আয়নাল হোসেন
ঈদুল আজহার আগে কঠোর লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করছেন, লকডাউন শিথিল হওয়ায় এই এক সপ্তাহ ব্যবসা–বাণিজ্য করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানো যাবে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দেশে প্রতিদিনই রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনায় রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। করোনার সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউন জারি করে সরকার। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জরুরি সেবা ও খাদ্যপণ্যের দোকানপাট খোলা থাকলেও বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। স্থবির হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। যানবাহনের চাকা না ঘোরায় দেশের অর্থনীতির চাকাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের শপিং মল, বিপণিবিতান, দোকানপাট, কাপড়, তৈরি পোশাক, কসমেটিকস, রট–আয়রন, প্লেনশিট, ক্রোকারিজ, স্যানিটারি, কাঠ, প্লাইউড, ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক, জুতা, কেমিক্যাল, কাচ–আয়না, কাগজসহ সব ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়ে। মানুষের জীবনযাত্রাও চরমভাবে ব্যাহত হয়। দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একটু খাবারের জন্য অনেকেই ছুটে চলেছে বিভিন্ন দরজায়। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়া সত্ত্বেও সরকার ঈদকে সামনে রেখে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্বস্তি ফিরে পেয়েছে ব্যবসায়ী সমাজ।
রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম বলেন, চিনি, ভোজ্যতেল, চাল–ডালের ব্যবসায়ীরা কঠোর লকডাউনে ব্যবসা করতে পেরেছেন। তবে সমস্যা হয়েছে কসমেটিকস ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বাজারের অনেক ব্যবসায়ী বসে বসে পুঁজি ভেঙে খাচ্ছিলেন। ঈদের আগে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের সিদ্ধান্তকে তারা মেনে নিয়েছেন। তবে ঈদের আগে এক সপ্তাহের জন্য খুলে দেওয়ায় কিছুটা হলেও তাদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। সামনের এই কয়েকটি দিন অন্তত কর্মচারীদের বোনাস না হয়, বেতনটা দেওয়া সম্ভব হবে। আর যদি বিক্রি ভালো হয় তাহলে তাঁরাও কিছুটা পয়সা পাবেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তবে ঈদের আগে দোকানপাট–মার্কেট খুলে দেওয়ায় খরচ বাড়বে বলে মনে করছেন ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে বন্ধ থাকাটাই ভালো ছিল। এখন দোকানপাট খোলা হলে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল এবং অন্যান্য খরচ বাড়বে। এক সপ্তাহ তাঁদের কোনো কাজে আসবে না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে তাঁদের।
ছাপাখানার ব্যবসায়ীরা বলেন, কঠোর লকডাউনে তাঁদের ব্যবসা লাটে উঠেছে। তবে এক সপ্তাহের জন্য খুলে দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেছে। ঈদের আগে কিছুটা হলেও তাঁদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। যদিও এক সপ্তাহ তাঁদের তেমন কোনো কাজে আসবে না। তবুও দোকানপাট অন্তত খোলা রাখা সম্ভব হবে, এতেই তাঁদের শান্তি।
বাবুবাজারের কাগজ ব্যবসায়ী মেসার্স প্রত্যাশী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রতিবছরই ঈদের চার–পাঁচ দিন আগে কাগজের ব্যবসা বন্ধ হয় যায়। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরও বন্ধ থাকবে। তাই এই সাত দিনের লকডাউন শিথিল করায় আমাদের তেমন উপকার হবে না।’
তবে রট–আয়রন, স্যানিটারি ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহের জন্য খুলে দেওয়া হলেও তাঁদের কোনো কাজে আসবে না। নবাব ইউসুফ রোডের মেসার্স খাজা আয়রণ স্টোরের গোলাম মোস্তফা জানান, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। মার্কেটে যেসব বকেয়া রয়েছে, সেগুলো তোলা যাচ্ছে না। অপরদিকে দোকানপাট বন্ধ থাকায় সবই স্থবির হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহের জন্য খোলা থাকলেও রট–আয়রণের ব্যবসা হবে না। সামনে কোরবানি, অনেকেই পশু নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আট দিনের সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তবে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আগের মতোই সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
