জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত মোট ৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে অনেক শহীদ পরিবার এখনো অনুদান পায়নি। তবে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত হাজির হচ্ছেন প্রতারকেরা। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন ফাউন্ডেশনের কর্মীরা।
ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন শুরু হওয়ার পর থেকে গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৬৩৪১টি শহীদ ও আহত পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা ৭৪৫টি শহীদ পরিবারকে বিতরণ করা হয়েছে। পাঁচ হাজার ৫৯৬ জন আহত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে ৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাকি শহীদ পরিবারদের নমিনি সংক্রান্ত জটিলতার জন্য বা পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে অনুদান দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার শহীদ ‘আকাশ বেপারী’-এর মতো অনেকের কাগজপত্রের অপর্যাপ্ততার জন্য অনুদান দেওয়া হয়নি।
আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বিএসএল অফিস কমপ্লেক্সের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। তিনি বলেন, ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পূর্ণ বেসরকারি সংস্থা। জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ফাউন্ডেশনের অন্যতম কাজ গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিগুলো যেন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে, সেটা নিয়েও কাজ করা।’
মীর মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতিমধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধিদপ্তর করেছে। সেই অধিদপ্তর ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। জুলাই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনে এই অধিদপ্তর কাজ করবে।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আহসান হাবীব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকার থেকে ১০০ কোটি টাকা ও বেসরকারি খাত থেকে ১০ কোটি টাকার ফান্ড পেয়েছি। অর্থ প্রায় শেষের দিকে। শহীদ পরিবারের বড় অংশ সহযোগিতা পেলেও ৬০ শতাংশ আহত পরিবার এখনো অনুদান পায়নি। ঈদের পরে আমরা আবার ফান্ড জোগাড় করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য আমরা আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তাদের চাকরি ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছি। শিক্ষা বৃত্তির বিষয়ে চেষ্টা করছি। শহীদ পরিবারের অনেকে মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাউন্সিল করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি।’
চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, প্রতিদিন আমাদের দুই-তিনটা প্রতারককে মোকাবিলা করতে হয়। তারা আহত না, কিন্তু তারা ছবি ও প্রমাণপত্র জোগাড় করে আহত সেজে আসে। ওই প্রতারকেরা নিয়মিত ফাউন্ডেশনের অফিসে আসে। আমাদের টিমকে পুরো সিআইডির মতো কাজ করতে হয়। প্রতারকদের মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রকৃত আহতদের সহযোগিতা করতে সময় লেগে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে চারজন প্রতারককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত মোট ৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে অনেক শহীদ পরিবার এখনো অনুদান পায়নি। তবে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত হাজির হচ্ছেন প্রতারকেরা। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন ফাউন্ডেশনের কর্মীরা।
ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন শুরু হওয়ার পর থেকে গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৬৩৪১টি শহীদ ও আহত পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা ৭৪৫টি শহীদ পরিবারকে বিতরণ করা হয়েছে। পাঁচ হাজার ৫৯৬ জন আহত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে ৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাকি শহীদ পরিবারদের নমিনি সংক্রান্ত জটিলতার জন্য বা পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে অনুদান দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার শহীদ ‘আকাশ বেপারী’-এর মতো অনেকের কাগজপত্রের অপর্যাপ্ততার জন্য অনুদান দেওয়া হয়নি।
আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বিএসএল অফিস কমপ্লেক্সের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। তিনি বলেন, ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পূর্ণ বেসরকারি সংস্থা। জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ফাউন্ডেশনের অন্যতম কাজ গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিগুলো যেন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে, সেটা নিয়েও কাজ করা।’
মীর মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতিমধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধিদপ্তর করেছে। সেই অধিদপ্তর ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। জুলাই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনে এই অধিদপ্তর কাজ করবে।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আহসান হাবীব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকার থেকে ১০০ কোটি টাকা ও বেসরকারি খাত থেকে ১০ কোটি টাকার ফান্ড পেয়েছি। অর্থ প্রায় শেষের দিকে। শহীদ পরিবারের বড় অংশ সহযোগিতা পেলেও ৬০ শতাংশ আহত পরিবার এখনো অনুদান পায়নি। ঈদের পরে আমরা আবার ফান্ড জোগাড় করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য আমরা আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তাদের চাকরি ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছি। শিক্ষা বৃত্তির বিষয়ে চেষ্টা করছি। শহীদ পরিবারের অনেকে মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাউন্সিল করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি।’
চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, প্রতিদিন আমাদের দুই-তিনটা প্রতারককে মোকাবিলা করতে হয়। তারা আহত না, কিন্তু তারা ছবি ও প্রমাণপত্র জোগাড় করে আহত সেজে আসে। ওই প্রতারকেরা নিয়মিত ফাউন্ডেশনের অফিসে আসে। আমাদের টিমকে পুরো সিআইডির মতো কাজ করতে হয়। প্রতারকদের মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রকৃত আহতদের সহযোগিতা করতে সময় লেগে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে চারজন প্রতারককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রচুর বৈঠক, অধিবেশন ও গবেষণা করে জাতিসংঘ। এই রাষ্ট্র সংঘের অধীন প্রায় আড়াইশ সংস্থা প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে। সারা বিশ্বে বিপুলসংখ্যক মানুষ এসব প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এসব প্রতিবেদনকে কেউ গুরুত্ব দেয় না বললেই চলে! প্রতিবেদনগুলো পড়ে খুব নগণ্য সংখ্য
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ রোববার থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের পরই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
২ ঘণ্টা আগেঅনিশ্চয়তা-সংশয় কাটিয়ে নির্ধারিত সময়েই ঘোষিত হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র। সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার জানানো হয়েছে, স্বৈরাচার পতনের বর্ষপূর্তির দিন ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সব পক্ষের উপস্থিতিতেই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
৯ ঘণ্টা আগেঅটিজম একাডেমির জন্য দক্ষ জনবল তৈরির অংশ হিসেবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে খরচ হয়েছে ২৮ কোটি টাকার বেশি। তবে অটিজম একাডেমি তৈরির অসমাপ্ত প্রকল্প সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ অটিজম একাডেমি না করেই প্রকল্পটির ইতি টানতে চায় মন্ত্রণালয়।
১০ ঘণ্টা আগে