিতে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়। কারখানায় গ্যাসের চাপ থাকার কথা অন্তত ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি), সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ পিএসআই। এত কম চাপে জেনারেটর ও বয়লার চালানো যাচ্ছে না। সে কারণে বস্ত্র কারখানাগুলো বন্ধ থাকছে। এর বিকল্প হিসেবে কোনো কোনো কারখানা ডিজেল জেনারেটর দিয়ে চালু রেখেছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। বাড়তি খরচের কারণে প্রতিযোগিতামূলক এই শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বস্ত্র কারখানার মালিকেরা বলছেন, এই খাতের কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাসের ৭৫ শতাংশই বাষ্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়, বাকিটা বিদ্যুৎ উৎপাদনে। গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। আর এ কারণে নিটের রপ্তানি পোশাকের উৎপাদন অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুরে এখন তৈরি পোশাকশিল্পের বড় হাব। এই জেলার বোর্ডবাজার, বাসন সড়ক, জয়দেবপুর, কড্ডা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, কালিয়াকৈর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট রয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগর, নয়টি উপজেলা ও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ করে। কোম্পানিটির গ্রাহক সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বাকলিয়া, চকবাজার, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আন্দরকিল্লা এলাকায় গ্যাসের চাপ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সংকটের মূলে এলএনজিনির্ভরতা
গ্যাস-সংকটের সমাধানে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ওপর জোর না দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছিল। এতে চাপ বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। এলএনজিনির্ভরতা সংকট আরও বাড়িয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজির পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে বলা হয়েছিল, দেশে গ্যাস নেই। অথচ দেশের স্থলভাগে মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান হয়েছে, ৯০ শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করা হয়নি। অনুসন্ধান বাকি থাকা এলাকায় বড় গ্যাসের সন্ধান মিলতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করে এমন তিনটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলেছে, বাংলাদেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত ৩২ থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। দেশে প্রতিবছর গ্যাসের চাহিদা ১ টিসিএফ। এ হিসাবে অন্তত ৩০ বছরের গ্যাসের মজুত রয়েছে দেশে। এই বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা না করেই কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে দেশে আর গ্যাস নেই, বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিই একমাত্র ভরসা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, দেশের মাত্র ১০ ভাগ এলাকা অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে, বাকি এলাকায় অনুসন্ধান না করেই যারা বলছেন গ্যাস নেই। বেঙ্গল বেসিন বা ব-দ্বীপ এলাকার ত্রিমাত্রিক জরিপ বলছে, সমতলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা ও সাগর ভাগে নিশ্চিত গ্যাস আছে। এসব গ্যাস তোলার বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ এলএনজি কেনার হিড়িক পড়েছে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের ওপর বড় নজর দেওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
এলএনজিনির্ভরতায় কার লাভ
গত সরকার দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে। অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা। গ্যাস না পেয়ে ধুঁকছে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোর অনেক কারখানা।
সারা দিনে গ্যাস না মেলায় রান্নার কাজ সারতে গলদঘর্ম অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের গৃহিণীদের। সন্ধ্যার পর গ্যাসের চুলা জ্বললেও সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বনশ্রী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, আজিমপুর, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, ওয়ারী, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বড় একটি এলাকার বাসিন্দাদের। এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ অনেক কম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. এনায়েত করিম বলেন, গ্যাস না থাকায় বাসায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চুলায় এত কম চাপ থাকে যে রান্নার কাজ শেষ করা যায় না। একই রকম অভিজ্ঞতা পশ্চিম ধানমন্ডির বাসিন্দা কাজী রাকিবউদ্দীনের। তিনি বলেন, বাসায় রান্না হচ্ছে না। কারণ, গ্যাসের চাপ না থাকায় চুলা জ্বলছে না।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন গ্যাস আসে না। রাতে চুলা যতটুকু জ্বলে সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লাগে। হোটেল থেকে কেনা খাবারই এখন ভরসা।
সংকট সমাধান কবে নাগাদ হবে—জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস এলাকায় ২৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। পেট্রোবাংলা আমাদের এই চাহিদার বিপরীতে ১৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিত। সেটা এই শীতে নেমে এসেছে ১৪০ কোটি ঘনফুটে। যদি গ্যাসের উৎপাদন না বাড়ানো যায়, তাহলে গ্যাস-সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না।’
ধুঁকছে শিল্পকারখানা
দেশের শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট অনেক দিন ধরে। বড় তদবির না হলে শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগ মেলে না। আর চালু থাকা কলকারখানায় গ্যাসের চাপও ঠিক নেই। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশির ভাগ কারখানা মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস-সংকটে নাকাল বস্ত্র খাতের কারখানাগুলো। এখন সংকট আরও বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিস্থিতি খারাপ নারায়ণগঞ্জের ভুলতা, গাউছিয়া, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকার কারখানাগুলোর। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গাজীপুর, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বস্ত্র খাতে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। বস্ত্র কারখানায় বাস্প তৈরিতে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়। কারখানায় গ্যাসের চাপ থাকার কথা অন্তত ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি), সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ পিএসআই। এত কম চাপে জেনারেটর ও বয়লার চালানো যাচ্ছে না। সে কারণে বস্ত্র কারখানাগুলো বন্ধ থাকছে। এর বিকল্প হিসেবে কোনো কোনো কারখানা ডিজেল জেনারেটর দিয়ে চালু রেখেছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। বাড়তি খরচের কারণে প্রতিযোগিতামূলক এই শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বস্ত্র কারখানার মালিকেরা বলছেন, এই খাতের কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাসের ৭৫ শতাংশই বাষ্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়, বাকিটা বিদ্যুৎ উৎপাদনে। গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। আর এ কারণে নিটের রপ্তানি পোশাকের উৎপাদন অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুরে এখন তৈরি পোশাকশিল্পের বড় হাব। এই জেলার বোর্ডবাজার, বাসন সড়ক, জয়দেবপুর, কড্ডা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, কালিয়াকৈর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট রয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগর, নয়টি উপজেলা ও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ করে। কোম্পানিটির গ্রাহক সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বাকলিয়া, চকবাজার, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আন্দরকিল্লা এলাকায় গ্যাসের চাপ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সংকটের মূলে এলএনজিনির্ভরতা
গ্যাস-সংকটের সমাধানে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ওপর জোর না দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছিল। এতে চাপ বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। এলএনজিনির্ভরতা সংকট আরও বাড়িয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজির পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে বলা হয়েছিল, দেশে গ্যাস নেই। অথচ দেশের স্থলভাগে মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান হয়েছে, ৯০ শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করা হয়নি। অনুসন্ধান বাকি থাকা এলাকায় বড় গ্যাসের সন্ধান মিলতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করে এমন তিনটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলেছে, বাংলাদেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত ৩২ থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। দেশে প্রতিবছর গ্যাসের চাহিদা ১ টিসিএফ। এ হিসাবে অন্তত ৩০ বছরের গ্যাসের মজুত রয়েছে দেশে। এই বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা না করেই কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে দেশে আর গ্যাস নেই, বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিই একমাত্র ভরসা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, দেশের মাত্র ১০ ভাগ এলাকা অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে, বাকি এলাকায় অনুসন্ধান না করেই যারা বলছেন গ্যাস নেই। বেঙ্গল বেসিন বা ব-দ্বীপ এলাকার ত্রিমাত্রিক জরিপ বলছে, সমতলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা ও সাগর ভাগে নিশ্চিত গ্যাস আছে। এসব গ্যাস তোলার বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ এলএনজি কেনার হিড়িক পড়েছে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের ওপর বড় নজর দেওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
এলএনজিনির্ভরতায় কার লাভ
গত সরকার দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে। অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৭ ঘণ্টা আগে
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় করা সেফ হাউসের বর্ণনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। সব ঠিক থাকলে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আগামী ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কমিশন জানায়, ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে। এর মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইসি। সেখান থেকে সরে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। দিনটি বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণের পর ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ভোটের পরের দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। এ জন্য ১২ ফেব্রুয়ারিকে ভোটের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলে আসছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ঈদ উৎসবের মতো। ফলে এবারই প্রথম ভোটের আগের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। পরের দুই দিন ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন। আজ সেই ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আর নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানায়, সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিটিভির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল। আজ দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন। এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আজ বিকেলেও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে ২০টির মতো পরিপত্র জারি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নিয়োগ, মনিটরিং সেল এবং আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সেল গঠনের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ধারাবাহিকভাবে এগুলো জারি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভোটের সঙ্গে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানো এবং বাজেট বাড়ানোর বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে কমিশনকে। এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইনবিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় ভোট দিতে একজন ভোটারের কত সময় লাগবে, সেই ধারণা নিতে গত ২৯ নভেম্বর ভোটের মহড়া করে ইসি। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে। এ সময়ের মধ্যে পোস্টার না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি ও আধা সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এসব পদে দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং গতকাল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। রেওয়াজ অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসির তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ করলে কঠোরভাবে দমন
তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়—এটিই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাঁরা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবিদাওয়া আছে, তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করবেন না।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। সব ঠিক থাকলে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আগামী ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কমিশন জানায়, ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে। এর মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইসি। সেখান থেকে সরে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। দিনটি বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণের পর ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ভোটের পরের দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। এ জন্য ১২ ফেব্রুয়ারিকে ভোটের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলে আসছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ঈদ উৎসবের মতো। ফলে এবারই প্রথম ভোটের আগের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। পরের দুই দিন ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন। আজ সেই ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আর নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানায়, সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিটিভির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল। আজ দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন। এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আজ বিকেলেও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে ২০টির মতো পরিপত্র জারি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নিয়োগ, মনিটরিং সেল এবং আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সেল গঠনের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ধারাবাহিকভাবে এগুলো জারি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভোটের সঙ্গে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানো এবং বাজেট বাড়ানোর বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে কমিশনকে। এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইনবিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় ভোট দিতে একজন ভোটারের কত সময় লাগবে, সেই ধারণা নিতে গত ২৯ নভেম্বর ভোটের মহড়া করে ইসি। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে। এ সময়ের মধ্যে পোস্টার না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি ও আধা সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এসব পদে দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং গতকাল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। রেওয়াজ অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসির তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ করলে কঠোরভাবে দমন
তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়—এটিই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাঁরা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবিদাওয়া আছে, তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করবেন না।’

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় করা সেফ হাউসের বর্ণনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ১২ নভেম্বর ২১ জনের শপথ অনুষ্ঠিত হলেও অসুস্থতার কারণে বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন শপথ নিতে পারেননি।

শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ১২ নভেম্বর ২১ জনের শপথ অনুষ্ঠিত হলেও অসুস্থতার কারণে বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন শপথ নিতে পারেননি।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৭ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় করা সেফ হাউসের বর্ণনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
ইউরোফাইটার টাইফুন (মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট—এমআরসিএ) কিনতে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এরই অংশ হিসেবে আজ লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে আগ্রহপত্র সই করল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এলওআই সই অনুষ্ঠানের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল আহসানসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফেসবুক পেজে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সম্মুখসারিতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অত্যাধুনিক এমআরসিএর অংশ হিসেবে এই এলওআইয়ের আওতায় লিওনার্দো ইউরোফাইটার টাইফুন জঙ্গি বিমান সরবরাহ করবে।

ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
ইউরোফাইটার টাইফুন (মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট—এমআরসিএ) কিনতে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এরই অংশ হিসেবে আজ লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে আগ্রহপত্র সই করল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এলওআই সই অনুষ্ঠানের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল আহসানসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফেসবুক পেজে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সম্মুখসারিতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অত্যাধুনিক এমআরসিএর অংশ হিসেবে এই এলওআইয়ের আওতায় লিওনার্দো ইউরোফাইটার টাইফুন জঙ্গি বিমান সরবরাহ করবে।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৭ ঘণ্টা আগে
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১০ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় করা সেফ হাউসের বর্ণনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় করা সেফ হাউসের বর্ণনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সাক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তিনি এই বর্ণনা দেন।
এই মামলায় ২২তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই তিনি ও সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর মামার বাসায় যান। তবে ডিজিএফআই সদস্যরা রাতে সেখান থেকে তাঁদের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উঠিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা যাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে সেখানে আনিসুল হক (সাবেক আইনমন্ত্রী), আরাফাত (সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত) ও নওফেল (সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী) প্রবেশ করেন। ডিজিএফআই সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে দুজনকে বৈঠক করতে চাপ দেন। তবে সমন্বয়ক নাহিদ-আসিফের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানান। বৈঠক না করায় ডিজিএফআই সদস্যরা রাতেই তাঁদের মৎস্য ভবন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মাঝে একটি গোপন স্থানে নিয়ে যান; যা সেফ হাউস নামে পরিচিত। সেখানে ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যিনি জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তিনি ফোন করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের নিউজ পরিবর্তন এবং স্ক্রল সংশোধনের নির্দেশ দিচ্ছিলেন। সে অনুযায়ী টিভি চ্যানেলগুলো সংবাদ প্রচার করছিল এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক মর্মে দেখানোর চেষ্টা করছিল। হাসনাত নামে একজন মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, যে বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, তা বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হলেও ভেতরে ছিল আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। ১৭ জুলাই রাত প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফজরের সময় তাঁদের ডেকে তুলে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহার করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এবং সেটি সংবাদ সম্মেলন করে জাতির কাছে জানাতে তাঁদের চাপ দেওয়া হয়। তবে সে সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তাঁরা অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা তাঁদের ফোন ব্যবহার করে সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগযোগ করে তাঁদের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁর ফোন থেকে সমন্বয়ক হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর অবস্থান জানতে চাইলে হাসিব চানখাঁরপুলে আন্দোলনে থাকার কথা জানান। ডিজিএফআই তাঁকে কিছুক্ষণের মধ্যে চানখাঁরপুল থেকে সেফ হাউসে তুলে আনে। সেখানে তাঁদের তিনজনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। হাসিব মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ায় তাঁকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।
হাসনাত জবানবন্দিতে আরও বলেন, আটক অবস্থায় তাঁদের দেশবাসীর কাছে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্যে তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন মর্মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রচার করা হয়। তাঁদের যখনই মিডিয়ার সামনে আনা হচ্ছিল, তখনই বলছিলেন, পূর্বঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি ও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সময় টিভি, একাত্তর টিভি ও ডিবিসি তাঁদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ডিজিএফআইয়ের ডিজিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ওই সেফ হাউসে এসে শেষবারের মতো তাঁদের বৈঠক করে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে চাপ দেন। এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবিসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে আন্দোলন দমনের ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতা দেখা যায়। তাঁরা তিনজন সিদ্ধান্ত নেন, প্রেস কনফারেন্স করে দাবি জানাতে দিলে তাঁরা পদ্মায় যাবেন।
হাসনাত বলেন, পদ্মায় গিয়ে তাঁরা প্রেস কনফারেন্সে বলেন, সরকারের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে তাঁরা কোনো সংলাপ করতে পারেন না এবং পূর্বঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে মিডিয়া তাঁদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে। শাটডাউন কর্মসূচি যেন প্রত্যাহার করা হয়, সে জন্য মিডিয়ার সামনেই সেনা কর্মকর্তা হাসনাত তাঁদের চাপ দেন। তাঁরা অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের আবার সেফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁদের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে প্রচার করে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে মর্মে খবর পরিবেশিত হতে থাকে। প্রেস কনফারেন্সের তাঁদের কথা কেটে দিয়ে শুধু দাবিগুলো প্রচারিত হয়। সেদিন রাতে তাঁদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তৎকালীন আইজিপি, বেরোবি প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও যারা সরাসরি গুলি করেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দায়ী সবার বিচার চান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় করা সেফ হাউসের বর্ণনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সাক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তিনি এই বর্ণনা দেন।
এই মামলায় ২২তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই তিনি ও সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর মামার বাসায় যান। তবে ডিজিএফআই সদস্যরা রাতে সেখান থেকে তাঁদের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উঠিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা যাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে সেখানে আনিসুল হক (সাবেক আইনমন্ত্রী), আরাফাত (সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত) ও নওফেল (সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী) প্রবেশ করেন। ডিজিএফআই সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে দুজনকে বৈঠক করতে চাপ দেন। তবে সমন্বয়ক নাহিদ-আসিফের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানান। বৈঠক না করায় ডিজিএফআই সদস্যরা রাতেই তাঁদের মৎস্য ভবন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মাঝে একটি গোপন স্থানে নিয়ে যান; যা সেফ হাউস নামে পরিচিত। সেখানে ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যিনি জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তিনি ফোন করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের নিউজ পরিবর্তন এবং স্ক্রল সংশোধনের নির্দেশ দিচ্ছিলেন। সে অনুযায়ী টিভি চ্যানেলগুলো সংবাদ প্রচার করছিল এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক মর্মে দেখানোর চেষ্টা করছিল। হাসনাত নামে একজন মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, যে বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, তা বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হলেও ভেতরে ছিল আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। ১৭ জুলাই রাত প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফজরের সময় তাঁদের ডেকে তুলে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহার করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এবং সেটি সংবাদ সম্মেলন করে জাতির কাছে জানাতে তাঁদের চাপ দেওয়া হয়। তবে সে সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তাঁরা অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা তাঁদের ফোন ব্যবহার করে সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগযোগ করে তাঁদের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁর ফোন থেকে সমন্বয়ক হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর অবস্থান জানতে চাইলে হাসিব চানখাঁরপুলে আন্দোলনে থাকার কথা জানান। ডিজিএফআই তাঁকে কিছুক্ষণের মধ্যে চানখাঁরপুল থেকে সেফ হাউসে তুলে আনে। সেখানে তাঁদের তিনজনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। হাসিব মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ায় তাঁকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।
হাসনাত জবানবন্দিতে আরও বলেন, আটক অবস্থায় তাঁদের দেশবাসীর কাছে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্যে তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন মর্মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রচার করা হয়। তাঁদের যখনই মিডিয়ার সামনে আনা হচ্ছিল, তখনই বলছিলেন, পূর্বঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি ও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সময় টিভি, একাত্তর টিভি ও ডিবিসি তাঁদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ডিজিএফআইয়ের ডিজিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ওই সেফ হাউসে এসে শেষবারের মতো তাঁদের বৈঠক করে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে চাপ দেন। এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবিসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে আন্দোলন দমনের ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতা দেখা যায়। তাঁরা তিনজন সিদ্ধান্ত নেন, প্রেস কনফারেন্স করে দাবি জানাতে দিলে তাঁরা পদ্মায় যাবেন।
হাসনাত বলেন, পদ্মায় গিয়ে তাঁরা প্রেস কনফারেন্সে বলেন, সরকারের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে তাঁরা কোনো সংলাপ করতে পারেন না এবং পূর্বঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে মিডিয়া তাঁদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে। শাটডাউন কর্মসূচি যেন প্রত্যাহার করা হয়, সে জন্য মিডিয়ার সামনেই সেনা কর্মকর্তা হাসনাত তাঁদের চাপ দেন। তাঁরা অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের আবার সেফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁদের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে প্রচার করে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে মর্মে খবর পরিবেশিত হতে থাকে। প্রেস কনফারেন্সের তাঁদের কথা কেটে দিয়ে শুধু দাবিগুলো প্রচারিত হয়। সেদিন রাতে তাঁদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তৎকালীন আইজিপি, বেরোবি প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও যারা সরাসরি গুলি করেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দায়ী সবার বিচার চান তিনি।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
৭ ঘণ্টা আগে
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর খাসকামরায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালি থেকে জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন কিনছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা লিওনার্দো এসপিএর সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে এই সম্মতিপত্র সই হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে