নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসপিআর জানায়, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে গিয়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্তভাবে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু (২১) নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর টহল দল ছিলোপিপাড়া টিওবি থেকে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম করছিল। জেলার পাইনুমপাড়া এলাকায় যাওয়ার পথে ক্যাম্প থেকে আনুমানিক ৪০০ মিটার দূরে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু ও মো. রেজাউল (২৪) শরীরের বিভিন্ন অংশে স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজুর মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহত সেনাসদস্যের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত কার্যক্রমের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহযোগিতা প্রদান করতে গিয়ে সেনাসদস্যের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে বলে জানান সেনাপ্রধান।

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসপিআর জানায়, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে গিয়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্তভাবে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু (২১) নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর টহল দল ছিলোপিপাড়া টিওবি থেকে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম করছিল। জেলার পাইনুমপাড়া এলাকায় যাওয়ার পথে ক্যাম্প থেকে আনুমানিক ৪০০ মিটার দূরে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু ও মো. রেজাউল (২৪) শরীরের বিভিন্ন অংশে স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজুর মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহত সেনাসদস্যের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত কার্যক্রমের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহযোগিতা প্রদান করতে গিয়ে সেনাসদস্যের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে বলে জানান সেনাপ্রধান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসপিআর জানায়, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে গিয়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্তভাবে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু (২১) নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর টহল দল ছিলোপিপাড়া টিওবি থেকে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম করছিল। জেলার পাইনুমপাড়া এলাকায় যাওয়ার পথে ক্যাম্প থেকে আনুমানিক ৪০০ মিটার দূরে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু ও মো. রেজাউল (২৪) শরীরের বিভিন্ন অংশে স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজুর মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহত সেনাসদস্যের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত কার্যক্রমের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহযোগিতা প্রদান করতে গিয়ে সেনাসদস্যের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে বলে জানান সেনাপ্রধান।

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসপিআর জানায়, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে গিয়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্তভাবে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু (২১) নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর টহল দল ছিলোপিপাড়া টিওবি থেকে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম করছিল। জেলার পাইনুমপাড়া এলাকায় যাওয়ার পথে ক্যাম্প থেকে আনুমানিক ৪০০ মিটার দূরে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজু ও মো. রেজাউল (২৪) শরীরের বিভিন্ন অংশে স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোন্নাফ হোসেন রাজুর মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহত সেনাসদস্যের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত কার্যক্রমের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহযোগিতা প্রদান করতে গিয়ে সেনাসদস্যের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে বলে জানান সেনাপ্রধান।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
১ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম এবং বিচারে তাঁদের সাজা হওয়ার কিছু নজির রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতভিন্নতায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর এমন বিভেদ চলতে থাকলে আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে সরকারের জন্য।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে এই ১৬টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যে ১৬টি বেসরকারি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলো হলো:
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। নতুন ১৬টি সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মোট ৮২টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করার সুযোগ পাবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে এই ১৬টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যে ১৬টি বেসরকারি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলো হলো:
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। নতুন ১৬টি সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মোট ৮২টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করার সুযোগ পাবে।

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ জুন ২০২৩ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম এবং বিচারে তাঁদের সাজা হওয়ার কিছু নজির রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতভিন্নতায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর এমন বিভেদ চলতে থাকলে আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে সরকারের জন্য।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
১ দিন আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম এবং বিচারে তাঁদের সাজা হওয়ার কিছু নজির রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগপত্রে মৃত, অনাবাসী ব্যক্তির নাম ঠেকাতে পুলিশ সদর দপ্তর ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে।
সূত্র বলেছে, নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো মৃত ব্যক্তিকে আদালতে দেওয়া চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে বা তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের শাস্তি পেতে হবে।
অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও ঘটনার সময় প্রবাসী ব্যক্তিদের নাম থাকাকে তদন্তে ঘাটতি, গাফিলতি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, গত (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচনের আগে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির চাপের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা বলেন, মৃত ও অনিবাসী মানুষকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া শুধু প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, এটি আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করে। পুলিশ সদর দপ্তরের নজরদারির উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও বাস্তবে কতটা পরিবর্তন আসবে, সময়ই তা বলে দেবে।
পুলিশের সূত্র জানায়, বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে সারা দেশের থানায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর অসংখ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামির তালিকায় মৃত ব্যক্তির নামও দিয়েছেন বাদীরা। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। এ জন্যই পুলিশ সদর দপ্তর ইউনিটগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের রিসার্চ, প্ল্যানিং ও ইনোভেশন বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সম্প্রতি পুলিশের সব ইউনিটকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনার ৩ নম্বর ক্রমিকে বলা হয়েছে, ভুয়া, গায়েবি মামলায় অনিবাসী, মৃত, নিরাপরাধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হবে। কোনো পুলিশ সদস্য যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাউকে এ ধরনের মামলায় হয়রানি করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চাকরির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন এক মাসের মধ্যেই দিতে হবে।
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে স্পষ্ট বলা আছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলারও নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তারা অন্তত ১১ জন মৃত ব্যক্তির নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী। এ ছাড়া অভিযোগের ঘটনার সময় নিখোঁজ বা প্রবাসে ছিলেন এমন বেশ কয়েকজনের নামও রয়েছে আদালতে দেওয়া কিছু অভিযোগপত্রে। তাঁরা মারা যাওয়ার, নিখোঁজ ও প্রবাসে থাকার বিষয়টি পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগপর্যন্ত ১১ মৃত ব্যক্তির নামে অভিযোগপত্র দাখিল ও সাজা হওয়ার ঘটনা ঘটে।
যেমন রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মো. আবু তাহের দাইয়া। তাঁর মৃত্যুর চার বছর পর ২০২৩ সালের নভেম্বরে একটি রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে ঢাকার একটি আদালত দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। অভিযোগপত্র ও মামলার নথিতে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করেনি পুলিশ। বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর বনানী থেকে নিখোঁজ হন। তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জাকির ২০১৫ সালের এপ্রিলে নিখোঁজ হন। তাঁদের বিরুদ্ধেও পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। সেই অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ দুজনের সাজাও হয়। এসব ঘটনায় পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
ফৌজদারি অপরাধ বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, এমন ঘটনায় পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের চরম আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। ভুলক্রমে মৃত মানুষের নাম অভিযোগপত্রে উঠে আসা কেবল প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, এটি তদন্তপ্রক্রিয়ার গভীর অব্যবস্থাপনার ইঙ্গিত।
এদিকে জুলাই-আগস্টের হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, ফৌজদারি মামলায় নিষ্পত্তির আগে আসামির নাম প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে এমন ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা যায়। আর অভিযোগপত্রে নাম থাকলে মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এমন কোনো কোনো মামলার বাদী ভুল স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলেজছাত্র আসীর ইনতিশারুল হক (২১) হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ৬ অক্টোবর শ্রীপুর থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই মামলায় অন্যদের সঙ্গে আবুল কালাম ওরফে কালা মিয়ার (৫৫) নামও আসামি হিসেবে দেওয়া হয়। তবে তিনি মামলা করার আগেই ২৫ সেপ্টেম্বর মারা যান। এ নিয়ে ক্ষোভ জানান মৃত কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন।
এ প্রসঙ্গে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, নাম দেওয়ার বিষয়টি একমাত্র বাদীর এখতিয়ার। বাদীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম মামলায় থাকলে তদন্ত করে বাদ দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০২১ সালের ১৮ মার্চ মারা যাওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চকবাজারের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সায়িদ গোলাম হায়দার মিন্টুকে। ২০২৪ সালের ৪ আগস্টের একটি হত্যার অভিযোগে চলতি বছরের ২২ মার্চ এনামুল হক নামের এক ছাত্রপ্রতিনিধি বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলার আসামির তালিকায় রয়েছে জাফর আলমের নাম। জাফর আলম মারা গেছেন বলে জানান তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, তাঁর বাবা জাফর আলম ঈদগাঁও উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
