নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই দশক পর সংস্কার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৪ শিরোনামে খসড়া পর্যায়ে থাকা এই আইনের কিছু ধারা, বিশেষ করে আইনের খসড়ায় থাকা ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা–সংক্রান্ত ধারাটি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য বলে বিবেচনা করা, বিরোধ নিষ্পত্তি, দায়মুক্তিসহ কিছু ধারা পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত টেলিযোগাযোগ আইন সংস্কার বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব বিষয় তুলে ধরেন।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ও মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) এ সভার আয়োজন করে।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ভারত, ভিয়েতনামসহ যেসব দেশ টেলিকম আইন করেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করেই আমরা আইনের খসড়া করেছি। আমাদের খসড়ায় সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের আইনে এই সীমাটা নেই। চাইলে তারা ১ হাজার কোটি টাকা জরিমানা করতে পারে।’
খসড়া আইনে থাকা জামিন অযোগ্য অপরাধ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানের যেকোনো অপরাধ জামিন অযোগ্য হওয়ার বিষয়টি মানসিক ভীতি তৈরি করে। আমি আশ্বস্ত করছি, এগুলো সমন্বয়ের চেষ্টা করব।’
বৈঠকে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরে দেশ যখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, সে সময় আইনের খসড়ার কিছু দিক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দেশে ২০০১ সালে প্রণীত একটি পৃথক আইন থাকা সত্ত্বেও, খসড়ায় এ–সংক্রান্ত ধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে, যা নতুন করে সমস্যা তৈরি করবে। খসড়ায় সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকাসহ উচ্চ জরিমানার বিধান রয়েছে, যা অনেক বেশি। প্রশাসনিক জরিমানাই একধরনের শাস্তি, এর ওপরে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়, যা ব্যবসাবান্ধব নয়। আইনের খসড়ায় সরকার বা কমিশনকে তাদের কোনো কাজের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কোনো পদক্ষেপের ওপর কোনো দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার থাকবে না বলে বলা হয়েছে। এ ধরনের বিধান সাংবিধানিক অধিকার এবং দেশের আইন প্রণয়নের চেতনার পরিপন্থী।
বক্তারা জানান, আইনের খসড়ায় নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসির স্বাধীনতা হরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবসার বিষয়টি যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত হয়নি। এআইয়ের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং ভিন্ন ভিন্ন গাইডলাইনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
সভায় প্রতিমন্ত্রী টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রস্তাবিত আইন জমা দিতে বলেন। সব পক্ষের প্রস্তাবনা বিবেচনা করে সময়োপযোগী, উদার, ভবিষ্যৎমুখী ব্যবসাবান্ধব ও নাগরিক বান্ধব আইন হবে বলে জানান তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।
টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অ্যামটবের সভাপতি ইয়াসির আজমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী, বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিকসন, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শহীদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমদাদুল হক, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাইমুম রেজা তালুকদার প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক এবং মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম।
দুই দশক পর সংস্কার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৪ শিরোনামে খসড়া পর্যায়ে থাকা এই আইনের কিছু ধারা, বিশেষ করে আইনের খসড়ায় থাকা ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা–সংক্রান্ত ধারাটি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য বলে বিবেচনা করা, বিরোধ নিষ্পত্তি, দায়মুক্তিসহ কিছু ধারা পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত টেলিযোগাযোগ আইন সংস্কার বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব বিষয় তুলে ধরেন।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ও মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) এ সভার আয়োজন করে।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ভারত, ভিয়েতনামসহ যেসব দেশ টেলিকম আইন করেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করেই আমরা আইনের খসড়া করেছি। আমাদের খসড়ায় সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের আইনে এই সীমাটা নেই। চাইলে তারা ১ হাজার কোটি টাকা জরিমানা করতে পারে।’
খসড়া আইনে থাকা জামিন অযোগ্য অপরাধ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানের যেকোনো অপরাধ জামিন অযোগ্য হওয়ার বিষয়টি মানসিক ভীতি তৈরি করে। আমি আশ্বস্ত করছি, এগুলো সমন্বয়ের চেষ্টা করব।’
বৈঠকে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরে দেশ যখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, সে সময় আইনের খসড়ার কিছু দিক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দেশে ২০০১ সালে প্রণীত একটি পৃথক আইন থাকা সত্ত্বেও, খসড়ায় এ–সংক্রান্ত ধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে, যা নতুন করে সমস্যা তৈরি করবে। খসড়ায় সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকাসহ উচ্চ জরিমানার বিধান রয়েছে, যা অনেক বেশি। প্রশাসনিক জরিমানাই একধরনের শাস্তি, এর ওপরে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়, যা ব্যবসাবান্ধব নয়। আইনের খসড়ায় সরকার বা কমিশনকে তাদের কোনো কাজের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কোনো পদক্ষেপের ওপর কোনো দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার থাকবে না বলে বলা হয়েছে। এ ধরনের বিধান সাংবিধানিক অধিকার এবং দেশের আইন প্রণয়নের চেতনার পরিপন্থী।
বক্তারা জানান, আইনের খসড়ায় নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসির স্বাধীনতা হরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবসার বিষয়টি যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত হয়নি। এআইয়ের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং ভিন্ন ভিন্ন গাইডলাইনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
সভায় প্রতিমন্ত্রী টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রস্তাবিত আইন জমা দিতে বলেন। সব পক্ষের প্রস্তাবনা বিবেচনা করে সময়োপযোগী, উদার, ভবিষ্যৎমুখী ব্যবসাবান্ধব ও নাগরিক বান্ধব আইন হবে বলে জানান তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।
টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অ্যামটবের সভাপতি ইয়াসির আজমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী, বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিকসন, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শহীদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমদাদুল হক, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাইমুম রেজা তালুকদার প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক এবং মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম।
গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
৩ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড..
৯ ঘণ্টা আগেমজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
১১ ঘণ্টা আগে