জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকার রচনা করেছিল তাদের যাত্রাপথ। কিন্তু ২০২৫ সালে পা রাখার মুহূর্তে অনেক ধরনের সংশয় এসে বাসা বেঁধেছে জনগণের মনে। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পথটিকে এখনো মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। সবকিছুই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়ে পরিণত হবে কি না, সে সংশয় কাটছে না।
বাংলার জনগণ বারবার মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়, বারবার সে আকাঙ্ক্ষা মার খায়। ‘গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেক মালিক’—এ কথা যেন সত্য না হয়, আপ্রাণ সে চেষ্টা থাকে মনে, কিন্তু ঘুরেফিরে যেন একই পরিণতি লেখা থাকে জনতার ললাটে।
বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু তারা জানে, সে মুক্তি কোনো তত্ত্বকথায় আসবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই খুলে যায় মুক্তির পথ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সাল বাঙালির ইতিহাসে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। এ জাতি তাদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিল এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্র।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের অঙ্গীকারে রচিত হয়েছিল সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান। অথচ সে সংবিধানের মর্যাদা রাখেনি শাসক দলগুলো। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, সংবিধানে বসিয়েছে কালো দাগ। নিজের মতো করে কাটাছেঁড়া করেছে। বুঝিয়েছে, এ পথেই মুক্তি মিলবে জনগণের। অথচ তা জনগণের মুক্তি আনেনি, বরং সংবিধানটাই হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। এ দেশ বারবার স্বৈরশাসক দেখেছে। বারবার তাদের হটিয়েছে, বারবার পড়েছে তাদেরই খপ্পরে।
তাই নতুন এ বছরে মুক্তির দরজা খোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে জনগণের। জনগণ যেন নতুন করে প্রতারিত না হয়, সেদিকে যেন দৃষ্টি থাকে তাদের। বাংলাদেশ মানে গ্রাম-শহর-বন্দর-পাহাড়-নদীঘেরা সীমানায় বসবাস করা মানুষ। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যে মানুষ ফসল ফলায়, ধান ভানে, সবজি চাষ করে, মাছ ধরে, খামার করে। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যারা কারখানায় পরিশ্রম করেন। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা। হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসার স্থানে তারা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চায় একে অন্যকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসারই পদধ্বনি পাওয়া যায়। একে অন্যকে নিকেশ করে দেওয়ার শপথ নেয় এখনো চতুর রাজনীতিক। বাংলার মানুষ আশায় বুক বাঁধে, আশাহত হয়, আবার আশায় বুক বাঁধে। এ যেন এক অমোঘ চক্র, যার পরিবর্তন হয় না। অথচ এই পরিবর্তনটাই আমূল বদলে দিতে পারে দেশটাকে।
বাংলার জনগণ চায় অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। বাংলার জনগণ চায় সুস্থ রাজনীতি। নির্বাচনের পথ ধরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে পেশিশক্তি অথবা টাকাওয়ালা ভুঁইফোড়দের মনোনয়ন দেয়। আমলাতন্ত্রে দেদার চলে ঘুষের লেনদেন। সুস্থ রাজনীতির পথ কণ্টকমুক্ত করা হলে এ দেশের মানুষ নিতে পারত স্বস্তির নিশ্বাস। সে পথটি বাংলার মানুষ খোঁজে। বাংলার জনগণ নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে মেলাতে চায় নিজেকে। অথচ পুঁজির মালিকেরা সে সংস্কৃতিকে কলুষিত করে, বিকৃত করে। বিজাতীয় সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। সাধারণ জনগণ সে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে চায়। বাংলার মানুষ চায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার। অথচ বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরেই এই অধিকারগুলো থেকে যায়। এ থেকে মুক্তিই তো সত্যিকারের স্বাধীনতা আনে।
খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সাল বাংলাদেশকে পৌঁছে দিক মুক্তির ঠিকানায়। যারাই জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত হোক এ বছর। ফ্যাসিবাদের বদলে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ যেন রাজনীতিতে জায়গা করে না নেয়। মব জাস্টিস যেন নির্বাসিত হয়। ২০২৫ সাল হোক জনগণের, ২০২৫ সাল হোক মুক্তির।
আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকার রচনা করেছিল তাদের যাত্রাপথ। কিন্তু ২০২৫ সালে পা রাখার মুহূর্তে অনেক ধরনের সংশয় এসে বাসা বেঁধেছে জনগণের মনে। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পথটিকে এখনো মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। সবকিছুই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়ে পরিণত হবে কি না, সে সংশয় কাটছে না।
বাংলার জনগণ বারবার মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়, বারবার সে আকাঙ্ক্ষা মার খায়। ‘গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেক মালিক’—এ কথা যেন সত্য না হয়, আপ্রাণ সে চেষ্টা থাকে মনে, কিন্তু ঘুরেফিরে যেন একই পরিণতি লেখা থাকে জনতার ললাটে।
বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু তারা জানে, সে মুক্তি কোনো তত্ত্বকথায় আসবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই খুলে যায় মুক্তির পথ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সাল বাঙালির ইতিহাসে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। এ জাতি তাদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিল এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্র।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের অঙ্গীকারে রচিত হয়েছিল সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান। অথচ সে সংবিধানের মর্যাদা রাখেনি শাসক দলগুলো। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, সংবিধানে বসিয়েছে কালো দাগ। নিজের মতো করে কাটাছেঁড়া করেছে। বুঝিয়েছে, এ পথেই মুক্তি মিলবে জনগণের। অথচ তা জনগণের মুক্তি আনেনি, বরং সংবিধানটাই হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। এ দেশ বারবার স্বৈরশাসক দেখেছে। বারবার তাদের হটিয়েছে, বারবার পড়েছে তাদেরই খপ্পরে।
তাই নতুন এ বছরে মুক্তির দরজা খোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে জনগণের। জনগণ যেন নতুন করে প্রতারিত না হয়, সেদিকে যেন দৃষ্টি থাকে তাদের। বাংলাদেশ মানে গ্রাম-শহর-বন্দর-পাহাড়-নদীঘেরা সীমানায় বসবাস করা মানুষ। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যে মানুষ ফসল ফলায়, ধান ভানে, সবজি চাষ করে, মাছ ধরে, খামার করে। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যারা কারখানায় পরিশ্রম করেন। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা। হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসার স্থানে তারা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চায় একে অন্যকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসারই পদধ্বনি পাওয়া যায়। একে অন্যকে নিকেশ করে দেওয়ার শপথ নেয় এখনো চতুর রাজনীতিক। বাংলার মানুষ আশায় বুক বাঁধে, আশাহত হয়, আবার আশায় বুক বাঁধে। এ যেন এক অমোঘ চক্র, যার পরিবর্তন হয় না। অথচ এই পরিবর্তনটাই আমূল বদলে দিতে পারে দেশটাকে।
বাংলার জনগণ চায় অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। বাংলার জনগণ চায় সুস্থ রাজনীতি। নির্বাচনের পথ ধরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে পেশিশক্তি অথবা টাকাওয়ালা ভুঁইফোড়দের মনোনয়ন দেয়। আমলাতন্ত্রে দেদার চলে ঘুষের লেনদেন। সুস্থ রাজনীতির পথ কণ্টকমুক্ত করা হলে এ দেশের মানুষ নিতে পারত স্বস্তির নিশ্বাস। সে পথটি বাংলার মানুষ খোঁজে। বাংলার জনগণ নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে মেলাতে চায় নিজেকে। অথচ পুঁজির মালিকেরা সে সংস্কৃতিকে কলুষিত করে, বিকৃত করে। বিজাতীয় সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। সাধারণ জনগণ সে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে চায়। বাংলার মানুষ চায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার। অথচ বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরেই এই অধিকারগুলো থেকে যায়। এ থেকে মুক্তিই তো সত্যিকারের স্বাধীনতা আনে।
খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সাল বাংলাদেশকে পৌঁছে দিক মুক্তির ঠিকানায়। যারাই জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত হোক এ বছর। ফ্যাসিবাদের বদলে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ যেন রাজনীতিতে জায়গা করে না নেয়। মব জাস্টিস যেন নির্বাসিত হয়। ২০২৫ সাল হোক জনগণের, ২০২৫ সাল হোক মুক্তির।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন।
২০ মিনিট আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। আজ সোমবার সকাল ১১টার পর সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিল নিয়ে তাঁরা সচিবালয়ের চত্বর প্রদক্ষিণ করেন।
৩২ মিনিট আগেগত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’–এ প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে আদেশ জারি করে। পরে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। তবে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে খারিজ করে রায় দেন।
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্র সংস্কারে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রথম ধাপে প্রায় দুই মাস ধরে ৩৩ দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। এতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য হলেও কমিশনের মৌলিক কিছু প্রস্তাব এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতে একমত
১১ ঘণ্টা আগে