শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে এখনো ভিন্ন কিছু নিশ্চিত না হওয়ায় পুলিশ বলছে, আপাতভাবে সংঘটিত খুনগুলো সাধারণ হত্যার ঘটনার মতোই। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তা মানতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন, হত্যার ধরন এবং শিকারদের অভিন্ন পরিচয়ের কারণে তাঁদের সন্দেহ, কোনো একটি বিশেষ চক্রের হাতেই তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন।
সাম্প্রতিক এই আলোচিত শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার মধ্যে কোনোটি অভ্যুত্থানে যুক্ত থাকার কারণেই হয়েছে বলে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে আন্দোলনকারী কেউ কেউ হত্যার হুমকি পাওয়া ও কয়েকটি ‘গুপ্তহত্যা’ ঘটার কথা বলেছে পুলিশ। এ কথা উঠে এসেছে পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধের তথ্য-উপাত্তে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিদিনের অপরাধ পর্যালোচনার তথ্যে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ কলে হত্যার হুমকি দেওয়া ব্যক্তিরা ছাত্রদের গুপ্তহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকতেও পারে।
পুলিশ, পরিবার ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন নারায়ণগঞ্জে এআইইউবির শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে একটি লেক থেকে সুজানা আক্তার নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পরে সুজানার বন্ধু সাইনুর রশিদ ওরফে কাব্যের লাশও উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হতে পারে মনে করা হলেও এ পর্যন্ত বিষয়টি ধোঁয়াশে। ১৮ ডিসেম্বরই চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
জুলাই-আগস্টে কোটাবিরোধী ও হাসিনা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নিজ নিজ এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওপরের ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। এ কারণে তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ‘গুপ্তহত্যা’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি ও সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এতে উল্লেখ করেন, ‘জুলাই বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ছাত্র-জনতার ওপর ফ্যাসিবাদের দোসররা কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে এবং ফোনকলে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে এবং এটি ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাহস জোগাচ্ছে।’
১৭ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলের একটি লেকের পানিতে ভেসে ওঠে ভাসানটেক সরকারি কলেজের ছাত্রী সুজানার লাশ। পাশেই পাওয়া যায় একটি হেলমেট। তার সূত্র ধরে সন্ধান মেলে সুজানার সঙ্গে থাকা বন্ধু কাব্যের লাশ। তাঁরা দুজনই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। বিজয় দিবসের রাতে তাঁরা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন সুজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। লেক থেকেই মোটরসাইকেলসহ কাব্যের লাশ উদ্ধার হয় তার এক দিন পর। সুজানার ভাই আতিয়ার বলেন, ‘আমাদের হিসাব কোনোভাবেই মিলছে না। আমরা নিশ্চিত, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
তবে পুলিশ এ ঘটনাকে নিছক সড়ক দুর্ঘটনা বলেছে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, রাতে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে বাইকের চালক রাস্তা দেখতে না পেয়ে লেকে পড়ে যান।
১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহান (২৬) বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছুরিকাঘাতে খুন হন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছয় ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।
তবে পুলিশের ভাষ্য নিয়ে সন্দিহান শিহানের বাবা তানভীর রহমান বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা ঘটনা ঘটিয়ে সবার সামনে দিয়ে চলে গেল। কেউ বাধা দিল না। শুধু ছিনতাইয়ের জন্য কুপিয়ে মারা কী করে সম্ভব! আমি মনে করি, এর পেছনে অন্য কোনো চক্র রয়েছে।’

শিহানকে হত্যার দিনই নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকায় ছুরি মেরে হত্যা করা হয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে (২০)। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও স্বজনেরা তা মানছেন না। তাঁরা বলছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সীমান্ত। তাঁর পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তের বাবা আলম পারভেজ বলেন, ‘আসলে বুঝতে পারছি না কী থেকে কী হয়েছে।’ নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশের এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি ছিনতাইকারী চক্রের কাজ।’
১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বন্দর থানার ময়লার ডিপো টিসি কলোনি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিনের মাথায় জসিম হত্যার ‘মূল হোতা’সহ দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ময়লা ফেলা নিয়ে বিরোধের জেরে জসিমকে খুন করা হয়। তবে তাঁর চাচা বশির উদ্দিন বলেন, ‘শুধু এ কারণে এভাবে কেউ কাউকে হত্যা করে না। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড ঘটছে।’