ঈদুল আজহার আগে কঠোর লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করছেন, লকডাউন শিথিল হওয়ায় এই এক সপ্তাহ ব্যবসা–বাণিজ্য করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানো যাবে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দেশে প্রতিদিনই রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনায় রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। করোনার সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউন জারি করে সরকার। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জরুরি সেবা ও খাদ্যপণ্যের দোকানপাট খোলা থাকলেও বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। স্থবির হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। যানবাহনের চাকা না ঘোরায় দেশের অর্থনীতির চাকাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের শপিং মল, বিপণিবিতান, দোকানপাট, কাপড়, তৈরি পোশাক, কসমেটিকস, রট–আয়রন, প্লেনশিট, ক্রোকারিজ, স্যানিটারি, কাঠ, প্লাইউড, ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক, জুতা, কেমিক্যাল, কাচ–আয়না, কাগজসহ সব ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়ে। মানুষের জীবনযাত্রাও চরমভাবে ব্যাহত হয়। দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একটু খাবারের জন্য অনেকেই ছুটে চলেছে বিভিন্ন দরজায়। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়া সত্ত্বেও সরকার ঈদকে সামনে রেখে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্বস্তি ফিরে পেয়েছে ব্যবসায়ী সমাজ।
রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম বলেন, চিনি, ভোজ্যতেল, চাল–ডালের ব্যবসায়ীরা কঠোর লকডাউনে ব্যবসা করতে পেরেছেন। তবে সমস্যা হয়েছে কসমেটিকস ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বাজারের অনেক ব্যবসায়ী বসে বসে পুঁজি ভেঙে খাচ্ছিলেন। ঈদের আগে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের সিদ্ধান্তকে তারা মেনে নিয়েছেন। তবে ঈদের আগে এক সপ্তাহের জন্য খুলে দেওয়ায় কিছুটা হলেও তাদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। সামনের এই কয়েকটি দিন অন্তত কর্মচারীদের বোনাস না হয়, বেতনটা দেওয়া সম্ভব হবে। আর যদি বিক্রি ভালো হয় তাহলে তাঁরাও কিছুটা পয়সা পাবেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তবে ঈদের আগে দোকানপাট–মার্কেট খুলে দেওয়ায় খরচ বাড়বে বলে মনে করছেন ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে বন্ধ থাকাটাই ভালো ছিল। এখন দোকানপাট খোলা হলে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল এবং অন্যান্য খরচ বাড়বে। এক সপ্তাহ তাঁদের কোনো কাজে আসবে না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে তাঁদের।
ছাপাখানার ব্যবসায়ীরা বলেন, কঠোর লকডাউনে তাঁদের ব্যবসা লাটে উঠেছে। তবে এক সপ্তাহের জন্য খুলে দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেছে। ঈদের আগে কিছুটা হলেও তাঁদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। যদিও এক সপ্তাহ তাঁদের তেমন কোনো কাজে আসবে না। তবুও দোকানপাট অন্তত খোলা রাখা সম্ভব হবে, এতেই তাঁদের শান্তি।
বাবুবাজারের কাগজ ব্যবসায়ী মেসার্স প্রত্যাশী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রতিবছরই ঈদের চার–পাঁচ দিন আগে কাগজের ব্যবসা বন্ধ হয় যায়। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরও বন্ধ থাকবে। তাই এই সাত দিনের লকডাউন শিথিল করায় আমাদের তেমন উপকার হবে না।’
তবে রট–আয়রন, স্যানিটারি ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহের জন্য খুলে দেওয়া হলেও তাঁদের কোনো কাজে আসবে না। নবাব ইউসুফ রোডের মেসার্স খাজা আয়রণ স্টোরের গোলাম মোস্তফা জানান, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। মার্কেটে যেসব বকেয়া রয়েছে, সেগুলো তোলা যাচ্ছে না। অপরদিকে দোকানপাট বন্ধ থাকায় সবই স্থবির হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহের জন্য খোলা থাকলেও রট–আয়রণের ব্যবসা হবে না। সামনে কোরবানি, অনেকেই পশু নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আট দিনের সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তবে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আগের মতোই সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এস আর ট্রাভেলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আমীনূন্নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকাল থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীদের সবচেয়ে চাহিদা বেশি আগামী ৪ তারিখ বিকেলের পর থেকে ৫ তারিখ রাত পর্যন্ত। বেশির ভাগ যাত্রী এই দুই দিনের টিকিট চায়। ইতিমধ্যে এই দুই
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ফের উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আগামী ৬ বছরের ব্যবধানে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ১২ লাখ শ্রমিক নেবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক নেবে বিনা খরচে।
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় এবার বিদ্যুৎ-চালিত (ইলেকট্রিক) বাস নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে পাঠানো এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পে ৪০০ বিদ্যুৎ-চালিত বাস কেনা হবে। এসব বাসের ডিপো...
১১ ঘণ্টা আগেধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়েরকৃত নির্বাচনী মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল দায়ের না করা বিষয়ে কোন আইনি জটিলতা আছে কিনা-সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
১৫ ঘণ্টা আগে