বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন থেকে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের অধীনে হবে। ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ নামে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকবেন আপিল বিভাগের একজন কর্মরত ও একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল।
কাউন্সিলের কার্যক্রম
১. কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য বিচারক প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করবে।
২. সাধারণ নাগরিক বা আইনজীবীরাও কাউকে প্রস্তাব করতে বা নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
৩. প্রাথমিক যাচাই–বাছাই শেষে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হবেন। আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে (বিচার কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত ব্যতীত) কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, বিচার-কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপার্সন মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং চেয়ারপার্সন মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন-বিশেষজ্ঞকে কাউন্সিলে রাখা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ও তার দপ্তর কাউন্সিলের কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো অতিরিক্ত বিচারকের পদে নিযুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়র দুই মাস আগে কাউন্সিলের সভা আহ্বান করতে হবে।
কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করে বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করবে। এ জন্য প্রার্থীর বয়স কোনোভাবেই ৪৫ বছরের কম হওয়া যাবে না।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির পরামর্শ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ দেবেন বা ক্ষেত্রমতে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ কার্যকর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট তথ্য এবং কারণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয়ে পুনরীক্ষণের অনুরোধ করলে প্রধান বিচারপতি তা যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সিলে উপস্থাপন করবেন। পরে কাউন্সিল সংশোধিত আকারে সুপারিশ করতে পারবে। এ ছাড়া যথাযথ তথ্য ও কারণ উল্লেখ করে এর আগে পাঠানো সুপারিশ কোনো সংশোধন না করেই কাউন্সিল পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে। এরপর প্রধান বিচারপতি তা রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন। এই সুপারিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশ কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করবে জানিয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব না হলে কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য হবে। তবে সিদ্ধান্তের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সন বা ক্ষেত্রবিশেষে, সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তি, নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, এ পদ্ধতিতে যোগ্য, দক্ষ এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অতীতে দলীয় বিবেচনায় ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের অভিযোগ থাকলেও নতুন এই প্রক্রিয়া এ ধরনের অনিয়ম দূর করবে বলে মনে করেন তিনি।
পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের উদ্যোগ
সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। সমাজে এটির দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে। খুঁটিনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। তবে এটি বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
প্রসঙ্গত, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ
সরকারি কৌঁসুলিদের ভূমিকা আরও নিরপেক্ষ ও দক্ষ করতে ‘স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমানে দলীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়ায় অনেক কৌঁসুলি নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন। এটি দূর করার জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু করা হবে।’
আইন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন সম্পন্ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের সেবা ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩৬ ধরনের কাগজপত্র অনলাইনে সত্যায়নের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই উদ্যোগ জনগণের হয়রানি কমাতে এবং সেবার গতি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতে যোগ্য বিচারক নিয়োগ না হলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। এই নতুন আইন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে, যা দীর্ঘদিনের চাহিদা।’
এই উদ্যোগগুলো দেশের বিচার ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনবে এবং জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার আরও সুসংহত করবে বলে আশা করছেন আইন উপদেষ্টা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন থেকে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের অধীনে হবে। ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ নামে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকবেন আপিল বিভাগের একজন কর্মরত ও একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল।
কাউন্সিলের কার্যক্রম
১. কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য বিচারক প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করবে।
২. সাধারণ নাগরিক বা আইনজীবীরাও কাউকে প্রস্তাব করতে বা নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
৩. প্রাথমিক যাচাই–বাছাই শেষে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হবেন। আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে (বিচার কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত ব্যতীত) কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, বিচার-কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপার্সন মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং চেয়ারপার্সন মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন-বিশেষজ্ঞকে কাউন্সিলে রাখা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ও তার দপ্তর কাউন্সিলের কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো অতিরিক্ত বিচারকের পদে নিযুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়র দুই মাস আগে কাউন্সিলের সভা আহ্বান করতে হবে।
কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করে বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করবে। এ জন্য প্রার্থীর বয়স কোনোভাবেই ৪৫ বছরের কম হওয়া যাবে না।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির পরামর্শ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ দেবেন বা ক্ষেত্রমতে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ কার্যকর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট তথ্য এবং কারণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয়ে পুনরীক্ষণের অনুরোধ করলে প্রধান বিচারপতি তা যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সিলে উপস্থাপন করবেন। পরে কাউন্সিল সংশোধিত আকারে সুপারিশ করতে পারবে। এ ছাড়া যথাযথ তথ্য ও কারণ উল্লেখ করে এর আগে পাঠানো সুপারিশ কোনো সংশোধন না করেই কাউন্সিল পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে। এরপর প্রধান বিচারপতি তা রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন। এই সুপারিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশ কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করবে জানিয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব না হলে কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য হবে। তবে সিদ্ধান্তের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সন বা ক্ষেত্রবিশেষে, সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তি, নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, এ পদ্ধতিতে যোগ্য, দক্ষ এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অতীতে দলীয় বিবেচনায় ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের অভিযোগ থাকলেও নতুন এই প্রক্রিয়া এ ধরনের অনিয়ম দূর করবে বলে মনে করেন তিনি।
পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের উদ্যোগ
সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। সমাজে এটির দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে। খুঁটিনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। তবে এটি বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
প্রসঙ্গত, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ
সরকারি কৌঁসুলিদের ভূমিকা আরও নিরপেক্ষ ও দক্ষ করতে ‘স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমানে দলীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়ায় অনেক কৌঁসুলি নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন। এটি দূর করার জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু করা হবে।’
আইন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন সম্পন্ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের সেবা ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩৬ ধরনের কাগজপত্র অনলাইনে সত্যায়নের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই উদ্যোগ জনগণের হয়রানি কমাতে এবং সেবার গতি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতে যোগ্য বিচারক নিয়োগ না হলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। এই নতুন আইন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে, যা দীর্ঘদিনের চাহিদা।’
এই উদ্যোগগুলো দেশের বিচার ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনবে এবং জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার আরও সুসংহত করবে বলে আশা করছেন আইন উপদেষ্টা।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন থেকে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের অধীনে হবে। ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ নামে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকবেন আপিল বিভাগের একজন কর্মরত ও একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল।
কাউন্সিলের কার্যক্রম
১. কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য বিচারক প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করবে।
২. সাধারণ নাগরিক বা আইনজীবীরাও কাউকে প্রস্তাব করতে বা নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
৩. প্রাথমিক যাচাই–বাছাই শেষে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হবেন। আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে (বিচার কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত ব্যতীত) কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, বিচার-কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপার্সন মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং চেয়ারপার্সন মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন-বিশেষজ্ঞকে কাউন্সিলে রাখা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ও তার দপ্তর কাউন্সিলের কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো অতিরিক্ত বিচারকের পদে নিযুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়র দুই মাস আগে কাউন্সিলের সভা আহ্বান করতে হবে।
কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করে বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করবে। এ জন্য প্রার্থীর বয়স কোনোভাবেই ৪৫ বছরের কম হওয়া যাবে না।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির পরামর্শ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ দেবেন বা ক্ষেত্রমতে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ কার্যকর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট তথ্য এবং কারণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয়ে পুনরীক্ষণের অনুরোধ করলে প্রধান বিচারপতি তা যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সিলে উপস্থাপন করবেন। পরে কাউন্সিল সংশোধিত আকারে সুপারিশ করতে পারবে। এ ছাড়া যথাযথ তথ্য ও কারণ উল্লেখ করে এর আগে পাঠানো সুপারিশ কোনো সংশোধন না করেই কাউন্সিল পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে। এরপর প্রধান বিচারপতি তা রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন। এই সুপারিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশ কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করবে জানিয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব না হলে কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য হবে। তবে সিদ্ধান্তের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সন বা ক্ষেত্রবিশেষে, সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তি, নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, এ পদ্ধতিতে যোগ্য, দক্ষ এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অতীতে দলীয় বিবেচনায় ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের অভিযোগ থাকলেও নতুন এই প্রক্রিয়া এ ধরনের অনিয়ম দূর করবে বলে মনে করেন তিনি।
পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের উদ্যোগ
সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। সমাজে এটির দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে। খুঁটিনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। তবে এটি বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
প্রসঙ্গত, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ
সরকারি কৌঁসুলিদের ভূমিকা আরও নিরপেক্ষ ও দক্ষ করতে ‘স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমানে দলীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়ায় অনেক কৌঁসুলি নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন। এটি দূর করার জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু করা হবে।’
আইন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন সম্পন্ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের সেবা ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩৬ ধরনের কাগজপত্র অনলাইনে সত্যায়নের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই উদ্যোগ জনগণের হয়রানি কমাতে এবং সেবার গতি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতে যোগ্য বিচারক নিয়োগ না হলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। এই নতুন আইন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে, যা দীর্ঘদিনের চাহিদা।’
এই উদ্যোগগুলো দেশের বিচার ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনবে এবং জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার আরও সুসংহত করবে বলে আশা করছেন আইন উপদেষ্টা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন থেকে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের অধীনে হবে। ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ নামে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকবেন আপিল বিভাগের একজন কর্মরত ও একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল।
কাউন্সিলের কার্যক্রম
১. কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য বিচারক প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করবে।
২. সাধারণ নাগরিক বা আইনজীবীরাও কাউকে প্রস্তাব করতে বা নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
৩. প্রাথমিক যাচাই–বাছাই শেষে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হবেন। আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে (বিচার কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত ব্যতীত) কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে প্রবীণতম বিচারক, বিচার-কর্মবিভাগ থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপার্সন মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং চেয়ারপার্সন মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন-বিশেষজ্ঞকে কাউন্সিলে রাখা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ও তার দপ্তর কাউন্সিলের কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো অতিরিক্ত বিচারকের পদে নিযুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়র দুই মাস আগে কাউন্সিলের সভা আহ্বান করতে হবে।
কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করে বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করবে। এ জন্য প্রার্থীর বয়স কোনোভাবেই ৪৫ বছরের কম হওয়া যাবে না।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির পরামর্শ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ দেবেন বা ক্ষেত্রমতে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ কার্যকর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট তথ্য এবং কারণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয়ে পুনরীক্ষণের অনুরোধ করলে প্রধান বিচারপতি তা যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সিলে উপস্থাপন করবেন। পরে কাউন্সিল সংশোধিত আকারে সুপারিশ করতে পারবে। এ ছাড়া যথাযথ তথ্য ও কারণ উল্লেখ করে এর আগে পাঠানো সুপারিশ কোনো সংশোধন না করেই কাউন্সিল পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে। এরপর প্রধান বিচারপতি তা রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন। এই সুপারিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সুপারিশ কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করবে জানিয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব না হলে কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য হবে। তবে সিদ্ধান্তের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সন বা ক্ষেত্রবিশেষে, সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তি, নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, এ পদ্ধতিতে যোগ্য, দক্ষ এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অতীতে দলীয় বিবেচনায় ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের অভিযোগ থাকলেও নতুন এই প্রক্রিয়া এ ধরনের অনিয়ম দূর করবে বলে মনে করেন তিনি।
পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের উদ্যোগ
সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। সমাজে এটির দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে। খুঁটিনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। তবে এটি বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
প্রসঙ্গত, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ
সরকারি কৌঁসুলিদের ভূমিকা আরও নিরপেক্ষ ও দক্ষ করতে ‘স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমানে দলীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়ায় অনেক কৌঁসুলি নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন। এটি দূর করার জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু করা হবে।’
আইন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন সম্পন্ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের সেবা ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩৬ ধরনের কাগজপত্র অনলাইনে সত্যায়নের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই উদ্যোগ জনগণের হয়রানি কমাতে এবং সেবার গতি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতে যোগ্য বিচারক নিয়োগ না হলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। এই নতুন আইন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে, যা দীর্ঘদিনের চাহিদা।’
এই উদ্যোগগুলো দেশের বিচার ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনবে এবং জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার আরও সুসংহত করবে বলে আশা করছেন আইন উপদেষ্টা।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
৩৬ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ আমলে গুম করে নির্যাতন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতকদের হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে এই তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ৭টার দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রথমে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল ৮টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। সকাল ৮টার একটু পর এজলাসে আসেন তিন বিচারপতি। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নাম ধরে ডাকলে তাঁরা এক এক করে দাঁড়ান। শুনানি শেষে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যে সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— কর্নেল একে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যাঁদের হাজির করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আরও দু’জনকে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর। এই মামলার পলাতক দু’জনকেও হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আমলে গুম করে নির্যাতন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতকদের হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে এই তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকাল ৭টার দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের প্রথমে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সকাল ৮টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। সকাল ৮টার একটু পর এজলাসে আসেন তিন বিচারপতি। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নাম ধরে ডাকলে তাঁরা এক এক করে দাঁড়ান। শুনানি শেষে তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যে সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— কর্নেল একে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যাঁদের হাজির করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পলাতকদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুমের দুই মামলায় শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আরও দু’জনকে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর। এই মামলার পলাতক দু’জনকেও হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
৩৬ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।
সিইসি ইউএনওদের বলেন, ‘কোনো প্রেশারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্তে আইন অনুযায়ী অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।’
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।
সিইসি ইউএনওদের বলেন, ‘কোনো প্রেশারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্তে আইন অনুযায়ী অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।’
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এর আগে সকাল ৭টার পর তাঁদের কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এজলাসে তাঁদের ওঠানো হলে সকাল ৮টার পর বসেন ট্রাইব্যুনাল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানির কথা ছিল।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায়। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
আওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এর আগে সকাল ৭টার পর তাঁদের কারা কর্তৃপক্ষের এসি প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এজলাসে তাঁদের ওঠানো হলে সকাল ৮টার পর বসেন ট্রাইব্যুনাল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানির কথা ছিল।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায়। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
৩৬ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাড়ে ৭টায় প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাঁদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ পোশাক পরা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুরু হবে শুনানি।
ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকা। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক।
এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাড়ে ৭টায় প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাঁদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ পোশাক পরা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুরু হবে শুনানি।
ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকা। এখানে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এবং অন্য মামলাটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক।
এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাঁদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জন পলাতক থাকায় তাঁদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা
৩৬ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের সময়ে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে