Ajker Patrika

অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

নুরের ওপর হামলায় জড়িতদের পদমর্যাদা বা প্রভাব যাই হোক না কেন, রেহাই পাবে না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ১২
নুরের ওপর হামলায় জড়িতদের পদমর্যাদা বা প্রভাব যাই হোক না কেন, রেহাই পাবে না কেউ

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকার এই হামলাকে কেবল একজন ব্যক্তি নয়, বরং ন্যায়বিচার, জবাবদিহি এবং জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল স্পিরিটের ওপর আঘাত হিসেবে গণ্য করছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনা নিন্দা জানিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছে, এই নৃশংস ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সম্পন্ন করা হবে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি, তার পদমর্যাদা বা প্রভাব যাই হোক না কেন, কোনোভাবেই জবাবদিহি থেকে রেহাই পাবে না। সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

এদিকে হামলায় গুরুতর আহত নুরুল হক নুর এবং তাঁর দলের অন্যান্য আহত সদস্যদের চিকিৎসার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আহতদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে তাঁদের বিদেশে পাঠানোর বিষয়েও সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে নুরুল হক নুর, তাঁর দলের আহত সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি পুরো জাতির সহমর্মিতা ও সংহতি রয়েছে।

বিবৃতিতে নুরুল হক নুরের রাজনৈতিক অবদান ও ত্যাগকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর সেই ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। চব্বিশের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। নুরুল হক নুরের সাহস ও আত্মত্যাগ একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমাদের জনগণের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংকটকালীন মুহূর্তে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সরকার বলেছে, জনগণের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে, জনবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করতে এই ঐক্য অপরিহার্য।

বিবৃতিতে সরকার দৃঢ়ভাবে বলেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র, বাধা বা প্রচেষ্টাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং দেশের জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনগণের ইচ্ছা জয়ী হবে এবং কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের পথে আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত