নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
হামের টিকার কথাই ধরা যাক। এই টিকা জীবনে একবার নিলেই চলে। একই কথা পোলিওর টিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জলবসন্তের টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ এত দীর্ঘ না হলেও তা গ্রহীতার শরীরে ১০-২০ বছর কার্যকর থাকে অনায়াসে। টিটেনাসের ক্ষেত্রেও টিকার কার্যকারিতা এক দশকের কম নয়। কিন্তু করোনার টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ সেই তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এখন পর্যন্ত তৈরি কোভিড-১৯ টিকাগুলোর প্রতিটির ক্ষেত্রেই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ছয় মাস পর বুস্টার নেওয়ার কথা উঠছে।
করোনার টিকার ক্ষেত্রে এমনটা কেন? এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক রুস্তম আন্তিয়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘একটি ভালো টিকা মূলত এমন এক সুরক্ষা তৈরি করে, যাতে ওই ভাইরাসের সংস্পর্শে কেউ গেলেও আর আক্রান্ত না হয়। কিন্তু সব টিকাই আদর্শ নয়।’ অধ্যাপক রুস্তমের এই শেষ কথাটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিকার কাজ কী, তা এই করোনা মহামারির কল্যাণে বিশ্বের অনেকেই জানে। কিন্তু করোনার টিকাগুলো আদর্শ কি না, তা সম্ভবত সবচেয়ে কম লোক জানে।
অধ্যাপক রুস্তমের ভাষ্যমতে, টিকা তিন স্তরের নিরাপত্তার কাজ করে। প্রথমত, এটি সংক্রমণ ও অণুজীবটি ছড়িয়ে পড়া থেকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেবে; দ্বিতীয়ত, গুরুতর অসুস্থতা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ; তৃতীয়ত, শুধু গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষিত রাখা। এটি কোন স্তরের সুরক্ষা দেবে, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট টিকাটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কতটা উদ্দীপ্ত করতে পারছে; টিকা গ্রহণের উৎপন্ন অ্যান্টিবডি কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; রোগের কারণ যে অণুজীব (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া), তার রূপান্তর হচ্ছে কি না, হলে কতটা এবং কোথায় সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। সুরক্ষার এই স্তর কেমন হবে, তা একেক অণুজীবের ক্ষেত্রে একেক রকম। এটি নির্ণয়ের পদ্ধতিও অণুজীবভেদে আলাদা।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নাইট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, একেক টিকা একেক রকম হয়। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রতিবছর দিতে হয়। যত দিন বেঁচে থাকবেন, এই টিকা নিতে হবে। কারণ, এ ভাইরাসের প্রতিবছর পরিবর্তন ঘটে। ফলে নতুন নতুন টিকা বের হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী টিকাগুলো তৈরি করা হয়। জলাতঙ্কের টিকা নিতে হয় মূলত বনে যাঁরা কাজ করেন। তাঁদের কিছুদিন পরপর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। হামের টিকা আগে জীবনে একবার দিতে হলেও ইদানীং একটা বয়সে গিয়ে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। এখন হামেরও বুস্টার দিতে হয় কয়েক বছর পরপর। বাচ্চাদের টিকাগুলোর বেশির ভাগই একাধিক ডোজ। তবে কোনোটির বুস্টার লাগে না।
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা যত দিন আছে, তত দিন যে টিকা নিতে হবে এমনটা নয়। সুখবর হলো, এখন পর্যন্ত যে লক্ষণ পাওয়া গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় কোনো বুস্টার ডোজ নেওয়া লাগবে না। এটি আজীবন সুরক্ষা দিয়ে যাবে। তবে এমন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন তৈরি হলো, এই টিকায় যে অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হয়েছে তার থেকে একদম আলাদা, সে ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। এ জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন, এই টিকার কার্যকারিতা সারা জীবন থাকবে। অনুরূপভাবে সিনোফার্মকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে মডার্না ও ফাইজারের টিকা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। কারণ, এই টিকা একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আগে হয়নি। আগে টিকাগুলো জীবাণুকে মেরে শরীরে প্রবেশ করত। এতে ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে নানা ধরনের যে প্রতিরোধক্ষমতা হতো, তা সারা জীবন থেকে যেত। কিন্তু মেসেঞ্জের এমআরএনএ টিকা কিছুটা ভিন্ন। এটি জীবাণু টানে না। সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
টিকার সুরক্ষার বিষয়ে ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক স্লিফকার বলছেন, ‘এটি মূলত নির্ভর করে অ্যান্টিবডির মাত্রা বা আরও ভালো করে বললে প্রতি মিলিলিটার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডির মাত্রার ওপর।’ তাঁর ভাষ্যমতে, হাম, ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের টিকার ক্ষেত্রে আমাদের সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। আমরা সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম সীমাটি নির্ধারণ করেছি। একই সঙ্গে অ্যান্টিবডি হ্রাস পাওয়ার হারটিও নির্ধারণ করেছি। ফলে আমরা অনায়াসে এই সুরক্ষার সময়সীমাটি নির্ধারণ করতে পারছি। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে আমরা এটি এখনো জানি না।’
কোভিড টিকার ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকায় ভাইরাসের অনুলিপি ব্যবহার করা হয়নি। নেই কোনো সহায়ক উপাদানও। ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকা মেসেঞ্জার আরএনএ থেকে, যার কাজের ধারাই অন্য রকম। এতে কোনো ভাইরাসই নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নেওয়া বা রূপান্তরের বিষয়টি। এ ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষিত করাটা ভীষণ কঠিন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল লিখেছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অন্তত আটবার রূপান্তরিত হয়েছে।
ড. স্লিফকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ‘এ কারণে এই টিকার পক্ষে কার্যকারিতা ধরে রাখাটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, আপনি প্রতি মুহূর্তে নিজের লক্ষ্য বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লুর ক্ষেত্রেই যেমন, আমাদের প্রতিবছর নতুন টিকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। এই টিকা ছয় মাসের একটা সুরক্ষা দেয়।’
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনের মতে, ‘প্রতিটি ভাইরাসের ধরন ভিন্ন। অন্য ভাইরাসের সঙ্গে করোনা মেলানো যাবে না। প্রতিটি রোগের সঙ্গে তার ফর্মুলাও আলাদা। এটি অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।’

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
হামের টিকার কথাই ধরা যাক। এই টিকা জীবনে একবার নিলেই চলে। একই কথা পোলিওর টিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জলবসন্তের টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ এত দীর্ঘ না হলেও তা গ্রহীতার শরীরে ১০-২০ বছর কার্যকর থাকে অনায়াসে। টিটেনাসের ক্ষেত্রেও টিকার কার্যকারিতা এক দশকের কম নয়। কিন্তু করোনার টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ সেই তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এখন পর্যন্ত তৈরি কোভিড-১৯ টিকাগুলোর প্রতিটির ক্ষেত্রেই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ছয় মাস পর বুস্টার নেওয়ার কথা উঠছে।
করোনার টিকার ক্ষেত্রে এমনটা কেন? এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক রুস্তম আন্তিয়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘একটি ভালো টিকা মূলত এমন এক সুরক্ষা তৈরি করে, যাতে ওই ভাইরাসের সংস্পর্শে কেউ গেলেও আর আক্রান্ত না হয়। কিন্তু সব টিকাই আদর্শ নয়।’ অধ্যাপক রুস্তমের এই শেষ কথাটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিকার কাজ কী, তা এই করোনা মহামারির কল্যাণে বিশ্বের অনেকেই জানে। কিন্তু করোনার টিকাগুলো আদর্শ কি না, তা সম্ভবত সবচেয়ে কম লোক জানে।
অধ্যাপক রুস্তমের ভাষ্যমতে, টিকা তিন স্তরের নিরাপত্তার কাজ করে। প্রথমত, এটি সংক্রমণ ও অণুজীবটি ছড়িয়ে পড়া থেকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেবে; দ্বিতীয়ত, গুরুতর অসুস্থতা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ; তৃতীয়ত, শুধু গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষিত রাখা। এটি কোন স্তরের সুরক্ষা দেবে, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট টিকাটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কতটা উদ্দীপ্ত করতে পারছে; টিকা গ্রহণের উৎপন্ন অ্যান্টিবডি কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; রোগের কারণ যে অণুজীব (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া), তার রূপান্তর হচ্ছে কি না, হলে কতটা এবং কোথায় সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। সুরক্ষার এই স্তর কেমন হবে, তা একেক অণুজীবের ক্ষেত্রে একেক রকম। এটি নির্ণয়ের পদ্ধতিও অণুজীবভেদে আলাদা।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নাইট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, একেক টিকা একেক রকম হয়। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রতিবছর দিতে হয়। যত দিন বেঁচে থাকবেন, এই টিকা নিতে হবে। কারণ, এ ভাইরাসের প্রতিবছর পরিবর্তন ঘটে। ফলে নতুন নতুন টিকা বের হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী টিকাগুলো তৈরি করা হয়। জলাতঙ্কের টিকা নিতে হয় মূলত বনে যাঁরা কাজ করেন। তাঁদের কিছুদিন পরপর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। হামের টিকা আগে জীবনে একবার দিতে হলেও ইদানীং একটা বয়সে গিয়ে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। এখন হামেরও বুস্টার দিতে হয় কয়েক বছর পরপর। বাচ্চাদের টিকাগুলোর বেশির ভাগই একাধিক ডোজ। তবে কোনোটির বুস্টার লাগে না।
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা যত দিন আছে, তত দিন যে টিকা নিতে হবে এমনটা নয়। সুখবর হলো, এখন পর্যন্ত যে লক্ষণ পাওয়া গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় কোনো বুস্টার ডোজ নেওয়া লাগবে না। এটি আজীবন সুরক্ষা দিয়ে যাবে। তবে এমন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন তৈরি হলো, এই টিকায় যে অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হয়েছে তার থেকে একদম আলাদা, সে ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। এ জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন, এই টিকার কার্যকারিতা সারা জীবন থাকবে। অনুরূপভাবে সিনোফার্মকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে মডার্না ও ফাইজারের টিকা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। কারণ, এই টিকা একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আগে হয়নি। আগে টিকাগুলো জীবাণুকে মেরে শরীরে প্রবেশ করত। এতে ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে নানা ধরনের যে প্রতিরোধক্ষমতা হতো, তা সারা জীবন থেকে যেত। কিন্তু মেসেঞ্জের এমআরএনএ টিকা কিছুটা ভিন্ন। এটি জীবাণু টানে না। সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
টিকার সুরক্ষার বিষয়ে ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক স্লিফকার বলছেন, ‘এটি মূলত নির্ভর করে অ্যান্টিবডির মাত্রা বা আরও ভালো করে বললে প্রতি মিলিলিটার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডির মাত্রার ওপর।’ তাঁর ভাষ্যমতে, হাম, ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের টিকার ক্ষেত্রে আমাদের সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। আমরা সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম সীমাটি নির্ধারণ করেছি। একই সঙ্গে অ্যান্টিবডি হ্রাস পাওয়ার হারটিও নির্ধারণ করেছি। ফলে আমরা অনায়াসে এই সুরক্ষার সময়সীমাটি নির্ধারণ করতে পারছি। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে আমরা এটি এখনো জানি না।’
কোভিড টিকার ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকায় ভাইরাসের অনুলিপি ব্যবহার করা হয়নি। নেই কোনো সহায়ক উপাদানও। ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকা মেসেঞ্জার আরএনএ থেকে, যার কাজের ধারাই অন্য রকম। এতে কোনো ভাইরাসই নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নেওয়া বা রূপান্তরের বিষয়টি। এ ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষিত করাটা ভীষণ কঠিন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল লিখেছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অন্তত আটবার রূপান্তরিত হয়েছে।
ড. স্লিফকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ‘এ কারণে এই টিকার পক্ষে কার্যকারিতা ধরে রাখাটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, আপনি প্রতি মুহূর্তে নিজের লক্ষ্য বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লুর ক্ষেত্রেই যেমন, আমাদের প্রতিবছর নতুন টিকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। এই টিকা ছয় মাসের একটা সুরক্ষা দেয়।’
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনের মতে, ‘প্রতিটি ভাইরাসের ধরন ভিন্ন। অন্য ভাইরাসের সঙ্গে করোনা মেলানো যাবে না। প্রতিটি রোগের সঙ্গে তার ফর্মুলাও আলাদা। এটি অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
হামের টিকার কথাই ধরা যাক। এই টিকা জীবনে একবার নিলেই চলে। একই কথা পোলিওর টিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জলবসন্তের টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ এত দীর্ঘ না হলেও তা গ্রহীতার শরীরে ১০-২০ বছর কার্যকর থাকে অনায়াসে। টিটেনাসের ক্ষেত্রেও টিকার কার্যকারিতা এক দশকের কম নয়। কিন্তু করোনার টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ সেই তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এখন পর্যন্ত তৈরি কোভিড-১৯ টিকাগুলোর প্রতিটির ক্ষেত্রেই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ছয় মাস পর বুস্টার নেওয়ার কথা উঠছে।
করোনার টিকার ক্ষেত্রে এমনটা কেন? এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক রুস্তম আন্তিয়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘একটি ভালো টিকা মূলত এমন এক সুরক্ষা তৈরি করে, যাতে ওই ভাইরাসের সংস্পর্শে কেউ গেলেও আর আক্রান্ত না হয়। কিন্তু সব টিকাই আদর্শ নয়।’ অধ্যাপক রুস্তমের এই শেষ কথাটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিকার কাজ কী, তা এই করোনা মহামারির কল্যাণে বিশ্বের অনেকেই জানে। কিন্তু করোনার টিকাগুলো আদর্শ কি না, তা সম্ভবত সবচেয়ে কম লোক জানে।
অধ্যাপক রুস্তমের ভাষ্যমতে, টিকা তিন স্তরের নিরাপত্তার কাজ করে। প্রথমত, এটি সংক্রমণ ও অণুজীবটি ছড়িয়ে পড়া থেকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেবে; দ্বিতীয়ত, গুরুতর অসুস্থতা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ; তৃতীয়ত, শুধু গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষিত রাখা। এটি কোন স্তরের সুরক্ষা দেবে, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট টিকাটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কতটা উদ্দীপ্ত করতে পারছে; টিকা গ্রহণের উৎপন্ন অ্যান্টিবডি কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; রোগের কারণ যে অণুজীব (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া), তার রূপান্তর হচ্ছে কি না, হলে কতটা এবং কোথায় সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। সুরক্ষার এই স্তর কেমন হবে, তা একেক অণুজীবের ক্ষেত্রে একেক রকম। এটি নির্ণয়ের পদ্ধতিও অণুজীবভেদে আলাদা।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নাইট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, একেক টিকা একেক রকম হয়। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রতিবছর দিতে হয়। যত দিন বেঁচে থাকবেন, এই টিকা নিতে হবে। কারণ, এ ভাইরাসের প্রতিবছর পরিবর্তন ঘটে। ফলে নতুন নতুন টিকা বের হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী টিকাগুলো তৈরি করা হয়। জলাতঙ্কের টিকা নিতে হয় মূলত বনে যাঁরা কাজ করেন। তাঁদের কিছুদিন পরপর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। হামের টিকা আগে জীবনে একবার দিতে হলেও ইদানীং একটা বয়সে গিয়ে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। এখন হামেরও বুস্টার দিতে হয় কয়েক বছর পরপর। বাচ্চাদের টিকাগুলোর বেশির ভাগই একাধিক ডোজ। তবে কোনোটির বুস্টার লাগে না।
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা যত দিন আছে, তত দিন যে টিকা নিতে হবে এমনটা নয়। সুখবর হলো, এখন পর্যন্ত যে লক্ষণ পাওয়া গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় কোনো বুস্টার ডোজ নেওয়া লাগবে না। এটি আজীবন সুরক্ষা দিয়ে যাবে। তবে এমন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন তৈরি হলো, এই টিকায় যে অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হয়েছে তার থেকে একদম আলাদা, সে ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। এ জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন, এই টিকার কার্যকারিতা সারা জীবন থাকবে। অনুরূপভাবে সিনোফার্মকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে মডার্না ও ফাইজারের টিকা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। কারণ, এই টিকা একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আগে হয়নি। আগে টিকাগুলো জীবাণুকে মেরে শরীরে প্রবেশ করত। এতে ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে নানা ধরনের যে প্রতিরোধক্ষমতা হতো, তা সারা জীবন থেকে যেত। কিন্তু মেসেঞ্জের এমআরএনএ টিকা কিছুটা ভিন্ন। এটি জীবাণু টানে না। সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
টিকার সুরক্ষার বিষয়ে ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক স্লিফকার বলছেন, ‘এটি মূলত নির্ভর করে অ্যান্টিবডির মাত্রা বা আরও ভালো করে বললে প্রতি মিলিলিটার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডির মাত্রার ওপর।’ তাঁর ভাষ্যমতে, হাম, ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের টিকার ক্ষেত্রে আমাদের সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। আমরা সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম সীমাটি নির্ধারণ করেছি। একই সঙ্গে অ্যান্টিবডি হ্রাস পাওয়ার হারটিও নির্ধারণ করেছি। ফলে আমরা অনায়াসে এই সুরক্ষার সময়সীমাটি নির্ধারণ করতে পারছি। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে আমরা এটি এখনো জানি না।’
কোভিড টিকার ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকায় ভাইরাসের অনুলিপি ব্যবহার করা হয়নি। নেই কোনো সহায়ক উপাদানও। ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকা মেসেঞ্জার আরএনএ থেকে, যার কাজের ধারাই অন্য রকম। এতে কোনো ভাইরাসই নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নেওয়া বা রূপান্তরের বিষয়টি। এ ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষিত করাটা ভীষণ কঠিন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল লিখেছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অন্তত আটবার রূপান্তরিত হয়েছে।
ড. স্লিফকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ‘এ কারণে এই টিকার পক্ষে কার্যকারিতা ধরে রাখাটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, আপনি প্রতি মুহূর্তে নিজের লক্ষ্য বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লুর ক্ষেত্রেই যেমন, আমাদের প্রতিবছর নতুন টিকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। এই টিকা ছয় মাসের একটা সুরক্ষা দেয়।’
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনের মতে, ‘প্রতিটি ভাইরাসের ধরন ভিন্ন। অন্য ভাইরাসের সঙ্গে করোনা মেলানো যাবে না। প্রতিটি রোগের সঙ্গে তার ফর্মুলাও আলাদা। এটি অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।’

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
হামের টিকার কথাই ধরা যাক। এই টিকা জীবনে একবার নিলেই চলে। একই কথা পোলিওর টিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জলবসন্তের টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ এত দীর্ঘ না হলেও তা গ্রহীতার শরীরে ১০-২০ বছর কার্যকর থাকে অনায়াসে। টিটেনাসের ক্ষেত্রেও টিকার কার্যকারিতা এক দশকের কম নয়। কিন্তু করোনার টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ সেই তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এখন পর্যন্ত তৈরি কোভিড-১৯ টিকাগুলোর প্রতিটির ক্ষেত্রেই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ছয় মাস পর বুস্টার নেওয়ার কথা উঠছে।
করোনার টিকার ক্ষেত্রে এমনটা কেন? এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক রুস্তম আন্তিয়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘একটি ভালো টিকা মূলত এমন এক সুরক্ষা তৈরি করে, যাতে ওই ভাইরাসের সংস্পর্শে কেউ গেলেও আর আক্রান্ত না হয়। কিন্তু সব টিকাই আদর্শ নয়।’ অধ্যাপক রুস্তমের এই শেষ কথাটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিকার কাজ কী, তা এই করোনা মহামারির কল্যাণে বিশ্বের অনেকেই জানে। কিন্তু করোনার টিকাগুলো আদর্শ কি না, তা সম্ভবত সবচেয়ে কম লোক জানে।
অধ্যাপক রুস্তমের ভাষ্যমতে, টিকা তিন স্তরের নিরাপত্তার কাজ করে। প্রথমত, এটি সংক্রমণ ও অণুজীবটি ছড়িয়ে পড়া থেকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেবে; দ্বিতীয়ত, গুরুতর অসুস্থতা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ; তৃতীয়ত, শুধু গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষিত রাখা। এটি কোন স্তরের সুরক্ষা দেবে, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট টিকাটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কতটা উদ্দীপ্ত করতে পারছে; টিকা গ্রহণের উৎপন্ন অ্যান্টিবডি কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; রোগের কারণ যে অণুজীব (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া), তার রূপান্তর হচ্ছে কি না, হলে কতটা এবং কোথায় সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। সুরক্ষার এই স্তর কেমন হবে, তা একেক অণুজীবের ক্ষেত্রে একেক রকম। এটি নির্ণয়ের পদ্ধতিও অণুজীবভেদে আলাদা।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নাইট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, একেক টিকা একেক রকম হয়। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রতিবছর দিতে হয়। যত দিন বেঁচে থাকবেন, এই টিকা নিতে হবে। কারণ, এ ভাইরাসের প্রতিবছর পরিবর্তন ঘটে। ফলে নতুন নতুন টিকা বের হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী টিকাগুলো তৈরি করা হয়। জলাতঙ্কের টিকা নিতে হয় মূলত বনে যাঁরা কাজ করেন। তাঁদের কিছুদিন পরপর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। হামের টিকা আগে জীবনে একবার দিতে হলেও ইদানীং একটা বয়সে গিয়ে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। এখন হামেরও বুস্টার দিতে হয় কয়েক বছর পরপর। বাচ্চাদের টিকাগুলোর বেশির ভাগই একাধিক ডোজ। তবে কোনোটির বুস্টার লাগে না।
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা যত দিন আছে, তত দিন যে টিকা নিতে হবে এমনটা নয়। সুখবর হলো, এখন পর্যন্ত যে লক্ষণ পাওয়া গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় কোনো বুস্টার ডোজ নেওয়া লাগবে না। এটি আজীবন সুরক্ষা দিয়ে যাবে। তবে এমন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন তৈরি হলো, এই টিকায় যে অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হয়েছে তার থেকে একদম আলাদা, সে ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। এ জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন, এই টিকার কার্যকারিতা সারা জীবন থাকবে। অনুরূপভাবে সিনোফার্মকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে মডার্না ও ফাইজারের টিকা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। কারণ, এই টিকা একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আগে হয়নি। আগে টিকাগুলো জীবাণুকে মেরে শরীরে প্রবেশ করত। এতে ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে নানা ধরনের যে প্রতিরোধক্ষমতা হতো, তা সারা জীবন থেকে যেত। কিন্তু মেসেঞ্জের এমআরএনএ টিকা কিছুটা ভিন্ন। এটি জীবাণু টানে না। সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
টিকার সুরক্ষার বিষয়ে ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক স্লিফকার বলছেন, ‘এটি মূলত নির্ভর করে অ্যান্টিবডির মাত্রা বা আরও ভালো করে বললে প্রতি মিলিলিটার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডির মাত্রার ওপর।’ তাঁর ভাষ্যমতে, হাম, ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের টিকার ক্ষেত্রে আমাদের সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। আমরা সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম সীমাটি নির্ধারণ করেছি। একই সঙ্গে অ্যান্টিবডি হ্রাস পাওয়ার হারটিও নির্ধারণ করেছি। ফলে আমরা অনায়াসে এই সুরক্ষার সময়সীমাটি নির্ধারণ করতে পারছি। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে আমরা এটি এখনো জানি না।’
কোভিড টিকার ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকায় ভাইরাসের অনুলিপি ব্যবহার করা হয়নি। নেই কোনো সহায়ক উপাদানও। ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকা মেসেঞ্জার আরএনএ থেকে, যার কাজের ধারাই অন্য রকম। এতে কোনো ভাইরাসই নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নেওয়া বা রূপান্তরের বিষয়টি। এ ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষিত করাটা ভীষণ কঠিন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল লিখেছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অন্তত আটবার রূপান্তরিত হয়েছে।
ড. স্লিফকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ‘এ কারণে এই টিকার পক্ষে কার্যকারিতা ধরে রাখাটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, আপনি প্রতি মুহূর্তে নিজের লক্ষ্য বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লুর ক্ষেত্রেই যেমন, আমাদের প্রতিবছর নতুন টিকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। এই টিকা ছয় মাসের একটা সুরক্ষা দেয়।’
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনের মতে, ‘প্রতিটি ভাইরাসের ধরন ভিন্ন। অন্য ভাইরাসের সঙ্গে করোনা মেলানো যাবে না। প্রতিটি রোগের সঙ্গে তার ফর্মুলাও আলাদা। এটি অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।’

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ মিনিট আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এ অবস্থায় আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঢাকা-নিউ জলপাইগুঁড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম আন্তসরকার রেলওয়ে সভার (আইজিআরএম) প্রস্তুতিমূলক সভায় ভারতকে পুনরায় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ে ৬ অক্টোবর ওই সভা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে চিঠি প্রস্তুত করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠি পাঠানো হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয় চিঠিটি ভারতকে পাঠাবে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড প্রতিবছর আইজিআরএম করে। ৩৮তম আইজিআরএম ২০২৬ সালের মার্চে ঢাকায় হওয়ার কথা। তবে সেটি হবে কি না এখনো চূড়ান্ত নয়।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে আবারও চিঠি লিখব। আমাদের দিক থেকে আগ্রহের যে কমতি নেই, সেটা আমরা প্রমাণ করতে চাই। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভায়।’
প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়েকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবে। এ প্রস্তাবে রাতের বেলা ট্রেন পরিচালনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ভারতীয় রেলওয়েকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই সভায়।
একসঙ্গে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়েকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রস্তুতিমূলক আইজিআরএম সভা থেকে।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টম ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার জন্য খুলনা স্টেশনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রেলপথে যাতায়াতের জন্য আলাদা ভিসা দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠাবে রেল মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, উভয় দেশের পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ এবং পণ্যবাহী ট্রেন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দর্শনা-গেদে, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, সভায় প্রায় ২৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল, আন্তসীমান্ত যোগাযোগ এবং যৌথ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর জন্য এর আগেও ভারতকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে ট্রেন চালাতে চায় না তারা। বর্তমানে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। তবে তা আগের তুলনায় কম। ভারতের পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। ফলে এ সরকারের আমলে পুনরায় এসব ট্রেন চালু হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা বা অন্য জরুরি ভিসা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দিল্লি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিলে ভারতের সেটা বিবেচনায় নিয়ে চালানো উচিত। ভূরাজনীতির বাইরেও বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ। মানুষের এই ট্রেনগুলো প্রয়োজন। ফলে যাত্রীবাহী আন্তদেশীয় ট্রেনগুলো চালু হলে উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব চালু করা উচিত।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এ অবস্থায় আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঢাকা-নিউ জলপাইগুঁড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম আন্তসরকার রেলওয়ে সভার (আইজিআরএম) প্রস্তুতিমূলক সভায় ভারতকে পুনরায় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ে ৬ অক্টোবর ওই সভা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে চিঠি প্রস্তুত করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠি পাঠানো হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয় চিঠিটি ভারতকে পাঠাবে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড প্রতিবছর আইজিআরএম করে। ৩৮তম আইজিআরএম ২০২৬ সালের মার্চে ঢাকায় হওয়ার কথা। তবে সেটি হবে কি না এখনো চূড়ান্ত নয়।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে আবারও চিঠি লিখব। আমাদের দিক থেকে আগ্রহের যে কমতি নেই, সেটা আমরা প্রমাণ করতে চাই। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভায়।’
প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়েকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবে। এ প্রস্তাবে রাতের বেলা ট্রেন পরিচালনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ভারতীয় রেলওয়েকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই সভায়।
একসঙ্গে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়েকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রস্তুতিমূলক আইজিআরএম সভা থেকে।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টম ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার জন্য খুলনা স্টেশনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রেলপথে যাতায়াতের জন্য আলাদা ভিসা দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠাবে রেল মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, উভয় দেশের পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ এবং পণ্যবাহী ট্রেন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দর্শনা-গেদে, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, সভায় প্রায় ২৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল, আন্তসীমান্ত যোগাযোগ এবং যৌথ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর জন্য এর আগেও ভারতকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে ট্রেন চালাতে চায় না তারা। বর্তমানে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। তবে তা আগের তুলনায় কম। ভারতের পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। ফলে এ সরকারের আমলে পুনরায় এসব ট্রেন চালু হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা বা অন্য জরুরি ভিসা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দিল্লি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিলে ভারতের সেটা বিবেচনায় নিয়ে চালানো উচিত। ভূরাজনীতির বাইরেও বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ। মানুষের এই ট্রেনগুলো প্রয়োজন। ফলে যাত্রীবাহী আন্তদেশীয় ট্রেনগুলো চালু হলে উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব চালু করা উচিত।’

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ মিনিট আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারকে আদেশ জারি করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৫টি সংস্কার প্রস্তাব তিন ভাগে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে। এগুলোর মধ্যে ৯টি নির্বাহী আদেশ এবং ২৮টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবিধান-সম্পর্কিত বাকি ৪৮টি বাস্তবায়নের জন্য দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। দুটির বেশির ভাগ বিষয় এক হলেও একটির গণভোটের বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে।
বিকল্প দুটি প্রস্তাবে গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আদেশ জারির পর থেকে যেকোনো দিন বা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করতে পারবে। তবে কবে করবে, সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। সরকারকে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য। তিনি মনে করেন, জনগণ গণভোটে সনদ প্রত্যাখ্যান করবে না।
রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী আসছে নভেম্বরে ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগে গণভোট দাবি করেছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির ভিত্তি হিসেবে দুটি প্রস্তাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের কথা বলা হয়েছে। জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন। যার জন্য গণভোট, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য।
বিকল্প প্রস্তাব-১-এ বলা হয়েছে, গণভোটের আগে জনগণকে জানাতে এবং সাংবিধানিক পরিষদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকারের প্রস্তুত করা খসড়া বিল গণভোটে দেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ৪৮ প্রস্তাব বিল আকারে করতে হবে। সেখানে গণভোটের প্রশ্ন হবে ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং এতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহ সমর্থন করছেন?’ গণভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দ্বৈত ভূমিকা পালন করবেন। তাঁরা নিয়মিত সংসদ সদস্যের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা একই অনুষ্ঠানে প্রথমে এমপি এবং পরে সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত হয়ে যাবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। স্পিকারই পরিষদের সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার কার্যকরের ৪৫ দিনের মধ্যে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।
বিকল্প প্রস্তাব-২-এ আদেশ খসড়া বিলের কথা বলা নেই। সে ক্ষেত্রে গণভোটের প্রশ্ন থাকবে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং তাতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি সমর্থন করেন?’ এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে।
সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা সম্পর্কে কমিশনের সহসভাপতি বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্যরা জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত এবং গণভোটে যদি জনগণের সম্মতি পাওয়া যায়, সেই বিষয়গুলো সংবিধানে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন সব রকম বিধিবিধান প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করবেন। আদেশ জারির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আদেশ দেবে বলেছি। সরকার আইনি এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করেই নিশ্চয় একটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এটা সরকারের হাতে রেখেছি।’
জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবায়নের সুপারিশে সেটি রাখা হয়নি। দলগুলোর দেওয়া আপত্তি নিয়ে কী হবে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ৪৮ বিষয়ে জনগণের সম্মতি-অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো—সংবিধান সংশোধন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, সরকারি কর্ম কমিশন নিয়োগ, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগ।
অধ্যাদেশে জারির জন্য ২৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিচারক ও সাবেক বিচারকদের জন্য পালনীয় আচরণবিধি, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন, তিনটি সরকারি কর্ম কমিশন গঠন, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, বৈধ উৎসবিহীন আয়কে বৈধতা দানের চর্চা বন্ধ করা, জনপ্রতিনিধিদের সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ, দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের করণীয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর সংশোধন।
নির্বাহী আদেশে জুলাই সনদের ৯টি প্রস্তাব বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ, আদালত ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও ডিজিটাইজ করা, আইনজীবীদের আচরণবিধি, গণহত্যা এবং ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন।
রাজনৈতিক দল এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন উপায়ের সুপারিশ কমিশন তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, বিশেষজ্ঞদের মতামত, আমাদের কমিশনের সম্মানিত সদস্যদের অভিজ্ঞতা এবং আন্তরিকতার প্রেক্ষাপটে আমরা সুপারিশগুলো তৈরি করেছি। এই সুপারিশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ যেন একটি আইনি ভিত্তি পায়। ভবিষ্যতের পথরেখা হিসেবে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়।’
সব দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে, হচ্ছে। তাঁর আশা, এনসিপি স্বাক্ষর করবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারকে আদেশ জারি করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৫টি সংস্কার প্রস্তাব তিন ভাগে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে। এগুলোর মধ্যে ৯টি নির্বাহী আদেশ এবং ২৮টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবিধান-সম্পর্কিত বাকি ৪৮টি বাস্তবায়নের জন্য দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। দুটির বেশির ভাগ বিষয় এক হলেও একটির গণভোটের বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে।
বিকল্প দুটি প্রস্তাবে গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আদেশ জারির পর থেকে যেকোনো দিন বা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করতে পারবে। তবে কবে করবে, সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। সরকারকে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য। তিনি মনে করেন, জনগণ গণভোটে সনদ প্রত্যাখ্যান করবে না।
রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী আসছে নভেম্বরে ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগে গণভোট দাবি করেছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির ভিত্তি হিসেবে দুটি প্রস্তাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের কথা বলা হয়েছে। জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন। যার জন্য গণভোট, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য।
বিকল্প প্রস্তাব-১-এ বলা হয়েছে, গণভোটের আগে জনগণকে জানাতে এবং সাংবিধানিক পরিষদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকারের প্রস্তুত করা খসড়া বিল গণভোটে দেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ৪৮ প্রস্তাব বিল আকারে করতে হবে। সেখানে গণভোটের প্রশ্ন হবে ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং এতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহ সমর্থন করছেন?’ গণভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দ্বৈত ভূমিকা পালন করবেন। তাঁরা নিয়মিত সংসদ সদস্যের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা একই অনুষ্ঠানে প্রথমে এমপি এবং পরে সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত হয়ে যাবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। স্পিকারই পরিষদের সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার কার্যকরের ৪৫ দিনের মধ্যে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।
বিকল্প প্রস্তাব-২-এ আদেশ খসড়া বিলের কথা বলা নেই। সে ক্ষেত্রে গণভোটের প্রশ্ন থাকবে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং তাতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি সমর্থন করেন?’ এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে।
সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা সম্পর্কে কমিশনের সহসভাপতি বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্যরা জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত এবং গণভোটে যদি জনগণের সম্মতি পাওয়া যায়, সেই বিষয়গুলো সংবিধানে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন সব রকম বিধিবিধান প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করবেন। আদেশ জারির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আদেশ দেবে বলেছি। সরকার আইনি এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করেই নিশ্চয় একটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এটা সরকারের হাতে রেখেছি।’
জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবায়নের সুপারিশে সেটি রাখা হয়নি। দলগুলোর দেওয়া আপত্তি নিয়ে কী হবে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ৪৮ বিষয়ে জনগণের সম্মতি-অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো—সংবিধান সংশোধন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, সরকারি কর্ম কমিশন নিয়োগ, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগ।
অধ্যাদেশে জারির জন্য ২৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিচারক ও সাবেক বিচারকদের জন্য পালনীয় আচরণবিধি, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন, তিনটি সরকারি কর্ম কমিশন গঠন, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, বৈধ উৎসবিহীন আয়কে বৈধতা দানের চর্চা বন্ধ করা, জনপ্রতিনিধিদের সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ, দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের করণীয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর সংশোধন।
নির্বাহী আদেশে জুলাই সনদের ৯টি প্রস্তাব বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ, আদালত ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও ডিজিটাইজ করা, আইনজীবীদের আচরণবিধি, গণহত্যা এবং ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন।
রাজনৈতিক দল এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন উপায়ের সুপারিশ কমিশন তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, বিশেষজ্ঞদের মতামত, আমাদের কমিশনের সম্মানিত সদস্যদের অভিজ্ঞতা এবং আন্তরিকতার প্রেক্ষাপটে আমরা সুপারিশগুলো তৈরি করেছি। এই সুপারিশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ যেন একটি আইনি ভিত্তি পায়। ভবিষ্যতের পথরেখা হিসেবে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়।’
সব দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে, হচ্ছে। তাঁর আশা, এনসিপি স্বাক্ষর করবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
৪ মিনিট আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৩ ঘণ্টা আগে