নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন এবং সেই কারণে তাঁর সরকারের কোনো বৈধতা নেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এই সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কথাগুলো আমি বলছি, তার যথোপযুক্ত উত্তর আমি আপনার কাছে আশা করি।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রশাসনের কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত ও নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করেন মজহার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, বিভিন্ন বিদেশি উদ্যোগের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মজহার বলেন, ‘আপনি শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কোনো অর্থ নেই।’
মজহার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন নির্বাচন করতে চাইছেন? আপনি তো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছেন; কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক নন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে মহানায়ক নয়, জনগণই প্রধান।’
ড. ইউনূসের নেওয়া ‘ভুল সিদ্ধান্তের’ বিষয়ে মজহার বলেন, ‘কিছু তরুণকে “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে দাবি করা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনার অভাব রয়েছে। এত বড় আত্মত্যাগের পরে কেন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে—এই প্রশ্ন থেকেই আমার অভিযোগ।’
ফরহাদ মজহার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বললেন প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন; কিন্তু তা এখনো দেখানো হয়নি। প্রেসিডেন্টও জানেন না পদত্যাগপত্র কোথায়—এটা চলবে না। রাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে তামাশা করা যায় না।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনাকে নতুন গণপরিষদ গঠন করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একমাত্র সেই সংসদে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সেই সিদ্ধান্তই আইনগতভাবে বৈধ হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনী কী করত? আমাদের সংবিধান স্থগিত রাখত। তারা দেশে ফরমান দিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাত। আর আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে আপনি কোনো ফরমান দিতে পারেননি। আমাকে বলুন—আপনি কার পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কার স্বার্থ রক্ষা করছেন? এটা তো চলবে না, এটা তো হতে পারে না।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লোক এনেছেন, বিদেশ থেকে লোক এনেছেন—এরা বড় বড় বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করেছে, করপোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য। আপনি এনেছেন এমন লোকদের, যাদের সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসি বলে, “সে আমাদের লোক।” এদের দিয়ে আপনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করব, আমরা তা জানি না। আমি দুঃখিত, আমি অত্যন্ত আহত ও ভীত হয়ে এসব কথা বলছি।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বিশাল বহর নিয়ে—কেন যাচ্ছেন? আপনি একজন উপদেষ্টা; আপনার প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তপোক্ত করা। সেনাবাহিনীকে আপনি ম্যাজিস্ট্রেসিতে এনেছেন—এ অভিযোগ উঠেছে যে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী চারজনকে হত্যা করেছে; যে দলই করা হোক না কেন, সেনাবাহিনী হত্যায় জড়িত হয়েছে। আপনি সেনাবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ রয়েছে; একটির নাম হলো রোহিঙ্গা-মিয়ানমার ইস্যু। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূরাজনীতি অনুসরণ করছেন, সেই ভূরাজনীতিকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? আরাকান সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে; এই ঘটনার বিচ্ছিন্ন দিক নেই। আজ যদি বিলোনিয়া থেকে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যায়—তা-ও আমাকে অবাক করবে না।
‘চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ; আপনি সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন একপ্রকারে অস্বীকার করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছেন। কার কাছে আপনি অনুমতি নিচ্ছেন—জনগণ কি আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে?’
নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের আশা ছিল, যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যে দুর্বলতা, সে দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। তার (ড. ইউনূস) আন্তরিকতা যদি পাই। তিনি যদি গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। শুধু বোঝেন নাই না, এখন তিনি যে জায়গায় দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন—সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ।

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন এবং সেই কারণে তাঁর সরকারের কোনো বৈধতা নেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এই সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কথাগুলো আমি বলছি, তার যথোপযুক্ত উত্তর আমি আপনার কাছে আশা করি।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রশাসনের কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত ও নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করেন মজহার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, বিভিন্ন বিদেশি উদ্যোগের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মজহার বলেন, ‘আপনি শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কোনো অর্থ নেই।’
মজহার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন নির্বাচন করতে চাইছেন? আপনি তো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছেন; কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক নন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে মহানায়ক নয়, জনগণই প্রধান।’
ড. ইউনূসের নেওয়া ‘ভুল সিদ্ধান্তের’ বিষয়ে মজহার বলেন, ‘কিছু তরুণকে “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে দাবি করা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনার অভাব রয়েছে। এত বড় আত্মত্যাগের পরে কেন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে—এই প্রশ্ন থেকেই আমার অভিযোগ।’
ফরহাদ মজহার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বললেন প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন; কিন্তু তা এখনো দেখানো হয়নি। প্রেসিডেন্টও জানেন না পদত্যাগপত্র কোথায়—এটা চলবে না। রাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে তামাশা করা যায় না।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনাকে নতুন গণপরিষদ গঠন করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একমাত্র সেই সংসদে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সেই সিদ্ধান্তই আইনগতভাবে বৈধ হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনী কী করত? আমাদের সংবিধান স্থগিত রাখত। তারা দেশে ফরমান দিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাত। আর আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে আপনি কোনো ফরমান দিতে পারেননি। আমাকে বলুন—আপনি কার পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কার স্বার্থ রক্ষা করছেন? এটা তো চলবে না, এটা তো হতে পারে না।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লোক এনেছেন, বিদেশ থেকে লোক এনেছেন—এরা বড় বড় বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করেছে, করপোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য। আপনি এনেছেন এমন লোকদের, যাদের সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসি বলে, “সে আমাদের লোক।” এদের দিয়ে আপনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করব, আমরা তা জানি না। আমি দুঃখিত, আমি অত্যন্ত আহত ও ভীত হয়ে এসব কথা বলছি।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বিশাল বহর নিয়ে—কেন যাচ্ছেন? আপনি একজন উপদেষ্টা; আপনার প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তপোক্ত করা। সেনাবাহিনীকে আপনি ম্যাজিস্ট্রেসিতে এনেছেন—এ অভিযোগ উঠেছে যে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী চারজনকে হত্যা করেছে; যে দলই করা হোক না কেন, সেনাবাহিনী হত্যায় জড়িত হয়েছে। আপনি সেনাবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ রয়েছে; একটির নাম হলো রোহিঙ্গা-মিয়ানমার ইস্যু। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূরাজনীতি অনুসরণ করছেন, সেই ভূরাজনীতিকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? আরাকান সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে; এই ঘটনার বিচ্ছিন্ন দিক নেই। আজ যদি বিলোনিয়া থেকে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যায়—তা-ও আমাকে অবাক করবে না।
‘চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ; আপনি সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন একপ্রকারে অস্বীকার করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছেন। কার কাছে আপনি অনুমতি নিচ্ছেন—জনগণ কি আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে?’
নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের আশা ছিল, যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যে দুর্বলতা, সে দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। তার (ড. ইউনূস) আন্তরিকতা যদি পাই। তিনি যদি গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। শুধু বোঝেন নাই না, এখন তিনি যে জায়গায় দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন—সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩৮ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩৮ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
৩৮ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে