Ajker Patrika

নিরাপদ সড়ক: ধীরগতিতে চলছে ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প

সৌগত বসু, ঢাকা
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৫৩
নিরাপদ সড়ক: ধীরগতিতে চলছে ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প

দেশের সড়কগুলো নিরাপদ করতে নেওয়া নিরাপদ সড়ক প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পে এখনো সব পরামর্শকই নিয়োগ হয়নি। প্রেষণে সব কর্মকর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এমন আছেন মাত্র সাতজন। বাকিরা অতিরিক্ত দায়িত্বে। 

এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। বাকি টাকার জোগান দিচ্ছে সরকার। পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাংক বিগত আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে এই একটিমাত্র প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব জানা গেছে। 

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পুলিশ—এই চার সংস্থা আলাদাভাবে সড়ক নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করবে। প্রকল্পের শুরুতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে জয়দেবপুর-এলেঙ্গা মহাসড়ক ও নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক নিয়ে সংস্থাগুলো কাজ করছে। 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মূলত বিদেশি দাতাগোষ্ঠীর আগ্রহে। তাদের নানা রকম অর্থনৈতিক স্বার্থ থাকে। বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সংস্থারও নানা স্বার্থ থাকে। তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ সড়ক নিরাপত্তার জন্য তিনটি প্রকল্প নিয়েছে। সেগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিপুল ব্যয়ে কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলেই সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। পুলিশ, বিআরটিএ, সওজ—সব পক্ষকে সড়ক আইন বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় ও সমন্বিত উপায়ে কাজ করতে হবে।

সূত্র বলেছে, প্রকল্পে ব্যয়ের ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। প্রকল্পের অধীনে সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে উন্নত প্রকৌশল নকশা, পথচারীর জন্য সুবিধা, সংকেত ও চিহ্ন স্থাপন, গতিসীমা নির্ধারণ এবং জরুরি সেবা বাস্তবায়ন করা হবে। এসব ব্যবস্থায় পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত দুটি মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমাতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের।

বিপুল ব্যয়ে কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলেই সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। সড়ক আইন বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় ও সমন্বিত উপায়ে কাজ করতে হবে। ড. শামছুল হক অধ্যাপক, বুয়েট

প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিআরটিএ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি ৬০ হাজার দক্ষ চালক তৈরি করবে। পুলিশ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও দুর্ঘটনা চিহ্নিত করার ব্যবস্থা চালু করবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সংস্কার করবে এবং দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের চিকিৎসায় নার্সদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও একটি জরুরি কল সেন্টার স্থাপন করবে।

প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা; বিভিন্ন মালপত্র কেনাকাটায় প্রাক্কলিত ব্যয় ২০৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ৪০১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও তাঁদের নানা কার্যক্রমে ১২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, প্রকল্পের প্রচার খাতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। পরামর্শক খাতে ব্যয় ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এতে সওজ ছাড়াও বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শকদের ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি বা বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ৩৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা আলাদাভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে। 

প্রকল্প পরিচালক মো. আমান-উল্লাহ জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রকল্পটিতে সরকার ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ করে। অটোমেশন খাত থেকে এসেছে ৭৩ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরে প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকল্পে এডিপি বরাদ্দ ৬৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এই অর্থবছরে সরকার ছাড় করেছে ২৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অটোমেশন থেকে এসেছে ৪০ কোটি টাকা। অগ্রিম অর্থছাড় হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা, যা গত জুনে একটি ব্যাংকে রাখা হয়েছে। 

প্রকল্প সূত্র জানায়, পাইলট প্রকল্পের দুটি মহাসড়কের পরিকল্পনাগত বিষয় নিয়ে কাজ করবে সওজ; যানবাহনের লাইসেন্স, ফিটনেস নিয়ে কাজ করবে বিআরটিএ; দুর্ঘটনার পর যাত্রীর সেবা নিয়ে কাজ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সড়কে নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে কাজ করবে পুলিশ। এই চার সংস্থার জন্য নিয়োগ দিতে হবে ১২ পরামর্শক। তবে এ পর্যন্ত নিয়োগ হয়েছে পাঁচ পরামর্শক। এর মধ্যে ওই দুই মহাসড়কের জরিপ নিয়ে কাজ করছে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তাদের জরিপ শেষে সেটি নিয়ে আলাদা ডিজাইন করবে আরেকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তবে ওই পরামর্শক এখনো নিয়োগ হয়নি। এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর বিভাগের ৫ হাজার ২০০ কিলোমিটার সড়ক জরিপ করা হবে। পরে সেগুলোর মান কমপক্ষে থ্রি স্টার করা হবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ওই চার সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রকল্পে প্রেষণে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্প পরিচালকসহ সওজের শুধু ৭ জন কর্মকর্তা প্রেষণে এসেছেন। বাকি ৪২ কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্পে আছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সওজের ১৬ জন, পুলিশের ১৩, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৬ ও বিআরটিএর ৭ কর্মকর্তা। অধিকাংশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্পে আসায় সমন্বয়ে সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক প্রকল্পের কাজে সম্পৃক্ত নন, শুধু ডাকলেই আসেন। তবে ডাকলেও কেবল সংস্থাগুলোর একজনকে পাঠানো হয়। 

জানতে চাইলে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আমান-উল্লাহ বলেন, পরামর্শক নিয়োগ ও জরিপ পর্যায়ে কাজ চলছে। অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কাজ করছেন। ২৮ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড পরিবর্তন করে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড পরিবর্তন করতে আপিল করা হয়েছে।

আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

গাজী তামিম বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ডকে মৃত্যুদণ্ডে উন্নীত করার জন্য আটটি গ্রাউন্ডে আপিল করেছি। প্রথম গ্রাউন্ড হলো—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে যে শাস্তির কথা বলা আছে, তার প্রথমেই ডেথ পেনাল্টি দিয়ে বর্ণনা করা আছে। তারপরে গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্সের কথা বলা আছে। যেহেতু আইনে একটি শাস্তি প্রেসক্রাইব করা আছে, এ জন্য ডেথ পেনাল্টি তারা সকল চার্জেই পাওয়ার যোগ্য। এটা আমাদের প্রথম গ্রাউন্ড ছিল। দ্বিতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেটা হলো ভায়োলেশন অব সিরিয়াস হিউম্যান রাইটস। সেখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। যার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত। তৃতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—স্কেল অব অ্যাটাক যেটা অ্যাগেইনস্ট সিভিলিয়ান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের ওপরে হয়েছে তার ব্যাপকতা ছিল মারাত্মক। এর কারণে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করা আইনত সঠিক হয়নি। চতুর্থ গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্স। গ্রাভিটি অব অফেন্স অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত এই ধরনের অপরাধীদের।’

তামিম বলেন, ‘পঞ্চম গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—শুধুমাত্র আসামির অধিকার দেখলেই হবে না। এখানে রাইটস অব দ্য ভিকটিমস এবং সোসাইটির রিজনেবল এক্সপেক্টেশনটাও দেখতে হবে। একটা সমাজ এই ধরনের অপরাধের কী ধরনের শাস্তি প্রত্যাশা করে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করার জন্য আদালত কর্তৃক কী ধরনের শাস্তি প্রাপ্ত হলে বা প্রদত্ত হলে সমাজ এই ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। ষষ্ঠ গ্রাউন্ডে বলেছি—এই আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে পলাতক আছেন। তাঁরা জানছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে, সাজা হচ্ছে, আপিলের মেয়াদ শেষ। এগুলো জেনেই তাঁরা নিজেদের পলাতক রেখেছেন এবং পলাতক থেকে বিভিন্ন ট্রায়ালে বাধা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি প্রদান করে যাচ্ছেন।’

আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। আমরা অবকাশের পর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করব। তারপর আপিল বিভাগে আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।’

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন যেহেতু বলেছেন তিনি ফুল অ্যান্ড ট্রুথ ডিসক্লোজ করেছেন। তাই আমরা আসলে আর করতে পারি না। তবে পক্ষদের আপিল করার সুযোগ আছে। তাঁরা চাইলে আপিল করতে পারতেন। আমার জানামতে এখনো কোনো আপিল হয়নি।’

এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেওয়ার সময় পাঁচটি পৃথক অভিযোগ ছিল। তবে গত ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো দুটি ভাগে ভাগ করেন। এর মধ্যে গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালকে ফোন করে আন্দোলনকারীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলে উসকানি, আদেশ এবং অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা তাপস এবং পরবর্তীকালে হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথোপকথনে ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার এবং লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ, অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই মামলায় চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম চালু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩১
বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম কাগজ ডট এআই—এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম কাগজ ডট এআই—এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’

আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএলএম। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।

অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন হওয়া দুটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই হাদি গুলিবিদ্ধ: ফরহাদ মজহার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৯
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ফরহাদ মজহার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ফরহাদ মজহার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’

পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’

তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।

কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’

‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’

সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’

রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’

নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি: সিইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০১
এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি
এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি

‎ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ ‎‎সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

‎‎আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’

মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ‎’

সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ। ‎

সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত