Ajker Patrika

সংস্কার শেষেই ভোট, সময় দিচ্ছে সবাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ২৩
সংস্কার শেষেই ভোট, সময় দিচ্ছে সবাই

উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আবারও বসলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কথা বললেন বর্তমান পরিস্থিতি, সংস্কারের রূপরেখা ও আগামীর নির্বাচন নিয়ে। এ সময় নেতাদের বেশির ভাগই জানিয়েছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে তাঁদের সায় রয়েছে। তবে সে কাজ শেষ করে উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। আর তা করার জন্য সময়ও তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারকে দেবেন। 

ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ মতবিনিময় হয়। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। রাজনৈতিক নেতারাও বৈঠক শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু জানান। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, বেলা ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খেলাফত মজলিসের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর যথাক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি,ইসলামী আন্দোলন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাসদ, ১২ দলীয় ঐক্য জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম এবং সবশেষে রাত ৮টায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। 

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকেরা আমন্ত্রণ পায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোটও আমন্ত্রণ পায়নি। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলোর মতবিনিময় সভায় প্রাতিষ্ঠানিক, সংবিধান, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে কোনো দলই এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কারের স্বার্থে ধৈর্য ধরতে রাজি আছে। প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই রূপরেখা প্রকাশ করবেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর নির্ভর করবে এই সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে। 

মতবিনিময় শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। সংস্কার করে তারপর নির্বাচন। যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময় জাতীয় পার্টি সমর্থন করে।’ 

‘অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে’ বলে জানান গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি কামাল হোসেন। তাঁর পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণফোরামের পক্ষ থেকে ২১টি দাবি উপস্থাপন করেছি। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে প্রস্তাব করেছি। আমরা সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক পুনঃ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে বলেছি। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণফোরাম একটি প্রস্তাবনা জমা দেবে।’ 

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনটা হতে হবে। কিন্তু সংস্কারের আগে নির্বাচন হওয়া কোনো অবস্থাতেই বাঞ্ছনীয় নয়।’ 

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দল ও মার্কা থাকবে। জনগণ ভোট দেবে, যে দল যেভাবে ভোট পাবে সে অনুযায়ী তাঁদের প্রতিনিধি সংসদে থাকবে, দেশ পরিচালনা করবে। সেখানে সবার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হবে, যে কারণে দেশ সুন্দরভাবে চলবে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের। দলটির মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহযোগিতা করার প্রত্যয় জানিয়েছি। নির্বাচন ও প্রশাসনসহ প্রতিটি খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি।’ 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে অন্যান্য দল ও সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারকে স্বাগত জানানো হলেও গত ২৪ আগস্ট থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রশ্নে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি জানাচ্ছিলেন। 

গত বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে। সেখান থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে উপদেষ্টা মতবিনিময় করবেন। 

গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার ও নির্বাচনী রূপরেখা নিয়ে অনেকের মনে সংশয়-সন্দেহ আছে। প্রধান উপদেষ্টা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে শুনতে চেয়েছেন। তাঁরা আসলে কী ধরনের সংস্কার চান, ক্ষমতা পরিবর্তনের রূপরেখা কীভাবে চান, কীভাবে তাঁরা নির্বাচনী রূপান্তর দেখতে চাচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। 

রাজনৈতিক দলগুলো অনেকগুলো সংস্কার প্রস্তাব মতবিনিময় সভায় উপস্থাপন করেছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আশাবাদ শুনতে পেয়েছেন। তিনিও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সবার সঙ্গে মিলে, সবগুলো রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্মকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা শিগগিরই উপস্থাপন করবেন। 

সংবিধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘সংবিধান কি সংস্কার করা হবে, নাকি পুনরায় লেখা হবে, তা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার মতামতের ভিত্তিতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ হামলার টার্গেট ছিলেন না—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ হামলার টার্গেট ছিলেন না—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।

সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’

বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটিতে মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।

ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্‌ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।

এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবধান! ৯৯৯ ক্লোন করে বিকাশ-নগদের পিন চাচ্ছে প্রতারকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
সাবধান! ৯৯৯ ক্লোন করে বিকাশ-নগদের পিন চাচ্ছে প্রতারকেরা

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কখনোই কোনো নাগরিকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর জানতে চায় না। নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সসেবা দেওয়া হয়।

আজ সকাল ১০টার দিকে এ ধরনের দুটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আরপুর বাগানপাড়া এলাকার এক বাসিন্দাকে প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে ৯৯৯ থেকে স্থানীয় থানার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

আরও এক ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানানো হয় এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর কোনো অবস্থায় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা বানানো সেই ইউএনও ওএসডি

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত