নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লবিস্টের পেছনে বিএনপি অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি। ওই অর্থ বছরগুলোর অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এ সব তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরু আধ ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।
সভায় চারটি এজেন্ডা ছিল। তার একটি ছিল বিএনপির লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে তদন্ত করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, তা নিয়ে কমিশন বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। নির্বাচন কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নেই। আইনি কাঠামোতে তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।
ইসি সচিব বলেন, ‘সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। ওই সব তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।’
সচিব বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে কমিশনের পাওয়া তথ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হবে।’
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়-তাহলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে-এ বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। যেসব রাজনৈতিক দল পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দিয়ে থাকে, তাহলে কমিশন শুনানি দিয়ে সর্বোচ্চ নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক পৃষ্ঠার ডিও লেটার ও ১০৩ পৃষ্ঠার সংযুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো অডিট রিপোর্টে বিএনপি লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য নেই। তবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সময়-সময় যে কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চাইতে পারে এবং ওই সব তথ্য দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য। তবে বৈঠকে বিএনপির কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকের অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ উল্লেখ থাকবে। প্রথমে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এ ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যদেরও দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীর গতিতে ভোট নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কারিগরি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।

লবিস্টের পেছনে বিএনপি অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি। ওই অর্থ বছরগুলোর অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এ সব তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরু আধ ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।
সভায় চারটি এজেন্ডা ছিল। তার একটি ছিল বিএনপির লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে তদন্ত করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, তা নিয়ে কমিশন বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। নির্বাচন কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নেই। আইনি কাঠামোতে তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।
ইসি সচিব বলেন, ‘সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। ওই সব তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।’
সচিব বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে কমিশনের পাওয়া তথ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হবে।’
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়-তাহলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে-এ বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। যেসব রাজনৈতিক দল পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দিয়ে থাকে, তাহলে কমিশন শুনানি দিয়ে সর্বোচ্চ নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক পৃষ্ঠার ডিও লেটার ও ১০৩ পৃষ্ঠার সংযুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো অডিট রিপোর্টে বিএনপি লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য নেই। তবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সময়-সময় যে কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চাইতে পারে এবং ওই সব তথ্য দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য। তবে বৈঠকে বিএনপির কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকের অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ উল্লেখ থাকবে। প্রথমে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এ ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যদেরও দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীর গতিতে ভোট নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কারিগরি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লবিস্টের পেছনে বিএনপি অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি। ওই অর্থ বছরগুলোর অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এ সব তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরু আধ ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।
সভায় চারটি এজেন্ডা ছিল। তার একটি ছিল বিএনপির লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে তদন্ত করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, তা নিয়ে কমিশন বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। নির্বাচন কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নেই। আইনি কাঠামোতে তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।
ইসি সচিব বলেন, ‘সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। ওই সব তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।’
সচিব বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে কমিশনের পাওয়া তথ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হবে।’
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়-তাহলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে-এ বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। যেসব রাজনৈতিক দল পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দিয়ে থাকে, তাহলে কমিশন শুনানি দিয়ে সর্বোচ্চ নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক পৃষ্ঠার ডিও লেটার ও ১০৩ পৃষ্ঠার সংযুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো অডিট রিপোর্টে বিএনপি লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য নেই। তবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সময়-সময় যে কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চাইতে পারে এবং ওই সব তথ্য দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য। তবে বৈঠকে বিএনপির কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকের অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ উল্লেখ থাকবে। প্রথমে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এ ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যদেরও দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীর গতিতে ভোট নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কারিগরি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।

লবিস্টের পেছনে বিএনপি অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি। ওই অর্থ বছরগুলোর অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এ সব তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরু আধ ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।
সভায় চারটি এজেন্ডা ছিল। তার একটি ছিল বিএনপির লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে তদন্ত করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, তা নিয়ে কমিশন বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। নির্বাচন কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নেই। আইনি কাঠামোতে তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না।
ইসি সচিব বলেন, ‘সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। ওই সব তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।’
সচিব বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে কমিশনের পাওয়া তথ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হবে।’
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়-তাহলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে-এ বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। যেসব রাজনৈতিক দল পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দিয়ে থাকে, তাহলে কমিশন শুনানি দিয়ে সর্বোচ্চ নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক পৃষ্ঠার ডিও লেটার ও ১০৩ পৃষ্ঠার সংযুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো অডিট রিপোর্টে বিএনপি লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য নেই। তবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সময়-সময় যে কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চাইতে পারে এবং ওই সব তথ্য দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য। তবে বৈঠকে বিএনপির কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকের অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ উল্লেখ থাকবে। প্রথমে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এ ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যদেরও দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীর গতিতে ভোট নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কারিগরি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে যাঁরা সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের ২১, সিলেট বিভাগের ২৭, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯, খুলনা বিভাগের ৯, রংপুর বিভাগের তিন, ঢাকা বিভাগের ১৪, রাজশাহী বিভাগের ১৩ ও বরিশাল বিভাগের দুজনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ১২৮ জনের গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটি সুপারিশ করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাঁদের গেজেট বাতিল করেছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন অর্থসহায়তা ছাড়াও প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। দুই দফায় ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আগে আটজনের গেজেট বাতিল করা হয়।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে যাঁরা সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের ২১, সিলেট বিভাগের ২৭, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯, খুলনা বিভাগের ৯, রংপুর বিভাগের তিন, ঢাকা বিভাগের ১৪, রাজশাহী বিভাগের ১৩ ও বরিশাল বিভাগের দুজনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ১২৮ জনের গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটি সুপারিশ করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাঁদের গেজেট বাতিল করেছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন অর্থসহায়তা ছাড়াও প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। দুই দফায় ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আগে আটজনের গেজেট বাতিল করা হয়।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কোনো তথ্য দেয়নি বিএনপি। ২০১৪ থেকে ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত দলীয় ব্যয়ের যেসব অডিট রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানায়নি দলটি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় এবং গেজেটে একাধিকবার নাম থাকায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ ঘণ্টা আগে