তালিকায় নিখোঁজ ও হুমকিও
সহসমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান ২০ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর গত মঙ্গলবার হলে ফিরে আসেন। অসুস্থ থাকায় তাঁকে সেদিন রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিশদ জানানো হয়নি। খালিদের বাবা লুৎফর রহমান বলেছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি খালিদকে ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করা আশিকুর রহমান নামের এক সমন্বয়ককেও ১৫ ডিসেম্বর ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশিকুর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাঁকে ‘আলাপ অ্যাপস’ থেকে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ও পরিবারের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধবিষয়ক তথ্যে ১৭ ডিসেম্বর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শাবাব হোসাইন মেহেরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হওয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। কোনো হত্যাকাণ্ডই আমাদের কাছে স্বাভাবিক লাগছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে এখনো ভিন্ন কিছু নিশ্চিত না হওয়ায় পুলিশ বলছে, আপাতভাবে সংঘটিত খুনগুলো সাধারণ হত্যার ঘটনার মতোই। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তা মানতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন, হত্যার ধরন এবং শিকারদের অভিন্ন পরিচয়ের কারণে তাঁদের সন্দেহ, কোনো একটি বিশেষ চক্রের হাতেই তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন।
সাম্প্রতিক এই আলোচিত শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার মধ্যে কোনোটি অভ্যুত্থানে যুক্ত থাকার কারণেই হয়েছে বলে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে আন্দোলনকারী কেউ কেউ হত্যার হুমকি পাওয়া ও কয়েকটি ‘গুপ্তহত্যা’ ঘটার কথা বলেছে পুলিশ। এ কথা উঠে এসেছে পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধের তথ্য-উপাত্তে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিদিনের অপরাধ পর্যালোচনার তথ্যে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ কলে হত্যার হুমকি দেওয়া ব্যক্তিরা ছাত্রদের গুপ্তহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকতেও পারে।
পুলিশ, পরিবার ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন নারায়ণগঞ্জে এআইইউবির শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে একটি লেক থেকে সুজানা আক্তার নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পরে সুজানার বন্ধু সাইনুর রশিদ ওরফে কাব্যের লাশও উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হতে পারে মনে করা হলেও এ পর্যন্ত বিষয়টি ধোঁয়াশে। ১৮ ডিসেম্বরই চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
জুলাই-আগস্টে কোটাবিরোধী ও হাসিনা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নিজ নিজ এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওপরের ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। এ কারণে তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ‘গুপ্তহত্যা’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি ও সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এতে উল্লেখ করেন, ‘জুলাই বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ছাত্র-জনতার ওপর ফ্যাসিবাদের দোসররা কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে এবং ফোনকলে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে এবং এটি ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাহস জোগাচ্ছে।’
১৭ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলের একটি লেকের পানিতে ভেসে ওঠে ভাসানটেক সরকারি কলেজের ছাত্রী সুজানার লাশ। পাশেই পাওয়া যায় একটি হেলমেট। তার সূত্র ধরে সন্ধান মেলে সুজানার সঙ্গে থাকা বন্ধু কাব্যের লাশ। তাঁরা দুজনই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। বিজয় দিবসের রাতে তাঁরা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন সুজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। লেক থেকেই মোটরসাইকেলসহ কাব্যের লাশ উদ্ধার হয় তার এক দিন পর। সুজানার ভাই আতিয়ার বলেন, ‘আমাদের হিসাব কোনোভাবেই মিলছে না। আমরা নিশ্চিত, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
তবে পুলিশ এ ঘটনাকে নিছক সড়ক দুর্ঘটনা বলেছে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, রাতে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে বাইকের চালক রাস্তা দেখতে না পেয়ে লেকে পড়ে যান।
১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহান (২৬) বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছুরিকাঘাতে খুন হন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছয় ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।
তবে পুলিশের ভাষ্য নিয়ে সন্দিহান শিহানের বাবা তানভীর রহমান বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা ঘটনা ঘটিয়ে সবার সামনে দিয়ে চলে গেল। কেউ বাধা দিল না। শুধু ছিনতাইয়ের জন্য কুপিয়ে মারা কী করে সম্ভব! আমি মনে করি, এর পেছনে অন্য কোনো চক্র রয়েছে।’

শিহানকে হত্যার দিনই নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকায় ছুরি মেরে হত্যা করা হয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে (২০)। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও স্বজনেরা তা মানছেন না। তাঁরা বলছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সীমান্ত। তাঁর পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তের বাবা আলম পারভেজ বলেন, ‘আসলে বুঝতে পারছি না কী থেকে কী হয়েছে।’ নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশের এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি ছিনতাইকারী চক্রের কাজ।’
১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বন্দর থানার ময়লার ডিপো টিসি কলোনি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিনের মাথায় জসিম হত্যার ‘মূল হোতা’সহ দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ময়লা ফেলা নিয়ে বিরোধের জেরে জসিমকে খুন করা হয়। তবে তাঁর চাচা বশির উদ্দিন বলেন, ‘শুধু এ কারণে এভাবে কেউ কাউকে হত্যা করে না। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড ঘটছে।’
তালিকায় নিখোঁজ ও হুমকিও
সহসমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান ২০ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর গত মঙ্গলবার হলে ফিরে আসেন। অসুস্থ থাকায় তাঁকে সেদিন রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিশদ জানানো হয়নি। খালিদের বাবা লুৎফর রহমান বলেছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি খালিদকে ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করা আশিকুর রহমান নামের এক সমন্বয়ককেও ১৫ ডিসেম্বর ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশিকুর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাঁকে ‘আলাপ অ্যাপস’ থেকে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ও পরিবারের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধবিষয়ক তথ্যে ১৭ ডিসেম্বর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শাবাব হোসাইন মেহেরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হওয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। কোনো হত্যাকাণ্ডই আমাদের কাছে স্বাভাবিক লাগছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে এখনো ভিন্ন কিছু নিশ্চিত না হওয়ায় পুলিশ বলছে, আপাতভাবে সংঘটিত খুনগুলো সাধারণ হত্যার ঘটনার মতোই। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তা মানতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন, হত্যার ধরন এবং শিকারদের অভিন্ন পরিচয়ের কারণে তাঁদের সন্দেহ, কোনো একটি বিশেষ চক্রের হাতেই তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন।
সাম্প্রতিক এই আলোচিত শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার মধ্যে কোনোটি অভ্যুত্থানে যুক্ত থাকার কারণেই হয়েছে বলে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে আন্দোলনকারী কেউ কেউ হত্যার হুমকি পাওয়া ও কয়েকটি ‘গুপ্তহত্যা’ ঘটার কথা বলেছে পুলিশ। এ কথা উঠে এসেছে পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধের তথ্য-উপাত্তে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিদিনের অপরাধ পর্যালোচনার তথ্যে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ কলে হত্যার হুমকি দেওয়া ব্যক্তিরা ছাত্রদের গুপ্তহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকতেও পারে।
পুলিশ, পরিবার ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন নারায়ণগঞ্জে এআইইউবির শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে একটি লেক থেকে সুজানা আক্তার নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পরে সুজানার বন্ধু সাইনুর রশিদ ওরফে কাব্যের লাশও উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হতে পারে মনে করা হলেও এ পর্যন্ত বিষয়টি ধোঁয়াশে। ১৮ ডিসেম্বরই চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
জুলাই-আগস্টে কোটাবিরোধী ও হাসিনা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নিজ নিজ এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওপরের ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। এ কারণে তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ‘গুপ্তহত্যা’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি ও সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এতে উল্লেখ করেন, ‘জুলাই বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ছাত্র-জনতার ওপর ফ্যাসিবাদের দোসররা কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে এবং ফোনকলে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে এবং এটি ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাহস জোগাচ্ছে।’
১৭ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলের একটি লেকের পানিতে ভেসে ওঠে ভাসানটেক সরকারি কলেজের ছাত্রী সুজানার লাশ। পাশেই পাওয়া যায় একটি হেলমেট। তার সূত্র ধরে সন্ধান মেলে সুজানার সঙ্গে থাকা বন্ধু কাব্যের লাশ। তাঁরা দুজনই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। বিজয় দিবসের রাতে তাঁরা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন সুজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। লেক থেকেই মোটরসাইকেলসহ কাব্যের লাশ উদ্ধার হয় তার এক দিন পর। সুজানার ভাই আতিয়ার বলেন, ‘আমাদের হিসাব কোনোভাবেই মিলছে না। আমরা নিশ্চিত, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
তবে পুলিশ এ ঘটনাকে নিছক সড়ক দুর্ঘটনা বলেছে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, রাতে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে বাইকের চালক রাস্তা দেখতে না পেয়ে লেকে পড়ে যান।
১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহান (২৬) বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছুরিকাঘাতে খুন হন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছয় ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।
তবে পুলিশের ভাষ্য নিয়ে সন্দিহান শিহানের বাবা তানভীর রহমান বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা ঘটনা ঘটিয়ে সবার সামনে দিয়ে চলে গেল। কেউ বাধা দিল না। শুধু ছিনতাইয়ের জন্য কুপিয়ে মারা কী করে সম্ভব! আমি মনে করি, এর পেছনে অন্য কোনো চক্র রয়েছে।’

শিহানকে হত্যার দিনই নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকায় ছুরি মেরে হত্যা করা হয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে (২০)। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও স্বজনেরা তা মানছেন না। তাঁরা বলছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সীমান্ত। তাঁর পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তের বাবা আলম পারভেজ বলেন, ‘আসলে বুঝতে পারছি না কী থেকে কী হয়েছে।’ নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশের এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি ছিনতাইকারী চক্রের কাজ।’
১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বন্দর থানার ময়লার ডিপো টিসি কলোনি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিনের মাথায় জসিম হত্যার ‘মূল হোতা’সহ দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ময়লা ফেলা নিয়ে বিরোধের জেরে জসিমকে খুন করা হয়। তবে তাঁর চাচা বশির উদ্দিন বলেন, ‘শুধু এ কারণে এভাবে কেউ কাউকে হত্যা করে না। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড ঘটছে।’
তালিকায় নিখোঁজ ও হুমকিও
সহসমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান ২০ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর গত মঙ্গলবার হলে ফিরে আসেন। অসুস্থ থাকায় তাঁকে সেদিন রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিশদ জানানো হয়নি। খালিদের বাবা লুৎফর রহমান বলেছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি খালিদকে ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করা আশিকুর রহমান নামের এক সমন্বয়ককেও ১৫ ডিসেম্বর ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশিকুর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাঁকে ‘আলাপ অ্যাপস’ থেকে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ও পরিবারের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধবিষয়ক তথ্যে ১৭ ডিসেম্বর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শাবাব হোসাইন মেহেরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হওয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। কোনো হত্যাকাণ্ডই আমাদের কাছে স্বাভাবিক লাগছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে এখনো ভিন্ন কিছু নিশ্চিত না হওয়ায় পুলিশ বলছে, আপাতভাবে সংঘটিত খুনগুলো সাধারণ হত্যার ঘটনার মতোই। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তা মানতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন, হত্যার ধরন এবং শিকারদের অভিন্ন পরিচয়ের কারণে তাঁদের সন্দেহ, কোনো একটি বিশেষ চক্রের হাতেই তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন।
সাম্প্রতিক এই আলোচিত শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার মধ্যে কোনোটি অভ্যুত্থানে যুক্ত থাকার কারণেই হয়েছে বলে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে আন্দোলনকারী কেউ কেউ হত্যার হুমকি পাওয়া ও কয়েকটি ‘গুপ্তহত্যা’ ঘটার কথা বলেছে পুলিশ। এ কথা উঠে এসেছে পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধের তথ্য-উপাত্তে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিদিনের অপরাধ পর্যালোচনার তথ্যে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ কলে হত্যার হুমকি দেওয়া ব্যক্তিরা ছাত্রদের গুপ্তহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকতেও পারে।
পুলিশ, পরিবার ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন নারায়ণগঞ্জে এআইইউবির শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে একটি লেক থেকে সুজানা আক্তার নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পরে সুজানার বন্ধু সাইনুর রশিদ ওরফে কাব্যের লাশও উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হতে পারে মনে করা হলেও এ পর্যন্ত বিষয়টি ধোঁয়াশে। ১৮ ডিসেম্বরই চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
জুলাই-আগস্টে কোটাবিরোধী ও হাসিনা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নিজ নিজ এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওপরের ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। এ কারণে তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ‘গুপ্তহত্যা’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি ও সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এতে উল্লেখ করেন, ‘জুলাই বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ছাত্র-জনতার ওপর ফ্যাসিবাদের দোসররা কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে এবং ফোনকলে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে এবং এটি ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাহস জোগাচ্ছে।’
১৭ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলের একটি লেকের পানিতে ভেসে ওঠে ভাসানটেক সরকারি কলেজের ছাত্রী সুজানার লাশ। পাশেই পাওয়া যায় একটি হেলমেট। তার সূত্র ধরে সন্ধান মেলে সুজানার সঙ্গে থাকা বন্ধু কাব্যের লাশ। তাঁরা দুজনই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। বিজয় দিবসের রাতে তাঁরা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন সুজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। লেক থেকেই মোটরসাইকেলসহ কাব্যের লাশ উদ্ধার হয় তার এক দিন পর। সুজানার ভাই আতিয়ার বলেন, ‘আমাদের হিসাব কোনোভাবেই মিলছে না। আমরা নিশ্চিত, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
তবে পুলিশ এ ঘটনাকে নিছক সড়ক দুর্ঘটনা বলেছে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, রাতে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে বাইকের চালক রাস্তা দেখতে না পেয়ে লেকে পড়ে যান।
১২ ডিসেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহান (২৬) বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছুরিকাঘাতে খুন হন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছয় ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।
তবে পুলিশের ভাষ্য নিয়ে সন্দিহান শিহানের বাবা তানভীর রহমান বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা ঘটনা ঘটিয়ে সবার সামনে দিয়ে চলে গেল। কেউ বাধা দিল না। শুধু ছিনতাইয়ের জন্য কুপিয়ে মারা কী করে সম্ভব! আমি মনে করি, এর পেছনে অন্য কোনো চক্র রয়েছে।’

শিহানকে হত্যার দিনই নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকায় ছুরি মেরে হত্যা করা হয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তকে (২০)। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও স্বজনেরা তা মানছেন না। তাঁরা বলছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সীমান্ত। তাঁর পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সীমান্তের বাবা আলম পারভেজ বলেন, ‘আসলে বুঝতে পারছি না কী থেকে কী হয়েছে।’ নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশের এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি ছিনতাইকারী চক্রের কাজ।’
১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বন্দর থানার ময়লার ডিপো টিসি কলোনি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিনের মাথায় জসিম হত্যার ‘মূল হোতা’সহ দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ময়লা ফেলা নিয়ে বিরোধের জেরে জসিমকে খুন করা হয়। তবে তাঁর চাচা বশির উদ্দিন বলেন, ‘শুধু এ কারণে এভাবে কেউ কাউকে হত্যা করে না। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড ঘটছে।’
তালিকায় নিখোঁজ ও হুমকিও
সহসমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান ২০ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর গত মঙ্গলবার হলে ফিরে আসেন। অসুস্থ থাকায় তাঁকে সেদিন রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিশদ জানানো হয়নি। খালিদের বাবা লুৎফর রহমান বলেছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি খালিদকে ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করা আশিকুর রহমান নামের এক সমন্বয়ককেও ১৫ ডিসেম্বর ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশিকুর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাঁকে ‘আলাপ অ্যাপস’ থেকে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ও পরিবারের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধবিষয়ক তথ্যে ১৭ ডিসেম্বর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শাবাব হোসাইন মেহেরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হওয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। কোনো হত্যাকাণ্ডই আমাদের কাছে স্বাভাবিক লাগছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচজন আন্দোলনকারী সাত দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন দু-একজন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৪ ঘণ্টা আগে