নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কলেরা সংক্রমণ প্রতিরোধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত মে মাসে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে ২৬ জুন নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে নতুন এই তারিখের কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
কলেরার টিকা মূলত এক ধরনের মুখে খাওয়ার টিকা। গর্ভবতী মহিলা ব্যতীত ১ বছর বয়স হতে বড় সকল বয়সের মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কলেরা টিকা বিষয়ে আমরা আজকেও আলোচনা করেছি। আরও আগেই এই টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেসব জায়গায় আমরা টিকা পাঠিয়েছি, সে জায়গাগুলোতে কলেরা সংক্রমণ কমে এসেছে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু কলেরা টিকা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ডায়রিয়া ও কলেরা রোধে ২৩ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। দুই ডোজের এই টিকার প্রথম ডোজ গত মে মাসে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল জুন মাসে। কিন্তু নানা জটিলতায় প্রথম ডোজই শুরু করতে পারেনি সরকার।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসেও যেখানে করোনা সংক্রমণের হার এক শতাংশের নিচে ছিল, সেটি বর্তমানে দুই শতাংশে উঠে এসেছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়েও অনুষ্ঠানে শঙ্কার কথা মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত এক মাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটি ২ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন সেটি বেড়ে গিয়ে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ জন। আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের যদি এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে।
সতর্ক না হলে হাসপাতালে রোগী বাড়বে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি ভালো বিষয় হলো আমাদের সমস্ত হাসপাতালেও এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। তাই আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কাজ কর্ম করবেন, এটি আমরা আশা করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। যারা বাকি আছেন, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ নিয়ে নেবেন, সুরক্ষিত থাকবেন।’
অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষে গবেষণার জন্য ১০ জন নারীকে গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই সরকার ৩৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ।
কলেরা সংক্রমণ প্রতিরোধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত মে মাসে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে ২৬ জুন নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে নতুন এই তারিখের কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
কলেরার টিকা মূলত এক ধরনের মুখে খাওয়ার টিকা। গর্ভবতী মহিলা ব্যতীত ১ বছর বয়স হতে বড় সকল বয়সের মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কলেরা টিকা বিষয়ে আমরা আজকেও আলোচনা করেছি। আরও আগেই এই টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেসব জায়গায় আমরা টিকা পাঠিয়েছি, সে জায়গাগুলোতে কলেরা সংক্রমণ কমে এসেছে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু কলেরা টিকা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ডায়রিয়া ও কলেরা রোধে ২৩ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। দুই ডোজের এই টিকার প্রথম ডোজ গত মে মাসে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল জুন মাসে। কিন্তু নানা জটিলতায় প্রথম ডোজই শুরু করতে পারেনি সরকার।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসেও যেখানে করোনা সংক্রমণের হার এক শতাংশের নিচে ছিল, সেটি বর্তমানে দুই শতাংশে উঠে এসেছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়েও অনুষ্ঠানে শঙ্কার কথা মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত এক মাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটি ২ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন সেটি বেড়ে গিয়ে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ জন। আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের যদি এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে।
সতর্ক না হলে হাসপাতালে রোগী বাড়বে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি ভালো বিষয় হলো আমাদের সমস্ত হাসপাতালেও এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। তাই আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কাজ কর্ম করবেন, এটি আমরা আশা করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। যারা বাকি আছেন, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ নিয়ে নেবেন, সুরক্ষিত থাকবেন।’
অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষে গবেষণার জন্য ১০ জন নারীকে গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই সরকার ৩৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ।
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাঁর হঠাৎ বিদেশযাত্রা ও বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে যে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল, দেশে ফিরে সেটির অবসান ঘটালেন তিনি।
৪০ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক কর্তৃক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠি নিয়ে দেশ-বিদেশে জোর আলোচনা চললেও সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর জবাবে ড. ইউনূসও নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। চিঠিতে তিনি ড. ইউনূসের আসন্ন লন্ডন সফর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে