নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পদ্মা সেতুর ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ধরা হলেও, ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার ও গ্যাসলাইনের ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়সহ মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ধরা হলেও ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া নদীশাসনে ৮ হাজার ৭০৬ কোটি ৯১ লাখ, অ্যাপ্রোচ সড়কে ১ হাজার ৮৯৫ কোটি ৫৫ লাখ, পুনর্বাসনে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৭৬ লাখ এবং ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
গত ২১ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি
ভৌত ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ও আর্থিক ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মূল সেতু: ভৌত ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ও আর্থিক ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নদীশাসন: ভৌত ৯৪ শতাংশ ও আর্থিক ৮৯ দশমিক ১০ শতাংশ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে পদ্মা সেতু নির্মাণ অগ্রাধিকার তালিকায় নেওয়া হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতাগ্রহণের ২২ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির জন্য নিউজিল্যান্ডভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘মনসেল এইকম’কে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। বলেন, শুরুতে সেতু প্রকল্পে রেল চলাচলের সুবিধা ছিল না। আমি রেলসুবিধা যুক্ত করে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের নির্দেশ দিই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত হয়ে যায়। পরের বছর জানুয়ারিতে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল। শুরুতে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার হয়।
প্রথম ডিপিপিতে সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে তিনটির নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা রেখে নকশা করা হয়েছিল। পরে ৩৭টি স্প্যানের নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের সুযোগ রাখার বিষয়টি যুক্ত করা হয়। সংশোধিত ডিপিপিতে বেশি ভার বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন রেলসংযোগ যুক্ত করা হয়। কংক্রিটের বদলে ইস্পাত বা স্টিলের অবকাঠামো যুক্ত হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতু নির্মাণে পাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও বাড়তি গভীরতা ধরা হয়। বাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ব্যয়ও। ২০১৬ সালে যখন ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়, তখন মূল সেতু নির্মাণ, নদীশাসনসহ সব কাজের ঠিকাদার নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে যায়। এর মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রায় ৯ টাকা কমে যায়। ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদীশাসনের কাজ নতুন করে যুক্ত হয়। মূল সেতু, নদীশাসন ও সংযোগ সড়কে যে পরিমাণ অর্থে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার প্রাক্কলন করা হয়েছিল, তা থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যায়। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণে খরচ বাড়ে, ফেরিঘাট সরাতে ব্যয় হয় এবং নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালে সর্বশেষ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পায় জমি অধিগ্রহণের কারণে। আগে নদীশাসনের কারণে তোলা বালু ফেলার জন্য জমি ইজারা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ নদীর চরে এই কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হয়।
পদ্মা সেতুর ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ধরা হলেও, ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার ও গ্যাসলাইনের ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়সহ মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ধরা হলেও ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া নদীশাসনে ৮ হাজার ৭০৬ কোটি ৯১ লাখ, অ্যাপ্রোচ সড়কে ১ হাজার ৮৯৫ কোটি ৫৫ লাখ, পুনর্বাসনে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৭৬ লাখ এবং ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
গত ২১ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি
ভৌত ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ও আর্থিক ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মূল সেতু: ভৌত ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ও আর্থিক ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নদীশাসন: ভৌত ৯৪ শতাংশ ও আর্থিক ৮৯ দশমিক ১০ শতাংশ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে পদ্মা সেতু নির্মাণ অগ্রাধিকার তালিকায় নেওয়া হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতাগ্রহণের ২২ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির জন্য নিউজিল্যান্ডভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘মনসেল এইকম’কে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। বলেন, শুরুতে সেতু প্রকল্পে রেল চলাচলের সুবিধা ছিল না। আমি রেলসুবিধা যুক্ত করে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের নির্দেশ দিই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত হয়ে যায়। পরের বছর জানুয়ারিতে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল। শুরুতে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার হয়।
প্রথম ডিপিপিতে সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে তিনটির নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা রেখে নকশা করা হয়েছিল। পরে ৩৭টি স্প্যানের নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের সুযোগ রাখার বিষয়টি যুক্ত করা হয়। সংশোধিত ডিপিপিতে বেশি ভার বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন রেলসংযোগ যুক্ত করা হয়। কংক্রিটের বদলে ইস্পাত বা স্টিলের অবকাঠামো যুক্ত হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতু নির্মাণে পাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও বাড়তি গভীরতা ধরা হয়। বাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ব্যয়ও। ২০১৬ সালে যখন ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়, তখন মূল সেতু নির্মাণ, নদীশাসনসহ সব কাজের ঠিকাদার নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে যায়। এর মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রায় ৯ টাকা কমে যায়। ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদীশাসনের কাজ নতুন করে যুক্ত হয়। মূল সেতু, নদীশাসন ও সংযোগ সড়কে যে পরিমাণ অর্থে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার প্রাক্কলন করা হয়েছিল, তা থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যায়। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণে খরচ বাড়ে, ফেরিঘাট সরাতে ব্যয় হয় এবং নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালে সর্বশেষ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পায় জমি অধিগ্রহণের কারণে। আগে নদীশাসনের কারণে তোলা বালু ফেলার জন্য জমি ইজারা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ নদীর চরে এই কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হয়।
‘বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরের “র” নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, ওই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং এতে যে ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে,
১ মিনিট আগেআইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মনে করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাঁরা অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন, আহত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন, তাঁদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন শুধু সংবিধান পরিবর্তন করে হবে না। সাধারণ মানুষ কেন তখন রাস্তায় নেমে এসেছিল, সেটা উপলব্ধি করে তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশকে একটু ভালো অবস্থায় নিত
২২ মিনিট আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ ভারতে চলে গেছেন গত বছরের ৫ আগস্ট। এই এক বছরে তাঁকে ফেরত চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকবার দেশটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে দেশটির সরকারের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এই অবস্থায় তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এখনই আন্তর্জাতিক
১ ঘণ্টা আগেআইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও তাঁর স্ত্রী লিপিকা ভদ্রসহ ১৬ জানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে