জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নতুন ডিজাইন ও ছবিসংবলিত কয়েকটি নোট বাজারে আসছে শিগগির। ঈদের আগে-পরে বাজারে আসা এসব নোটের কোনোটিতে থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। কোনো নোটে থাকছে না মানুষের পুরোপুরি ছবি।
জানা গেছে, ২৭ মে বাজারে আসছে ২০ টাকার নোট। এতে কান্তজিউ মন্দির ও বৌদ্ধমন্দিরের ছবি থাকবে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষের চিত্র ও আতিয়া মসজিদের ছবিযুক্ত ৫০ টাকার নোট ২৯ বা ৩০ মে এবং বঙ্গভবন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবিসংবলিত ১০০০ টাকার নোট ২ জুন বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। ইউরোপ থেকে কাগজ সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় আবু সাঈদ ও মুগ্ধের অবয়বসংবলিত ৫ টাকার নোট বাজারে আসবে ঈদের পর।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, নতুননোটের ডিজাইন ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। কাগজ আনা হয়েছে। ১০০০ টাকার নোটসহ কয়েকটি ভিন্ন নোটের ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। এবার কোনো নোটে মানুষের পুরোপুরি ছবি থাকছে না। তবে জুলাই বিপ্লবে শহীদ, তারুণ্য, সুন্দরবন এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় থাকছে নতুন নোটের নকশায়। আমিও ধারণা করছি, ঈদের আগে কয়েকটি নতুন নোট আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৫ টাকায় থাকবে ‘জুলাই বিপ্লবের’ অনুপ্রেরণা আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের ছবি, ১০ টাকায় থাকবে তারুণ্যের ঐক্যের প্রতীক এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ছবি। ১০০ টাকায় থাকবে ইউনেসকোর স্বীকৃত সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ ও বাঘের চিত্র, যা সাবেক সরকারের বিদায়ের পর নোট রূপান্তরের প্রতীক। ২০০ টাকায় ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা থাকবে, আর ৫০০ টাকায় থাকছে ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলের ছবি।
জানা গেছে, গত আগস্টে মাত্র ১৫ দিনে নতুন নোটের নকশা চূড়ান্তের প্রস্তাব করা হলেও তা বাস্তবসম্মত ছিল না। কারণ নকশা, কাগজ, নিরাপত্তা উপকরণসহ সবকিছুতেই বিদেশি অংশগ্রহণ লাগে এবং দরপত্রসহ পুরো প্রক্রিয়ায় ৫-৭ মাস সময় প্রয়োজন। সে কারণে ঈদুল ফিতরের আগেই নোট ছাড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দেশের নিজস্ব কাগুজে মুদ্রা চালু হয়। মানচিত্রখচিত প্রথম নোটটি ছিল ১ টাকার। ১৯৭৩ সালে ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ইস্যু করে বাংলাদেশ। এরপর ৫০ ও ৫০০ টাকার নোটের প্রচলন করা হয় ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৯ সালে ইস্যু করা হয় ২০ টাকার নোট। দেশে ২ টাকার নোট চালু হয় ১৯৮৮ সালে। ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই বাজারে আনা হয় সবচেয়ে বেশি মানের ১০০০ টাকার ব্যাংকনোট। আর ২০২০ সালে সর্বশেষ বাজারে আসে ২০০ টাকার নোট।
আরও খবর পড়ুন:

নতুন ডিজাইন ও ছবিসংবলিত কয়েকটি নোট বাজারে আসছে শিগগির। ঈদের আগে-পরে বাজারে আসা এসব নোটের কোনোটিতে থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। কোনো নোটে থাকছে না মানুষের পুরোপুরি ছবি।
জানা গেছে, ২৭ মে বাজারে আসছে ২০ টাকার নোট। এতে কান্তজিউ মন্দির ও বৌদ্ধমন্দিরের ছবি থাকবে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষের চিত্র ও আতিয়া মসজিদের ছবিযুক্ত ৫০ টাকার নোট ২৯ বা ৩০ মে এবং বঙ্গভবন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবিসংবলিত ১০০০ টাকার নোট ২ জুন বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। ইউরোপ থেকে কাগজ সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় আবু সাঈদ ও মুগ্ধের অবয়বসংবলিত ৫ টাকার নোট বাজারে আসবে ঈদের পর।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, নতুননোটের ডিজাইন ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। কাগজ আনা হয়েছে। ১০০০ টাকার নোটসহ কয়েকটি ভিন্ন নোটের ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। এবার কোনো নোটে মানুষের পুরোপুরি ছবি থাকছে না। তবে জুলাই বিপ্লবে শহীদ, তারুণ্য, সুন্দরবন এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় থাকছে নতুন নোটের নকশায়। আমিও ধারণা করছি, ঈদের আগে কয়েকটি নতুন নোট আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৫ টাকায় থাকবে ‘জুলাই বিপ্লবের’ অনুপ্রেরণা আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের ছবি, ১০ টাকায় থাকবে তারুণ্যের ঐক্যের প্রতীক এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ছবি। ১০০ টাকায় থাকবে ইউনেসকোর স্বীকৃত সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ ও বাঘের চিত্র, যা সাবেক সরকারের বিদায়ের পর নোট রূপান্তরের প্রতীক। ২০০ টাকায় ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা থাকবে, আর ৫০০ টাকায় থাকছে ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলের ছবি।
জানা গেছে, গত আগস্টে মাত্র ১৫ দিনে নতুন নোটের নকশা চূড়ান্তের প্রস্তাব করা হলেও তা বাস্তবসম্মত ছিল না। কারণ নকশা, কাগজ, নিরাপত্তা উপকরণসহ সবকিছুতেই বিদেশি অংশগ্রহণ লাগে এবং দরপত্রসহ পুরো প্রক্রিয়ায় ৫-৭ মাস সময় প্রয়োজন। সে কারণে ঈদুল ফিতরের আগেই নোট ছাড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দেশের নিজস্ব কাগুজে মুদ্রা চালু হয়। মানচিত্রখচিত প্রথম নোটটি ছিল ১ টাকার। ১৯৭৩ সালে ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ইস্যু করে বাংলাদেশ। এরপর ৫০ ও ৫০০ টাকার নোটের প্রচলন করা হয় ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৯ সালে ইস্যু করা হয় ২০ টাকার নোট। দেশে ২ টাকার নোট চালু হয় ১৯৮৮ সালে। ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই বাজারে আনা হয় সবচেয়ে বেশি মানের ১০০০ টাকার ব্যাংকনোট। আর ২০২০ সালে সর্বশেষ বাজারে আসে ২০০ টাকার নোট।
আরও খবর পড়ুন:

আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১০ মিনিট আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।’
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।’
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

নতুন ডিজাইন ও ছবিসংবলিত কয়েকটি নোট বাজারে আসছে শিগগির। ঈদের আগে-পরে বাজারে আসা এসব নোটের কোনোটিতে থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। কোনো নোটে থাকছে না মানুষের পুরোপুরি ছবি। জানা গেছে, ২৭ মে বাজারে আসছে ২০ টাকার নোট। এতে কান্তজিউ মন্দির ও বৌদ্ধমন্দিরের ছবি থাকবে।
২১ মে ২০২৫
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৬ ঘণ্টা আগেআয়নাল হোসেন, ঢাকা

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

নতুন ডিজাইন ও ছবিসংবলিত কয়েকটি নোট বাজারে আসছে শিগগির। ঈদের আগে-পরে বাজারে আসা এসব নোটের কোনোটিতে থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। কোনো নোটে থাকছে না মানুষের পুরোপুরি ছবি। জানা গেছে, ২৭ মে বাজারে আসছে ২০ টাকার নোট। এতে কান্তজিউ মন্দির ও বৌদ্ধমন্দিরের ছবি থাকবে।
২১ মে ২০২৫
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১০ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

নতুন ডিজাইন ও ছবিসংবলিত কয়েকটি নোট বাজারে আসছে শিগগির। ঈদের আগে-পরে বাজারে আসা এসব নোটের কোনোটিতে থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। কোনো নোটে থাকছে না মানুষের পুরোপুরি ছবি। জানা গেছে, ২৭ মে বাজারে আসছে ২০ টাকার নোট। এতে কান্তজিউ মন্দির ও বৌদ্ধমন্দিরের ছবি থাকবে।
২১ মে ২০২৫
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১০ মিনিট আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় আরপিও সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ পুনর্বহাল
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, আরপিওতে আনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হলো ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা। একই সঙ্গে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪ সালের মতো ‘সাজানো নির্বাচন’-এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এই বিধান আনা হয়েছে। এখন কোনো নির্বাচনী আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন এবং ভোটাররা যদি তাঁকে অপছন্দ করেন, তবে তাঁরা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন। ‘না ভোট’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
নির্বাচনী সংস্কারের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় পদক্ষেপ হলো প্রার্থীদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁর দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় এবং সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ হলফনামায় প্রদান করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে এই হলফনামাগুলো উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে, যাতে জনগণ সহজেই প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী
আরপিওতে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো হলো:
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সামরিক বাহিনী: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পলাতক আসামিদের নিষেধাজ্ঞা: পলাতক আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জামানত বৃদ্ধি: নির্বাচনী জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
চাঁদা গ্রহণে স্বচ্ছতা: রাজনৈতিক দলগুলোকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান বা চাঁদা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এবং অনুদানদাতার ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডাক ভোটের সম্প্রসারণ: বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী ভোটার ও নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও এখন থেকে ডাকের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট গণনায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি: ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা প্রক্রিয়াটির স্বচ্ছতা বাড়াবে।
ভোট বাতিলের ক্ষমতা: কোনো নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম হলে পুরো এলাকার ভোট বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
প্রতীকে স্বচ্ছতা: জোটের প্রার্থীদের প্রতীক ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনতে বিধান যোগ করা হয়েছে, যাতে ভোটাররা সহজেই বুঝতে পারেন কোন দল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আইন নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় আরপিও সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ পুনর্বহাল
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, আরপিওতে আনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হলো ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা। একই সঙ্গে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪ সালের মতো ‘সাজানো নির্বাচন’-এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এই বিধান আনা হয়েছে। এখন কোনো নির্বাচনী আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন এবং ভোটাররা যদি তাঁকে অপছন্দ করেন, তবে তাঁরা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন। ‘না ভোট’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
নির্বাচনী সংস্কারের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় পদক্ষেপ হলো প্রার্থীদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁর দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় এবং সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ হলফনামায় প্রদান করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে এই হলফনামাগুলো উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে, যাতে জনগণ সহজেই প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী
আরপিওতে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো হলো:
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সামরিক বাহিনী: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পলাতক আসামিদের নিষেধাজ্ঞা: পলাতক আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জামানত বৃদ্ধি: নির্বাচনী জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
চাঁদা গ্রহণে স্বচ্ছতা: রাজনৈতিক দলগুলোকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান বা চাঁদা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এবং অনুদানদাতার ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডাক ভোটের সম্প্রসারণ: বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী ভোটার ও নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও এখন থেকে ডাকের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট গণনায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি: ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা প্রক্রিয়াটির স্বচ্ছতা বাড়াবে।
ভোট বাতিলের ক্ষমতা: কোনো নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম হলে পুরো এলাকার ভোট বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
প্রতীকে স্বচ্ছতা: জোটের প্রার্থীদের প্রতীক ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনতে বিধান যোগ করা হয়েছে, যাতে ভোটাররা সহজেই বুঝতে পারেন কোন দল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আইন নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে।

নতুন ডিজাইন ও ছবিসংবলিত কয়েকটি নোট বাজারে আসছে শিগগির। ঈদের আগে-পরে বাজারে আসা এসব নোটের কোনোটিতে থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি। কোনো নোটে থাকছে না মানুষের পুরোপুরি ছবি। জানা গেছে, ২৭ মে বাজারে আসছে ২০ টাকার নোট। এতে কান্তজিউ মন্দির ও বৌদ্ধমন্দিরের ছবি থাকবে।
২১ মে ২০২৫
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১০ মিনিট আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৫ ঘণ্টা আগে