রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে বা যাবে, তা সহ্য করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। এই মধুর যন্ত্রণা তাই বারবার ফুটে উঠছে দলগুলোর নেতাদের কথায়।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগে নীতিগত সমর্থন রয়েছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। একথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে ভোটের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটি। কিন্তু সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণে নির্বাচন বিলম্বিত হবে, তাই স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কায় কৌশলগত কারণে এ নিয়ে গলা চড়াতেও পারছে না দলটি।
বিএনপির মতো অতটা আকুল-ব্যাকুল অবস্থা না হলেও জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে এই মধুর বিপাকে। তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দিতে চায়। আবার সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের কথাও বলে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে এরই মধ্যে ১০টি কমিশন করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকগুলো কমিশন কাজও শুরু করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে থাকা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
তাঁর বক্তব্য, শুধু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করবে।
বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঘুরেফিরে বিএনপির সুরেই কথা বলছে। তাদেরও চাওয়া দ্রুততম সময়ে নির্বাচন। কিন্তু কৌশলগত কারণে এ নিয়ে সরকারকে বড় ধরনের চাপ দিতে চাচ্ছে না তারা। যে কারণে নির্বাচনের দাবিতে আপাতত কোনো কর্মসূচি পালনের চিন্তা তারা করছে না।
বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানা গেছে। তাঁরা মনে করছেন, আন্দোলন-সংক্রান্ত উত্তেজনা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তৃতীয় কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিতে পারে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হোক এমন কিছু না করে ধৈর্য ধরে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্যেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার লালমনিরহাটে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহূর্তে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে, আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতাও করতে হবে।’
সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান একটু ভিন্ন। তারা নির্বাচন চাইলেও তাড়াহুড়োর সংস্কার চায় না।
সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। জামায়াত মনে করে, জাতির প্রয়োজনে যখন যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করতে হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এমনকি সব সংস্কার হতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিরাজমান সংকট নিরসনে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষেই মত দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। একইভাবে প্রশাসন ও পুলিশেও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
একই সঙ্গে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। এতে করে দলগুলো আশ্বস্ত হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগের চলমান আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখাও উঠে আসছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাও লক্ষ করা গেছে।
গত বছরের ১৩ জুলাই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। গত ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১টি সুপারিশ করে জামায়াতে ইসলামী। ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে দলটি। ১৯ নভেম্বর থেকে এ কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছ। এদিকে ৩১ দফা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে ৩১ দফা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি মতভিন্নতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তব্যেও।
ঘোষিত ৩১ দফার সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘পরিবেশ, পরিস্থিতি, দেশের প্রয়োজন এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৩১ দফাকে সংযোজন, বিয়োজন, পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনও করা যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে এই ৩১ দফাই একদিন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তথা সুখী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে বা যাবে, তা সহ্য করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। এই মধুর যন্ত্রণা তাই বারবার ফুটে উঠছে দলগুলোর নেতাদের কথায়।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগে নীতিগত সমর্থন রয়েছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। একথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে ভোটের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটি। কিন্তু সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণে নির্বাচন বিলম্বিত হবে, তাই স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কায় কৌশলগত কারণে এ নিয়ে গলা চড়াতেও পারছে না দলটি।
বিএনপির মতো অতটা আকুল-ব্যাকুল অবস্থা না হলেও জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে এই মধুর বিপাকে। তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দিতে চায়। আবার সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের কথাও বলে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে এরই মধ্যে ১০টি কমিশন করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকগুলো কমিশন কাজও শুরু করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে থাকা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
তাঁর বক্তব্য, শুধু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করবে।
বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঘুরেফিরে বিএনপির সুরেই কথা বলছে। তাদেরও চাওয়া দ্রুততম সময়ে নির্বাচন। কিন্তু কৌশলগত কারণে এ নিয়ে সরকারকে বড় ধরনের চাপ দিতে চাচ্ছে না তারা। যে কারণে নির্বাচনের দাবিতে আপাতত কোনো কর্মসূচি পালনের চিন্তা তারা করছে না।
বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানা গেছে। তাঁরা মনে করছেন, আন্দোলন-সংক্রান্ত উত্তেজনা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তৃতীয় কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিতে পারে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হোক এমন কিছু না করে ধৈর্য ধরে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্যেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার লালমনিরহাটে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহূর্তে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে, আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতাও করতে হবে।’
সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান একটু ভিন্ন। তারা নির্বাচন চাইলেও তাড়াহুড়োর সংস্কার চায় না।
সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। জামায়াত মনে করে, জাতির প্রয়োজনে যখন যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করতে হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এমনকি সব সংস্কার হতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিরাজমান সংকট নিরসনে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষেই মত দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। একইভাবে প্রশাসন ও পুলিশেও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
একই সঙ্গে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। এতে করে দলগুলো আশ্বস্ত হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগের চলমান আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখাও উঠে আসছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাও লক্ষ করা গেছে।
গত বছরের ১৩ জুলাই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। গত ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১টি সুপারিশ করে জামায়াতে ইসলামী। ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে দলটি। ১৯ নভেম্বর থেকে এ কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছ। এদিকে ৩১ দফা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে ৩১ দফা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি মতভিন্নতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তব্যেও।
ঘোষিত ৩১ দফার সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘পরিবেশ, পরিস্থিতি, দেশের প্রয়োজন এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৩১ দফাকে সংযোজন, বিয়োজন, পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনও করা যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে এই ৩১ দফাই একদিন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তথা সুখী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে।’
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে বা যাবে, তা সহ্য করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। এই মধুর যন্ত্রণা তাই বারবার ফুটে উঠছে দলগুলোর নেতাদের কথায়।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগে নীতিগত সমর্থন রয়েছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। একথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে ভোটের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটি। কিন্তু সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণে নির্বাচন বিলম্বিত হবে, তাই স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কায় কৌশলগত কারণে এ নিয়ে গলা চড়াতেও পারছে না দলটি।
বিএনপির মতো অতটা আকুল-ব্যাকুল অবস্থা না হলেও জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে এই মধুর বিপাকে। তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দিতে চায়। আবার সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের কথাও বলে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে এরই মধ্যে ১০টি কমিশন করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকগুলো কমিশন কাজও শুরু করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে থাকা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
তাঁর বক্তব্য, শুধু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করবে।
বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঘুরেফিরে বিএনপির সুরেই কথা বলছে। তাদেরও চাওয়া দ্রুততম সময়ে নির্বাচন। কিন্তু কৌশলগত কারণে এ নিয়ে সরকারকে বড় ধরনের চাপ দিতে চাচ্ছে না তারা। যে কারণে নির্বাচনের দাবিতে আপাতত কোনো কর্মসূচি পালনের চিন্তা তারা করছে না।
বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানা গেছে। তাঁরা মনে করছেন, আন্দোলন-সংক্রান্ত উত্তেজনা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তৃতীয় কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিতে পারে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হোক এমন কিছু না করে ধৈর্য ধরে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্যেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার লালমনিরহাটে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহূর্তে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে, আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতাও করতে হবে।’
সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান একটু ভিন্ন। তারা নির্বাচন চাইলেও তাড়াহুড়োর সংস্কার চায় না।
সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। জামায়াত মনে করে, জাতির প্রয়োজনে যখন যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করতে হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এমনকি সব সংস্কার হতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিরাজমান সংকট নিরসনে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষেই মত দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। একইভাবে প্রশাসন ও পুলিশেও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
একই সঙ্গে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। এতে করে দলগুলো আশ্বস্ত হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগের চলমান আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখাও উঠে আসছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাও লক্ষ করা গেছে।
গত বছরের ১৩ জুলাই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। গত ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১টি সুপারিশ করে জামায়াতে ইসলামী। ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে দলটি। ১৯ নভেম্বর থেকে এ কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছ। এদিকে ৩১ দফা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে ৩১ দফা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি মতভিন্নতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তব্যেও।
ঘোষিত ৩১ দফার সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘পরিবেশ, পরিস্থিতি, দেশের প্রয়োজন এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৩১ দফাকে সংযোজন, বিয়োজন, পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনও করা যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে এই ৩১ দফাই একদিন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তথা সুখী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে বা যাবে, তা সহ্য করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। এই মধুর যন্ত্রণা তাই বারবার ফুটে উঠছে দলগুলোর নেতাদের কথায়।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগে নীতিগত সমর্থন রয়েছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। একথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে ভোটের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটি। কিন্তু সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণে নির্বাচন বিলম্বিত হবে, তাই স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কায় কৌশলগত কারণে এ নিয়ে গলা চড়াতেও পারছে না দলটি।
বিএনপির মতো অতটা আকুল-ব্যাকুল অবস্থা না হলেও জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে এই মধুর বিপাকে। তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দিতে চায়। আবার সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের কথাও বলে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে এরই মধ্যে ১০টি কমিশন করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকগুলো কমিশন কাজও শুরু করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে থাকা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
তাঁর বক্তব্য, শুধু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করবে।
বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঘুরেফিরে বিএনপির সুরেই কথা বলছে। তাদেরও চাওয়া দ্রুততম সময়ে নির্বাচন। কিন্তু কৌশলগত কারণে এ নিয়ে সরকারকে বড় ধরনের চাপ দিতে চাচ্ছে না তারা। যে কারণে নির্বাচনের দাবিতে আপাতত কোনো কর্মসূচি পালনের চিন্তা তারা করছে না।
বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানা গেছে। তাঁরা মনে করছেন, আন্দোলন-সংক্রান্ত উত্তেজনা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তৃতীয় কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিতে পারে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হোক এমন কিছু না করে ধৈর্য ধরে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্যেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার লালমনিরহাটে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহূর্তে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে, আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতাও করতে হবে।’
সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান একটু ভিন্ন। তারা নির্বাচন চাইলেও তাড়াহুড়োর সংস্কার চায় না।
সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। জামায়াত মনে করে, জাতির প্রয়োজনে যখন যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করতে হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এমনকি সব সংস্কার হতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিরাজমান সংকট নিরসনে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষেই মত দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। একইভাবে প্রশাসন ও পুলিশেও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
একই সঙ্গে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। এতে করে দলগুলো আশ্বস্ত হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগের চলমান আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখাও উঠে আসছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাও লক্ষ করা গেছে।
গত বছরের ১৩ জুলাই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। গত ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১টি সুপারিশ করে জামায়াতে ইসলামী। ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে দলটি। ১৯ নভেম্বর থেকে এ কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছ। এদিকে ৩১ দফা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে ৩১ দফা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি মতভিন্নতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তব্যেও।
ঘোষিত ৩১ দফার সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘পরিবেশ, পরিস্থিতি, দেশের প্রয়োজন এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৩১ দফাকে সংযোজন, বিয়োজন, পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনও করা যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে এই ৩১ দফাই একদিন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তথা সুখী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৪ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৭ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগে