Ajker Patrika

আমজনতার তারেককে অনশন ভেঙে আপিল করার পরামর্শ ইসি সচিবের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ২১
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আমজনতার পার্টির নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেক রহমানকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তারেক সাহেব আমজনতার পার্টির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনশনে আছেন। আইনগতভাবে আমাদের দিক থেকে যেটুকু বলার সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি। এখন ওনারা আপিল করতে পারেন এবং ঘাটতি যেগুলো আছে সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।’

ইসি সচিব বলেন, ‘আপিল বা সংশোধনী বা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সময় বর্ধন এগুলো তো একটা প্রচলিত প্রথা। তো সেটা নিশ্চয়ই ওনারা বিবেচনায় নেবেন। আমি আন্তরিকভাবে আবেদন করব যেন এই অনশন ভঙ্গ করে আমাদের আইনগতভাবে জিনিসটা সুরাহার দিকে নিয়ে যাবেন।’

আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সচিব।

আপিল কোথায় করবে? জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আপিল করবে কমিশন সচিবালয়ে। কেননা চিঠিপত্র তো সচিবালয় থেকে যায়। সিনিয়র সচিব বা কমিশনের সচিবের বরাবর আপিলটা করবেন, যদি ওনারা করতে চান।’

কয়দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো সময় আমি বলছি না। আপনি এখনো করতে পারেন। আগামীকালও করতে পারেন। আপনি করবেন কিনা এটা তো আপনার সিদ্ধান্ত।’

এটা কি আইনের বাইরে গিয়ে বিবেচনা করছেন আপনারা? এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আইনের বাইরে না, আইনের বাইরের ব্যাপারটা তো পরবর্তীতে কমিশন দেখবে। আপিল করতে তো কোনো অসুবিধা নেই। এটা আইনের সঙ্গে আমরা সম্পর্কিত কেন করছি? আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত করার কোনো কিছু নেই। একটা না মঞ্জুর করা হয়েছে কিছু শর্তের আওতায় এবং কিছু কিছু জায়গায় ওনারা বলছেন যে আমরা এটার সঙ্গে একমত নই। সেটা পুনর্বিবেচনা, সংশোধন, পরিবর্জন ইত্যাদির জন্য আবেদন করতেই পারেন। আবেদন করলে কমিশন সেটা বিবেচনায় নেবেন কি, নেবেন না সেটা হলো পরের ব্যাপার। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যে সীমিত বা সীমাবদ্ধতার ভেতরে যেন আমরা না আসি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৩২ কোটি টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তার আগে একই প্রস্তাব অর্থ বিভাগেও পাঠানো হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজ গুণগত ও পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়িয়ে ১০ম করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন। তাই যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন কাঠামোয় তাঁরা ১১তম গ্রেডে চলে আসবেন। এতে প্রত্যেক শিক্ষকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও পেশাগত মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এখন অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত।

গতকাল শনিবার থেকে ১০ম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজ

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সেনাসদরে তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনী বলেছে, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার ও পারস্পরিক সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন। অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে করাচি ও উত্তর আরব সাগরে অনুষ্ঠিত যৌথ অনুশীলন AMAN-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের পেশাদারত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের সুপারিশ সিইসিকে দিলেন সাংবাদিকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম নীতিমালায় বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এসব বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত সুপারিশপত্র দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। পরে সিইসির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বৈঠকের পর বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি (নীতিমালা) তৈরি করেছে, তাতে আমাদের সাংবাদিকদের কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) যৌথভাবে একাধিক সেমিনার করেছি, যেখানে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, অংশীজন ও সংবাদকর্মীদের মতামত নিয়ে আমরা একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছি। ওই সুপারিশমালা নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।’

রেজোয়ানুল হক রাজা জানান, বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিজেসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি যে, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে, সেটি সাংবাদিকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা। আমাদের যদি আইডি কার্ড ইস্যু করা থাকে, তাহলে আলাদা করে অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থাকার সীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি।’

রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো কঠোর সময়সীমা নয়, বরং কেন্দ্রের জায়গার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় একটি সাধারণ নির্দেশনামাত্র। আমরা বুঝেছি, সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এই ধারা নয়।’

বিজেসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত যে কমিশন আন্তরিকভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে চায়। এমনকি কমিশন নিজেও মনে করে, সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকলে সেটি ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’

সরাসরি সম্প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের উচিত দায়িত্বশীল থাকা, যেন সম্প্রচারে ভোট গ্রহণপ্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে যদি কোনো অনিয়ম বা কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব পরিস্থিতিতে কঠোর নীতিমালা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।’

রেজোয়ানুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত আমাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করে আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনবে। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সহজ হবে এবং জনগণের জানার অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।’

আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে যারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ক্যামেরাপারসনের ওপর আক্রমণ বা সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে যুক্ত করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন বেতনকাঠামোর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩০
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

নতুন পে কমিশন গঠন ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ইতিবাচক জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক দিকের অগ্রগতি ভালো। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে এর বিপরীতে বাসাভাড়া ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় আনতে।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে এবং চালের দামও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, কিস্তি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে তিনি জানান, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আসবে না। প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকা সমস্ত তথ্য পরবর্তী সরকারের কাছে প্যাকেজ আকারে হস্তান্তর করা হবে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সার ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

আজকের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার ও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজকের সভায় আমন মৌসুমের জন্য ধান ও চাল সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বছর আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকার ৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—ধান ৫০ হাজার ৫০০ টন, সেদ্ধ চাল ৬ লাখ টন,ও আতপ চাল ৫০ হাজার টন।

সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি—আমন ধান ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা ও আতপ চাল ৪৯ টাকা।

উল্লেখ্য, ধান ও চালের এই নির্ধারিত দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি চার টাকা বেশি। এই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত