Ajker Patrika

২০২৫ জনতার হোক

জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা 
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ২০
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছর। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানান সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে সেই সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে। ছবিটি গতকাল পাবনা থেকে তোলা। ছবি: শাহিন রহমান
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছর। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানান সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে সেই সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে। ছবিটি গতকাল পাবনা থেকে তোলা। ছবি: শাহিন রহমান

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।

ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকার রচনা করেছিল তাদের যাত্রাপথ। কিন্তু ২০২৫ সালে পা রাখার মুহূর্তে অনেক ধরনের সংশয় এসে বাসা বেঁধেছে জনগণের মনে। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পথটিকে এখনো মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। সবকিছুই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়ে পরিণত হবে কি না, সে সংশয় কাটছে না।

বাংলার জনগণ বারবার মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়, বারবার সে আকাঙ্ক্ষা মার খায়। ‘গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেক মালিক’—এ কথা যেন সত্য না হয়, আপ্রাণ সে চেষ্টা থাকে মনে, কিন্তু ঘুরেফিরে যেন একই পরিণতি লেখা থাকে জনতার ললাটে।

বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু তারা জানে, সে মুক্তি কোনো তত্ত্বকথায় আসবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই খুলে যায় মুক্তির পথ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সাল বাঙালির ইতিহাসে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। এ জাতি তাদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিল এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্র।

৩০ লাখ শহীদের রক্তের অঙ্গীকারে রচিত হয়েছিল সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান। অথচ সে সংবিধানের মর্যাদা রাখেনি শাসক দলগুলো। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, সংবিধানে বসিয়েছে কালো দাগ। নিজের মতো করে কাটাছেঁড়া করেছে। বুঝিয়েছে, এ পথেই মুক্তি মিলবে জনগণের। অথচ তা জনগণের মুক্তি আনেনি, বরং সংবিধানটাই হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। এ দেশ বারবার স্বৈরশাসক দেখেছে। বারবার তাদের হটিয়েছে, বারবার পড়েছে তাদেরই খপ্পরে।

তাই নতুন এ বছরে মুক্তির দরজা খোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে জনগণের। জনগণ যেন নতুন করে প্রতারিত না হয়, সেদিকে যেন দৃষ্টি থাকে তাদের। বাংলাদেশ মানে গ্রাম-শহর-বন্দর-পাহাড়-নদীঘেরা সীমানায় বসবাস করা মানুষ। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যে মানুষ ফসল ফলায়, ধান ভানে, সবজি চাষ করে, মাছ ধরে, খামার করে। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যারা কারখানায় পরিশ্রম করেন। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা। হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসার স্থানে তারা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চায় একে অন্যকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসারই পদধ্বনি পাওয়া যায়। একে অন্যকে নিকেশ করে দেওয়ার শপথ নেয় এখনো চতুর রাজনীতিক। বাংলার মানুষ আশায় বুক বাঁধে, আশাহত হয়, আবার আশায় বুক বাঁধে। এ যেন এক অমোঘ চক্র, যার পরিবর্তন হয় না। অথচ এই পরিবর্তনটাই আমূল বদলে দিতে পারে দেশটাকে।

বাংলার জনগণ চায় অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। বাংলার জনগণ চায় সুস্থ রাজনীতি। নির্বাচনের পথ ধরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে পেশিশক্তি অথবা টাকাওয়ালা ভুঁইফোড়দের মনোনয়ন দেয়। আমলাতন্ত্রে দেদার চলে ঘুষের লেনদেন। সুস্থ রাজনীতির পথ কণ্টকমুক্ত করা হলে এ দেশের মানুষ নিতে পারত স্বস্তির নিশ্বাস। সে পথটি বাংলার মানুষ খোঁজে। বাংলার জনগণ নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে মেলাতে চায় নিজেকে। অথচ পুঁজির মালিকেরা সে সংস্কৃতিকে কলুষিত করে, বিকৃত করে। বিজাতীয় সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। সাধারণ জনগণ সে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে চায়। বাংলার মানুষ চায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার। অথচ বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরেই এই অধিকারগুলো থেকে যায়। এ থেকে মুক্তিই তো সত্যিকারের স্বাধীনতা আনে।

খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সাল বাংলাদেশকে পৌঁছে দিক মুক্তির ঠিকানায়। যারাই জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত হোক এ বছর। ফ্যাসিবাদের বদলে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ যেন রাজনীতিতে জায়গা করে না নেয়। মব জাস্টিস যেন নির্বাসিত হয়। ২০২৫ সাল হোক জনগণের, ২০২৫ সাল হোক মুক্তির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের প্রধান উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।

রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’

ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’

আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’

এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।

গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’

কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।

তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের ৪টি আসন বহাল, ফিরল না গাজীপুর ৬

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।

এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।

এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে সিইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সিইসি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।

বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।

এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর স্বীকৃতি

বাসস, ঢাকা  
টাঙ্গাইল শাড়িতে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: ফেসবুক
টাঙ্গাইল শাড়িতে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: ফেসবুক

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’

এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।

বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।

নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত