সাইফুল মাসুম, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেও (ডিএই) চেয়ার দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। গত তিন মাসে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের সরিয়ে বিএনপি ও জামায়াতপন্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। তবে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী অধিকাংশ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এখনো রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। এই অবস্থায় তাঁদের সরিয়ে বড় প্রকল্পগুলোর পিডি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিএনপিপন্থী একদল কর্মকর্তা। অনেক দিন ধরে তৎপরতা চালিয়েও প্রকল্পের বর্তমান পিডি ও ডিপিডিদের সরাতে ব্যর্থ হয়ে এখন তাঁরা আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের তালিকা করে খামারবাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে খামারবাড়িতে সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএইর প্রবেশমুখেই দুটি বিশাল ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যানারে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডিএইর সাবেক দুজন মহাপরিচালকসহ ৩৯ জনের ছবি দেওয়া হয়েছে। এতে তুলনামূলক বড় প্রকল্পের পিডি, ডিপিডি ও গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তারা ঠাঁই পেয়েছেন। ব্যানারে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু-একজন ছাড়া বেশির ভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
ব্যানারে ছবিও রয়েছে এমন এক প্রকল্প পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি চাকরি করি। আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এখন ব্লেমগেম করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের ডিপিডি মো. শফিকুল ইসলাম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পক্ষ যেভাবে সরাতে চাইছে, হয়তো প্রশাসন সেভাবে সায় দিচ্ছে না। তাই চাপে রাখার জন্য ব্যানারে আমার ছবি প্রকাশ করেছে।’ এর আগে বিএনপিপন্থী কিছু কর্মকর্তা চেয়ার ছাড়ার জন্য তাঁকে কয়েকবার চাপ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ডিএইর কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী কয়েকজন পিডির নাম ও ছবি ব্যানারে আসেনি। তাঁদের কেউ কেউ রাজনৈতিক পরিচয় বদল করেছেন। আবার কেউ আর্থিক সুবিধা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। সুবিধাভোগীদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মেহেদি মাসুদ, ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি।
জানা গেছে, অধিদপ্তরে বর্তমানে ৩২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে এক ডজন প্রকল্পে পিডি বদলের জন্য মন্ত্রণালয়ে তালিকাও পাঠানো হয়েছে। সেটা বাস্তবায়িত না হওয়ায় নতুন করে খসড়া তালিকা করা হচ্ছে। তালিকায় অগ্রাধিকার পাওয়া পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, পার্টনার প্রকল্প, কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, জগন্নাথপুর ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় দুটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) স্থাপন প্রকল্প।
ডিএইতে গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি ও পদায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুল। দুজনই বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত রয়েছেন। জানতে চাইলে উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘আমি একটা মিটিংয়ে আছি। শেষ করে আপনাকে কল দেব।’ পরে কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি আর কল করেননি।
ছবি দিয়ে ব্যানার টাঙানো শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস্তবতার নিরিখে যদি পিডি বদল দরকার হয়, তার জন্য অফিশিয়াল নিয়ম আছে। ব্যানার ঝুলিয়ে তো কাউকে সরানো যাবে না।’ কৃষিসচিব আরও বলেন, ‘অনেকে পিডি হতে চায়। পিডি নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেও (ডিএই) চেয়ার দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। গত তিন মাসে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের সরিয়ে বিএনপি ও জামায়াতপন্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। তবে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী অধিকাংশ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এখনো রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। এই অবস্থায় তাঁদের সরিয়ে বড় প্রকল্পগুলোর পিডি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিএনপিপন্থী একদল কর্মকর্তা। অনেক দিন ধরে তৎপরতা চালিয়েও প্রকল্পের বর্তমান পিডি ও ডিপিডিদের সরাতে ব্যর্থ হয়ে এখন তাঁরা আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের তালিকা করে খামারবাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে খামারবাড়িতে সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএইর প্রবেশমুখেই দুটি বিশাল ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যানারে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডিএইর সাবেক দুজন মহাপরিচালকসহ ৩৯ জনের ছবি দেওয়া হয়েছে। এতে তুলনামূলক বড় প্রকল্পের পিডি, ডিপিডি ও গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তারা ঠাঁই পেয়েছেন। ব্যানারে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু-একজন ছাড়া বেশির ভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
ব্যানারে ছবিও রয়েছে এমন এক প্রকল্প পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি চাকরি করি। আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এখন ব্লেমগেম করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের ডিপিডি মো. শফিকুল ইসলাম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পক্ষ যেভাবে সরাতে চাইছে, হয়তো প্রশাসন সেভাবে সায় দিচ্ছে না। তাই চাপে রাখার জন্য ব্যানারে আমার ছবি প্রকাশ করেছে।’ এর আগে বিএনপিপন্থী কিছু কর্মকর্তা চেয়ার ছাড়ার জন্য তাঁকে কয়েকবার চাপ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ডিএইর কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী কয়েকজন পিডির নাম ও ছবি ব্যানারে আসেনি। তাঁদের কেউ কেউ রাজনৈতিক পরিচয় বদল করেছেন। আবার কেউ আর্থিক সুবিধা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। সুবিধাভোগীদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মেহেদি মাসুদ, ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি।
জানা গেছে, অধিদপ্তরে বর্তমানে ৩২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে এক ডজন প্রকল্পে পিডি বদলের জন্য মন্ত্রণালয়ে তালিকাও পাঠানো হয়েছে। সেটা বাস্তবায়িত না হওয়ায় নতুন করে খসড়া তালিকা করা হচ্ছে। তালিকায় অগ্রাধিকার পাওয়া পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, পার্টনার প্রকল্প, কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, জগন্নাথপুর ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় দুটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) স্থাপন প্রকল্প।
ডিএইতে গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি ও পদায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুল। দুজনই বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত রয়েছেন। জানতে চাইলে উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘আমি একটা মিটিংয়ে আছি। শেষ করে আপনাকে কল দেব।’ পরে কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি আর কল করেননি।
ছবি দিয়ে ব্যানার টাঙানো শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস্তবতার নিরিখে যদি পিডি বদল দরকার হয়, তার জন্য অফিশিয়াল নিয়ম আছে। ব্যানার ঝুলিয়ে তো কাউকে সরানো যাবে না।’ কৃষিসচিব আরও বলেন, ‘অনেকে পিডি হতে চায়। পিডি নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাঁদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। খবর মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বারনামার।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে
৭ ঘণ্টা আগেসংলাপে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোকে দুই ভাগে করা হয়েছে। কতগুলো সংস্কার আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে করা যাবে। রাজনীতিকদের এ ব্যাপারে দ্বিমতের সুযোগ খুব কম। শত শত সুপারিশ আছে, যেগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। আর কতগুলো সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মৌলিক
৭ ঘণ্টা আগে