অনলাইন ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ১/১১-এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই পোস্ট দেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে!’
এই পোস্ট দেওয়ার চার ঘণ্টা আগে তিনি ২০২৪ সালের ২ আগস্ট তাঁর দেওয়া আরও একটি পোস্ট শেয়ার দেন। শেয়ার দেওয়া ওই পোস্টে লেখা ছিল, ‘অসহযোগ আন্দোলন মানে গান্ধীবাদীটা না। বরং, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের যেই অসহযোগ সেটা। প্রক্রিয়া না জানলে নেতৃত্বের নির্দেশে বা, তারা নির্দেশনা দিতে সক্ষম/এভেইলেবল না হলে গুগল ঘেটে অসহযোগের নানামাত্রিক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবেন। আপনারা পারবেন, আমরা জানি।’
পুরোনো পোস্টটি শেয়ার দিয়ে তিনি লেখেন, ‘যখন সবাই এক দফা দিয়ে হাসিনাকে পতনের কথা বলছিল, ২ তারিখ রাতে সমন্বয়কদের চাপের মুখে এক দফা দিতে বলা হচ্ছিল, তখন আমরা অসহযোগের কথা বলছিলাম। অনেকের সমালোচনার মুখেও অসহযোগ আন্দোলনকে কর্মসূচি বানানো হইসিল। অসহযোগ হয়ে সকল পক্ষ থেকে জুলাইয়ের শক্তি আর ফ্যাসিবাদী শক্তি আলাদা হয়ে গেলে আজকের অনেক সঙ্কট দেখতে হতো না।’
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ২০০৭ সালের সেদিন বিকেলে জরুরি অবস্থা জারির পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়।
এর আগে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান উপদেষ্টা করে তাঁর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।
নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড শুরু থেকেই সমালোচিত হতে থাকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট আন্দোলন অব্যাহত রাখে। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভুয়া ভোটার তালিকা সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন রূপ নেয় গণ-আন্দোলনে। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কিছু দিন পর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে উপদেষ্টারা একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন।
এই অবস্থায় ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অন্তরায় হতে পারে—এমন নানা অনিয়মের আশঙ্কা ব্যক্ত করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
এ পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়। রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমদ সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। তিনিই এক অনুষ্ঠানে ১১ জানুয়ারির জরুরি অবস্থা জারির দিনটিকে ওয়ান-ইলেভেন বা এক-এগারো (১/১১) নামে আখ্যায়িত করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ১/১১-এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই পোস্ট দেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে!’
এই পোস্ট দেওয়ার চার ঘণ্টা আগে তিনি ২০২৪ সালের ২ আগস্ট তাঁর দেওয়া আরও একটি পোস্ট শেয়ার দেন। শেয়ার দেওয়া ওই পোস্টে লেখা ছিল, ‘অসহযোগ আন্দোলন মানে গান্ধীবাদীটা না। বরং, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের যেই অসহযোগ সেটা। প্রক্রিয়া না জানলে নেতৃত্বের নির্দেশে বা, তারা নির্দেশনা দিতে সক্ষম/এভেইলেবল না হলে গুগল ঘেটে অসহযোগের নানামাত্রিক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবেন। আপনারা পারবেন, আমরা জানি।’
পুরোনো পোস্টটি শেয়ার দিয়ে তিনি লেখেন, ‘যখন সবাই এক দফা দিয়ে হাসিনাকে পতনের কথা বলছিল, ২ তারিখ রাতে সমন্বয়কদের চাপের মুখে এক দফা দিতে বলা হচ্ছিল, তখন আমরা অসহযোগের কথা বলছিলাম। অনেকের সমালোচনার মুখেও অসহযোগ আন্দোলনকে কর্মসূচি বানানো হইসিল। অসহযোগ হয়ে সকল পক্ষ থেকে জুলাইয়ের শক্তি আর ফ্যাসিবাদী শক্তি আলাদা হয়ে গেলে আজকের অনেক সঙ্কট দেখতে হতো না।’
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ২০০৭ সালের সেদিন বিকেলে জরুরি অবস্থা জারির পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়।
এর আগে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান উপদেষ্টা করে তাঁর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।
নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড শুরু থেকেই সমালোচিত হতে থাকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট আন্দোলন অব্যাহত রাখে। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভুয়া ভোটার তালিকা সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন রূপ নেয় গণ-আন্দোলনে। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কিছু দিন পর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে উপদেষ্টারা একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন।
এই অবস্থায় ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অন্তরায় হতে পারে—এমন নানা অনিয়মের আশঙ্কা ব্যক্ত করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
এ পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়। রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমদ সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। তিনিই এক অনুষ্ঠানে ১১ জানুয়ারির জরুরি অবস্থা জারির দিনটিকে ওয়ান-ইলেভেন বা এক-এগারো (১/১১) নামে আখ্যায়িত করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও তাঁর স্ত্রী লিপিকা ভদ্রসহ ১৬ জানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ১১৪ জনের মরদেহ উত্তোলন করে তাদের মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল— দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ
২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে