মনজুরুল ইসলাম ঢাকা

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গত এক মাসে উড়াল দেওয়ার আগে-পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। তবে আশার কথা হলো, কিছু ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে অলৌকিকভাবে। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদ থাকেলেও ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত এই আকাশ পরিবহন সংস্থার নিরাপত্তার মান ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তথ্য বলছে, গত ৩০ দিনে ঢাকাসহ আবুধাবি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুর রুটের একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে মাঝ আকাশে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হয়ে ফেরত আসতে হয়েছে, কোথাও ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। কিছু ফ্লাইট যাত্রা শুরু করার পরই মিয়ানমার বা ভারতের আকাশ থেকে ফিরে আসে, আবার কিছু ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে রানওয়েতে আটকে যায়। এর ফলে শত শত যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে, অনেকের সংযোগ ফ্লাইট মিস হয়েছে, কেউ কেউ গন্তব্যে যেতে পারেননি।
এই অবস্থায় অভিযোগ উঠেছে, বিমানের হ্যাঙ্গারে কর্মরত প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে দায়সারা কাজ করছেন। একাধিক সূত্র জানায়, নির্ধারিত ‘চেক’ ও ‘সার্ভিসিং’ সঠিকভাবে না হওয়া, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর ঘাটতি এবং যন্ত্রাংশের অভাবে ত্রুটি বেড়ে চলছে।
একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় চলতি মাসে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে যেকোনো উড়োজাহাজ উড্ডয়নের আগে পূর্ণাঙ্গ কারিগরি পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার (১০ আগস্ট) বিমানের প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন এয়ারলাইনসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু এসব বৈঠক ও জরুরি নির্দেশনা কোনো কাজে আসছে না। উল্টো রোববার উড়োজাহাজের ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটির কারণে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ডেড’ করতে হয় বিমানের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার।
প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজটির ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটি শনাক্ত করেন, যা উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। লন্ডন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাঠানোর পর মেরামত করে একই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকল্প কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে না পেরে ২৬২ যাত্রীকে বিমানের খরচে হোটেলে রাখা হয়। অন্যদিকে রোম বিমানবন্দরে অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য বিমানকে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
এই ঘটনার পরদিন গতকাল সোমবার ড্যাস-৮ মডেলের একটি উড়োজাহাজের কেবিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০ মিনিট উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে চট্টগ্রামগামী একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। পরে যাত্রীদের অন্য একটি উড়োজাহাজে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
অতি সাম্প্রতিক এ দুটি ঘটনা ছাড়াও চলতি আগস্ট মাসে আরও তিনটি উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে বিমান। ৬ আগস্ট ব্যাংককগামী একটি বোয়িং ৭৩৭ ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন অনুভূত হওয়ায় মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসে। ৭ আগস্ট আবুধাবিগামী একটি বোয়িং তিনটি টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হওয়ায় ১ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে। ৯ আগস্ট সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একটি বোয়িংয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা সারিয়ে ২ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় ফেরানো হয়।
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য বলছে, ৬ আগস্ট মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসা ব্যাংককগামী বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি প্রায় আট মাস হ্যাঙ্গারে রেখে মেরামত করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, মেরামতের পর যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা ছাড়া সেটিকে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত ঘোষণা করা হয় এবং আকাশে ওঠার পরই নতুন করে ত্রুটি দেখা দেয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিমানের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা নয়; বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত রক্ষণাবেক্ষণ-ব্যবস্থার প্রতিফলন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বহরের উড়োজাহাজগুলো নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যবেক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার আওতায় না আসায় ছোটখাটো কারিগরি সমস্যা সময়মতো ধরা পড়ছে না। ফলে এসব ত্রুটি ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করে উড্ডয়ন-নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যা শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, যাত্রীদের জীবনহানির ঝুঁকিও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনা বিমানের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাজারে যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পুনর্গঠনের প্রয়োজন, সেখানে বারবার এই বিপত্তি যাত্রীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিমানের বহরের বেশির ভাগ উড়োজাহাজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বয়সজনিত কারণে নানা ধরনের ত্রুটি ও প্রযুক্তিগত বিচ্যুতি নিয়মিতভাবে দেখা দিচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব আরও গভীর হচ্ছে।
গত জুলাই মাসেও বিমানের উড়োজাহাজে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ১৬ জুলাই দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘চাকায় ত্রুটি’র কারণে একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ডেড হয়, যা মেরামতের পর ৩০ ঘণ্টা বিলম্বে দেশে ফেরে। ২৪ জুলাই দুবাই থেকে আসা আরেকটি ড্রিমলাইনারের ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়ায় সেটি চট্টগ্রামে ফিরে আসে এবং ত্রুটি সারিয়ে ২ ঘণ্টা পর আবার ঢাকায় যায়। ২৮ জুলাই দাম্মামগামী একটি বোয়িং ৭৭৭-ইআর কেবিন প্রেশারের ত্রুটির সংকেত পেয়ে ঢাকায় ফিরে আসে, পরে যাত্রীদের অন্য উড়োজাহাজে পাঠানো হয়। ৩০ জুলাই শারজা বিমানবন্দরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি বোয়িং ৭৩৭ ছয় ঘণ্টা আটকে থাকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর বলেন, যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত হচ্ছে। কোনো উড়োজাহাজে সামান্যতম ত্রুটি শনাক্ত হলে তা শতভাগ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেটি আকাশে ওড়ানো হয় না। তিনি আরও বলেন, বিমানের দক্ষ মেইনটেন্যান্স টিম দ্রুত যেকোনো কারিগরি সমস্যা মেরামত করে থাকে এবং বিলম্ব হলে যাত্রীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা, খাবার সরবরাহসহ নিয়মিত সেবা নিশ্চিত করা হয়।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি বোয়িং। এগুলোর মধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং ছয়টি ন্যারোবডি বোয়িং ৭৩৭। এ ছাড়া স্বল্প দূরত্বের রুটে চলাচলের জন্য বহরে পাঁচটি ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। তবে এসব উড়োজাহাজের বড় একটি অংশ প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে থাকে, যা সরাসরি ফ্লাইট শিডিউলে বিঘ্ন ঘটায় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ায়।
বহর প্রসঙ্গে বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যাত্রীদের এই ভোগান্তি কমাতে দুটি নতুন উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আরও কয়েকটি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। লিজ নেওয়া উড়োজাহাজগুলো দ্রুতই বহরে যুক্ত হবে; তবে ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে। তাঁর মতে, নতুন উড়োজাহাজ সংযোজন করা হলে বহরের সক্ষমতা বাড়বে এবং ফ্লাইট শিডিউল বিঘ্নিত হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৪ সালে। ওই বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি ফকার এফ-২৭ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকবার অবতরণের চেষ্টার পর রানওয়ের ৫০০ মিটার আগে মুখ থুবড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৯ জন। এটাই বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একমাত্র বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গত এক মাসে উড়াল দেওয়ার আগে-পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। তবে আশার কথা হলো, কিছু ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে অলৌকিকভাবে। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদ থাকেলেও ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত এই আকাশ পরিবহন সংস্থার নিরাপত্তার মান ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তথ্য বলছে, গত ৩০ দিনে ঢাকাসহ আবুধাবি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুর রুটের একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে মাঝ আকাশে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হয়ে ফেরত আসতে হয়েছে, কোথাও ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। কিছু ফ্লাইট যাত্রা শুরু করার পরই মিয়ানমার বা ভারতের আকাশ থেকে ফিরে আসে, আবার কিছু ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে রানওয়েতে আটকে যায়। এর ফলে শত শত যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে, অনেকের সংযোগ ফ্লাইট মিস হয়েছে, কেউ কেউ গন্তব্যে যেতে পারেননি।
এই অবস্থায় অভিযোগ উঠেছে, বিমানের হ্যাঙ্গারে কর্মরত প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে দায়সারা কাজ করছেন। একাধিক সূত্র জানায়, নির্ধারিত ‘চেক’ ও ‘সার্ভিসিং’ সঠিকভাবে না হওয়া, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর ঘাটতি এবং যন্ত্রাংশের অভাবে ত্রুটি বেড়ে চলছে।
একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় চলতি মাসে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে যেকোনো উড়োজাহাজ উড্ডয়নের আগে পূর্ণাঙ্গ কারিগরি পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার (১০ আগস্ট) বিমানের প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন এয়ারলাইনসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু এসব বৈঠক ও জরুরি নির্দেশনা কোনো কাজে আসছে না। উল্টো রোববার উড়োজাহাজের ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটির কারণে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ডেড’ করতে হয় বিমানের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার।
প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজটির ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটি শনাক্ত করেন, যা উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। লন্ডন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাঠানোর পর মেরামত করে একই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকল্প কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে না পেরে ২৬২ যাত্রীকে বিমানের খরচে হোটেলে রাখা হয়। অন্যদিকে রোম বিমানবন্দরে অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য বিমানকে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
এই ঘটনার পরদিন গতকাল সোমবার ড্যাস-৮ মডেলের একটি উড়োজাহাজের কেবিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০ মিনিট উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে চট্টগ্রামগামী একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। পরে যাত্রীদের অন্য একটি উড়োজাহাজে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
অতি সাম্প্রতিক এ দুটি ঘটনা ছাড়াও চলতি আগস্ট মাসে আরও তিনটি উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে বিমান। ৬ আগস্ট ব্যাংককগামী একটি বোয়িং ৭৩৭ ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন অনুভূত হওয়ায় মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসে। ৭ আগস্ট আবুধাবিগামী একটি বোয়িং তিনটি টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হওয়ায় ১ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে। ৯ আগস্ট সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একটি বোয়িংয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা সারিয়ে ২ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় ফেরানো হয়।
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য বলছে, ৬ আগস্ট মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসা ব্যাংককগামী বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি প্রায় আট মাস হ্যাঙ্গারে রেখে মেরামত করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, মেরামতের পর যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা ছাড়া সেটিকে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত ঘোষণা করা হয় এবং আকাশে ওঠার পরই নতুন করে ত্রুটি দেখা দেয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিমানের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা নয়; বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত রক্ষণাবেক্ষণ-ব্যবস্থার প্রতিফলন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বহরের উড়োজাহাজগুলো নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যবেক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার আওতায় না আসায় ছোটখাটো কারিগরি সমস্যা সময়মতো ধরা পড়ছে না। ফলে এসব ত্রুটি ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করে উড্ডয়ন-নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যা শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, যাত্রীদের জীবনহানির ঝুঁকিও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনা বিমানের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাজারে যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পুনর্গঠনের প্রয়োজন, সেখানে বারবার এই বিপত্তি যাত্রীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিমানের বহরের বেশির ভাগ উড়োজাহাজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বয়সজনিত কারণে নানা ধরনের ত্রুটি ও প্রযুক্তিগত বিচ্যুতি নিয়মিতভাবে দেখা দিচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব আরও গভীর হচ্ছে।
গত জুলাই মাসেও বিমানের উড়োজাহাজে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ১৬ জুলাই দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘চাকায় ত্রুটি’র কারণে একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ডেড হয়, যা মেরামতের পর ৩০ ঘণ্টা বিলম্বে দেশে ফেরে। ২৪ জুলাই দুবাই থেকে আসা আরেকটি ড্রিমলাইনারের ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়ায় সেটি চট্টগ্রামে ফিরে আসে এবং ত্রুটি সারিয়ে ২ ঘণ্টা পর আবার ঢাকায় যায়। ২৮ জুলাই দাম্মামগামী একটি বোয়িং ৭৭৭-ইআর কেবিন প্রেশারের ত্রুটির সংকেত পেয়ে ঢাকায় ফিরে আসে, পরে যাত্রীদের অন্য উড়োজাহাজে পাঠানো হয়। ৩০ জুলাই শারজা বিমানবন্দরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি বোয়িং ৭৩৭ ছয় ঘণ্টা আটকে থাকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর বলেন, যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত হচ্ছে। কোনো উড়োজাহাজে সামান্যতম ত্রুটি শনাক্ত হলে তা শতভাগ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেটি আকাশে ওড়ানো হয় না। তিনি আরও বলেন, বিমানের দক্ষ মেইনটেন্যান্স টিম দ্রুত যেকোনো কারিগরি সমস্যা মেরামত করে থাকে এবং বিলম্ব হলে যাত্রীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা, খাবার সরবরাহসহ নিয়মিত সেবা নিশ্চিত করা হয়।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি বোয়িং। এগুলোর মধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং ছয়টি ন্যারোবডি বোয়িং ৭৩৭। এ ছাড়া স্বল্প দূরত্বের রুটে চলাচলের জন্য বহরে পাঁচটি ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। তবে এসব উড়োজাহাজের বড় একটি অংশ প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে থাকে, যা সরাসরি ফ্লাইট শিডিউলে বিঘ্ন ঘটায় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ায়।
বহর প্রসঙ্গে বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যাত্রীদের এই ভোগান্তি কমাতে দুটি নতুন উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আরও কয়েকটি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। লিজ নেওয়া উড়োজাহাজগুলো দ্রুতই বহরে যুক্ত হবে; তবে ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে। তাঁর মতে, নতুন উড়োজাহাজ সংযোজন করা হলে বহরের সক্ষমতা বাড়বে এবং ফ্লাইট শিডিউল বিঘ্নিত হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৪ সালে। ওই বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি ফকার এফ-২৭ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকবার অবতরণের চেষ্টার পর রানওয়ের ৫০০ মিটার আগে মুখ থুবড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৯ জন। এটাই বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একমাত্র বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মনজুরুল ইসলাম ঢাকা

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গত এক মাসে উড়াল দেওয়ার আগে-পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। তবে আশার কথা হলো, কিছু ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে অলৌকিকভাবে। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদ থাকেলেও ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত এই আকাশ পরিবহন সংস্থার নিরাপত্তার মান ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তথ্য বলছে, গত ৩০ দিনে ঢাকাসহ আবুধাবি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুর রুটের একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে মাঝ আকাশে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হয়ে ফেরত আসতে হয়েছে, কোথাও ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। কিছু ফ্লাইট যাত্রা শুরু করার পরই মিয়ানমার বা ভারতের আকাশ থেকে ফিরে আসে, আবার কিছু ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে রানওয়েতে আটকে যায়। এর ফলে শত শত যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে, অনেকের সংযোগ ফ্লাইট মিস হয়েছে, কেউ কেউ গন্তব্যে যেতে পারেননি।
এই অবস্থায় অভিযোগ উঠেছে, বিমানের হ্যাঙ্গারে কর্মরত প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে দায়সারা কাজ করছেন। একাধিক সূত্র জানায়, নির্ধারিত ‘চেক’ ও ‘সার্ভিসিং’ সঠিকভাবে না হওয়া, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর ঘাটতি এবং যন্ত্রাংশের অভাবে ত্রুটি বেড়ে চলছে।
একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় চলতি মাসে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে যেকোনো উড়োজাহাজ উড্ডয়নের আগে পূর্ণাঙ্গ কারিগরি পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার (১০ আগস্ট) বিমানের প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন এয়ারলাইনসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু এসব বৈঠক ও জরুরি নির্দেশনা কোনো কাজে আসছে না। উল্টো রোববার উড়োজাহাজের ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটির কারণে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ডেড’ করতে হয় বিমানের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার।
প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজটির ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটি শনাক্ত করেন, যা উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। লন্ডন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাঠানোর পর মেরামত করে একই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকল্প কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে না পেরে ২৬২ যাত্রীকে বিমানের খরচে হোটেলে রাখা হয়। অন্যদিকে রোম বিমানবন্দরে অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য বিমানকে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
এই ঘটনার পরদিন গতকাল সোমবার ড্যাস-৮ মডেলের একটি উড়োজাহাজের কেবিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০ মিনিট উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে চট্টগ্রামগামী একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। পরে যাত্রীদের অন্য একটি উড়োজাহাজে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
অতি সাম্প্রতিক এ দুটি ঘটনা ছাড়াও চলতি আগস্ট মাসে আরও তিনটি উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে বিমান। ৬ আগস্ট ব্যাংককগামী একটি বোয়িং ৭৩৭ ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন অনুভূত হওয়ায় মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসে। ৭ আগস্ট আবুধাবিগামী একটি বোয়িং তিনটি টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হওয়ায় ১ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে। ৯ আগস্ট সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একটি বোয়িংয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা সারিয়ে ২ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় ফেরানো হয়।
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য বলছে, ৬ আগস্ট মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসা ব্যাংককগামী বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি প্রায় আট মাস হ্যাঙ্গারে রেখে মেরামত করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, মেরামতের পর যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা ছাড়া সেটিকে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত ঘোষণা করা হয় এবং আকাশে ওঠার পরই নতুন করে ত্রুটি দেখা দেয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিমানের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা নয়; বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত রক্ষণাবেক্ষণ-ব্যবস্থার প্রতিফলন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বহরের উড়োজাহাজগুলো নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যবেক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার আওতায় না আসায় ছোটখাটো কারিগরি সমস্যা সময়মতো ধরা পড়ছে না। ফলে এসব ত্রুটি ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করে উড্ডয়ন-নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যা শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, যাত্রীদের জীবনহানির ঝুঁকিও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনা বিমানের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাজারে যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পুনর্গঠনের প্রয়োজন, সেখানে বারবার এই বিপত্তি যাত্রীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিমানের বহরের বেশির ভাগ উড়োজাহাজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বয়সজনিত কারণে নানা ধরনের ত্রুটি ও প্রযুক্তিগত বিচ্যুতি নিয়মিতভাবে দেখা দিচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব আরও গভীর হচ্ছে।
গত জুলাই মাসেও বিমানের উড়োজাহাজে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ১৬ জুলাই দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘চাকায় ত্রুটি’র কারণে একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ডেড হয়, যা মেরামতের পর ৩০ ঘণ্টা বিলম্বে দেশে ফেরে। ২৪ জুলাই দুবাই থেকে আসা আরেকটি ড্রিমলাইনারের ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়ায় সেটি চট্টগ্রামে ফিরে আসে এবং ত্রুটি সারিয়ে ২ ঘণ্টা পর আবার ঢাকায় যায়। ২৮ জুলাই দাম্মামগামী একটি বোয়িং ৭৭৭-ইআর কেবিন প্রেশারের ত্রুটির সংকেত পেয়ে ঢাকায় ফিরে আসে, পরে যাত্রীদের অন্য উড়োজাহাজে পাঠানো হয়। ৩০ জুলাই শারজা বিমানবন্দরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি বোয়িং ৭৩৭ ছয় ঘণ্টা আটকে থাকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর বলেন, যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত হচ্ছে। কোনো উড়োজাহাজে সামান্যতম ত্রুটি শনাক্ত হলে তা শতভাগ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেটি আকাশে ওড়ানো হয় না। তিনি আরও বলেন, বিমানের দক্ষ মেইনটেন্যান্স টিম দ্রুত যেকোনো কারিগরি সমস্যা মেরামত করে থাকে এবং বিলম্ব হলে যাত্রীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা, খাবার সরবরাহসহ নিয়মিত সেবা নিশ্চিত করা হয়।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি বোয়িং। এগুলোর মধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং ছয়টি ন্যারোবডি বোয়িং ৭৩৭। এ ছাড়া স্বল্প দূরত্বের রুটে চলাচলের জন্য বহরে পাঁচটি ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। তবে এসব উড়োজাহাজের বড় একটি অংশ প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে থাকে, যা সরাসরি ফ্লাইট শিডিউলে বিঘ্ন ঘটায় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ায়।
বহর প্রসঙ্গে বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যাত্রীদের এই ভোগান্তি কমাতে দুটি নতুন উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আরও কয়েকটি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। লিজ নেওয়া উড়োজাহাজগুলো দ্রুতই বহরে যুক্ত হবে; তবে ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে। তাঁর মতে, নতুন উড়োজাহাজ সংযোজন করা হলে বহরের সক্ষমতা বাড়বে এবং ফ্লাইট শিডিউল বিঘ্নিত হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৪ সালে। ওই বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি ফকার এফ-২৭ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকবার অবতরণের চেষ্টার পর রানওয়ের ৫০০ মিটার আগে মুখ থুবড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৯ জন। এটাই বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একমাত্র বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গত এক মাসে উড়াল দেওয়ার আগে-পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। তবে আশার কথা হলো, কিছু ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে অলৌকিকভাবে। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদ থাকেলেও ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত এই আকাশ পরিবহন সংস্থার নিরাপত্তার মান ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তথ্য বলছে, গত ৩০ দিনে ঢাকাসহ আবুধাবি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুর রুটের একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে মাঝ আকাশে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হয়ে ফেরত আসতে হয়েছে, কোথাও ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। কিছু ফ্লাইট যাত্রা শুরু করার পরই মিয়ানমার বা ভারতের আকাশ থেকে ফিরে আসে, আবার কিছু ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে রানওয়েতে আটকে যায়। এর ফলে শত শত যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে, অনেকের সংযোগ ফ্লাইট মিস হয়েছে, কেউ কেউ গন্তব্যে যেতে পারেননি।
এই অবস্থায় অভিযোগ উঠেছে, বিমানের হ্যাঙ্গারে কর্মরত প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে দায়সারা কাজ করছেন। একাধিক সূত্র জানায়, নির্ধারিত ‘চেক’ ও ‘সার্ভিসিং’ সঠিকভাবে না হওয়া, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর ঘাটতি এবং যন্ত্রাংশের অভাবে ত্রুটি বেড়ে চলছে।
একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় চলতি মাসে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে যেকোনো উড়োজাহাজ উড্ডয়নের আগে পূর্ণাঙ্গ কারিগরি পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার (১০ আগস্ট) বিমানের প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন এয়ারলাইনসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু এসব বৈঠক ও জরুরি নির্দেশনা কোনো কাজে আসছে না। উল্টো রোববার উড়োজাহাজের ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটির কারণে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ডেড’ করতে হয় বিমানের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার।
প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজটির ডানার ফ্ল্যাপে ত্রুটি শনাক্ত করেন, যা উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। লন্ডন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাঠানোর পর মেরামত করে একই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকল্প কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে না পেরে ২৬২ যাত্রীকে বিমানের খরচে হোটেলে রাখা হয়। অন্যদিকে রোম বিমানবন্দরে অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য বিমানকে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
এই ঘটনার পরদিন গতকাল সোমবার ড্যাস-৮ মডেলের একটি উড়োজাহাজের কেবিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০ মিনিট উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে চট্টগ্রামগামী একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। পরে যাত্রীদের অন্য একটি উড়োজাহাজে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
অতি সাম্প্রতিক এ দুটি ঘটনা ছাড়াও চলতি আগস্ট মাসে আরও তিনটি উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে বিমান। ৬ আগস্ট ব্যাংককগামী একটি বোয়িং ৭৩৭ ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন অনুভূত হওয়ায় মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসে। ৭ আগস্ট আবুধাবিগামী একটি বোয়িং তিনটি টয়লেটের ফ্লাশ বিকল হওয়ায় ১ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে। ৯ আগস্ট সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একটি বোয়িংয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা সারিয়ে ২ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় ফেরানো হয়।
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য বলছে, ৬ আগস্ট মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসা ব্যাংককগামী বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি প্রায় আট মাস হ্যাঙ্গারে রেখে মেরামত করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, মেরামতের পর যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা ছাড়া সেটিকে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত ঘোষণা করা হয় এবং আকাশে ওঠার পরই নতুন করে ত্রুটি দেখা দেয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিমানের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা নয়; বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত রক্ষণাবেক্ষণ-ব্যবস্থার প্রতিফলন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বহরের উড়োজাহাজগুলো নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যবেক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার আওতায় না আসায় ছোটখাটো কারিগরি সমস্যা সময়মতো ধরা পড়ছে না। ফলে এসব ত্রুটি ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করে উড্ডয়ন-নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যা শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, যাত্রীদের জীবনহানির ঝুঁকিও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটির এসব ঘটনা বিমানের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাজারে যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পুনর্গঠনের প্রয়োজন, সেখানে বারবার এই বিপত্তি যাত্রীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিমানের বহরের বেশির ভাগ উড়োজাহাজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বয়সজনিত কারণে নানা ধরনের ত্রুটি ও প্রযুক্তিগত বিচ্যুতি নিয়মিতভাবে দেখা দিচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব আরও গভীর হচ্ছে।
গত জুলাই মাসেও বিমানের উড়োজাহাজে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ১৬ জুলাই দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘চাকায় ত্রুটি’র কারণে একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ডেড হয়, যা মেরামতের পর ৩০ ঘণ্টা বিলম্বে দেশে ফেরে। ২৪ জুলাই দুবাই থেকে আসা আরেকটি ড্রিমলাইনারের ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়ায় সেটি চট্টগ্রামে ফিরে আসে এবং ত্রুটি সারিয়ে ২ ঘণ্টা পর আবার ঢাকায় যায়। ২৮ জুলাই দাম্মামগামী একটি বোয়িং ৭৭৭-ইআর কেবিন প্রেশারের ত্রুটির সংকেত পেয়ে ঢাকায় ফিরে আসে, পরে যাত্রীদের অন্য উড়োজাহাজে পাঠানো হয়। ৩০ জুলাই শারজা বিমানবন্দরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি বোয়িং ৭৩৭ ছয় ঘণ্টা আটকে থাকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর বলেন, যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত হচ্ছে। কোনো উড়োজাহাজে সামান্যতম ত্রুটি শনাক্ত হলে তা শতভাগ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেটি আকাশে ওড়ানো হয় না। তিনি আরও বলেন, বিমানের দক্ষ মেইনটেন্যান্স টিম দ্রুত যেকোনো কারিগরি সমস্যা মেরামত করে থাকে এবং বিলম্ব হলে যাত্রীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা, খাবার সরবরাহসহ নিয়মিত সেবা নিশ্চিত করা হয়।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি বোয়িং। এগুলোর মধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং ছয়টি ন্যারোবডি বোয়িং ৭৩৭। এ ছাড়া স্বল্প দূরত্বের রুটে চলাচলের জন্য বহরে পাঁচটি ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। তবে এসব উড়োজাহাজের বড় একটি অংশ প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে থাকে, যা সরাসরি ফ্লাইট শিডিউলে বিঘ্ন ঘটায় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ায়।
বহর প্রসঙ্গে বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যাত্রীদের এই ভোগান্তি কমাতে দুটি নতুন উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আরও কয়েকটি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। লিজ নেওয়া উড়োজাহাজগুলো দ্রুতই বহরে যুক্ত হবে; তবে ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে। তাঁর মতে, নতুন উড়োজাহাজ সংযোজন করা হলে বহরের সক্ষমতা বাড়বে এবং ফ্লাইট শিডিউল বিঘ্নিত হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৪ সালে। ওই বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি ফকার এফ-২৭ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকবার অবতরণের চেষ্টার পর রানওয়ের ৫০০ মিটার আগে মুখ থুবড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৯ জন। এটাই বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একমাত্র বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
১২ আগস্ট ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
১২ আগস্ট ২০২৫
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
১২ আগস্ট ২০২৫
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

আকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
১২ আগস্ট ২০২৫
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে