বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার এবং স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১টি কার্য-অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিসিরা জানিয়েছেন, গ্রামে অনেকে অনেক আয় করলেও কর দিচ্ছেন না। আমরা এখন কর সংগ্রহ বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে এনবিআর উদ্যোগ নেবে। তাদের একটি তালিকা ডিসিরা দেবেন।’ তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসক-আইনজীবীরা ফি নগদ নেন। এ কারণে তাঁদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকের ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে তার একটা রেকর্ড থাকে। চিকিৎসকের যে অ্যাটেনডেন্ট থাকেন, তিনি ফি কালেকশন করেন, তাঁদের রসিদ দিয়ে ফি নেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। আইনজীবী বা অন্যান্য পেশার জন্যও এমন ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ডিসিরা বলেছেন গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে হবে না। সুতরাং, ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানো যাবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ, কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে তাঁদের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে ব্যবস্থা: গ্রীষ্মে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাসাবাড়ি, বিপণিবিতানসহ সব প্রতিষ্ঠানে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালানো যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট হয়। এর মধ্যে সেচের জন্য লাগে ২ হাজার মেগাওয়াট। ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু এসি চালাতে। অথচ এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তিনি বলেন, এ জন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে। যেসব লাইনে বিদ্যুতের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে যাবে, সেখানে লোডশেডিং করা হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। কেপিআই বাদ দিয়ে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে। লোডশেডিং শুরু হলে তাঁর বাসা থেকে শুরু হবে।
উপদেষ্টা জানান, ২৫ ডিগ্রির নিচে এসি না চালানোর অনুরোধ না রাখলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজান মাসে এবং এরপর গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদ জানান।
দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা চাইলে পাবেন ডিসিরা: সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ডিসিরা যেসব সহযোগিতা চাইবেন, তা করা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, ডিসিদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেখানে যে সহযোগিতা চাইবেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়েও আলাপ হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটারে ভাড়া কার্যকরের চিঠি প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, যাত্রীদের বক্তব্য মিটারে যাচ্ছে না। চালকের বক্তব্য, জমার পরিমাণ বেশি বলে মিটারে যেতে পারবেন না। তারপর এখানে-ওখানে ঘুষ দিতে হয়। এখন নাকি একটি পুরাতন সিএনজি অটোরিকশা পেতে ২০-৩০ লাখ টাকা লাগে। নতুন সিএনজি অটোরিকশা দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য বিষয়টিকে আরেকটু গভীরভাবে পরীক্ষা করে শিগগির এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ত্রাণসামগ্রী কিনবেন ইউএনওরা: কেন্দ্রীয়ভাবে আর ত্রাণসামগ্রী না কিনে স্থানীয়ভাবে ইউএনওদের মাধ্যমে কেনা হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, টিআর, কাবিখা, কাবিটার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো ডিসিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আগের যে কেন্দ্রীয় প্রথা ছিল, সেগুলোকে বদলানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। আগে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্বল সংগ্রহ করে বিতরণ করা হতো, এখন সেগুলো মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করে মাঠপর্যায়ে বিতরণ করছে। স্থানীয়ভাবে ইউএনওরা সরাসরি ত্রাণসামগ্রী কিনবেন।
রোজার ঈদের আগে এক কোটি পরিবার চাল পাবে: রোজার ঈদের আগে এক কোটি দরিদ্র, হতদরিদ্র পরিবারকে উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানান খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলে সারা দেশে বিভিন্নভাবে মোট ৭ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল সরবরাহ করা হবে। মার্চ-এপ্রিলের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল সাধারণ মানুষের হাতে সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থেকে কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন।
১০ মার্চের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ নামজারির কাজ শেষ হবে জানিয়ে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, জমির মিউটিশনের কাজও ডিজিটাল করতে কাজ চলছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত যে কটি ভালো নির্বাচন এবং যে কটি সমালোচিত নির্বাচন হয়েছে, তা প্রশাসন করেছে। তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই হয়। আসন্ন নির্বাচনে প্রশাসনকে ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে।
অনেক বড় দুর্নীতির অভিযোগই হয় না: দুর্নীতির খবর লুকানোর ও ধামাচাপা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন ডিসি সম্মেলনে দুদকের কার্য-অধিবেশনের পর বলেন, ছোট ছোট দুর্নীতি হলে আগে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়, অর্থাৎ বড় দুর্নীতি, সেটার অভিযোগই হয় না। সেটার সঙ্গে ঠিকাদার, দপ্তরপ্রধান কিংবা সাংবাদিক হোক, তাঁরা খবর দেন না। দুর্নীতির খবর বেশি আসুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই। দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা না দেওয়া হয়, না লুকানো হয়। ডিসিরা এটি নিয়ে কাজ করবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ডিসি সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল—পেছনের দুর্নীতি দমনের চেয়ে সামনে যেন দুর্নীতি না হয়, তাঁরাও সেই বার্তা দিয়েছেন।
ভাতা পেতে নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে
অনিয়ম রোধে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা পেতে উপকারভোগীদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে বলে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এই তথ্য জানান।
সবাইকেই নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে জানিয়ে শারমীন মুরশিদ বলেন, নিবন্ধনটা ঠিক না হলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজই ঠিক হবে না। নিবন্ধনটা নিপুণ হতে হবে।
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘ডিসিদের একটি বিষয় জানিয়েছি, আমরা যে সোশ্যাল রেজিস্ট্রি করি অর্থাৎ উপকারীদের আমরা যে সেবাটা দিই, তার ৪৬ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ভুল ৪৬ জনের কাছে ভাতার টাকাটা যাচ্ছে। এটি শুধু বিশাল অঙ্কের অপচয় নয়, যার ভাতা পাওয়ার কথা, সেই মানুষটা কষ্টে থেকে যায়। আমাদের যে সংস্কার কমিশন আছে, তাদের দিক থেকেও এই কথাটা ব্যক্ত করা হয়েছে।’

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার এবং স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১টি কার্য-অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিসিরা জানিয়েছেন, গ্রামে অনেকে অনেক আয় করলেও কর দিচ্ছেন না। আমরা এখন কর সংগ্রহ বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে এনবিআর উদ্যোগ নেবে। তাদের একটি তালিকা ডিসিরা দেবেন।’ তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসক-আইনজীবীরা ফি নগদ নেন। এ কারণে তাঁদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকের ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে তার একটা রেকর্ড থাকে। চিকিৎসকের যে অ্যাটেনডেন্ট থাকেন, তিনি ফি কালেকশন করেন, তাঁদের রসিদ দিয়ে ফি নেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। আইনজীবী বা অন্যান্য পেশার জন্যও এমন ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ডিসিরা বলেছেন গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে হবে না। সুতরাং, ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানো যাবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ, কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে তাঁদের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে ব্যবস্থা: গ্রীষ্মে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাসাবাড়ি, বিপণিবিতানসহ সব প্রতিষ্ঠানে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালানো যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট হয়। এর মধ্যে সেচের জন্য লাগে ২ হাজার মেগাওয়াট। ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু এসি চালাতে। অথচ এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তিনি বলেন, এ জন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে। যেসব লাইনে বিদ্যুতের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে যাবে, সেখানে লোডশেডিং করা হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। কেপিআই বাদ দিয়ে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে। লোডশেডিং শুরু হলে তাঁর বাসা থেকে শুরু হবে।
উপদেষ্টা জানান, ২৫ ডিগ্রির নিচে এসি না চালানোর অনুরোধ না রাখলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজান মাসে এবং এরপর গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদ জানান।
দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা চাইলে পাবেন ডিসিরা: সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ডিসিরা যেসব সহযোগিতা চাইবেন, তা করা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, ডিসিদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেখানে যে সহযোগিতা চাইবেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়েও আলাপ হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটারে ভাড়া কার্যকরের চিঠি প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, যাত্রীদের বক্তব্য মিটারে যাচ্ছে না। চালকের বক্তব্য, জমার পরিমাণ বেশি বলে মিটারে যেতে পারবেন না। তারপর এখানে-ওখানে ঘুষ দিতে হয়। এখন নাকি একটি পুরাতন সিএনজি অটোরিকশা পেতে ২০-৩০ লাখ টাকা লাগে। নতুন সিএনজি অটোরিকশা দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য বিষয়টিকে আরেকটু গভীরভাবে পরীক্ষা করে শিগগির এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ত্রাণসামগ্রী কিনবেন ইউএনওরা: কেন্দ্রীয়ভাবে আর ত্রাণসামগ্রী না কিনে স্থানীয়ভাবে ইউএনওদের মাধ্যমে কেনা হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, টিআর, কাবিখা, কাবিটার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো ডিসিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আগের যে কেন্দ্রীয় প্রথা ছিল, সেগুলোকে বদলানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। আগে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্বল সংগ্রহ করে বিতরণ করা হতো, এখন সেগুলো মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করে মাঠপর্যায়ে বিতরণ করছে। স্থানীয়ভাবে ইউএনওরা সরাসরি ত্রাণসামগ্রী কিনবেন।
রোজার ঈদের আগে এক কোটি পরিবার চাল পাবে: রোজার ঈদের আগে এক কোটি দরিদ্র, হতদরিদ্র পরিবারকে উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানান খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলে সারা দেশে বিভিন্নভাবে মোট ৭ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল সরবরাহ করা হবে। মার্চ-এপ্রিলের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল সাধারণ মানুষের হাতে সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থেকে কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন।
১০ মার্চের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ নামজারির কাজ শেষ হবে জানিয়ে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, জমির মিউটিশনের কাজও ডিজিটাল করতে কাজ চলছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত যে কটি ভালো নির্বাচন এবং যে কটি সমালোচিত নির্বাচন হয়েছে, তা প্রশাসন করেছে। তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই হয়। আসন্ন নির্বাচনে প্রশাসনকে ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে।
অনেক বড় দুর্নীতির অভিযোগই হয় না: দুর্নীতির খবর লুকানোর ও ধামাচাপা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন ডিসি সম্মেলনে দুদকের কার্য-অধিবেশনের পর বলেন, ছোট ছোট দুর্নীতি হলে আগে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়, অর্থাৎ বড় দুর্নীতি, সেটার অভিযোগই হয় না। সেটার সঙ্গে ঠিকাদার, দপ্তরপ্রধান কিংবা সাংবাদিক হোক, তাঁরা খবর দেন না। দুর্নীতির খবর বেশি আসুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই। দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা না দেওয়া হয়, না লুকানো হয়। ডিসিরা এটি নিয়ে কাজ করবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ডিসি সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল—পেছনের দুর্নীতি দমনের চেয়ে সামনে যেন দুর্নীতি না হয়, তাঁরাও সেই বার্তা দিয়েছেন।
ভাতা পেতে নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে
অনিয়ম রোধে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা পেতে উপকারভোগীদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে বলে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এই তথ্য জানান।
সবাইকেই নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে জানিয়ে শারমীন মুরশিদ বলেন, নিবন্ধনটা ঠিক না হলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজই ঠিক হবে না। নিবন্ধনটা নিপুণ হতে হবে।
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘ডিসিদের একটি বিষয় জানিয়েছি, আমরা যে সোশ্যাল রেজিস্ট্রি করি অর্থাৎ উপকারীদের আমরা যে সেবাটা দিই, তার ৪৬ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ভুল ৪৬ জনের কাছে ভাতার টাকাটা যাচ্ছে। এটি শুধু বিশাল অঙ্কের অপচয় নয়, যার ভাতা পাওয়ার কথা, সেই মানুষটা কষ্টে থেকে যায়। আমাদের যে সংস্কার কমিশন আছে, তাদের দিক থেকেও এই কথাটা ব্যক্ত করা হয়েছে।’
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার এবং স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১টি কার্য-অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিসিরা জানিয়েছেন, গ্রামে অনেকে অনেক আয় করলেও কর দিচ্ছেন না। আমরা এখন কর সংগ্রহ বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে এনবিআর উদ্যোগ নেবে। তাদের একটি তালিকা ডিসিরা দেবেন।’ তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসক-আইনজীবীরা ফি নগদ নেন। এ কারণে তাঁদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকের ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে তার একটা রেকর্ড থাকে। চিকিৎসকের যে অ্যাটেনডেন্ট থাকেন, তিনি ফি কালেকশন করেন, তাঁদের রসিদ দিয়ে ফি নেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। আইনজীবী বা অন্যান্য পেশার জন্যও এমন ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ডিসিরা বলেছেন গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে হবে না। সুতরাং, ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানো যাবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ, কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে তাঁদের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে ব্যবস্থা: গ্রীষ্মে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাসাবাড়ি, বিপণিবিতানসহ সব প্রতিষ্ঠানে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালানো যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট হয়। এর মধ্যে সেচের জন্য লাগে ২ হাজার মেগাওয়াট। ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু এসি চালাতে। অথচ এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তিনি বলেন, এ জন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে। যেসব লাইনে বিদ্যুতের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে যাবে, সেখানে লোডশেডিং করা হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। কেপিআই বাদ দিয়ে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে। লোডশেডিং শুরু হলে তাঁর বাসা থেকে শুরু হবে।
উপদেষ্টা জানান, ২৫ ডিগ্রির নিচে এসি না চালানোর অনুরোধ না রাখলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজান মাসে এবং এরপর গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদ জানান।
দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা চাইলে পাবেন ডিসিরা: সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ডিসিরা যেসব সহযোগিতা চাইবেন, তা করা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, ডিসিদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেখানে যে সহযোগিতা চাইবেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়েও আলাপ হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটারে ভাড়া কার্যকরের চিঠি প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, যাত্রীদের বক্তব্য মিটারে যাচ্ছে না। চালকের বক্তব্য, জমার পরিমাণ বেশি বলে মিটারে যেতে পারবেন না। তারপর এখানে-ওখানে ঘুষ দিতে হয়। এখন নাকি একটি পুরাতন সিএনজি অটোরিকশা পেতে ২০-৩০ লাখ টাকা লাগে। নতুন সিএনজি অটোরিকশা দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য বিষয়টিকে আরেকটু গভীরভাবে পরীক্ষা করে শিগগির এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ত্রাণসামগ্রী কিনবেন ইউএনওরা: কেন্দ্রীয়ভাবে আর ত্রাণসামগ্রী না কিনে স্থানীয়ভাবে ইউএনওদের মাধ্যমে কেনা হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, টিআর, কাবিখা, কাবিটার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো ডিসিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আগের যে কেন্দ্রীয় প্রথা ছিল, সেগুলোকে বদলানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। আগে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্বল সংগ্রহ করে বিতরণ করা হতো, এখন সেগুলো মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করে মাঠপর্যায়ে বিতরণ করছে। স্থানীয়ভাবে ইউএনওরা সরাসরি ত্রাণসামগ্রী কিনবেন।
রোজার ঈদের আগে এক কোটি পরিবার চাল পাবে: রোজার ঈদের আগে এক কোটি দরিদ্র, হতদরিদ্র পরিবারকে উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানান খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলে সারা দেশে বিভিন্নভাবে মোট ৭ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল সরবরাহ করা হবে। মার্চ-এপ্রিলের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল সাধারণ মানুষের হাতে সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থেকে কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন।
১০ মার্চের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ নামজারির কাজ শেষ হবে জানিয়ে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, জমির মিউটিশনের কাজও ডিজিটাল করতে কাজ চলছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত যে কটি ভালো নির্বাচন এবং যে কটি সমালোচিত নির্বাচন হয়েছে, তা প্রশাসন করেছে। তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই হয়। আসন্ন নির্বাচনে প্রশাসনকে ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে।
অনেক বড় দুর্নীতির অভিযোগই হয় না: দুর্নীতির খবর লুকানোর ও ধামাচাপা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন ডিসি সম্মেলনে দুদকের কার্য-অধিবেশনের পর বলেন, ছোট ছোট দুর্নীতি হলে আগে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়, অর্থাৎ বড় দুর্নীতি, সেটার অভিযোগই হয় না। সেটার সঙ্গে ঠিকাদার, দপ্তরপ্রধান কিংবা সাংবাদিক হোক, তাঁরা খবর দেন না। দুর্নীতির খবর বেশি আসুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই। দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা না দেওয়া হয়, না লুকানো হয়। ডিসিরা এটি নিয়ে কাজ করবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ডিসি সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল—পেছনের দুর্নীতি দমনের চেয়ে সামনে যেন দুর্নীতি না হয়, তাঁরাও সেই বার্তা দিয়েছেন।
ভাতা পেতে নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে
অনিয়ম রোধে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা পেতে উপকারভোগীদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে বলে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এই তথ্য জানান।
সবাইকেই নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে জানিয়ে শারমীন মুরশিদ বলেন, নিবন্ধনটা ঠিক না হলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজই ঠিক হবে না। নিবন্ধনটা নিপুণ হতে হবে।
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘ডিসিদের একটি বিষয় জানিয়েছি, আমরা যে সোশ্যাল রেজিস্ট্রি করি অর্থাৎ উপকারীদের আমরা যে সেবাটা দিই, তার ৪৬ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ভুল ৪৬ জনের কাছে ভাতার টাকাটা যাচ্ছে। এটি শুধু বিশাল অঙ্কের অপচয় নয়, যার ভাতা পাওয়ার কথা, সেই মানুষটা কষ্টে থেকে যায়। আমাদের যে সংস্কার কমিশন আছে, তাদের দিক থেকেও এই কথাটা ব্যক্ত করা হয়েছে।’

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার এবং স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১টি কার্য-অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিসিরা জানিয়েছেন, গ্রামে অনেকে অনেক আয় করলেও কর দিচ্ছেন না। আমরা এখন কর সংগ্রহ বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে এনবিআর উদ্যোগ নেবে। তাদের একটি তালিকা ডিসিরা দেবেন।’ তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসক-আইনজীবীরা ফি নগদ নেন। এ কারণে তাঁদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকের ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে তার একটা রেকর্ড থাকে। চিকিৎসকের যে অ্যাটেনডেন্ট থাকেন, তিনি ফি কালেকশন করেন, তাঁদের রসিদ দিয়ে ফি নেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। আইনজীবী বা অন্যান্য পেশার জন্যও এমন ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ডিসিরা বলেছেন গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে হবে না। সুতরাং, ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানো যাবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ, কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে তাঁদের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে ব্যবস্থা: গ্রীষ্মে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাসাবাড়ি, বিপণিবিতানসহ সব প্রতিষ্ঠানে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালানো যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট হয়। এর মধ্যে সেচের জন্য লাগে ২ হাজার মেগাওয়াট। ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু এসি চালাতে। অথচ এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তিনি বলেন, এ জন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে। যেসব লাইনে বিদ্যুতের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে যাবে, সেখানে লোডশেডিং করা হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। কেপিআই বাদ দিয়ে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে। লোডশেডিং শুরু হলে তাঁর বাসা থেকে শুরু হবে।
উপদেষ্টা জানান, ২৫ ডিগ্রির নিচে এসি না চালানোর অনুরোধ না রাখলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজান মাসে এবং এরপর গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদ জানান।
দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা চাইলে পাবেন ডিসিরা: সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ডিসিরা যেসব সহযোগিতা চাইবেন, তা করা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, ডিসিদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেখানে যে সহযোগিতা চাইবেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়েও আলাপ হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটারে ভাড়া কার্যকরের চিঠি প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, যাত্রীদের বক্তব্য মিটারে যাচ্ছে না। চালকের বক্তব্য, জমার পরিমাণ বেশি বলে মিটারে যেতে পারবেন না। তারপর এখানে-ওখানে ঘুষ দিতে হয়। এখন নাকি একটি পুরাতন সিএনজি অটোরিকশা পেতে ২০-৩০ লাখ টাকা লাগে। নতুন সিএনজি অটোরিকশা দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য বিষয়টিকে আরেকটু গভীরভাবে পরীক্ষা করে শিগগির এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ত্রাণসামগ্রী কিনবেন ইউএনওরা: কেন্দ্রীয়ভাবে আর ত্রাণসামগ্রী না কিনে স্থানীয়ভাবে ইউএনওদের মাধ্যমে কেনা হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, টিআর, কাবিখা, কাবিটার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো ডিসিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আগের যে কেন্দ্রীয় প্রথা ছিল, সেগুলোকে বদলানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। আগে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্বল সংগ্রহ করে বিতরণ করা হতো, এখন সেগুলো মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করে মাঠপর্যায়ে বিতরণ করছে। স্থানীয়ভাবে ইউএনওরা সরাসরি ত্রাণসামগ্রী কিনবেন।
রোজার ঈদের আগে এক কোটি পরিবার চাল পাবে: রোজার ঈদের আগে এক কোটি দরিদ্র, হতদরিদ্র পরিবারকে উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানান খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলে সারা দেশে বিভিন্নভাবে মোট ৭ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল সরবরাহ করা হবে। মার্চ-এপ্রিলের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল সাধারণ মানুষের হাতে সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থেকে কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন।
১০ মার্চের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ নামজারির কাজ শেষ হবে জানিয়ে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, জমির মিউটিশনের কাজও ডিজিটাল করতে কাজ চলছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত যে কটি ভালো নির্বাচন এবং যে কটি সমালোচিত নির্বাচন হয়েছে, তা প্রশাসন করেছে। তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই হয়। আসন্ন নির্বাচনে প্রশাসনকে ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে।
অনেক বড় দুর্নীতির অভিযোগই হয় না: দুর্নীতির খবর লুকানোর ও ধামাচাপা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন ডিসি সম্মেলনে দুদকের কার্য-অধিবেশনের পর বলেন, ছোট ছোট দুর্নীতি হলে আগে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়, অর্থাৎ বড় দুর্নীতি, সেটার অভিযোগই হয় না। সেটার সঙ্গে ঠিকাদার, দপ্তরপ্রধান কিংবা সাংবাদিক হোক, তাঁরা খবর দেন না। দুর্নীতির খবর বেশি আসুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই। দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা না দেওয়া হয়, না লুকানো হয়। ডিসিরা এটি নিয়ে কাজ করবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ডিসি সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল—পেছনের দুর্নীতি দমনের চেয়ে সামনে যেন দুর্নীতি না হয়, তাঁরাও সেই বার্তা দিয়েছেন।
ভাতা পেতে নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে
অনিয়ম রোধে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা পেতে উপকারভোগীদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে বলে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এই তথ্য জানান।
সবাইকেই নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে জানিয়ে শারমীন মুরশিদ বলেন, নিবন্ধনটা ঠিক না হলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজই ঠিক হবে না। নিবন্ধনটা নিপুণ হতে হবে।
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘ডিসিদের একটি বিষয় জানিয়েছি, আমরা যে সোশ্যাল রেজিস্ট্রি করি অর্থাৎ উপকারীদের আমরা যে সেবাটা দিই, তার ৪৬ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ভুল ৪৬ জনের কাছে ভাতার টাকাটা যাচ্ছে। এটি শুধু বিশাল অঙ্কের অপচয় নয়, যার ভাতা পাওয়ার কথা, সেই মানুষটা কষ্টে থেকে যায়। আমাদের যে সংস্কার কমিশন আছে, তাদের দিক থেকেও এই কথাটা ব্যক্ত করা হয়েছে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
২ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৯ ঘণ্টা আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৯ ঘণ্টা আগে