পুলিশের সূত্র জানায়, মামলায় মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম থাকলেও অভিযোগপত্রে যেন না থাকে সে জন্যই পুলিশ সদর দপ্তর এই উদ্যোগ নিয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, বড় ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার পর দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ার চাপ থাকে তদন্ত কর্মকর্তাদের ওপর। এই তাড়াহুড়োয় যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ কম থাকে। এতে ‘তালিকা-নির্ভর’ ও ‘কপি-পেস্ট’ তথ্য ব্যবহার করা হয়। ফলে মৃত বা অনুপস্থিত ব্যক্তির নাম ঢুকে যায় অভিযোগপত্রে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ভুলগুলোকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। তদন্তে গাফিলতি বা অসততা আছে কি না, তা সদর দপ্তরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে বের করা দরকার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম এবং বিচারে তাঁদের সাজা হওয়ার কিছু নজির রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগপত্রে মৃত, অনাবাসী ব্যক্তির নাম ঠেকাতে পুলিশ সদর দপ্তর ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে।
সূত্র বলেছে, নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো মৃত ব্যক্তিকে আদালতে দেওয়া চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে বা তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের শাস্তি পেতে হবে।
অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও ঘটনার সময় প্রবাসী ব্যক্তিদের নাম থাকাকে তদন্তে ঘাটতি, গাফিলতি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, গত (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচনের আগে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির চাপের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা বলেন, মৃত ও অনিবাসী মানুষকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া শুধু প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, এটি আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করে। পুলিশ সদর দপ্তরের নজরদারির উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও বাস্তবে কতটা পরিবর্তন আসবে, সময়ই তা বলে দেবে।
পুলিশের সূত্র জানায়, বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে সারা দেশের থানায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর অসংখ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামির তালিকায় মৃত ব্যক্তির নামও দিয়েছেন বাদীরা। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। এ জন্যই পুলিশ সদর দপ্তর ইউনিটগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের রিসার্চ, প্ল্যানিং ও ইনোভেশন বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সম্প্রতি পুলিশের সব ইউনিটকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনার ৩ নম্বর ক্রমিকে বলা হয়েছে, ভুয়া, গায়েবি মামলায় অনিবাসী, মৃত, নিরাপরাধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হবে। কোনো পুলিশ সদস্য যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাউকে এ ধরনের মামলায় হয়রানি করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চাকরির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন এক মাসের মধ্যেই দিতে হবে।
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে স্পষ্ট বলা আছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলারও নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তারা অন্তত ১১ জন মৃত ব্যক্তির নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী। এ ছাড়া অভিযোগের ঘটনার সময় নিখোঁজ বা প্রবাসে ছিলেন এমন বেশ কয়েকজনের নামও রয়েছে আদালতে দেওয়া কিছু অভিযোগপত্রে। তাঁরা মারা যাওয়ার, নিখোঁজ ও প্রবাসে থাকার বিষয়টি পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগপর্যন্ত ১১ মৃত ব্যক্তির নামে অভিযোগপত্র দাখিল ও সাজা হওয়ার ঘটনা ঘটে।
যেমন রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মো. আবু তাহের দাইয়া। তাঁর মৃত্যুর চার বছর পর ২০২৩ সালের নভেম্বরে একটি রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে ঢাকার একটি আদালত দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। অভিযোগপত্র ও মামলার নথিতে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করেনি পুলিশ। বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর বনানী থেকে নিখোঁজ হন। তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জাকির ২০১৫ সালের এপ্রিলে নিখোঁজ হন। তাঁদের বিরুদ্ধেও পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। সেই অভিযোগপত্র ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ দুজনের সাজাও হয়। এসব ঘটনায় পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
ফৌজদারি অপরাধ বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, এমন ঘটনায় পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের চরম আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। ভুলক্রমে মৃত মানুষের নাম অভিযোগপত্রে উঠে আসা কেবল প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, এটি তদন্তপ্রক্রিয়ার গভীর অব্যবস্থাপনার ইঙ্গিত।
এদিকে জুলাই-আগস্টের হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, ফৌজদারি মামলায় নিষ্পত্তির আগে আসামির নাম প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে এমন ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা যায়। আর অভিযোগপত্রে নাম থাকলে মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এমন কোনো কোনো মামলার বাদী ভুল স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলেজছাত্র আসীর ইনতিশারুল হক (২১) হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ৬ অক্টোবর শ্রীপুর থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই মামলায় অন্যদের সঙ্গে আবুল কালাম ওরফে কালা মিয়ার (৫৫) নামও আসামি হিসেবে দেওয়া হয়। তবে তিনি মামলা করার আগেই ২৫ সেপ্টেম্বর মারা যান। এ নিয়ে ক্ষোভ জানান মৃত কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন।
এ প্রসঙ্গে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, নাম দেওয়ার বিষয়টি একমাত্র বাদীর এখতিয়ার। বাদীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম মামলায় থাকলে তদন্ত করে বাদ দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০২১ সালের ১৮ মার্চ মারা যাওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চকবাজারের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সায়িদ গোলাম হায়দার মিন্টুকে। ২০২৪ সালের ৪ আগস্টের একটি হত্যার অভিযোগে চলতি বছরের ২২ মার্চ এনামুল হক নামের এক ছাত্রপ্রতিনিধি বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলার আসামির তালিকায় রয়েছে জাফর আলমের নাম। জাফর আলম মারা গেছেন বলে জানান তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, তাঁর বাবা জাফর আলম ঈদগাঁও উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
পুলিশের সূত্র জানায়, মামলায় মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম থাকলেও অভিযোগপত্রে যেন না থাকে সে জন্যই পুলিশ সদর দপ্তর এই উদ্যোগ নিয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, বড় ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার পর দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ার চাপ থাকে তদন্ত কর্মকর্তাদের ওপর। এই তাড়াহুড়োয় যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ কম থাকে। এতে ‘তালিকা-নির্ভর’ ও ‘কপি-পেস্ট’ তথ্য ব্যবহার করা হয়। ফলে মৃত বা অনুপস্থিত ব্যক্তির নাম ঢুকে যায় অভিযোগপত্রে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ভুলগুলোকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। তদন্তে গাফিলতি বা অসততা আছে কি না, তা সদর দপ্তরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে বের করা দরকার।

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ জুন ২০২৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
১ ঘণ্টা আগে
গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতভিন্নতায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর এমন বিভেদ চলতে থাকলে আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে সরকারের জন্য।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
১ দিন আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতভিন্নতায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর এমন বিভেদ চলতে থাকলে আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে সরকারের জন্য। এমনটি যাতে না হয়, সে জন্য দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন প্রধান উপদেষ্টা। চলতি সপ্তাহের মধ্যে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না এলে সরকারকেই নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন আদেশ জারির ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপরই গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) ইস্যুতে বিপরীত অবস্থানে চলে যায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। এমন অবস্থায় ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক হয়। যেখানে দলগুলোকে আলোচনা করে সাত দিনের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে অনুরোধ জানানো হয়। এরই মধ্যে পাঁচ দিন কেটে গেছে, কিন্তু দলগুলোর মধ্যে আলোচনায় বসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আলোচনার জন্য জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি তাতে।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ মতের জন্য অপেক্ষার পাশাপাশি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির প্রস্তুতিও চলছে সরকারের ভেতরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে এবং আদেশ জারির বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে যত দিন লাগে, তত দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দলগুলোকে আলোচনার জন্য সাত দিনের কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সে সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুতিমূলক অনেক বৈঠক হচ্ছে। তারা (উপদেষ্টা পরিষদ) আশা করে, দলগুলো নিজেরা নিজেরা এই পুরো বিষয়গুলো নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসবে। পুরো জাতি এখন নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে আছে।
সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষিত সাত দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত না দিলে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে সব দল নিয়ে বৈঠক করার চিন্তাভাবনা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। কারণ, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বন্ধ পরিকর। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সমাধান ধীরগতি হলে তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া (বিএনপির) পাইনি।’ আলোচনায় না বসলে জুলাই সনদ নিয়ে তৈরি হওয়া সংকটের সমাধান কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের সাড়ার অপেক্ষায় আছি, দেখা যাক। এ নিয়ে কাল্পনিকভাবে আগাম কিছুই বলতে চাই না।’
আলোচনায় বসার বিষয়ে সরকারের অনুরোধ ও জামায়াতের আমন্ত্রণের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সেখানে বিএনপি জুলাই সনদ ইস্যুতে আর আলোচনায় বসবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জামায়াত ও এনসিপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, বিএনপি আলোচনায় বসতে চায় না। এনসিপির এক নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তারা তো দেখি এখন গণভোটকে অস্বীকার করা শুরু করেছে। এটা তো অসুবিধার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা হলেও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত ছয় দল এবং এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপি। সেখানে বাস্তবায়ন ইস্যুতে দলগুলো এক থাকবে বলে জানা গেছে। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে। তারপরও সরকারের অনুরোধে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা মনে করি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। সিদ্ধান্ত সরকারের কাছে।’

গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতভিন্নতায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর এমন বিভেদ চলতে থাকলে আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে সরকারের জন্য। এমনটি যাতে না হয়, সে জন্য দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন প্রধান উপদেষ্টা। চলতি সপ্তাহের মধ্যে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না এলে সরকারকেই নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন আদেশ জারির ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপরই গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) ইস্যুতে বিপরীত অবস্থানে চলে যায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। এমন অবস্থায় ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক হয়। যেখানে দলগুলোকে আলোচনা করে সাত দিনের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে অনুরোধ জানানো হয়। এরই মধ্যে পাঁচ দিন কেটে গেছে, কিন্তু দলগুলোর মধ্যে আলোচনায় বসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আলোচনার জন্য জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি তাতে।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ মতের জন্য অপেক্ষার পাশাপাশি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির প্রস্তুতিও চলছে সরকারের ভেতরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে এবং আদেশ জারির বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে যত দিন লাগে, তত দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দলগুলোকে আলোচনার জন্য সাত দিনের কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সে সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুতিমূলক অনেক বৈঠক হচ্ছে। তারা (উপদেষ্টা পরিষদ) আশা করে, দলগুলো নিজেরা নিজেরা এই পুরো বিষয়গুলো নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসবে। পুরো জাতি এখন নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে আছে।
সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষিত সাত দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত না দিলে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে সব দল নিয়ে বৈঠক করার চিন্তাভাবনা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। কারণ, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বন্ধ পরিকর। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সমাধান ধীরগতি হলে তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া (বিএনপির) পাইনি।’ আলোচনায় না বসলে জুলাই সনদ নিয়ে তৈরি হওয়া সংকটের সমাধান কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের সাড়ার অপেক্ষায় আছি, দেখা যাক। এ নিয়ে কাল্পনিকভাবে আগাম কিছুই বলতে চাই না।’
আলোচনায় বসার বিষয়ে সরকারের অনুরোধ ও জামায়াতের আমন্ত্রণের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সেখানে বিএনপি জুলাই সনদ ইস্যুতে আর আলোচনায় বসবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জামায়াত ও এনসিপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, বিএনপি আলোচনায় বসতে চায় না। এনসিপির এক নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তারা তো দেখি এখন গণভোটকে অস্বীকার করা শুরু করেছে। এটা তো অসুবিধার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা হলেও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত ছয় দল এবং এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপি। সেখানে বাস্তবায়ন ইস্যুতে দলগুলো এক থাকবে বলে জানা গেছে। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে। তারপরও সরকারের অনুরোধে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা মনে করি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। সিদ্ধান্ত সরকারের কাছে।’

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ জুন ২০২৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
১ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম এবং বিচারে তাঁদের সাজা হওয়ার কিছু নজির রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
১ দিন আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরেক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ জুন ২০২৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আরও ১৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন ঘোষণার ফলে মোট নিবন্ধিত দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ৮২-তে পৌঁছানোর পথে।
১ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে মৃত, নিখোঁজ ও অনিবাসী ব্যক্তির নাম এবং বিচারে তাঁদের সাজা হওয়ার কিছু নজির রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও কিছু মামলায় মৃত ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতভিন্নতায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর এমন বিভেদ চলতে থাকলে আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে সরকারের জন্য।
১৪ ঘণ্টা আগে