শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা। কিন্তু তখনো উত্তাপ ছড়ায়নি নোয়াখালীতে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মুসল্লিদের একটি মিছিল আসছিল বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূজামণ্ডপের দিকে। আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা ফোন দেওয়া শুরু করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। সাহায্য চান পুলিশের। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাড়তে থাকে ফোনকলের সংখ্যা। কিন্তু সেদিন দেড় ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়নি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দায়িত্বশীল কাউকে। পুলিশ যখন সাড়া দেয় ততক্ষণে হামলা হয়ে গেছে একাধিক মন্দিরে, আগুনে পুড়ছিল হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাড়িঘর। এ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সবার।
জরুরি সেবা থেকে ফোন যাওয়ার পরই পুলিশের এসব গাফিলতির ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ আরও বড় ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা (জিআইএস) এবং ইন্টারনেট অব থিংগসের (আইওটি) পাশাপাশি আরও অনেক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে এ সেবায়। এতে করে জরুরি সহায়তা আরও দ্রুত ও নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
সূত্র বলছে, কুমিল্লার ঘটনার পরের তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৮২টি। প্রতিটি ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সাহায্যের জন্য ফোন আসে। সে ফোনের সঙ্গে থানা-পুলিশকেও সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৯৯৯ ফোন থেকে ফোন দিলেও চাঁদপুর ও নোয়াখালী, কুড়িগ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় সময়মতো পুলিশি সেবা মেলেনি। এতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
জাতীয় জরুরি সেবার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২৫টা করে ফোন আসে। এক ঘটনায় একটির বেশি ফোনকল গণনা না করলেও অন্তত পাঁচ শটি কল থানা-পুলিশকে পার করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত ফোন পেয়েও থানা-পুলিশ কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি? কার গাফিলতি ছিল এসব ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ অধিদপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের চার মহানগর ও ২৮ জেলায় মামলা হয়েছে ১২৪টি। এসব মামলায় ২২ হাজার ৩০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি নামে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯ জনকে। আসামিদের মধ্যে ৯৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকেই জরুরি সেবায় ফোন এসেছিল। কিন্তু পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সময়মতো পৌঁছালে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলাকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যথাসময়ে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রও (আসক)। আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। এমনকি বিজয়া দশমীর দিনে দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদাও দেওয়া হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করেন, এরপরই হামলা শুরু হয়।
আবার হামলার বিষয়ে অগ্রিম তথ্য পেয়েও পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, সে বিষয়ে তদন্ত টিম করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ চার জেলা পুলিশের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সব জেলার পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদরের একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত দল তদন্ত চালাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হামলার ঘটনাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এসেছে। কারণ, সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তা ছাড়া, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকা এবং ওসির দেড় ঘণ্টা ফোন না ধরার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অবশ্য এ অভিযোগে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ফোন সব সময় হাতেই থাকে। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এক ভুল বারবার হবে না।’
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুসারে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে নোয়াখালীতে। এ জেলায় ২৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এত বেশি মামলা আর কোথাও হয়নি। জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত দল এসেছিল। তারা কাজ করছে।
ঘটনার সময় বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন—এমন একাধিক পুলিশ সদস্য বলেছেন, জাতীয় জরুরি সেবার জন্য থানাতে নির্ধারিত কোনো দল নেই। রয়েছে গাড়ির সংকটও। হঠাৎ ফোন এলেই দিগ্বিদিক ছুটতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। অপারেশনাল কাজে ব্যস্ত থাকায় কখনো কখনো স্পটে যাওয়ার জন্য লোকবল পাওয়া যায় না। থানাতে যদি এই সেবার জন্য আলাদা গাড়ি ও টিম থাকে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা আরও সহজে পৌঁছানো যেত।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি টিম সেখানে গিয়ে তদন্ত করেছে। দায়িত্ব পালনে চৌমুহনীতে পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
৯৯৯ সেবার সমন্বয়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্ল্যাহও বলেছেন একই কথা। তাঁর মতে, টহল গাড়ির জন্য সঠিক সময়ে স্পটে যেতে পারে না থানা-পুলিশ। কোথাও দ্রুত সেবা দিতে পারলেও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। মহানগরগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি কল আসে। সেখানে সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাদের। তেমনি শহর থেকে দূরে থানাগুলোতেও সমস্যা দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনায় অবশ্যই পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিল। এসব ক্ষেত্রে দুইভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। পুলিশের কাছে আগে থেকেই সব ধরনের তথ্য থাকবে। না হয় পুরো পূজা প্রক্রিয়াটা একটা গার্ডের ভেতরে আনতে হবে। সেখানে পুলিশসহ সমাজের লোকেরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবে।’

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা। কিন্তু তখনো উত্তাপ ছড়ায়নি নোয়াখালীতে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মুসল্লিদের একটি মিছিল আসছিল বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূজামণ্ডপের দিকে। আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা ফোন দেওয়া শুরু করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। সাহায্য চান পুলিশের। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাড়তে থাকে ফোনকলের সংখ্যা। কিন্তু সেদিন দেড় ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়নি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দায়িত্বশীল কাউকে। পুলিশ যখন সাড়া দেয় ততক্ষণে হামলা হয়ে গেছে একাধিক মন্দিরে, আগুনে পুড়ছিল হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাড়িঘর। এ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সবার।
জরুরি সেবা থেকে ফোন যাওয়ার পরই পুলিশের এসব গাফিলতির ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ আরও বড় ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা (জিআইএস) এবং ইন্টারনেট অব থিংগসের (আইওটি) পাশাপাশি আরও অনেক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে এ সেবায়। এতে করে জরুরি সহায়তা আরও দ্রুত ও নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
সূত্র বলছে, কুমিল্লার ঘটনার পরের তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৮২টি। প্রতিটি ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সাহায্যের জন্য ফোন আসে। সে ফোনের সঙ্গে থানা-পুলিশকেও সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৯৯৯ ফোন থেকে ফোন দিলেও চাঁদপুর ও নোয়াখালী, কুড়িগ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় সময়মতো পুলিশি সেবা মেলেনি। এতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
জাতীয় জরুরি সেবার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২৫টা করে ফোন আসে। এক ঘটনায় একটির বেশি ফোনকল গণনা না করলেও অন্তত পাঁচ শটি কল থানা-পুলিশকে পার করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত ফোন পেয়েও থানা-পুলিশ কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি? কার গাফিলতি ছিল এসব ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ অধিদপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের চার মহানগর ও ২৮ জেলায় মামলা হয়েছে ১২৪টি। এসব মামলায় ২২ হাজার ৩০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি নামে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯ জনকে। আসামিদের মধ্যে ৯৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকেই জরুরি সেবায় ফোন এসেছিল। কিন্তু পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সময়মতো পৌঁছালে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলাকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যথাসময়ে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রও (আসক)। আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। এমনকি বিজয়া দশমীর দিনে দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদাও দেওয়া হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করেন, এরপরই হামলা শুরু হয়।
আবার হামলার বিষয়ে অগ্রিম তথ্য পেয়েও পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, সে বিষয়ে তদন্ত টিম করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ চার জেলা পুলিশের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সব জেলার পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদরের একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত দল তদন্ত চালাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হামলার ঘটনাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এসেছে। কারণ, সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তা ছাড়া, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকা এবং ওসির দেড় ঘণ্টা ফোন না ধরার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অবশ্য এ অভিযোগে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ফোন সব সময় হাতেই থাকে। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এক ভুল বারবার হবে না।’
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুসারে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে নোয়াখালীতে। এ জেলায় ২৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এত বেশি মামলা আর কোথাও হয়নি। জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত দল এসেছিল। তারা কাজ করছে।
ঘটনার সময় বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন—এমন একাধিক পুলিশ সদস্য বলেছেন, জাতীয় জরুরি সেবার জন্য থানাতে নির্ধারিত কোনো দল নেই। রয়েছে গাড়ির সংকটও। হঠাৎ ফোন এলেই দিগ্বিদিক ছুটতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। অপারেশনাল কাজে ব্যস্ত থাকায় কখনো কখনো স্পটে যাওয়ার জন্য লোকবল পাওয়া যায় না। থানাতে যদি এই সেবার জন্য আলাদা গাড়ি ও টিম থাকে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা আরও সহজে পৌঁছানো যেত।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি টিম সেখানে গিয়ে তদন্ত করেছে। দায়িত্ব পালনে চৌমুহনীতে পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
৯৯৯ সেবার সমন্বয়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্ল্যাহও বলেছেন একই কথা। তাঁর মতে, টহল গাড়ির জন্য সঠিক সময়ে স্পটে যেতে পারে না থানা-পুলিশ। কোথাও দ্রুত সেবা দিতে পারলেও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। মহানগরগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি কল আসে। সেখানে সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাদের। তেমনি শহর থেকে দূরে থানাগুলোতেও সমস্যা দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনায় অবশ্যই পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিল। এসব ক্ষেত্রে দুইভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। পুলিশের কাছে আগে থেকেই সব ধরনের তথ্য থাকবে। না হয় পুরো পূজা প্রক্রিয়াটা একটা গার্ডের ভেতরে আনতে হবে। সেখানে পুলিশসহ সমাজের লোকেরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবে।’
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা। কিন্তু তখনো উত্তাপ ছড়ায়নি নোয়াখালীতে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মুসল্লিদের একটি মিছিল আসছিল বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূজামণ্ডপের দিকে। আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা ফোন দেওয়া শুরু করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। সাহায্য চান পুলিশের। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাড়তে থাকে ফোনকলের সংখ্যা। কিন্তু সেদিন দেড় ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়নি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দায়িত্বশীল কাউকে। পুলিশ যখন সাড়া দেয় ততক্ষণে হামলা হয়ে গেছে একাধিক মন্দিরে, আগুনে পুড়ছিল হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাড়িঘর। এ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সবার।
জরুরি সেবা থেকে ফোন যাওয়ার পরই পুলিশের এসব গাফিলতির ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ আরও বড় ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা (জিআইএস) এবং ইন্টারনেট অব থিংগসের (আইওটি) পাশাপাশি আরও অনেক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে এ সেবায়। এতে করে জরুরি সহায়তা আরও দ্রুত ও নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
সূত্র বলছে, কুমিল্লার ঘটনার পরের তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৮২টি। প্রতিটি ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সাহায্যের জন্য ফোন আসে। সে ফোনের সঙ্গে থানা-পুলিশকেও সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৯৯৯ ফোন থেকে ফোন দিলেও চাঁদপুর ও নোয়াখালী, কুড়িগ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় সময়মতো পুলিশি সেবা মেলেনি। এতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
জাতীয় জরুরি সেবার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২৫টা করে ফোন আসে। এক ঘটনায় একটির বেশি ফোনকল গণনা না করলেও অন্তত পাঁচ শটি কল থানা-পুলিশকে পার করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত ফোন পেয়েও থানা-পুলিশ কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি? কার গাফিলতি ছিল এসব ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ অধিদপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের চার মহানগর ও ২৮ জেলায় মামলা হয়েছে ১২৪টি। এসব মামলায় ২২ হাজার ৩০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি নামে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯ জনকে। আসামিদের মধ্যে ৯৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকেই জরুরি সেবায় ফোন এসেছিল। কিন্তু পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সময়মতো পৌঁছালে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলাকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যথাসময়ে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রও (আসক)। আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। এমনকি বিজয়া দশমীর দিনে দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদাও দেওয়া হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করেন, এরপরই হামলা শুরু হয়।
আবার হামলার বিষয়ে অগ্রিম তথ্য পেয়েও পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, সে বিষয়ে তদন্ত টিম করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ চার জেলা পুলিশের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সব জেলার পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদরের একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত দল তদন্ত চালাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হামলার ঘটনাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এসেছে। কারণ, সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তা ছাড়া, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকা এবং ওসির দেড় ঘণ্টা ফোন না ধরার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অবশ্য এ অভিযোগে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ফোন সব সময় হাতেই থাকে। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এক ভুল বারবার হবে না।’
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুসারে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে নোয়াখালীতে। এ জেলায় ২৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এত বেশি মামলা আর কোথাও হয়নি। জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত দল এসেছিল। তারা কাজ করছে।
ঘটনার সময় বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন—এমন একাধিক পুলিশ সদস্য বলেছেন, জাতীয় জরুরি সেবার জন্য থানাতে নির্ধারিত কোনো দল নেই। রয়েছে গাড়ির সংকটও। হঠাৎ ফোন এলেই দিগ্বিদিক ছুটতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। অপারেশনাল কাজে ব্যস্ত থাকায় কখনো কখনো স্পটে যাওয়ার জন্য লোকবল পাওয়া যায় না। থানাতে যদি এই সেবার জন্য আলাদা গাড়ি ও টিম থাকে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা আরও সহজে পৌঁছানো যেত।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি টিম সেখানে গিয়ে তদন্ত করেছে। দায়িত্ব পালনে চৌমুহনীতে পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
৯৯৯ সেবার সমন্বয়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্ল্যাহও বলেছেন একই কথা। তাঁর মতে, টহল গাড়ির জন্য সঠিক সময়ে স্পটে যেতে পারে না থানা-পুলিশ। কোথাও দ্রুত সেবা দিতে পারলেও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। মহানগরগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি কল আসে। সেখানে সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাদের। তেমনি শহর থেকে দূরে থানাগুলোতেও সমস্যা দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনায় অবশ্যই পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিল। এসব ক্ষেত্রে দুইভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। পুলিশের কাছে আগে থেকেই সব ধরনের তথ্য থাকবে। না হয় পুরো পূজা প্রক্রিয়াটা একটা গার্ডের ভেতরে আনতে হবে। সেখানে পুলিশসহ সমাজের লোকেরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবে।’

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা। কিন্তু তখনো উত্তাপ ছড়ায়নি নোয়াখালীতে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মুসল্লিদের একটি মিছিল আসছিল বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূজামণ্ডপের দিকে। আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা ফোন দেওয়া শুরু করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। সাহায্য চান পুলিশের। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাড়তে থাকে ফোনকলের সংখ্যা। কিন্তু সেদিন দেড় ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়নি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দায়িত্বশীল কাউকে। পুলিশ যখন সাড়া দেয় ততক্ষণে হামলা হয়ে গেছে একাধিক মন্দিরে, আগুনে পুড়ছিল হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও বাড়িঘর। এ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সবার।
জরুরি সেবা থেকে ফোন যাওয়ার পরই পুলিশের এসব গাফিলতির ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ আরও বড় ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা (জিআইএস) এবং ইন্টারনেট অব থিংগসের (আইওটি) পাশাপাশি আরও অনেক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে এ সেবায়। এতে করে জরুরি সহায়তা আরও দ্রুত ও নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
সূত্র বলছে, কুমিল্লার ঘটনার পরের তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৮২টি। প্রতিটি ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সাহায্যের জন্য ফোন আসে। সে ফোনের সঙ্গে থানা-পুলিশকেও সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৯৯৯ ফোন থেকে ফোন দিলেও চাঁদপুর ও নোয়াখালী, কুড়িগ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় সময়মতো পুলিশি সেবা মেলেনি। এতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
জাতীয় জরুরি সেবার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২৫টা করে ফোন আসে। এক ঘটনায় একটির বেশি ফোনকল গণনা না করলেও অন্তত পাঁচ শটি কল থানা-পুলিশকে পার করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত ফোন পেয়েও থানা-পুলিশ কেন সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি? কার গাফিলতি ছিল এসব ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ অধিদপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের চার মহানগর ও ২৮ জেলায় মামলা হয়েছে ১২৪টি। এসব মামলায় ২২ হাজার ৩০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি নামে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯ জনকে। আসামিদের মধ্যে ৯৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকেই জরুরি সেবায় ফোন এসেছিল। কিন্তু পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সময়মতো পৌঁছালে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলাকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যথাসময়ে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রও (আসক)। আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। এমনকি বিজয়া দশমীর দিনে দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদাও দেওয়া হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করেন, এরপরই হামলা শুরু হয়।
আবার হামলার বিষয়ে অগ্রিম তথ্য পেয়েও পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, সে বিষয়ে তদন্ত টিম করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ চার জেলা পুলিশের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সব জেলার পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদরের একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত দল তদন্ত চালাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হামলার ঘটনাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এসেছে। কারণ, সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তা ছাড়া, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকা এবং ওসির দেড় ঘণ্টা ফোন না ধরার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অবশ্য এ অভিযোগে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ফোন সব সময় হাতেই থাকে। আগে যা হওয়ার হয়েছে। এক ভুল বারবার হবে না।’
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুসারে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে নোয়াখালীতে। এ জেলায় ২৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এত বেশি মামলা আর কোথাও হয়নি। জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত দল এসেছিল। তারা কাজ করছে।
ঘটনার সময় বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন—এমন একাধিক পুলিশ সদস্য বলেছেন, জাতীয় জরুরি সেবার জন্য থানাতে নির্ধারিত কোনো দল নেই। রয়েছে গাড়ির সংকটও। হঠাৎ ফোন এলেই দিগ্বিদিক ছুটতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। অপারেশনাল কাজে ব্যস্ত থাকায় কখনো কখনো স্পটে যাওয়ার জন্য লোকবল পাওয়া যায় না। থানাতে যদি এই সেবার জন্য আলাদা গাড়ি ও টিম থাকে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা আরও সহজে পৌঁছানো যেত।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি টিম সেখানে গিয়ে তদন্ত করেছে। দায়িত্ব পালনে চৌমুহনীতে পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
৯৯৯ সেবার সমন্বয়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি তবারক উল্ল্যাহও বলেছেন একই কথা। তাঁর মতে, টহল গাড়ির জন্য সঠিক সময়ে স্পটে যেতে পারে না থানা-পুলিশ। কোথাও দ্রুত সেবা দিতে পারলেও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। মহানগরগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি কল আসে। সেখানে সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাদের। তেমনি শহর থেকে দূরে থানাগুলোতেও সমস্যা দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনায় অবশ্যই পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিল। এসব ক্ষেত্রে দুইভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। পুলিশের কাছে আগে থেকেই সব ধরনের তথ্য থাকবে। না হয় পুরো পূজা প্রক্রিয়াটা একটা গার্ডের ভেতরে আনতে হবে। সেখানে পুলিশসহ সমাজের লোকেরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবে।’

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১০ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা।
৩১ অক্টোবর ২০২১
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা।
৩১ অক্টোবর ২০২১
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১০ মিনিট আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগেআয়নাল হোসেন, ঢাকা

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা।
৩১ অক্টোবর ২০২১
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১০ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনার রেশ তখন ছড়িয়েছে বহু জায়গায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তথাকথিত তৌহিদি জনতা।
৩১ অক্টোবর ২০২১
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১০ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে