নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় কমিশন থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভায় কমিশন থেকে বলা হয়, কথা না শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চাকরি করলে বদলি হওয়াটাই স্বাভাবিক। নত হওয়ার চেয়ে বদলি সম্মানের।
এ ছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো হয়। এসব টাকা বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেন, সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, প্রশাসন ও আইন-শৃঙখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একই উপজেলা বা থানায় চাকরি করার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের উপেক্ষা করে বা তাঁদের বাইরে গিয়ে চাকরি করা চ্যালেঞ্জ। বদলি কিংবা অনেক সময় তাঁদের কথা না শুনলে শাস্তির খড়গ নেমে আসে। আর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাই দায়িত্বের মূল দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে নানা উপঢৌকন ও উৎকোচ নিয়েও কারো কারো পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিজ উপজেলা থেকে না নিয়ে পাশের উপজেলা থেকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হলে চাকরি হারানো কিংবা বদলি বা শাস্তির ভয় কোনোটাই থাকবে না। এমনকি তাৎক্ষণিক প্রভাবশালী প্রার্থীদের কাছে নিজের অস্তিত্ব বিকিয়ে দিতে সময় পাবে না। ফলে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা হলে নির্বাচন অনেকটা প্রভাবমুক্ত হবে। জবাবে কমিশন বলে, পার্শ্ববর্তী এলাকার কর্মকর্তাদের অন্য এলাকায় দায়িত্ব দিলে তাদের থাকা ও খাওয়ার সমস্যা হয়। এ ছাড়া আইনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কমিশন।
এ ছাড়া সভায় গ্রাম পুলিশ বা আনসারদের নিজ ইউনিয়নে না দিয়ে পাশের ইউনিয়নে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়েও কমিশন তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত না দিলেও বিবেচনায় রাখার বিষয়ে মৌনসম্মতি জ্ঞাপন করে।
জানা যায়, সভায় নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধানদের নিদের্শ উপেক্ষা করে অনেকেই নিজ সন্তান-ভাই কিংবা পরিবারের আত্মীয়-স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। প্রত্যাহার না করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।
জবাবে পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন।
এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশস্ত করে বলেন, ‘বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো মহল থেকে বদলি করার জন্য কমিশনে অনুরোধ এলে আমরা সেটি খতিয়ে দেখব। কারো কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পায় তাহলে বদলি করা হবে না। আপনারা কারো কাছে মাথানত করবেন না। দায়িত্বে অটুট থাকেন। আমরা আপনাদের সব ধরণের সহায়তা দিব।
সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরে থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা। এমনকি এমপিরা নির্বাচনের প্রচারে অংশ না নিতে পারেন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নিদের্শনা দেওয়া হয়। যদি কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন, তাহলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মাঠ প্রশাসনকে।
সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই এখনো টাকা পায়নি বলে জানানো হয়। বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করার দাবি তোলা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা হতে পারে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবীবুল আউয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটারেরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্য নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে, তা ক্ষুন্ন হতে পারে।
এদিকে সভার পরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরণের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাঁদের কী ধরণের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা। অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছে, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে নেই মাঠ প্রশাসন।
সভায় সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে স্বাগত ভাষণে সিইসি এসব কথা বলেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় কমিশন থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভায় কমিশন থেকে বলা হয়, কথা না শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চাকরি করলে বদলি হওয়াটাই স্বাভাবিক। নত হওয়ার চেয়ে বদলি সম্মানের।
এ ছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো হয়। এসব টাকা বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেন, সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, প্রশাসন ও আইন-শৃঙখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একই উপজেলা বা থানায় চাকরি করার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের উপেক্ষা করে বা তাঁদের বাইরে গিয়ে চাকরি করা চ্যালেঞ্জ। বদলি কিংবা অনেক সময় তাঁদের কথা না শুনলে শাস্তির খড়গ নেমে আসে। আর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাই দায়িত্বের মূল দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে নানা উপঢৌকন ও উৎকোচ নিয়েও কারো কারো পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিজ উপজেলা থেকে না নিয়ে পাশের উপজেলা থেকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হলে চাকরি হারানো কিংবা বদলি বা শাস্তির ভয় কোনোটাই থাকবে না। এমনকি তাৎক্ষণিক প্রভাবশালী প্রার্থীদের কাছে নিজের অস্তিত্ব বিকিয়ে দিতে সময় পাবে না। ফলে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা হলে নির্বাচন অনেকটা প্রভাবমুক্ত হবে। জবাবে কমিশন বলে, পার্শ্ববর্তী এলাকার কর্মকর্তাদের অন্য এলাকায় দায়িত্ব দিলে তাদের থাকা ও খাওয়ার সমস্যা হয়। এ ছাড়া আইনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কমিশন।
এ ছাড়া সভায় গ্রাম পুলিশ বা আনসারদের নিজ ইউনিয়নে না দিয়ে পাশের ইউনিয়নে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়েও কমিশন তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত না দিলেও বিবেচনায় রাখার বিষয়ে মৌনসম্মতি জ্ঞাপন করে।
জানা যায়, সভায় নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধানদের নিদের্শ উপেক্ষা করে অনেকেই নিজ সন্তান-ভাই কিংবা পরিবারের আত্মীয়-স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। প্রত্যাহার না করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।
জবাবে পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন।
এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশস্ত করে বলেন, ‘বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো মহল থেকে বদলি করার জন্য কমিশনে অনুরোধ এলে আমরা সেটি খতিয়ে দেখব। কারো কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পায় তাহলে বদলি করা হবে না। আপনারা কারো কাছে মাথানত করবেন না। দায়িত্বে অটুট থাকেন। আমরা আপনাদের সব ধরণের সহায়তা দিব।
সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরে থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা। এমনকি এমপিরা নির্বাচনের প্রচারে অংশ না নিতে পারেন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নিদের্শনা দেওয়া হয়। যদি কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন, তাহলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মাঠ প্রশাসনকে।
সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই এখনো টাকা পায়নি বলে জানানো হয়। বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করার দাবি তোলা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা হতে পারে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবীবুল আউয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটারেরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্য নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে, তা ক্ষুন্ন হতে পারে।
এদিকে সভার পরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরণের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাঁদের কী ধরণের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা। অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছে, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে নেই মাঠ প্রশাসন।
সভায় সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে স্বাগত ভাষণে সিইসি এসব কথা বলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় কমিশন থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভায় কমিশন থেকে বলা হয়, কথা না শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চাকরি করলে বদলি হওয়াটাই স্বাভাবিক। নত হওয়ার চেয়ে বদলি সম্মানের।
এ ছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো হয়। এসব টাকা বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেন, সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, প্রশাসন ও আইন-শৃঙখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একই উপজেলা বা থানায় চাকরি করার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের উপেক্ষা করে বা তাঁদের বাইরে গিয়ে চাকরি করা চ্যালেঞ্জ। বদলি কিংবা অনেক সময় তাঁদের কথা না শুনলে শাস্তির খড়গ নেমে আসে। আর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাই দায়িত্বের মূল দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে নানা উপঢৌকন ও উৎকোচ নিয়েও কারো কারো পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিজ উপজেলা থেকে না নিয়ে পাশের উপজেলা থেকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হলে চাকরি হারানো কিংবা বদলি বা শাস্তির ভয় কোনোটাই থাকবে না। এমনকি তাৎক্ষণিক প্রভাবশালী প্রার্থীদের কাছে নিজের অস্তিত্ব বিকিয়ে দিতে সময় পাবে না। ফলে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা হলে নির্বাচন অনেকটা প্রভাবমুক্ত হবে। জবাবে কমিশন বলে, পার্শ্ববর্তী এলাকার কর্মকর্তাদের অন্য এলাকায় দায়িত্ব দিলে তাদের থাকা ও খাওয়ার সমস্যা হয়। এ ছাড়া আইনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কমিশন।
এ ছাড়া সভায় গ্রাম পুলিশ বা আনসারদের নিজ ইউনিয়নে না দিয়ে পাশের ইউনিয়নে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়েও কমিশন তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত না দিলেও বিবেচনায় রাখার বিষয়ে মৌনসম্মতি জ্ঞাপন করে।
জানা যায়, সভায় নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধানদের নিদের্শ উপেক্ষা করে অনেকেই নিজ সন্তান-ভাই কিংবা পরিবারের আত্মীয়-স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। প্রত্যাহার না করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।
জবাবে পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন।
এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশস্ত করে বলেন, ‘বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো মহল থেকে বদলি করার জন্য কমিশনে অনুরোধ এলে আমরা সেটি খতিয়ে দেখব। কারো কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পায় তাহলে বদলি করা হবে না। আপনারা কারো কাছে মাথানত করবেন না। দায়িত্বে অটুট থাকেন। আমরা আপনাদের সব ধরণের সহায়তা দিব।
সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরে থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা। এমনকি এমপিরা নির্বাচনের প্রচারে অংশ না নিতে পারেন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নিদের্শনা দেওয়া হয়। যদি কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন, তাহলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মাঠ প্রশাসনকে।
সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই এখনো টাকা পায়নি বলে জানানো হয়। বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করার দাবি তোলা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা হতে পারে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবীবুল আউয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটারেরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্য নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে, তা ক্ষুন্ন হতে পারে।
এদিকে সভার পরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরণের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাঁদের কী ধরণের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা। অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছে, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে নেই মাঠ প্রশাসন।
সভায় সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে স্বাগত ভাষণে সিইসি এসব কথা বলেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় কমিশন থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভায় কমিশন থেকে বলা হয়, কথা না শোনার কারণে উচ্চমহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চাকরি করলে বদলি হওয়াটাই স্বাভাবিক। নত হওয়ার চেয়ে বদলি সম্মানের।
এ ছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানো হয়। এসব টাকা বন্ধে কীভাবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেন, সে বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, প্রশাসন ও আইন-শৃঙখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একই উপজেলা বা থানায় চাকরি করার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের উপেক্ষা করে বা তাঁদের বাইরে গিয়ে চাকরি করা চ্যালেঞ্জ। বদলি কিংবা অনেক সময় তাঁদের কথা না শুনলে শাস্তির খড়গ নেমে আসে। আর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাই দায়িত্বের মূল দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে নানা উপঢৌকন ও উৎকোচ নিয়েও কারো কারো পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিজ উপজেলা থেকে না নিয়ে পাশের উপজেলা থেকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হলে চাকরি হারানো কিংবা বদলি বা শাস্তির ভয় কোনোটাই থাকবে না। এমনকি তাৎক্ষণিক প্রভাবশালী প্রার্থীদের কাছে নিজের অস্তিত্ব বিকিয়ে দিতে সময় পাবে না। ফলে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা হলে নির্বাচন অনেকটা প্রভাবমুক্ত হবে। জবাবে কমিশন বলে, পার্শ্ববর্তী এলাকার কর্মকর্তাদের অন্য এলাকায় দায়িত্ব দিলে তাদের থাকা ও খাওয়ার সমস্যা হয়। এ ছাড়া আইনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কমিশন।
এ ছাড়া সভায় গ্রাম পুলিশ বা আনসারদের নিজ ইউনিয়নে না দিয়ে পাশের ইউনিয়নে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়েও কমিশন তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত না দিলেও বিবেচনায় রাখার বিষয়ে মৌনসম্মতি জ্ঞাপন করে।
জানা যায়, সভায় নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধানদের নিদের্শ উপেক্ষা করে অনেকেই নিজ সন্তান-ভাই কিংবা পরিবারের আত্মীয়-স্বজনকে প্রার্থী করেছেন। প্রত্যাহার না করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, সঙ্গে প্রশাসনকে তাদের পরিবারের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষে কাজ না করলে অনেক সময় বদলির হুমকি আসে। পদোন্নতিসহ সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।
জবাবে পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি করবে। আরেক জায়গায় অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে চাকরি করবেন।
এ সময় সিইসিসহ সব কমিশনার এ বিষয়ে তাদের আশস্ত করে বলেন, ‘বদলি কোনো শাস্তি নয়। এটা চাকরির অংশ। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো মহল থেকে বদলি করার জন্য কমিশনে অনুরোধ এলে আমরা সেটি খতিয়ে দেখব। কারো কথায় আপনাদের বদলি করা হবে না। কমিশন নিজস্ব উৎস থেকে তদন্ত করবে। যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পায় তাহলে বদলি করা হবে না। আপনারা কারো কাছে মাথানত করবেন না। দায়িত্বে অটুট থাকেন। আমরা আপনাদের সব ধরণের সহায়তা দিব।
সিইসি আরও স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনে চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরে থাকে। তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা। এমনকি এমপিরা নির্বাচনের প্রচারে অংশ না নিতে পারেন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নিদের্শনা দেওয়া হয়। যদি কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন, তাহলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মাঠ প্রশাসনকে।
সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই এখনো টাকা পায়নি বলে জানানো হয়। বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করার দাবি তোলা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা হতে পারে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবীবুল আউয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটারেরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্য নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে, তা ক্ষুন্ন হতে পারে।
এদিকে সভার পরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরণের প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন, তাঁদের কী ধরণের সহযোগিতা করতে হবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা। অনেক জেলা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছে, সেভাবেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে নেই মাঠ প্রশাসন।
সভায় সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে স্বাগত ভাষণে সিইসি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বই যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত তিনটি রিটের একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি...
১৪ মিনিট আগে
আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত সাবেক ও বর্তমান ১০ রাজস্ব কর্মকর্তা এবং পাঁচ ব্যবসায়ীসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের
২৩ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ যাঁরা করছেন, তাঁদের তাঁর আগের কর্মকাণ্ড মনে রাখার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন...
২৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের একটি সহজবোধ্য বই প্রস্তুত করে দেশের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আট খণ্ডের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, সভা ও কার্যবিবরণীর বিস্তারিত রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের সহজবোধ্য একটি ভার্সন তৈরি করতে হবে। বই আকারে প্রকাশ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বুঝতে পারে এবং অন্যদেরও বোঝাতে পারে।
বইটি ইংরেজি ও বাংলা—দুই ভাষাতেই প্রকাশের আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বই যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।
প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আট খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের কার্যক্রমের প্রক্রিয়া, প্রেক্ষাপট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া লিখিত প্রস্তাব, সাধারণ মানুষের মতামত, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো স্প্রেডশিট—সব ধরনের আলোচনা ও সংলাপ লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ভবিষ্যতে এই আট খণ্ডের প্রতিবেদন দেশে-বিদেশে গবেষণার জন্য দলিল হয়ে উঠবে।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ড. ইউনূসের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ হস্তান্তর করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের একটি সহজবোধ্য বই প্রস্তুত করে দেশের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আট খণ্ডের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, সভা ও কার্যবিবরণীর বিস্তারিত রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের সহজবোধ্য একটি ভার্সন তৈরি করতে হবে। বই আকারে প্রকাশ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বুঝতে পারে এবং অন্যদেরও বোঝাতে পারে।
বইটি ইংরেজি ও বাংলা—দুই ভাষাতেই প্রকাশের আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বই যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।
প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আট খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের কার্যক্রমের প্রক্রিয়া, প্রেক্ষাপট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া লিখিত প্রস্তাব, সাধারণ মানুষের মতামত, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো স্প্রেডশিট—সব ধরনের আলোচনা ও সংলাপ লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ভবিষ্যতে এই আট খণ্ডের প্রতিবেদন দেশে-বিদেশে গবেষণার জন্য দলিল হয়ে উঠবে।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ড. ইউনূসের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ হস্তান্তর করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে
২৫ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত তিনটি রিটের একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি...
১৪ মিনিট আগে
আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত সাবেক ও বর্তমান ১০ রাজস্ব কর্মকর্তা এবং পাঁচ ব্যবসায়ীসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের
২৩ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ যাঁরা করছেন, তাঁদের তাঁর আগের কর্মকাণ্ড মনে রাখার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন...
২৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত তিনটি রিটের একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
মেট্রোরেল প্রকল্পের কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য মেট্রোরেল আইনে হতাহত ব্যক্তিদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া হাইকোর্ট সড়ক পরিবহন সচিবকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার এবং বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের রাখতে বলা হয়েছে।
ওই কমিটিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের (সব লাইন, পিলারসহ) একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিরীক্ষা ও কাঠামোগত স্থায়িত্ব পর্যালোচনা করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রিটকারীর আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক তিনটি রিট করা হয়েছিল। আদালত একসঙ্গে শুনানি করে আদেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

রাজধানীর মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত তিনটি রিটের একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
মেট্রোরেল প্রকল্পের কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য মেট্রোরেল আইনে হতাহত ব্যক্তিদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া হাইকোর্ট সড়ক পরিবহন সচিবকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার এবং বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের রাখতে বলা হয়েছে।
ওই কমিটিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের (সব লাইন, পিলারসহ) একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিরীক্ষা ও কাঠামোগত স্থায়িত্ব পর্যালোচনা করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রিটকারীর আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক তিনটি রিট করা হয়েছিল। আদালত একসঙ্গে শুনানি করে আদেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে
২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বই যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।
১৩ মিনিট আগে
আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত সাবেক ও বর্তমান ১০ রাজস্ব কর্মকর্তা এবং পাঁচ ব্যবসায়ীসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের
২৩ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ যাঁরা করছেন, তাঁদের তাঁর আগের কর্মকাণ্ড মনে রাখার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন...
২৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত সাবেক ও বর্তমান ১০ রাজস্ব কর্মকর্তা এবং পাঁচ ব্যবসায়ীসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন—চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাসুদেব পাল, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, দিদারুন নবী, সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রনি বড়ুয়া ও মো. আরিফুর রহমান, বর্তমান রাজস্ব কর্মকর্তা ফারহানা আকরাম এবং বর্তমানে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট করপোরেট কার্যালয় রাজশাহীতে কর্মরত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।
এ ছাড়া অন্তরা করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. মুশতাক খান, মেসার্স এ. অ্যান্ড জে. ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অংশীদার মো. আবদুল জলিল আকন ও মো. আলতাফ হোসেন, মেসার্স প্যান বেঙ্গল এজেন্সির মো. সেলিম এবং জিআর ট্রেডিং করপোরেশন সিঅ্যান্ডএফ লিমিটেডের মো. আব্দুল রহিমের বিরুদ্ধেও মামলা অনুমোদন করেছে দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এসব ধারায় আত্মসাৎ, প্রতারণা, জাল নথি প্রণয়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যা প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত সাবেক ও বর্তমান ১০ রাজস্ব কর্মকর্তা এবং পাঁচ ব্যবসায়ীসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন—চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাসুদেব পাল, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, দিদারুন নবী, সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রনি বড়ুয়া ও মো. আরিফুর রহমান, বর্তমান রাজস্ব কর্মকর্তা ফারহানা আকরাম এবং বর্তমানে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট করপোরেট কার্যালয় রাজশাহীতে কর্মরত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।
এ ছাড়া অন্তরা করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. মুশতাক খান, মেসার্স এ. অ্যান্ড জে. ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অংশীদার মো. আবদুল জলিল আকন ও মো. আলতাফ হোসেন, মেসার্স প্যান বেঙ্গল এজেন্সির মো. সেলিম এবং জিআর ট্রেডিং করপোরেশন সিঅ্যান্ডএফ লিমিটেডের মো. আব্দুল রহিমের বিরুদ্ধেও মামলা অনুমোদন করেছে দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এসব ধারায় আত্মসাৎ, প্রতারণা, জাল নথি প্রণয়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যা প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে
২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বই যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত তিনটি রিটের একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি...
১৪ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ যাঁরা করছেন, তাঁদের তাঁর আগের কর্মকাণ্ড মনে রাখার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন...
২৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ যাঁরা করছেন, তাঁদের তাঁর আগের কর্মকাণ্ড মনে রাখার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন, সেটা যেন আনকনটেস্টেড (একপক্ষীয়) না থাকে।’
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘একটা বিষয়ে আমরা বারবার বলছি, এটা জাতিসংঘের রিপোর্টেও প্রমাণিত যে, এই একবিংশ শতাব্দীতে উনার (শেখ হাসিনা) চেয়ে বড় খুনি বা মানবাধিকার লঙ্ঘন এ রকম ভয়ানকভাবে কেউ করেননি। এটা আমরা বারবার বলছি এবং এটা জাতিসংঘের রিপোর্টেও স্পষ্টভাবে এসেছে। পরবর্তীকালে আল-জাজিরা এক ঘণ্টার একটা প্রোগ্রাম করেছে, সেখানে দেখা গেছে যে, উনি খুন করার নির্দেশ দিচ্ছেন। যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন, সেটা যেন আনকনটেস্টেড (একপক্ষীয়) না থাকে।’
আজ যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুযোগ না দিলে ভোট বর্জনের কথা বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, তাঁরা তা মনে করছেন না।
সাক্ষাৎকারটি নজরে এসেছে কি না—জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ইন্টারভিউ এখনো দেখি নাই। সাক্ষাৎকার আমরা আগে পড়ি, তারপর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।’
শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার গ্রহণে আইনগত বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলতে পারবেন।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ তো কোথাও নাই। আমরা তো আওয়ামী লীগকে দেখি না। দুই-একটা ঝটিকা মিছিল করে, সেই অনুযায়ী কেউ দুই-একটা ডলার পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছে।’
আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) একটা স্থানীয় মিডিয়ায় দেখলাম, আইসিসিতে তাঁর (শেখ হাসিনা) পার্টি একটি ক্লেইম করেছে। তিনি যে ভয়ানক রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তার কোনো উল্লেখ আমরা সেখানে দেখি নাই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করছে, ৪০০ জন মারা গেছে। সেটাও আনকনটেস্টেড দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ যাঁরা জমা দিয়েছেন, আমাদের টাকা চুরি করেছেন, সেই টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দামি ল ফার্মকে নিয়োগ করে এই ধরনের কাজ তাঁরা করেছেন। আমাদের দেশের চুরির টাকায় এই কাজ করেছেন তাঁরা, এটাকেও আবার কেউ কেউ প্রমোট করছেন।’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ যাঁরা করছেন, তাঁদের তাঁর আগের কর্মকাণ্ড মনে রাখার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন, সেটা যেন আনকনটেস্টেড (একপক্ষীয়) না থাকে।’
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘একটা বিষয়ে আমরা বারবার বলছি, এটা জাতিসংঘের রিপোর্টেও প্রমাণিত যে, এই একবিংশ শতাব্দীতে উনার (শেখ হাসিনা) চেয়ে বড় খুনি বা মানবাধিকার লঙ্ঘন এ রকম ভয়ানকভাবে কেউ করেননি। এটা আমরা বারবার বলছি এবং এটা জাতিসংঘের রিপোর্টেও স্পষ্টভাবে এসেছে। পরবর্তীকালে আল-জাজিরা এক ঘণ্টার একটা প্রোগ্রাম করেছে, সেখানে দেখা গেছে যে, উনি খুন করার নির্দেশ দিচ্ছেন। যাঁরা উনাকে ইন্টারভিউ করছেন, আমরা মনে করি, অবশ্যই এই কনটেক্সট (পটভূমি) যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যেই দাবিগুলো করেন, সেটা যেন আনকনটেস্টেড (একপক্ষীয়) না থাকে।’
আজ যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুযোগ না দিলে ভোট বর্জনের কথা বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, তাঁরা তা মনে করছেন না।
সাক্ষাৎকারটি নজরে এসেছে কি না—জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ইন্টারভিউ এখনো দেখি নাই। সাক্ষাৎকার আমরা আগে পড়ি, তারপর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।’
শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার গ্রহণে আইনগত বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলতে পারবেন।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ তো কোথাও নাই। আমরা তো আওয়ামী লীগকে দেখি না। দুই-একটা ঝটিকা মিছিল করে, সেই অনুযায়ী কেউ দুই-একটা ডলার পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছে।’
আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) একটা স্থানীয় মিডিয়ায় দেখলাম, আইসিসিতে তাঁর (শেখ হাসিনা) পার্টি একটি ক্লেইম করেছে। তিনি যে ভয়ানক রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তার কোনো উল্লেখ আমরা সেখানে দেখি নাই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করছে, ৪০০ জন মারা গেছে। সেটাও আনকনটেস্টেড দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ যাঁরা জমা দিয়েছেন, আমাদের টাকা চুরি করেছেন, সেই টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দামি ল ফার্মকে নিয়োগ করে এই ধরনের কাজ তাঁরা করেছেন। আমাদের দেশের চুরির টাকায় এই কাজ করেছেন তাঁরা, এটাকেও আবার কেউ কেউ প্রমোট করছেন।’

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির ভয় না করে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে
২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বই যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত তিনটি রিটের একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি...
১৪ মিনিট আগে
আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত সাবেক ও বর্তমান ১০ রাজস্ব কর্মকর্তা এবং পাঁচ ব্যবসায়ীসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের
২৩ মিনিট আগে