সুলতান মাহমুদ

চলতি বছরের ৯ আগস্ট ময়মনসিংহে একটি বেওয়ারিশ কুকুর এক দিনে ৪০ জনকে কামড়ে আহত করে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। শহরের এস কে (সূর্য কান্ত) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার প্রজ্ঞানন্দ নাথ জানান, সম্প্রতি কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। কুকুরের কামড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাৎক্ষণিকভাবে আক্রান্ত স্থান কাপড় ধোয়ার সাবান দিয়ে ধুয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।
শুধু ময়মনসিংহে নয়, ইদানীং সারা দেশেই কুকুরের আচরণ অস্বাভাবিক আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোতে কুকুর বন্ধ্যাকরণ বা স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে পশু অধিকারকর্মীদের বিরোধিতার মুখে সে উদ্যোগ স্থগিত রয়েছে।
জলাতঙ্ক রোগে এখনো বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্কে প্রতিবছর ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। টিকা কার্যক্রম শুরুর ফলে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জলাতঙ্কে মারা গেছে ২৭ জন।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যই বলছে, কুকুরের আক্রমণের শিকার মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত আড়াই বছরে দেশে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩২২ জন মানুষ কুকুরের কামড়ে জখম হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে সারা দেশে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে জলাতঙ্কের টিকা নিয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ জন, ২০২১ সালে টিকা নেয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৩ জন, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৮ এবং চলতি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ মাসে টিকা নিয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮০১ জন।
উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৬ সালের পর থেকে কুকুরে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমলেও ২০২০ সালের পর থেকে দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে কুকুরে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক। সেই সঙ্গে দুই বছর ধরে কুকুরকে টিকা দেওয়ার সংখ্যাও কমছে।
রাজধানী ঢাকা থেকে বেওয়ারিশ কুকুর স্থানান্তর করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম শুরু করলে তা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রাণিকল্যাণ সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’র সভাপতি রুবাইয়া আহমেদ, পিপলস ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ারের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল ও অভিনেত্রী জয়া আহসানের পক্ষে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব এই রিট করেন।
পরে ওই বছরের ১২ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠনের চলমান আলোচনা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কুকুর অপসারণ বন্ধ রাখতে বলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়। একই সঙ্গে রিট আবেদনের শুনানি এক মাসের জন্য মুলতবি রাখেন আদালত।
রিটের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুকুর নিধন বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে মৌখিকভাবে একটি আশ্বাস দেওয়া হয় এবং এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়। এরপর রিটটি কার্যতালিকার বাইরে রাখা হয়। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হলেও তিনি (মেয়র) আর কোনো জবাব দেননি। রিটটি বর্তমানে ওই অবস্থায়ই আছে। হাইকোর্টের মৌখিক নির্দেশের পর এখন পর্যন্ত কুকুর স্থানান্তর বন্ধ আছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১৭ লাখ কুকুর রয়েছে। ২০১১ সালে স্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল কার্যক্রম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কুকুরকে প্রতিবছর জলাতঙ্ক টিকা দিতে হয়। কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের পর থেকে টিকাপ্রাপ্ত কুকুরের সংখ্যা কমছে। ফলে জলাতঙ্কে মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে বাইরে লোকালয়ে কুকুর স্থানান্তরের কথা বলা হলেও কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা এখন গ্রামেই বেশি ঘটছে। গণমাধ্যমে প্রায়ই এক কুকুরে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়ানোর খবর আসছে। দেশে বেওয়ারিশ কুকুর কেন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নেই। এ নিয়ে কোনো গবেষণাও হয়নি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমারী খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুকুর মূলত জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে মানুষকে কামড় দেয়। এ ছাড়া গর্ভধারণ করলেও কামড়ায়।’
২৮ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব দিবস। এটি একটি মরণব্যাধি। কুকুরের কামড় বা আঁচড় ছাড়াও বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানর, বাদুড়ের মাধ্যমেও এ রোগ ছড়াতে পারে। এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে মৃত্যু অনিবার্য। তবে সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা তথা টিকা গ্রহণ করলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি ও শিয়ালের কামড় বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষারযুক্ত সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধুতে হবে। এরপর যথাসময়ে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ইলিয়াস আহমেদ)

চলতি বছরের ৯ আগস্ট ময়মনসিংহে একটি বেওয়ারিশ কুকুর এক দিনে ৪০ জনকে কামড়ে আহত করে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। শহরের এস কে (সূর্য কান্ত) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার প্রজ্ঞানন্দ নাথ জানান, সম্প্রতি কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। কুকুরের কামড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাৎক্ষণিকভাবে আক্রান্ত স্থান কাপড় ধোয়ার সাবান দিয়ে ধুয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।
শুধু ময়মনসিংহে নয়, ইদানীং সারা দেশেই কুকুরের আচরণ অস্বাভাবিক আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোতে কুকুর বন্ধ্যাকরণ বা স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে পশু অধিকারকর্মীদের বিরোধিতার মুখে সে উদ্যোগ স্থগিত রয়েছে।
জলাতঙ্ক রোগে এখনো বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্কে প্রতিবছর ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। টিকা কার্যক্রম শুরুর ফলে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জলাতঙ্কে মারা গেছে ২৭ জন।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যই বলছে, কুকুরের আক্রমণের শিকার মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত আড়াই বছরে দেশে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩২২ জন মানুষ কুকুরের কামড়ে জখম হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে সারা দেশে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে জলাতঙ্কের টিকা নিয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ জন, ২০২১ সালে টিকা নেয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৩ জন, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৮ এবং চলতি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ মাসে টিকা নিয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮০১ জন।
উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৬ সালের পর থেকে কুকুরে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমলেও ২০২০ সালের পর থেকে দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে কুকুরে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক। সেই সঙ্গে দুই বছর ধরে কুকুরকে টিকা দেওয়ার সংখ্যাও কমছে।
রাজধানী ঢাকা থেকে বেওয়ারিশ কুকুর স্থানান্তর করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম শুরু করলে তা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রাণিকল্যাণ সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’র সভাপতি রুবাইয়া আহমেদ, পিপলস ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ারের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল ও অভিনেত্রী জয়া আহসানের পক্ষে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব এই রিট করেন।
পরে ওই বছরের ১২ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠনের চলমান আলোচনা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কুকুর অপসারণ বন্ধ রাখতে বলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়। একই সঙ্গে রিট আবেদনের শুনানি এক মাসের জন্য মুলতবি রাখেন আদালত।
রিটের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুকুর নিধন বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে মৌখিকভাবে একটি আশ্বাস দেওয়া হয় এবং এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়। এরপর রিটটি কার্যতালিকার বাইরে রাখা হয়। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হলেও তিনি (মেয়র) আর কোনো জবাব দেননি। রিটটি বর্তমানে ওই অবস্থায়ই আছে। হাইকোর্টের মৌখিক নির্দেশের পর এখন পর্যন্ত কুকুর স্থানান্তর বন্ধ আছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১৭ লাখ কুকুর রয়েছে। ২০১১ সালে স্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল কার্যক্রম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কুকুরকে প্রতিবছর জলাতঙ্ক টিকা দিতে হয়। কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের পর থেকে টিকাপ্রাপ্ত কুকুরের সংখ্যা কমছে। ফলে জলাতঙ্কে মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে বাইরে লোকালয়ে কুকুর স্থানান্তরের কথা বলা হলেও কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা এখন গ্রামেই বেশি ঘটছে। গণমাধ্যমে প্রায়ই এক কুকুরে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়ানোর খবর আসছে। দেশে বেওয়ারিশ কুকুর কেন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নেই। এ নিয়ে কোনো গবেষণাও হয়নি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমারী খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুকুর মূলত জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে মানুষকে কামড় দেয়। এ ছাড়া গর্ভধারণ করলেও কামড়ায়।’
২৮ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব দিবস। এটি একটি মরণব্যাধি। কুকুরের কামড় বা আঁচড় ছাড়াও বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানর, বাদুড়ের মাধ্যমেও এ রোগ ছড়াতে পারে। এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে মৃত্যু অনিবার্য। তবে সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা তথা টিকা গ্রহণ করলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি ও শিয়ালের কামড় বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষারযুক্ত সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধুতে হবে। এরপর যথাসময়ে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ইলিয়াস আহমেদ)

গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
৩৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেএস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন এবং স্ত্রীকে আহত করার ঘটনা দেশের বিচারক মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বিচারকেরা কলমবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদ জানান। এর আগে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে জঙ্গি হামলায় দুই বিচারক নিহত হন। এ ছাড়া নানা সময়ে আদালত প্রাঙ্গণেও বিচারকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ খুলনার আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর দুই ব্যক্তিকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও বিচারকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
গত এক দশকে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
সবশেষ গত ১৮ নভেম্বর দেশের সব বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আদালত, আদালতের বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারকদের নিরাপত্তা সর্বাধিক অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি সর্বদাই সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাগিদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গত বছরের নভেম্বরে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হামলায় নিহত হন রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী। সেই সঙ্গে আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। ওই ঘটনার পর শঙ্কামুক্ত পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনা এবং আদালত চত্বরে আইনজীবী ও জনসাধারণের স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের দাবি জানান বিচারকেরা।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে ওই দাবি জানায়। এরপর এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীন আদালত রক্ষী বা কোর্ট সিকিউরিটি (সিএফ) নামে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে চলতি বছরের ৩০ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে। চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের সব অধস্তন আদালতের বিচারক, কর্মচারী ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ উদ্বেগের বিষয় অবহিত করা হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহায়তায় দেশের প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বাসভবন, বিচারক, কর্মচারীসহ আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। একইভাবে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
অধস্তন আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যেখানে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকার জেলা আদালত ও খুলনায় বোমা হামলার জেরে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্ট। আইজিপিকে দেওয়া চিঠিতে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের গাড়ি, বাসভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবারও চিঠি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। চিঠিতে দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, গাড়ি ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন ও স্ত্রী আহতের ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বলা হয়, সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বারবার পত্র প্রেরণ করা সত্ত্বে ও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিচার বিভাগের সদস্যরা রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার অরক্ষিত ও নিরাপত্তাহীন। জেলা পর্যায়ের সব বিচারকের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি আবাসন ও পরিবহনব্যবস্থা নেই। চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ফলে বিচারকদের বাধ্য হয়ে অরক্ষিত বাসায় ভাড়া থাকতে হয়, রিকশা-ভ্যানে করে এমনকি হেঁটেও যাতায়াত করতে হয়।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের বিচারকেরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১৮৭ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গাড়ি নেই এবং ২২৩ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গানম্যান নেই। হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়ে বিচারকেরা হেঁটে বাসায় ফিরছেন—এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পত্র প্রেরণের পরও বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের বিচারকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে।’
এদিকে জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজদের অবিলম্বে গাড়ি ও গানম্যান সরবরাহ করতে অনুরোধ জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মামলা বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের রিকুইজিশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্যও গানম্যান সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় আইন উপদেষ্টাকে।
বিলুপ্ত হওয়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ ছিল অধস্তন আদালতের বিচারকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা। যাতে করে ভাড়া বাড়িতে তাঁদের থাকতে না হয়। সুপ্রিম কোর্ট বারবার চিঠি দিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। কারণ, রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব সময় বিচার বিভাগকে প্রশাসনের একটা কোনায় ঠেলে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। প্রশাসনের লোকজন যত সুযোগ-সুবিধা নিজেরা নিয়ে নেয়, যেহেতু বাজেটের একটা বড় অংশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিচার বিভাগের বাজেট সব সময়ই একটু অবহেলিত। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা উচিত।’

সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন এবং স্ত্রীকে আহত করার ঘটনা দেশের বিচারক মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বিচারকেরা কলমবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদ জানান। এর আগে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে জঙ্গি হামলায় দুই বিচারক নিহত হন। এ ছাড়া নানা সময়ে আদালত প্রাঙ্গণেও বিচারকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ খুলনার আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর দুই ব্যক্তিকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও বিচারকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
গত এক দশকে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
সবশেষ গত ১৮ নভেম্বর দেশের সব বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আদালত, আদালতের বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারকদের নিরাপত্তা সর্বাধিক অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি সর্বদাই সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাগিদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গত বছরের নভেম্বরে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হামলায় নিহত হন রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী। সেই সঙ্গে আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। ওই ঘটনার পর শঙ্কামুক্ত পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনা এবং আদালত চত্বরে আইনজীবী ও জনসাধারণের স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের দাবি জানান বিচারকেরা।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে ওই দাবি জানায়। এরপর এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীন আদালত রক্ষী বা কোর্ট সিকিউরিটি (সিএফ) নামে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে চলতি বছরের ৩০ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে। চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের সব অধস্তন আদালতের বিচারক, কর্মচারী ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ উদ্বেগের বিষয় অবহিত করা হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহায়তায় দেশের প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বাসভবন, বিচারক, কর্মচারীসহ আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। একইভাবে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
অধস্তন আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যেখানে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকার জেলা আদালত ও খুলনায় বোমা হামলার জেরে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্ট। আইজিপিকে দেওয়া চিঠিতে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের গাড়ি, বাসভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবারও চিঠি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। চিঠিতে দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, গাড়ি ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন ও স্ত্রী আহতের ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বলা হয়, সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বারবার পত্র প্রেরণ করা সত্ত্বে ও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিচার বিভাগের সদস্যরা রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার অরক্ষিত ও নিরাপত্তাহীন। জেলা পর্যায়ের সব বিচারকের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি আবাসন ও পরিবহনব্যবস্থা নেই। চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ফলে বিচারকদের বাধ্য হয়ে অরক্ষিত বাসায় ভাড়া থাকতে হয়, রিকশা-ভ্যানে করে এমনকি হেঁটেও যাতায়াত করতে হয়।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের বিচারকেরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১৮৭ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গাড়ি নেই এবং ২২৩ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গানম্যান নেই। হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়ে বিচারকেরা হেঁটে বাসায় ফিরছেন—এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পত্র প্রেরণের পরও বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের বিচারকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে।’
এদিকে জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজদের অবিলম্বে গাড়ি ও গানম্যান সরবরাহ করতে অনুরোধ জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মামলা বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের রিকুইজিশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্যও গানম্যান সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় আইন উপদেষ্টাকে।
বিলুপ্ত হওয়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ ছিল অধস্তন আদালতের বিচারকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা। যাতে করে ভাড়া বাড়িতে তাঁদের থাকতে না হয়। সুপ্রিম কোর্ট বারবার চিঠি দিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। কারণ, রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব সময় বিচার বিভাগকে প্রশাসনের একটা কোনায় ঠেলে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। প্রশাসনের লোকজন যত সুযোগ-সুবিধা নিজেরা নিয়ে নেয়, যেহেতু বাজেটের একটা বড় অংশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিচার বিভাগের বাজেট সব সময়ই একটু অবহেলিত। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা উচিত।’

জলাতঙ্ক রোগে এখনো বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্কে প্রতিবছর ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। টিকা কার্যক্রম শুরুর ফলে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জলাতঙ্কে মারা গেছে ২৭ জন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি।
আনসার মহাপরিচালক ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন অ্যাভিনিউয়ের সুপরিচিত ‘প্যালেট গ্যালারি’তে ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস স্কুলের আর্ট প্রশিক্ষক আফিফ আলভির একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা এই নবীন শিল্পীর প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মানবিক সংবেদন, প্রকৃতির সূক্ষ্ম সৌন্দর্য এবং সমকালীন জীবনের বহুরূপী অভিব্যক্তি। আফিফ আলভির শিল্পকর্মে সাহসী রঙের ব্যবহার, দৃঢ় ব্রাশস্ট্রোক এবং আবেগঘন উপস্থাপনা দর্শকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি। সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তারাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’ তিনি আরও বলেন, সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে।
আনসার মহাপরিচালক এ সময় আনসার বাহিনীর ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্প গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকার প্রতিভা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমান সুযোগ সৃষ্টিতেও প্রকল্পটি কার্যকর অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফীন, প্রয়াস স্কুলের অধ্যক্ষ কর্নেল মো. আলতাফ আলী এবং বেক্সার সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এই প্রদর্শনী শুধু আফিফ আলভির শিল্পযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নয়, বরং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল বিকাশে অনুপ্রেরণার নতুন দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি।
আনসার মহাপরিচালক ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন অ্যাভিনিউয়ের সুপরিচিত ‘প্যালেট গ্যালারি’তে ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস স্কুলের আর্ট প্রশিক্ষক আফিফ আলভির একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা এই নবীন শিল্পীর প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মানবিক সংবেদন, প্রকৃতির সূক্ষ্ম সৌন্দর্য এবং সমকালীন জীবনের বহুরূপী অভিব্যক্তি। আফিফ আলভির শিল্পকর্মে সাহসী রঙের ব্যবহার, দৃঢ় ব্রাশস্ট্রোক এবং আবেগঘন উপস্থাপনা দর্শকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি। সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তারাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’ তিনি আরও বলেন, সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে।
আনসার মহাপরিচালক এ সময় আনসার বাহিনীর ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্প গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকার প্রতিভা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমান সুযোগ সৃষ্টিতেও প্রকল্পটি কার্যকর অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফীন, প্রয়াস স্কুলের অধ্যক্ষ কর্নেল মো. আলতাফ আলী এবং বেক্সার সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এই প্রদর্শনী শুধু আফিফ আলভির শিল্পযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নয়, বরং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল বিকাশে অনুপ্রেরণার নতুন দৃষ্টান্ত।

জলাতঙ্ক রোগে এখনো বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্কে প্রতিবছর ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। টিকা কার্যক্রম শুরুর ফলে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জলাতঙ্কে মারা গেছে ২৭ জন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
৩৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ এবং নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রবাসী ভোটাররা শীর্ষে রয়েছেন; যেখানে ৩৮ হাজার ২৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ১৯ হাজার ২৭১ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে নিবন্ধনের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোটার নিবন্ধন করতে পারছেন।
নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট পেপার নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে:
নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
নিবন্ধনের সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে থাকলে, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপের এডিট মেনু ব্যবহার করে তা সংশোধন করুন।
ইসি সতর্ক করেছে যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে না।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সময় ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) চালু হবে
ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।
তিনি জানান, আইসিপিভির জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিনের মেয়াদে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ এবং নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রবাসী ভোটাররা শীর্ষে রয়েছেন; যেখানে ৩৮ হাজার ২৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ১৯ হাজার ২৭১ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে নিবন্ধনের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোটার নিবন্ধন করতে পারছেন।
নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট পেপার নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে:
নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
নিবন্ধনের সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে থাকলে, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপের এডিট মেনু ব্যবহার করে তা সংশোধন করুন।
ইসি সতর্ক করেছে যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে না।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সময় ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) চালু হবে
ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।
তিনি জানান, আইসিপিভির জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিনের মেয়াদে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

জলাতঙ্ক রোগে এখনো বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্কে প্রতিবছর ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। টিকা কার্যক্রম শুরুর ফলে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জলাতঙ্কে মারা গেছে ২৭ জন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
৩৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সুইডেন এবং ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
ইউক্রেন সরকারের ২০২২ সালে চালু করা ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটে ইউক্রেনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দেওয়া এই সূর্যমুখী তেল ইউক্রেনেই উৎপাদিত হয়েছে। এই তেলের সংগ্রহ ও পরিবহন বাবদ মোট ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে সুইডেন সরকার বহন করেছে।
অনুষ্ঠানের পর প্রতিনিধিদল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সিস্টেমে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মাসিক মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য, তাজা সবজি, মাছ ও মুরগি কিনতে পারেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার এই ব্যবস্থাটি স্থানীয় অর্থনীতিকেও সমর্থন জোগায়।
অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, সুইডেন এবং ডব্লিউএফপি-এর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ বজায় রাখার এবং সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডব্লিউএফপি-এর কার্যক্রমে ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সুইডেন এবং ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
ইউক্রেন সরকারের ২০২২ সালে চালু করা ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটে ইউক্রেনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দেওয়া এই সূর্যমুখী তেল ইউক্রেনেই উৎপাদিত হয়েছে। এই তেলের সংগ্রহ ও পরিবহন বাবদ মোট ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে সুইডেন সরকার বহন করেছে।
অনুষ্ঠানের পর প্রতিনিধিদল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সিস্টেমে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মাসিক মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য, তাজা সবজি, মাছ ও মুরগি কিনতে পারেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার এই ব্যবস্থাটি স্থানীয় অর্থনীতিকেও সমর্থন জোগায়।
অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, সুইডেন এবং ডব্লিউএফপি-এর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ বজায় রাখার এবং সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডব্লিউএফপি-এর কার্যক্রমে ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জলাতঙ্ক রোগে এখনো বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্কে প্রতিবছর ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। টিকা কার্যক্রম শুরুর ফলে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জলাতঙ্কে মারা গেছে ২৭ জন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
৩৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে