
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
বিএনপি বরাবরে মতো স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। বড় দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেয়নি। প্রায় সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি নেতারাও প্রার্থী হয়েছে। অবশ্য দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও বকশীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, জৈন্তাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী ও গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম বিজয়ী হয়েছেন। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও বাহুবলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, তাহিরপুরে বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও জামালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগ
রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল ও মিঠাপুকুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন। লালমনিরহাটের আদিতমারীতে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শামসুল ইসলামের ছেলে ফারুক ইমরুল ও কালীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হুসাইন, কাহারোলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ফারুক, বোচাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী ও বিরলে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
পঞ্চগড়ের বোদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম, নীলফামারীর সৈয়দপুরে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ আরফান সরকার, জলঢাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনছার আলী ও কিশোরগঞ্জে উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব মো. রশিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার ও রানীশংকৈলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন জয়ী হয়েছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজাদুর রহমান তালুকদার, রাজারহাটে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী ও কুড়িগ্রাম সদরে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহীর বাগমারায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলান, দুর্গাপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ ও পুঠিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান ওরফে রাজু খান, জয়পুরহাট সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান ও পাঁচবিবিতে নির্দলীয় প্রার্থী সাবেকুন নাহার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার চাটমোহরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা রেজাউল করিম ও ভাঙ্গুরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন নির্বাচিত হন।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ, পোরশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ও সাপাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান মণ্ডল নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা বিভাগ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, মিরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান ও ভেড়ামারায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদরে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম মঞ্জিলুর রহমান জয়ী হয়েছেন।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা যুবলীগের স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সেখ ওয়াহিদুজ্জামান, চিতলমারীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন ও মোল্লাহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল আলম ছানা জয়ী হয়েছেন। নড়াইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান ভূঁইয়া ও লোহাগড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক জয়ী হয়েছেন।
খুলনার ফুলতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, তেরখাদায় জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি আবুল হাসান শেখ ও দিঘলিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। মাগুরার শালিখায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল কুমার দে ও মহম্মদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হয়েছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার ও দেবহাটায় নির্দলীয় মো. আল ফেরদাউস নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা আরিফ রেজা, মেহেরপুরের গাংনীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যশোরের শার্শায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ঝিকরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও চৌগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ
ঝালকাঠি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান, পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসারেফ হোসেন খান, গলাচিপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ওয়ানা মার্জিয়া ও দশমিনায় উপজেলা তাঁতি লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সাবেক সভাপতি মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হক এবং বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, হাজীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের নেতা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও বর্তমানে কোনো পদে নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, পানছড়িতে ইউপিডিএফের চন্দ্র দেব চাকমা ও দীঘিনালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ধর্মজ্যোতি চাকমা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব ও পেকুয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মো. শাফায়েত আজিজ বিজয়ী হয়েছেন। রাঙামাটির বিলাইছড়িতে জনসংহতি সমিতির বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, রাজস্থলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা ও কাপ্তাইয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম, চাটখিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির ও সোনাইমুড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন। বান্দরবানের লামায় আওয়ামী লীগের মোস্তফা জামান ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সাবেক বিএনপির নেতা তোফাইল আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন।
কুমিল্লার বরুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া, সদর দক্ষিণে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হাই ও আদর্শ সদরে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম খান, ঘিওরে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ও দৌলতপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, বালিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম ও মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ্ জামান ও সালথায় গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বর জয় পেয়েছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত মোকারিম সরদার, কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান ও অষ্টগ্রামে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের নেতা এএফএম মাসুক নাজিম জয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কাবির মিয়া ও কাশিয়ানীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন জয় পেয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি জগলুল হালদারের ছেলে আরিফুল ইসলাম হালদার ও লৌহজংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম সোয়েব নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
বিএনপি বরাবরে মতো স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। বড় দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেয়নি। প্রায় সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি নেতারাও প্রার্থী হয়েছে। অবশ্য দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও বকশীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, জৈন্তাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী ও গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম বিজয়ী হয়েছেন। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও বাহুবলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, তাহিরপুরে বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও জামালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগ
রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল ও মিঠাপুকুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন। লালমনিরহাটের আদিতমারীতে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শামসুল ইসলামের ছেলে ফারুক ইমরুল ও কালীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হুসাইন, কাহারোলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ফারুক, বোচাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী ও বিরলে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
পঞ্চগড়ের বোদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম, নীলফামারীর সৈয়দপুরে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ আরফান সরকার, জলঢাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনছার আলী ও কিশোরগঞ্জে উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব মো. রশিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার ও রানীশংকৈলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন জয়ী হয়েছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজাদুর রহমান তালুকদার, রাজারহাটে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী ও কুড়িগ্রাম সদরে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহীর বাগমারায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলান, দুর্গাপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ ও পুঠিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান ওরফে রাজু খান, জয়পুরহাট সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান ও পাঁচবিবিতে নির্দলীয় প্রার্থী সাবেকুন নাহার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার চাটমোহরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা রেজাউল করিম ও ভাঙ্গুরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন নির্বাচিত হন।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ, পোরশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ও সাপাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান মণ্ডল নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা বিভাগ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, মিরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান ও ভেড়ামারায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদরে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম মঞ্জিলুর রহমান জয়ী হয়েছেন।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা যুবলীগের স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সেখ ওয়াহিদুজ্জামান, চিতলমারীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন ও মোল্লাহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল আলম ছানা জয়ী হয়েছেন। নড়াইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান ভূঁইয়া ও লোহাগড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক জয়ী হয়েছেন।
খুলনার ফুলতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, তেরখাদায় জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি আবুল হাসান শেখ ও দিঘলিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। মাগুরার শালিখায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল কুমার দে ও মহম্মদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হয়েছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার ও দেবহাটায় নির্দলীয় মো. আল ফেরদাউস নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা আরিফ রেজা, মেহেরপুরের গাংনীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যশোরের শার্শায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ঝিকরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও চৌগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ
ঝালকাঠি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান, পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসারেফ হোসেন খান, গলাচিপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ওয়ানা মার্জিয়া ও দশমিনায় উপজেলা তাঁতি লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সাবেক সভাপতি মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হক এবং বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, হাজীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের নেতা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও বর্তমানে কোনো পদে নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, পানছড়িতে ইউপিডিএফের চন্দ্র দেব চাকমা ও দীঘিনালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ধর্মজ্যোতি চাকমা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব ও পেকুয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মো. শাফায়েত আজিজ বিজয়ী হয়েছেন। রাঙামাটির বিলাইছড়িতে জনসংহতি সমিতির বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, রাজস্থলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা ও কাপ্তাইয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম, চাটখিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির ও সোনাইমুড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন। বান্দরবানের লামায় আওয়ামী লীগের মোস্তফা জামান ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সাবেক বিএনপির নেতা তোফাইল আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন।
কুমিল্লার বরুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া, সদর দক্ষিণে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হাই ও আদর্শ সদরে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম খান, ঘিওরে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ও দৌলতপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, বালিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম ও মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ্ জামান ও সালথায় গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বর জয় পেয়েছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত মোকারিম সরদার, কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান ও অষ্টগ্রামে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের নেতা এএফএম মাসুক নাজিম জয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কাবির মিয়া ও কাশিয়ানীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন জয় পেয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি জগলুল হালদারের ছেলে আরিফুল ইসলাম হালদার ও লৌহজংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম সোয়েব নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
বিএনপি বরাবরে মতো স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। বড় দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেয়নি। প্রায় সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি নেতারাও প্রার্থী হয়েছে। অবশ্য দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও বকশীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, জৈন্তাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী ও গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম বিজয়ী হয়েছেন। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও বাহুবলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, তাহিরপুরে বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও জামালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগ
রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল ও মিঠাপুকুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন। লালমনিরহাটের আদিতমারীতে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শামসুল ইসলামের ছেলে ফারুক ইমরুল ও কালীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হুসাইন, কাহারোলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ফারুক, বোচাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী ও বিরলে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
পঞ্চগড়ের বোদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম, নীলফামারীর সৈয়দপুরে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ আরফান সরকার, জলঢাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনছার আলী ও কিশোরগঞ্জে উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব মো. রশিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার ও রানীশংকৈলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন জয়ী হয়েছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজাদুর রহমান তালুকদার, রাজারহাটে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী ও কুড়িগ্রাম সদরে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহীর বাগমারায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলান, দুর্গাপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ ও পুঠিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান ওরফে রাজু খান, জয়পুরহাট সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান ও পাঁচবিবিতে নির্দলীয় প্রার্থী সাবেকুন নাহার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার চাটমোহরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা রেজাউল করিম ও ভাঙ্গুরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন নির্বাচিত হন।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ, পোরশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ও সাপাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান মণ্ডল নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা বিভাগ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, মিরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান ও ভেড়ামারায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদরে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম মঞ্জিলুর রহমান জয়ী হয়েছেন।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা যুবলীগের স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সেখ ওয়াহিদুজ্জামান, চিতলমারীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন ও মোল্লাহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল আলম ছানা জয়ী হয়েছেন। নড়াইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান ভূঁইয়া ও লোহাগড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক জয়ী হয়েছেন।
খুলনার ফুলতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, তেরখাদায় জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি আবুল হাসান শেখ ও দিঘলিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। মাগুরার শালিখায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল কুমার দে ও মহম্মদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হয়েছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার ও দেবহাটায় নির্দলীয় মো. আল ফেরদাউস নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা আরিফ রেজা, মেহেরপুরের গাংনীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যশোরের শার্শায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ঝিকরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও চৌগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ
ঝালকাঠি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান, পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসারেফ হোসেন খান, গলাচিপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ওয়ানা মার্জিয়া ও দশমিনায় উপজেলা তাঁতি লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সাবেক সভাপতি মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হক এবং বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, হাজীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের নেতা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও বর্তমানে কোনো পদে নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, পানছড়িতে ইউপিডিএফের চন্দ্র দেব চাকমা ও দীঘিনালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ধর্মজ্যোতি চাকমা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব ও পেকুয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মো. শাফায়েত আজিজ বিজয়ী হয়েছেন। রাঙামাটির বিলাইছড়িতে জনসংহতি সমিতির বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, রাজস্থলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা ও কাপ্তাইয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম, চাটখিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির ও সোনাইমুড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন। বান্দরবানের লামায় আওয়ামী লীগের মোস্তফা জামান ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সাবেক বিএনপির নেতা তোফাইল আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন।
কুমিল্লার বরুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া, সদর দক্ষিণে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হাই ও আদর্শ সদরে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম খান, ঘিওরে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ও দৌলতপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, বালিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম ও মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ্ জামান ও সালথায় গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বর জয় পেয়েছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত মোকারিম সরদার, কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান ও অষ্টগ্রামে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের নেতা এএফএম মাসুক নাজিম জয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কাবির মিয়া ও কাশিয়ানীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন জয় পেয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি জগলুল হালদারের ছেলে আরিফুল ইসলাম হালদার ও লৌহজংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম সোয়েব নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
বিএনপি বরাবরে মতো স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। বড় দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেয়নি। প্রায় সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি নেতারাও প্রার্থী হয়েছে। অবশ্য দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও বকশীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, জৈন্তাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী ও গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম বিজয়ী হয়েছেন। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও বাহুবলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, তাহিরপুরে বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও জামালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগ
রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল ও মিঠাপুকুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন। লালমনিরহাটের আদিতমারীতে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শামসুল ইসলামের ছেলে ফারুক ইমরুল ও কালীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হুসাইন, কাহারোলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ফারুক, বোচাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী ও বিরলে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
পঞ্চগড়ের বোদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম, নীলফামারীর সৈয়দপুরে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ আরফান সরকার, জলঢাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনছার আলী ও কিশোরগঞ্জে উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব মো. রশিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার ও রানীশংকৈলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন জয়ী হয়েছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজাদুর রহমান তালুকদার, রাজারহাটে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী ও কুড়িগ্রাম সদরে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহীর বাগমারায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলান, দুর্গাপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ ও পুঠিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান ওরফে রাজু খান, জয়পুরহাট সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান ও পাঁচবিবিতে নির্দলীয় প্রার্থী সাবেকুন নাহার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার চাটমোহরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা রেজাউল করিম ও ভাঙ্গুরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন নির্বাচিত হন।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ, পোরশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ও সাপাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান মণ্ডল নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা বিভাগ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, মিরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান ও ভেড়ামারায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদরে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম মঞ্জিলুর রহমান জয়ী হয়েছেন।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা যুবলীগের স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সেখ ওয়াহিদুজ্জামান, চিতলমারীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন ও মোল্লাহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল আলম ছানা জয়ী হয়েছেন। নড়াইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান ভূঁইয়া ও লোহাগড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক জয়ী হয়েছেন।
খুলনার ফুলতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, তেরখাদায় জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি আবুল হাসান শেখ ও দিঘলিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। মাগুরার শালিখায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল কুমার দে ও মহম্মদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হয়েছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার ও দেবহাটায় নির্দলীয় মো. আল ফেরদাউস নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা আরিফ রেজা, মেহেরপুরের গাংনীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যশোরের শার্শায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ঝিকরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও চৌগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ
ঝালকাঠি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান, পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসারেফ হোসেন খান, গলাচিপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ওয়ানা মার্জিয়া ও দশমিনায় উপজেলা তাঁতি লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সাবেক সভাপতি মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হক এবং বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, হাজীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের নেতা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও বর্তমানে কোনো পদে নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, পানছড়িতে ইউপিডিএফের চন্দ্র দেব চাকমা ও দীঘিনালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ধর্মজ্যোতি চাকমা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব ও পেকুয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মো. শাফায়েত আজিজ বিজয়ী হয়েছেন। রাঙামাটির বিলাইছড়িতে জনসংহতি সমিতির বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, রাজস্থলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা ও কাপ্তাইয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম, চাটখিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির ও সোনাইমুড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন। বান্দরবানের লামায় আওয়ামী লীগের মোস্তফা জামান ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সাবেক বিএনপির নেতা তোফাইল আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন।
কুমিল্লার বরুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া, সদর দক্ষিণে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হাই ও আদর্শ সদরে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম খান, ঘিওরে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ও দৌলতপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, বালিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম ও মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ্ জামান ও সালথায় গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বর জয় পেয়েছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত মোকারিম সরদার, কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান ও অষ্টগ্রামে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের নেতা এএফএম মাসুক নাজিম জয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কাবির মিয়া ও কাশিয়ানীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন জয় পেয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি জগলুল হালদারের ছেলে আরিফুল ইসলাম হালদার ও লৌহজংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম সোয়েব নির্বাচিত হয়েছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে ১০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি ইসি সচিবালয়সহ মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।
এদিকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো আরেকটি নির্দেশনায়, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামীকালের বৃহস্পতিবার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে তাঁদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা/থানা/রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে ‘ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই’ মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সংযুক্ত ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে ১০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি ইসি সচিবালয়সহ মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।
এদিকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো আরেকটি নির্দেশনায়, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামীকালের বৃহস্পতিবার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে তাঁদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা/থানা/রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে ‘ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই’ মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সংযুক্ত ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
২১ মে ২০২৪
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীও ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবে।
আজ বুধবার দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুল রহমান এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটির ভিত্তিতেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত পরিসরে হলেও নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীর করণীয়কে কেন্দ্র করে এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজনে নির্বাচন ও নির্বাচনের পরবর্তী কিছু সময়েও এই দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে হতে পারে। ফলে সেনাবাহিনীর মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা গত ১৫ মাস দায়িত্ব পালন করেছি, তা একেবারেই সহজ ছিল না। বাংলাদেশ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিদিন হয় না। তাই আমরাও চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঘিরে প্রচারিত বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে মাইনুল রহমান বলেন, গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেছে। এ সময় কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সাজানো অপপ্রচার চালিয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিনিয়র লিডারশিপের প্রতি শতভাগ অনুগত। যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সেনাবাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল এবং ভ্রাতৃত্ববোধে দৃঢ়।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সেনাবাহিনী; তাই জনগণের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব সেনাবাহিনী পালন করে যাবে।
দুদিন আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরপরই কিছু এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেনকে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্য সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করছে, ভবিষ্যতেও করবে।
নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন কমিশন যে পরিপত্র দেবে, তার আলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে—সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’
মনজুর হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে মোতায়েন থাকবে—যা এ যাবৎ সর্বোচ্চ। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে জেলা, উপজেলা এমনকি আসনভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা করতে প্রস্তুত।’

দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীও ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবে।
আজ বুধবার দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুল রহমান এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটির ভিত্তিতেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত পরিসরে হলেও নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীর করণীয়কে কেন্দ্র করে এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজনে নির্বাচন ও নির্বাচনের পরবর্তী কিছু সময়েও এই দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে হতে পারে। ফলে সেনাবাহিনীর মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা গত ১৫ মাস দায়িত্ব পালন করেছি, তা একেবারেই সহজ ছিল না। বাংলাদেশ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিদিন হয় না। তাই আমরাও চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঘিরে প্রচারিত বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে মাইনুল রহমান বলেন, গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেছে। এ সময় কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সাজানো অপপ্রচার চালিয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিনিয়র লিডারশিপের প্রতি শতভাগ অনুগত। যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সেনাবাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল এবং ভ্রাতৃত্ববোধে দৃঢ়।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সেনাবাহিনী; তাই জনগণের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব সেনাবাহিনী পালন করে যাবে।
দুদিন আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরপরই কিছু এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেনকে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্য সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করছে, ভবিষ্যতেও করবে।
নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন কমিশন যে পরিপত্র দেবে, তার আলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে—সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’
মনজুর হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে মোতায়েন থাকবে—যা এ যাবৎ সর্বোচ্চ। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে জেলা, উপজেলা এমনকি আসনভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা করতে প্রস্তুত।’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
২১ মে ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম, স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম, স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
২১ মে ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ১০৬টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৯১ টিতে, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ছয়টিতে ও বাকি উপজেলায় জাতীয় পার্টি, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
২১ মে ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি শেষে ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৩ ঘণ্টা আগে