তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত দামের চেয়ে বেশি দামের গাড়ি কিনতে চায় বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের জন্য প্রতিটি ডাবল কেবিন পিকআপ কিনতে ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুমোদন করা হলেও নতুন প্রস্তাবে দাম ধরা হয়েছে ৮৭ লাখ টাকা। এতে প্রতিটির জন্য বাড়তি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে ২০০টি কিনতে সরকারের ৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
একই সঙ্গে ২৮টি বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসও কেনা হচ্ছে অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায়। এই কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, মোট ৭২২টি যানবাহন কেনার প্রস্তাব ছিল। সেখান থেকে ২০০টি ডাবল কেবিনের পিকআপ এবং ২৮টি অন্যান্য যানবাহন কেনার কাজ চলমান। এই কেনাকাটার প্রস্তাবটি বর্তমানে অর্থ বিভাগে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের জন্য গাড়ি কেনা-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয় অর্থ বিভাগে। সেখানে বলা হয়, পুলিশের ব্যবহারের জন্য দেশীয় যানবাহন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদিত ২২৮টি কেনা দরকার। প্রস্তাব অনুযায়ী ডাবল কেবিন পিকআপের প্রতিটির জন্য ৮৭ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পিকআপের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৮টি মাইক্রোবাস কিনতে প্রতিটির দাম ৫২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। তিন টনের ৮টি ট্রাক কিনতে প্রতিটির জন্য ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অনুমোদন করা হলেও চাওয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। পাঁচ টনের ৮টি ট্রাক কিনতে প্রতিটির জন্য ৩৯ লাখ টাকা অনুমোদন করা হলেও সেখানে ৪৫ লাখ টাকা এবং ৮টি বাস (বড়, নন-এসি) প্রতিটির জন্য ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার স্থলে নতুন প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ লাখ টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, সরকারি গাড়ি কেনার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি গাইডলাইন রয়েছে। সেখানে কোন পদমর্যাদার কর্মকর্তার জন্য কী ধরনের গাড়ি কেনা হবে; কোন যানবাহনের মূল্য কত হবে, তা সবই বলে দেওয়া আছে। সরকারি সব প্রতিষ্ঠান তা মেনে গাড়ি কিনলেও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে যানবাহনের দাম বেশি উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কারের দাম ৪৫ লাখ টাকা, গ্রেড-১ এবং গ্রেড-২ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য ১ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকার জিপ, ২০০০ সিসির জিপের জন্য ৬৫ লাখ টাকা, পিকআপ (সিঙ্গেল কেবিন) ৩৮ লাখ টাকা, পিকআপ (ডাবল কেবিন) ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মাইক্রোবাস ৫২ লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ৫৪ লাখ টাকা, কোস্টার বা মিনিবাস (এসি) ৭৫ লাখ টাকা, মিনিবাস (নন-এসি) ৩২ লাখ টাকা, বাস (বড়, নন-এসি) ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ট্রাক ৩৯ লাখ টাকা, তিন টনের ট্রাকের দাম ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অনুমোদন করা আছে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. জসিম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার গাড়ি কেনে, সেখানে দাম বেড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাই নতুন দাম নির্ধারণ করে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) একমত পোষণ করে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। পাস হয়ে এলে পরে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেগুলো কেনা হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর আগে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে যানবাহন কেনার জন্য একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসে। সেখানে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১০৫টি থানা, পুলিশ ফাঁড়িতে সব মিলিয়ে ৪৫৫টি যানবাহন ভস্মীভূত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৩টি জিপ, ১৭৩টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৫৬টি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ, ১২টি প্যাট্রল কার, ১২টি মাইক্রোবাস, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ৩ টন ও ৫ টনের ১২টি ট্রাক, ২টি বাস, ২টি প্রিজন ভ্যান, ১৫৬টি মোটরসাইকেল, ৮টি রেকার, ৪টি এপিসি, ১টি জলকামান ও ২টি ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট ভ্যান। ওই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ২২৮টি যানবাহন নতুন দামে কেনা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত দামের চেয়ে বেশি দামের গাড়ি কিনতে চায় বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের জন্য প্রতিটি ডাবল কেবিন পিকআপ কিনতে ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুমোদন করা হলেও নতুন প্রস্তাবে দাম ধরা হয়েছে ৮৭ লাখ টাকা। এতে প্রতিটির জন্য বাড়তি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে ২০০টি কিনতে সরকারের ৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
একই সঙ্গে ২৮টি বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসও কেনা হচ্ছে অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায়। এই কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, মোট ৭২২টি যানবাহন কেনার প্রস্তাব ছিল। সেখান থেকে ২০০টি ডাবল কেবিনের পিকআপ এবং ২৮টি অন্যান্য যানবাহন কেনার কাজ চলমান। এই কেনাকাটার প্রস্তাবটি বর্তমানে অর্থ বিভাগে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের জন্য গাড়ি কেনা-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয় অর্থ বিভাগে। সেখানে বলা হয়, পুলিশের ব্যবহারের জন্য দেশীয় যানবাহন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদিত ২২৮টি কেনা দরকার। প্রস্তাব অনুযায়ী ডাবল কেবিন পিকআপের প্রতিটির জন্য ৮৭ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পিকআপের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৮টি মাইক্রোবাস কিনতে প্রতিটির দাম ৫২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। তিন টনের ৮টি ট্রাক কিনতে প্রতিটির জন্য ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অনুমোদন করা হলেও চাওয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। পাঁচ টনের ৮টি ট্রাক কিনতে প্রতিটির জন্য ৩৯ লাখ টাকা অনুমোদন করা হলেও সেখানে ৪৫ লাখ টাকা এবং ৮টি বাস (বড়, নন-এসি) প্রতিটির জন্য ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার স্থলে নতুন প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ লাখ টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, সরকারি গাড়ি কেনার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি গাইডলাইন রয়েছে। সেখানে কোন পদমর্যাদার কর্মকর্তার জন্য কী ধরনের গাড়ি কেনা হবে; কোন যানবাহনের মূল্য কত হবে, তা সবই বলে দেওয়া আছে। সরকারি সব প্রতিষ্ঠান তা মেনে গাড়ি কিনলেও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে যানবাহনের দাম বেশি উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কারের দাম ৪৫ লাখ টাকা, গ্রেড-১ এবং গ্রেড-২ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য ১ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকার জিপ, ২০০০ সিসির জিপের জন্য ৬৫ লাখ টাকা, পিকআপ (সিঙ্গেল কেবিন) ৩৮ লাখ টাকা, পিকআপ (ডাবল কেবিন) ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মাইক্রোবাস ৫২ লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ৫৪ লাখ টাকা, কোস্টার বা মিনিবাস (এসি) ৭৫ লাখ টাকা, মিনিবাস (নন-এসি) ৩২ লাখ টাকা, বাস (বড়, নন-এসি) ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ট্রাক ৩৯ লাখ টাকা, তিন টনের ট্রাকের দাম ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অনুমোদন করা আছে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. জসিম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার গাড়ি কেনে, সেখানে দাম বেড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাই নতুন দাম নির্ধারণ করে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) একমত পোষণ করে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। পাস হয়ে এলে পরে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেগুলো কেনা হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর আগে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে যানবাহন কেনার জন্য একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসে। সেখানে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১০৫টি থানা, পুলিশ ফাঁড়িতে সব মিলিয়ে ৪৫৫টি যানবাহন ভস্মীভূত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৩টি জিপ, ১৭৩টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৫৬টি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ, ১২টি প্যাট্রল কার, ১২টি মাইক্রোবাস, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ৩ টন ও ৫ টনের ১২টি ট্রাক, ২টি বাস, ২টি প্রিজন ভ্যান, ১৫৬টি মোটরসাইকেল, ৮টি রেকার, ৪টি এপিসি, ১টি জলকামান ও ২টি ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট ভ্যান। ওই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ২২৮টি যানবাহন নতুন দামে কেনা হচ্ছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দেশের ব্যাংকগুলোয় নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। অর্থ লোপাট ও পাচারের মূল হোতা হিসেবে নাম উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ, বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের।
৬ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিদায়ঘণ্টা বাজানো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে এক হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তাদের এই নতুন দল গঠন দেশের রাজনীতি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভোটের মাঠে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি নতুন...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষাকে বৈমাত্রেয় ভ্রাতা বা সতিনের পুত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সবগুলোতে আগে ইংরেজি ও পরে বাংলাটা ছোট করে নিচে লেখা হয়, বাংলা যেন বৈমাত্রেয় ভ্রাতা বা সতিনের পুত্র।’
৭ ঘণ্টা আগে